জাতীয়
একাত্তরের কথা রাখতে রেলমন্ত্রী যাচ্ছেন ষোলটাকায়

১৯৭১ সাল। এদেশের স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে তোলে দেশের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেন। সে সময় জিল্লুল হাকিম (বর্তমান রেলমন্ত্রী) পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রশিক্ষণে যাওয়ার প্রাক্কালে তৎকালীন কুষ্টিয়ার গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামে এসে আশ্রয় নেন।
তৎকালীন মুজাহিদ সদস্য ষোলটাকা গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন তার বাড়িকে আশ্রয় দিয়েছিলেন তাকে। বেশ কয়েকদিন এখানে অবস্থান করায় পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় কিছু মানুষের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে উঠে বর্তমান রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের। পরে ভারতে যাওয়ার সময় তিনি কথা দিয়েছিলেন প্রাণে বেঁচে থাকলে আবারও এই মানুষগুলোর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন তিনি।
স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রায় ৫৩ বছর পার হয়েছে। ষোলটাকা গ্রামের আশ্রয়দাতা সেই নাসির উদ্দিন ও স্থানীয় মানুষগুলোকে ভুলে যাননি জিল্লুল হাকিম। তিনি বর্তমান সরকারের রেলমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। এবার সেই গ্রামের ক্ষণিকের আপনজনগুলোর সঙ্গে স্মৃতিচারণ করতেই ষোলটাকা গ্রামে ছুটে আসছেন তিনি।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ৩টার সময় ষোলটাকা গ্রামে পৌঁছাবেন রেলমন্ত্রী। রেলমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যেও খুশির আমেজ বিরাজ করছে।
এ সময় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ জেলার অন্যান্য নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও রেলমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেসনোটে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৩টার সময় মেহেরপুর জেলায় রণাঙ্গনের স্মৃতি বিজড়িত স্থান গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামে পরিদর্শন করবেন রেলমন্ত্রী। এ সময় ষোলটাকা গ্রামের লোকজনের খোঁজখবর নেবেন এবং মুক্তিযুদ্ধচলাকালিন সময়ের স্মৃতিচারণ করবেন তিনি। এর আগে ১২টার সময় মেহেরপুর জেলা সার্কিট হাউজে উপস্থিতি হবেন এবং স্থানীয় মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করবেন।
জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে ষোলটাকা গ্রামের নাসির উদ্দিন পাকিস্তান সরকারের মুজাহিদে চাকরি করতেন। সে সময় তার বাড়িতে পাকিস্তান সরকারের পতাকা উড়তো। ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় নাসির উদ্দিন হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। তারপর তিনি আর ফিরে আসেননি। নাসির উদ্দিনের এক ছেলে বায়োজিদ হোসেন কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সম্প্রতি। এখন নাসির উদ্দিনের স্ত্রী রইছন নেছা তার দুই নাতনি নিয়ে জীবন যাপন করছেন।
রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম এমপির আগমনে রইছন নেছা বলেন, তখন তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এখন রেলমন্ত্রী হয়েছেন। আমার বাড়িতে আসছেন, এতে আমি খুব খুশি।

জাতীয়
নরেন্দ্র মোদিকে আম পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে এক হাজার কেজি হাড়িভাঙ্গা আম পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দুই প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) এই আমের চালানটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছবে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
নয়াদিল্লি পৌঁছানোর পর আমগুলো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কূটনীতিক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিতরণ করা হবে। এছাড়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আম পাঠাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ সেখানকার বিশিষ্টজনদের জন্য ৩০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম উপহার পাঠানো হয়। আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ৬০টি কার্টনে এসব আম পাঠানো হয়।
এই উদ্যোগকে ‘আম কূটনীতি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়, যা আগের প্রশাসনের সময়েও চলমান ছিল। এখনও এটি সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক শুভেচ্ছার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জাতীয়
পুলিশের বিশেষ অভিযানে আরও ১৫৬৮ গ্রেফতার

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ১০৫৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ৫১১ জন।
রবিবার (১৩ জুলাই) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১০৫৭ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় ৫১১ জন। মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫৬৮ জনকে।
অভিযানিক কার্যক্রমে উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় লোহার ওয়ান শুটারগান ১টি।
জাতীয়
প্রতীক হিসেবে নৌকা থাকবে, অন্তর্ভুক্ত হবে না শাপলা: ইসি

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত হলেও ইসির প্রতীকের তফসিলে নৌকা আপাতত থাকবে এবং শাপলা প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমানেল মাছউদ।
এরআগে, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় ‘নৌকা’ প্রতীক নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তফসিল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একই সঙ্গে ‘শাপলা’ প্রতীক তফসিলভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছে দলটি।
রবিবার (১৩ জুলাই) এ কথা জানিয়ে ইসি মাছউদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হলেও নির্বাচনী প্রতীকের তফসিলে নৌকা প্রতীক আপাতত থাকবে। কারণ, প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের জন্যই আমরা একটা প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে থাকি। এ প্রতীকগুলো ইসির সংরক্ষিত।
‘এখন কোনো দলকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে প্রতীক বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। আপাতত আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক থাকছে।’
এনসিপির শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, যে কোনো দল যে কোনো প্রতীক চাইতে পারে। তবে যেহেতু নির্বাচন কমিশনের তফসিলে এ প্রতীক নেই, সেহেতু শাপলা এখন অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না। এনসিপি দল হিসেবে পরে নিবন্ধন পেলে এসব পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
রবিবার (১৩ জুলাই) এনসিপির প্রতিনিধিদল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শাপলা প্রতীক বরাদ্দের দাবি জানায়।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মূসা।
এসময় নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টা থেকে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সিইসির সঙ্গে প্রতিনিধিদলটির বৈঠক চলে।
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকাবস্থায় নৌকা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। আমরা এ বিষয়টি ইসির নজরে এনেছি। আইনগতভাবে নৌকা প্রতীক তালিকায় রাখতে পারে না ইসি।
শাপলাকে প্রতীক হিসেবে তালিকাভুক্ত ও ইসি পুনর্গঠন ছাড়া বিকল্প নেই উল্লেখ করে ব্রিফিংয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচনের আগে ইসি পুনর্গঠন করতে হবে। এটা স্ট্রেট ফরোয়ার্ড। ‘শাপলা’ প্রতীক পেতে আইনি কোনো বাধা নেই। যদি বাধা দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে আমরা রাজনৈতিকভাবে লড়াই করবো।
জাতীয়
আরও চার পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভেঙে পড়ে পুলিশ বাহিনী। অনেক পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগদান করার পরও ছুটি না নিয়ে উধাও হয়ে যান। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে যোগ না দেওয়া এমন আরও ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।
ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে যোগদান না করায় এখন পর্যন্ত ২১ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হলো।
রবিবার (১৩ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে দেওয়া পৃথক চার প্রজ্ঞাপনে তাদের বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়। ১২ জুলাই প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপসচিব নাসিমুল গনি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. রওশানুল হক সৈকত (র্যাবে বদলির আদেশপ্রাপ্ত) গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা, ২০১৮ এর ২(খ) ও ২ (চ) অনুযায়ী অসদাচরণ ও পলায়নের শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় যেদিন থেকে অনুপস্থিত সেদিন থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(গ) অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় যেদিন থেকে অনুপস্থিত সেদিন থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. গোলাম রুহানী গত বছরের ১১ আগস্ট থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ২(চ) অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় যেদিন থেকে অনুপস্থিত সেদিন থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এছাড়াও ডিএমপির মিরপুর ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মফিজুর রহমান পলাশ গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(গ) অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় যেদিন থেকে অনুপস্থিত সেদিন থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন তারা খোরপোষ ভাতা পাবেন।
জাতীয়
নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের ধারণা দিলেন সিইসি

আগামী নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে খুব টানা হেঁচড়া হচ্ছে। বিশেষ করে সরকার এবং বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে এ নিয়ে দরকষাকষি হয়েছে। বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবি করে আসছে। ঠিক তা না মানলেও সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কবে নাগাদ হবে তা খোলাসা করা হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, যেটা সব সময় উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলে আসছেন। সেটাই জানি, যেটা আপনি জানেন- দেশবাসী জানে, ওনার বক্তব্য থেকে। সেটা আমিও জানি। সরকার কিংবা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা না পেলেও, কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কমিশন ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নির্বাচন কমিশনকে এখনো জানানো হয়নি। ইটস ভেরি ডিফিকাল্ট ফর মি টু রেসপন্ড, আমি নিজেই জানি না এক্স্যাক্ট ডেট। তবে ফেব্রুয়ারি, রমজানের আগে অথবা এপ্রিলের প্রথমার্ধে ভোট হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
বিবিসি বাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সিইসি এসব কথা বলেন।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, সরকার ইতিমধ্যে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীকে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছে। চ্যালেঞ্জ আছে, কিন্তু সম্ভব। জনগণ যদি আমাদের সঙ্গে থাকে, কোনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিই সমস্যার কারণ হবে না। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যে দিন নির্বাচন হোক, আমরা একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই।
সরকার থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে যে আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীকে তারা প্রস্তুত হতে বলেছেন সেরকম ইসিকে বলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ধরে নিচ্ছি, ইট ইজ আওয়ার অ্যাসাম্পশন (আমাদের ধারণা) যে বর্তমানে যে টাইম ফ্রেম বলা হচ্ছে, আইদার আর্লি ফেব্রুয়ারি বিফোর রমাদান, অর ইট মে বি সাম টাইম ইন দ্য ফার্স্ট হাফ অব এপ্রিল। হতে পারে, এপ্রিলের প্রথম দিকে হতে পারে।