ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সুরাহা না হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছেন ব্যাংক বিটের সাংবাদিকরা। বুধবার (৮ মে) দুপুর আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়কট করে বেরিয়ে আসেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হকসহ ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকরা জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য সংগ্রহে প্রবেশ ইস্যুর বিষয়ে সুরাহা হয়েছে কি-না। সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে সংবাদ সম্মেলনটি বর্জনের ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যাংক বিটের রিপোর্টাররা। তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। ইতোমধ্যে টিআইবি, নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও সম্পাদক পরিষদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) নিন্দা জানিয়েছে।
পৃথক পৃথক বার্তায় সংগঠনগুলো জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে এমন অলিখিত এ নিষেধাজ্ঞা স্বাধীন সাংবাদিকতা, গণতন্ত্র এবং মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের। তবে মেলেনি সমাধান। পরে গত ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেন। পরে ওইদিন বেলা ১১টায় ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ব্যাংকে প্রবেশ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরও বিষয়টি সমাধান হয়নি।
আলোচনা শেষে ওইদিন (২৫ এপ্রিল) ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা নেই। তবে, বর্তমানে কড়াকড়ি অবস্থানে আছে। এর আগে কখনও এমন কঠোর হতে দেখিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। এসব সমাধানে গভর্নরের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ) ৮ মের পর ব্যাংক বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। কীভাবে আগের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধে প্রবেশ করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
ওইদিনের বৈঠকে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়ে শুধু মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন। তবে, কোনো কর্মকর্তা যদি সাংবাদিকদের পাস দেন, সেক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে, আগের মতো তারা অবাধে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
আইএফআইসি ব্যাংকের নতুন এমডি সৈয়দ মনসুর মোস্তফা
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সৈয়দ মনসুর মোস্তফা। গত ১৩ মে আইএফআইসি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
এর আগে তিনি ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন, চিফ ক্রেডিট অফিসার, চিফ রিস্ক অফিসার ও চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসারসহ (ক্যামেলকো) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মনসুর মোস্তফা ১৯৯৬ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসাবে এবি ব্যাংকে যোগদানের মধ্যদিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব ক্রেডিটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংকে যোগদান করেন।
২৮ বছরের পেশা জীবনে তিনি শাখা ব্যবস্থাপনা, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, বৈদেশিক বাণিজ্য, ট্রেজারিসহ বহুমুখী ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
সৈয়দ মনসুর মোস্তফা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে ১৪৯ ভরি সোনা গায়েব!
চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চকবাজার শাখার লকারে রাখা এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি সোনার গয়না পাওয়া যাচ্ছে না। গত ২৯ মে দুপুরে এ ঘটনার সন্ধান মিলে। তবে এ ব্যাপারে গ্রাহক এবং ব্যাংক থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বেভারলি হিল এলাকার বাসিন্দা ও ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক রোকেয়া বারী ব্যাংকের একটি লকারে প্রায় ১৪৯ ভরি স্বর্ণের গহনা রেখেছিলেন। ২৯ মে লকার ইনচার্জের সঙ্গে লকার রুমে প্রবেশ করে তিনি দেখতে পান যে, তার লকারটি খোলা এবং সেখানে কোনো গহনা নেই।
রোকেয়া বারীর ছেলে ডাক্তার রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, মা ২০০৭ সাল থেকে এই শাখায় তার সোনার গহনা রাখার জন্য লকার ব্যবহার করে আসছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকে গিয়ে লকার রুমের ইনচার্জকে তার লকার দেখার অনুরোধ করেন। মায়ের কাছে লকারের মূল চাবি আছে এবং আরেকটি ডুপ্লিকেট চাবি ইনচার্জের কাছে থাকে।
তিনি বলেন, তারা দুজন লকার রুমে প্রবেশ করেন। তখন ইনচার্জ প্রথমে দেখেন যে মায়ের লকারটি খোলা। আমার মা লকারটি পরীক্ষা করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান।
তিনি আরও বলেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানাই এবং চকবাজার থানার ওসি লকার রুম দেখে গেছেন। বুধবার রাতেই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওসি আমাদেরকে বলেন মামলা করতে। আমরা পরিবারের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করছি। এ বিষয়ে সোমবার আদালতে অভিযোগ দায়ের করব।
‘ব্যাংক কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে তারা ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে সঠিক ঘটনা উদঘাটন করবেন,’ যোগ করেন তিনি।
চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, লকার রুমে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ভিকটিম ও তার ছেলে থানায় জিডি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ঘটনাটির গুরুত্বের কারণে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বলেছি।
এ বিষয়ে জানতে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ম্যানেজার শফিকুল মাওলার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বুধবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচন আগামীকাল বুধবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে এদিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় তফসিলি ব্যাংক এবং এর শাখা ও উপশাখা বন্ধ থাকবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক আগামী ২৯ মে (বুধবার) ১০৯টি উপজেলায় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা বা উপশাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১০৯টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ১৯টি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
যেসব উপজেলা পরিষদে নির্বাচন স্থগিত
বাগেরহাটের শরনখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার তজুমদ্দীন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি।
এদিকে, নির্বাচনে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৪১২ কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২৭ মে দিনগত রাত ১২টা থেকে ৩০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ২৮ মে দিনগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৯ মে রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিক আপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
মুনাফা, খেলাপি ঋণ আদায়ে রূপালী ব্যাংকের বড় সাফল্য
পরিচালন মুনাফায় বিশাল অর্জন, বড় অঙ্কের খেলাপি ঋণ আদায়, নতুন একাউন্টের হিড়িক- সব বিভাগেই রেকর্ড সৃষ্টির মাধ্যমে তাক লাগাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক পিএলসি। গত এক বছরে রূপালী ব্যাংকের সাড়ে ৫শ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় ও অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ থেকে চলতি বছরে ৪০ কোটি টাকা আদায় এখন ব্যাংক খাতে চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি এক বছরে ৮ লাখ নতুন ব্যাংক হিসাব খুলে রেকর্ড সৃষ্টির মাধ্যমে চমক দেখিয়েছে রূপালী ব্যাংক। এসবের ফলে ২০২৩ সালে ৭০০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন সামনে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। যেখানে ২০২২ সালে রূপালী ব্যাংকের মুনাফা হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা।
জানা যায়, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে গত দুই বছরে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে রূপালী ব্যাংক। দুর্দান্ত গতিশীলতার মাঝেও ভারসাম্য রক্ষা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে রূপালী ব্যাংকের নেতৃত্ব। যে কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও গত দুই বছরে বিতরণকৃত কোন ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েনি। বরং রূপালী ব্যাংকের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব বাছাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও সরকার প্রধানের দূরদর্শীতার সুফল পাচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
সম্প্রতি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় ব্যাংকের ইপিএস সমন্বিতভাবে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে ৬১ পয়সা থেকে ১ টাকা ৩৫ পয়সা হয়েছে এবং এককভাবে তিন গুণের বেশি বেড়ে ৪৫ পয়সা থেকে ১ টাকা ১৭ পয়সা হয়েছে। পাশাপাশি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক ২৭ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকা ৩২ পয়সা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৮৯ পয়সায়।
সূত্র বলছে, রূপালী ব্যাংকের নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের নিষ্ঠাশীল আনুগত্য ও ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আকাশচুম্বি আস্থার প্রমাণ পাওয়া যায় গত এক বছরে ব্যাংকটির নতুন হিসাব খোলার সংখ্যা বিশ্লেষণে। যেখানে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫১ বছরে ব্যাংকটির সক্রিয় একাউন্ট ছিল ২২ লাখ, সেখানে এক বছরেই নতুন একাউন্ট যুক্ত হয়েছে ৮ লাখ। বর্তমানে ৩০ লাখ গ্রাহকের রূপালী ব্যাংক জাতীয় সঞ্চয়ের বড় অংশীদারে পরিণত হয়েছে। গত দুই বছরে ৫৩ হাজার কোটি টাকা থেকে ৬৮ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে ব্যাংকটির আমানত। পাশাপাশি ব্যাংকটিতে লোকসানি শাখা নেই বললেই চলে। বর্তমানে মাত্র ৭টি লোকসানি শাখা রয়েছে, যা ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
একসময়ে পিছিয়ে পড়া ব্যাংকটির বর্তমান অগ্রগতির কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা। বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মাঠ পর্যায় থেকে প্রধান কার্যালয়- ৩৪ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। ১৯৯০ সালে ব্যাংকটিতে অফিসার হিসেবে যোগ দিয়ে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন হুসনে আরা শিখা। তিনি প্রধান কার্যালয়ের মানবসম্পদ বিভাগ–১ এর পরিচালক ছিলেন। রোববার এক অফিস আদেশে তাঁকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
হুসনে আরা ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। তিনি আইবিএ থেকে এমবিএ (ফাইন্যান্স) ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জাপান থেকে অর্থনীতি বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় কৃতিত্বের জন্য রূপালী ব্যাংক পুরস্কার ও পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক এমপ্লয়িজ রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড (গোল্ড মেডেল) পান।
হুসনে আরা প্রধান কার্যালয়ের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, মানবসম্পদ বিভাগ, বিশ্বব্যাংকের অর্থ সহায়তাপুষ্ট তিনটি প্রকল্প সেন্ট্রাল ব্যাংক স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট, ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট ও ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন ফাইন্যান্সিয়াল ফ্যাসিলিটি প্রজেক্টের (আইপিএফএফ) বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।
আইপিএফএফ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে পিপিপির আওতায় অর্থায়ন, বাংলাদেশে পিপিপি অফিস প্রতিষ্ঠা ও ধারণা বাস্তবায়ন কাজে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। ব্যাংকিং খাতে ঋণমান নিয়ন্ত্রণে বহুল ব্যবহৃত আইসিআরআরএস প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগের পরিচালক হিসেবে করোনা পরবর্তী শতভাগ ঋণ বিতরণে নেতৃত্ব দেন।
এমআই