আন্তর্জাতিক
ওমরাহ পালন নিয়ে বড় সুখবর দিলো সৌদি
যেসব মুসল্লি ওমরাহ পালন করতে চান তাদের বড় সুখবর দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি জানিয়েছে, এখন থেকে যে কোনো ভিসা নিয়ে সৌদিতে আসলেই ওমরাহ করা যাবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র ওমরাহ ভিসার প্রয়োজন হবে না।
এ ব্যাপারে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে বলেছে, যে কোনো ভিসা নিয়ে যে কোনো দেশ থেকে আসা ব্যক্তিরা সুন্দর ও আরামদায়কভাবে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ফ্যামিলি, ট্রানজিট, লেবার এবং ই-ভিসাধারী সবাই কোনো বাধা ছাড়া ওমরাহ পালন করতে পারবেন। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে বলেছে, ‘আপনার ভিসা যাই হোক, আপনি ওমরাহ করতে পারবেন।
সৌদিতে আসার পর দেশটির সরকারি ‘নুসুক’ অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহর অনুমতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ওমরাহ করার অনুরোধ জানিয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করা হয়। যারমধ্যে রয়েছে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, ওমরাহর পরিকল্পনা সাজানো এবং মদিনায় ভ্রমণ করা।
সৌদির বাইরের মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে এবং সুন্দরভাবে ওমরাহ করতে পারেন সেজন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সৌদির সরকার।
বিশেষ করে যারা আর্থিক, শারীরিক কারণে হজ করতে পারেন না; তারা যেন ওমরাহ করতে পবিত্র মক্কা ও মদিনায় উপস্থিত হতে পারেন সেজন্য এ ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়েছে সৌদি আরব। এজন্য ওমরাহ পালনের ব্যবস্থা খুবই সহজ করে দেওয়া হয়েছে।
যার মধ্যে অন্যতম হলো ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করা, স্থল-জল ও আকাশপথে সৌদিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া। এছাড়া নারীদের সঙ্গে পুরুষ সঙ্গী থাকার বাধ্যবাধকতাও তুলে দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চলতি বছর হচ্ছে না বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক চলতি বছর আর হচ্ছে না। এবারের বৈঠকটি ভারতের দিল্লিতে হওয়ার কথা ছিল। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিএসএফের এক কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছেন।
দুই দেশের দুই বাহিনীর প্রধান বছরে দুইবার বৈঠকে মিলিত হন। এতে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, মাদক বিরোধীসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকেন।
যদিও এটি রুটিন বৈঠক। তবে এবারের বৈঠকটি আলাদা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি। গত নভেম্বরে বৈঠকটি হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ এটি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এরপর নতুন করে আর তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। যেহেতু এ বছরের মাত্র চারদিন বাকি আছে। তাই ২০২৪ সালে বৈঠক হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিএসএফের কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। তাই এ বছর বৈঠক হচ্ছে না। গত মাসে বৈঠক স্থগিতের পর, ডিসেম্বরে এটি আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়। তবে আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের সদস্যদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু এগুলো ছোট। যেগুলো সমাধান করা যাবে না সেগুলো দুই বাহিনীর প্রধানের বৈঠকে তোলা হবে। তবে এই মুহূর্তে তাদের বৈঠক না হলেও; বিষয়টিকে আমরা বড় করে দেখছি না। কারণ মধ্যমসারির কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আর নেই
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিল্লির একটি হাসপাতালে শেষ নিংশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এরপর সন্ধ্যা ৮টার দিকে তাকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালের (এইমস) জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
ভারতের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের অন্যতম মনমোহন সিং ১৯৯১ সালে রাজ্যসভার সদস্য হন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি বিরোধী দলনেতা ছিলেন। এরপর ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পরপর দুই মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিম পাঞ্জাবের গাহে জন্মগ্রহণ করেন মনমোহন সিং। গাহে এলাকাটি বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তার পরিবার ভারতে চলে আসে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ওমরাহ পালনকারীদের সুখবর দিলো সৌদি আরব
ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সুখবর দিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে ওমরা পালনকারীরা বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণ করতে পারবেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সৌদির দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, গ্র্যান্ড মসজিদের পূর্ব দিকে মক্কা লাইব্রেরির কাছে এবং পশ্চিম দিকে গেট ৬৪-এর কাছে বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, একজন ওমরাহ পালনকারী সর্বোচ্চ চার ঘণ্টার জন্য সাত কেজি ওজনের ব্যাগ রাখতে পারবেন। তবে ব্যাগের বাইরে কিছু রাখা যাবে না। এ ছাড়া মূল্যবান ও নিষিদ্ধ জিনিসপত্র, খাবার ও ওষুধ রাখা যাবে না। ব্যাগ জমা দিয়ে টিকিট নিতে হবে ও টিকিট দেখিয়ে পরে ব্যাগ ফেরত নিতে হবে।
ওমরা পালনকারীরা সৌদি আরব সরকার অনুমোদিত ডিজিটাল হজ সেবা গেটওয়ে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে পারমিট দেখিয়ে এই সুবিধা নিতে পারবেন। মক্কার পবিত্র দুই মসজিদে প্রবেশ করতে হলে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরা পালনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে এই সুবিধা নিতে পারবেন ওমরাহ পালনকারীরা। এ ছাড়া কাবা শরিফের আশপাশের সব এলাকায় এই সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ৫ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেফতার
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে অন্তত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আন্তর্জাতিক এলাকা থেকে ওই বাংলাদেশিদের গ্রেফতার করেছে আসাম পুলিশ। ভারতের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে নর্থ ইস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আসামের পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। এই বাংলাদেশিরা হলেন, হাসি আখতার, শ্রাবণী, সোহাগী খান, সুমি খান ও নীলা আক্তার।
আসাম পুলিশ বলেছে, ওই বাংলাদেশিদের গ্রেফতারের পর তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবৈধ অনুপ্রবেশ জোরদারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর অবস্তানে রয়েছে।
একই দিনে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেক দিন প্রায় ১০ থেকে ২০ বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। তবে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা কঠোর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছি।
এর আগে, মঙ্গলবার আসাম থেকে ১৬ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসামের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সেন্টিনেল আসামের প্রতিবেদনে ওই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ১৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে আসাম পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৪ জন নারী এবং ৫ শিশু রয়েছে।
আসামের পুলিশ বলেছে, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা বেঙ্গালুরু থেকে আসামের গুয়াহাটি হয়ে দক্ষিণ সালমারার মানকাচরে গিয়েছিলেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে স্বীকার করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেলো চার বাংলাদেশির
সৌদি আরবের মদিনা শহরে গত ২১ ডিসেম্বর ময়লার গাড়িকে পেছন থেকে আরেকটি গাড়ি ধাক্কা দিলে চার বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হন। নিহত চারজনের মধ্যে দুজনের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার।
তারা হলেন – ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার পাইথল গ্রামের বদরুদ্দিন তোতা মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৩৮)। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। অপরজন কুরচাই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে ইকরাম (২৪)। তিনি এক সন্তানের বাবা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আরও বলেন, নিহতদের মরদেহ আনার প্রক্রিয়া চলছে। তবে কখন বা কবে আসবে, তা এখন বলা যাচ্ছে না।
নিহত শ্রমিক ইকরামের বাবা আবু সাঈদ বলেন, আমার ছেলে ইকরাম এক সন্তানের বাবা। এক বছর আগে সংসারের হাল ধরতে সৌদি আরবের মদিনায় গিয়েছিল সে। সেখানে ইকরাম রাস্তা ক্লিনারের কাজ করত। ঘটনার দিন সকালে কাজ করে ময়লার গাড়িতে করে ৮/১০ জনকে নিজ বাসায় ফিরছিল। ফেরার পথে পেছন থেকে অন্য গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আমার ছেলে ইকরামসহ ৪ জন মারা যায়। এসময় আহত হয় আরও দুজন। চারজনের একজন আমার ছেলে ইকরাম। আরেকজন সুমন মিয়া পাইথল গ্রামের বাসিন্দা। অপর দুইজনের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা বলে জানতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। ছেলের মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। ছেলের স্ত্রী রুনা শোকে পাথর হয়ে গেছে। কারও সঙ্গে কথা বলছে না। আমার ছেলের দুই বছরের এক সন্তান রয়েছে। সে শুধু সবার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। মরদেহ আনার জন্য কাগজপত্র তৈরি করছেন বলেও জানান তিনি।
নিহত ইকরামের বড় বোন শাহিনুর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে বাড়িতে এসেছি। আমার ভাই ওই কাজে বের হওয়ার সময় সবার সঙ্গে কথা বলেছিলে, কে কেমন আছে জানতে চেয়েছিল সে। আমার সেই ভাই কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পরেই মারা গেছে। ভাই আর আমাদের সঙ্গে কথা বলবে না।
পাইথল গ্রামের নিহত সুমনের চাচা চাচা শাহিন মিয়া বলেন, সুমন এক যুগ ধরে সৌদি আরবের মদিনায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করে আসছিল। গত দুই বছর আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল। এভাবে তার মৃত্যু পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারছে না। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। স্ত্রী সন্তানরা মরদেহের অপেক্ষায় আছে।