জাতীয়
শিশুকেন্দ্রিক বাজেট চায় ইউনিসেফ ও শিশুরা
প্রাক-জাতীয় বাজেট ব্রিফিংয়ে শিশুকল্যাণের মূল খাতসমূহে বরাদ্দ বাড়ানো এবং এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে ইউনিসেফ ও ‘বাংলাদেশ জেনারেশন পার্লামেন্ট (জেনপি)’ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত শিশুরা। সোমবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে এ ব্রিফিং হয়।
ইউনিসেফ এ বছর পার্লামেন্টারি ককাস অন চাইল্ড রাইটস এর সঙ্গে যৌথভাবে জাতীয় বাজেটে শিশুদের স্বার্থ রক্ষা: প্রাক-বাজেট ব্রিফিং শীর্ষক এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিষয়ক বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরামের সদস্য ও ইউনিসেফের (জেনপি) উদ্যোগ থেকে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।
ইউনিসেফ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের একটি বিস্তৃত বিশ্লেষণ সংসদ সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করে। যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ ও বরাদ্দকৃত অর্থ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক প্রবণতা তুলে ধরা হয়।
উপস্থাপনায় আসন্ন বাজেটে এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সুপারিশমালাও তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশের আটটি বিভাগের প্রতিনিধিত্বকারী শিশুরা এ আয়োজনে অংশ নেয়। ব্রিফিংয়ে তারা তাদের সমবয়সীদের উদ্বেগ ও আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে।
কুড়িগ্রামের ১১ বছর বয়সী শিশু সাংবাদিক ওয়াইজ আবতী বলে, আমরা যদি বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারি তাহলে সেটি আমাদের মতামত, দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে বাধাগুলোর সম্মুখীন হই সেগুলো এবং তার সঙ্গে আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত চাহিদাগুলো প্রকাশ করতে সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, প্রাক-বাজেট বিশ্লেষণে শিশুদের সম্পৃক্ত করার মানে হলো সক্রিয় নাগরিক গড়ে তোলা এবং এটি জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের মতামত যাতে শোনা হয় তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ। এ উদ্যোগে ইউনিসেফের সহায়তা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক শাসন পদ্ধতি কায়েম করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে।
ব্রিফিং-এ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেওয়া হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় মোট বাজেটের আকার ১২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর জন্য বরাদ্দ আনুপাতিক হারে হ্রাস পেয়েছে, যা শিশুদের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে হুমকিস্বরুপ।
শিশুদের জন্য সুচিন্তিত বিনিয়োগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের ওয়াইসি রিপ্রেজেন্টেটিভ স্ট্যানলি গ্যুয়েভা বলেন, আমাদের শিশুদের পেছনে বিনিয়োগ করা শুধুমাত্র একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা নয়-এটি একটি স্মার্ট অর্থনৈতিক কৌশল, যার মাধ্যমে অনেক ভালো প্রতিদান পাওয়া যায়। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক অগ্রযাত্রা বজায় রাখতে শিশুদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া বাজেটের সম্পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
আইনসভার সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ সংসদের ডেপুটি স্পিকার এবং পার্লামেন্টারি ককাস অন চাইল্ড রাইটসের চেয়ারপার্সন শামসুল হক টুকু বলেন, বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া এবং এর বাস্তবায়নে যাতে দেশের প্রতিটি শিশুর কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন থাকে তা নিশ্চিত করা নীতিনির্ধারক হিসেবে আমাদের কর্তব্য। আজকের আলোচনা সঠিকভাবে বাজেট বাস্তবায়নের পদ্ধতিগুলোর উন্নয়নে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বের কথাই পুনর্ব্যক্ত করে।
স্বাস্থ্য খাতে, বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হ্রাসে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তবে সবার জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা, ওষুধ ও সরঞ্জাম বাড়ানো এবং টিকাদান কার্যক্রমে অর্থায়ন বাড়ানোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে আসন্ন জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ২ শতাংশ বিনিয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
শিক্ষা খাতে, বাংলাদেশ লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণসহ প্রায় শতভাগ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছে। শিক্ষা খাতে জিডিপির ৩ শতাংশ বিনিয়োগ নিশ্চিত করা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পাঠ্যক্রম সংস্কার, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও বিদ্যালয়গুলোকে তাপ প্রতিরোধী করার বিষয়ে মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক সুরক্ষা খাতে, ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি’ শিশুদের জীবনের শুরুর বছরগুলোতে তাদের পুষ্টি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। বাংলাদেশ সামাজিক সুরক্ষা খাতে যৌক্তিকভাবে সম্পদ বিনিয়োগ করলেও, যাদের বিশেষ প্রয়োজন তাদের কাছে সেবা ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া ইউনিসেফ তরুণদের মতামতকে তুলে ধরার জন্য ২৮ হাজারের বেশি তরুণের মতামত নিয়ে একটি ‘ইউ-রিপোর্ট’ জরিপ পরিচালনা করেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৪ শতাংশ মনে করে, শিশুদের জীবনকে সরাসরি প্রভাবিত করতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে আরও বেশি ব্যয় করা সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ উদ্যোগ, শিশুদের জীবনকে সরাসরি প্রভাবিত করে এমন নীতি বিষয়ক সংলাপে তাদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ইউনিসেফের যে অঙ্গীকার তারই প্রমাণস্বরুপ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজস্ব আদায়ের নতুন মাইলফলক দক্ষিণ সিটির
রাজস্ব আদায়ে আবারও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নতুন এই মাইলফলক সৃষ্টি করল প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণী হস্তান্তর করেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এসময় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হককে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত হস্তান্তরিত সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে দেখা যায় যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গৃহ কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বাবদ ৪০৩ কোটি ১৮ লাখ, বাজার সালামি খাতে ১৪৮ কোটি ৪০ লাখ, বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) ফি বাবদ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর হতে ১৩২ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এসময় উৎফুল্ল মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস রাজস্ব বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কোন ধরনের কর বৃদ্ধি না করার যে ওয়াদা আমি ঢাকাবাসীকে দিয়েছিলাম তা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করে এবং দুর্নীতি, অনিয়ম, গাফিলতি রোধ করার মাধ্যমে আমরা ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে রাজস্ব আদায়ে আমরা নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে চলেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ও সবার কর্মতৎপরতায় এবার আমরা বিগত বছরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আগের চাইতে আরও বেশি উদ্যোগ ও কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে পারব। ঢাকাবাসীকে আরও বৃহৎ পরিসরে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে পারব।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের যথাক্রমে রাজস্ব আদায় ছিল ৫১৩.৯৬ কোটি, ৭০৩.৩১ কোটি, ৮৭৯.৬৬ কোটি ও ১০৩১.৯৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাদেক এগ্রোকে অনৈতিক সহযোগিতা, সাভার ডেইরি ফার্মে অভিযান
সাদেক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সহযোগিতা দেয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় দুদক কর্মকর্তারা বিভিন্ন নথি যাচাই-বাছাই করে এবং বেশ কিছু নথির ফটোকপি নিয়ে যান।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমদানি নিষিদ্ধ ১৮টি ব্রাহ্মা জাতের গরু জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে সেই গরুগুলো সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে হস্থান্তর করা হয়। সেই গরুগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে নিলামের মাধ্যমে ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের কাছে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি সাদেক অ্যাগ্রোতে ব্রাহ্মা জাতের গরু পাওয়া যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রিত ব্রাহ্মা জাতের গরুগুলোকে অসৎ পন্থা অবলম্বন করে সাদেক অ্যাগ্রো কিনে নেয়। সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে আজ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূতরা।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে গ্রিসের রাষ্ট্রদূত আলীকি কৌতসোমিতোপাওলৌ, লিথুনিয়ার রাষ্ট্রদূত ডায়ানা মিকিভিসিইয়েন ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূত লিওনার্দো মেনজেজি রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়। তুলনামূলক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতের উন্নয়নে নতুন রাষ্ট্রদূতদের কাজ করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের উল্লেখ করে তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি এবং আইসিটিসহ সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশ যাতে জিএসপি প্লাস বাণিজ্যিক সুবিধা পায়, সেই বিষয়ে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি তৈরি পোশাক, পাট, পাটজাত পণ্য, চামড়া ও সিরামিকসহ আন্তর্জাতিক মানের পণ্যের আমদানি বাড়াতে নতুন রাষ্ট্রদূতদের কাজ করার আহ্বান জানান। সাক্ষাৎকালে গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের বাণিজ্য বিনিয়োগসহ সব ধরনের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করার কথা জানান।
নতুন রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বদলে গেলো ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল
আজ ১ জুলাই থেকে ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।
সোমবার (১ জুলাই) ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, এখন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্রের পরিবর্তে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে।
মুঘল বাংলায় ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রথম বাংলা সন গণনা করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে খাজনা আদায়ে এই গণনা কার্যকর শুরু হয়েছিল ১৫৫৬ সাল থেকে। কালক্রমে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশেও বাংলা সনের হিসাবেই জমির খাজনা তথা ভূমি কর নেওয়া হতো।
১৫৮৪ প্রায়োগিক সাল ধরলে সময়ের প্রয়োজনে প্রায় ৪৪০ বছর পর ভূমি কর আদায়ের সময় পরিবর্তন হয়েছে।
ভূমি উন্নয়ন কর হালসনের হিসাব অনুযায়ী পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ, প্রতি বছরের ভূমি উন্নয়ন কর ওই বছরের ৩০ জুনের মধ্যে জরিমানা ব্যতীত আদায় করা যাবে। কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারভিত্তিক কৃষি জমির মোট পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না।
তবে এই জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে সম্পূর্ণ কৃষি ভূমির ওপর ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। অন্যদিকে, অকৃষি ভূমিকে ব্যবহারভিত্তিক বাণিজ্যিক, শিল্প এবং আবাসিক ও অন্যান্য শ্রেণিতে বিভাজন করে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর হার নির্ধারণ ও পুনঃনির্ধারণ করে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করে থাকে।
এছাড়া, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যেকোনো ব্যক্তি বা যেকোনও শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ অথবা কোনও সংস্থাকে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শ্রেণি ও পরিমাপের কৃষি বা অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হিলিতে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে
দিনাজপুরের হিলিতে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর কারণে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুদিনের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ টাকা। বর্তমানে তা কমে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারের প্রতিটি দোকানেই মসলাপণ্যটির যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে।
অন্যদিকে হিলির বাজারগুলোয় আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজেরও যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তবে সে তুলনায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে এ পেঁয়াজ কেজিতে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে দাম ছিল কেজিতে ৭০ টাকা।
এ বিষয়ে হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, ঈদের ছুটির পর হিলিসহ দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে, যা দেশী পেঁয়াজের দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
আবুল হাসনাত আরো বলেন, কৃষকরা আগের তুলনায় পেঁয়াজ বিক্রি বাড়িয়েছেন। আড়তদাররাও মজুদ করা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন। এতে মোকামে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। মোকামগুলোয় মণপ্রতি ২০০ টাকা কমেছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এসব কারণে এখন আমরা আগের তুলনায় কম দামে পেঁয়াজ বেচাকেনা করতে পারছি।