Connect with us

অর্থনীতি

ওয়ারেন বাফেটের বেড়ে ওঠা-জীবন-বিয়ে ও বিনিয়োগের যত কাহিনি

Published

on

পুঁজিবাজার

আগামী ৩০ আগস্ট তাঁর বয়স হবে ৯৪ বছর। এখনো খেতে পছন্দ করেন চিজ বার্গার আর চেরি কোকাকোলা। চুটিয়ে কন্ট্রাক্ট ব্রিজ খেলেন। ‘ব্রেকিং ব্যাড’ ওয়েব সিরিজের দারুণ ভক্ত। ৬৫ বছর ধরে একটি বাসাতেই থাকেন। লেনদেন করেন নগদ অর্থে। আর যা আয় করেন, বিলিয়ে দেন তার প্রায় সবটাই।

বলছি ওয়ারেন বাফেটের কথা, বিশ্বের সেরা বিনিয়োগকারী। তিনি এমন এক মানুষ, যাঁর কোনো শত্রু নেই বললেই চলে। নামটা যেন কেবলই ভালো লাগা আর শ্রদ্ধার। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১১ সালে তাঁর গলায় প্রেসিডেনশিয়াল গোল্ড মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওয়ারেন বাফেট কেবল একজন শীর্ষ ধনীই নন, একই সঙ্গে অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও ভালোবাসার মানুষ।’ ভালোবেসে তাঁকে ডাকা হয় ‘ওমাহার জাদুকর’।

ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ ধনী, বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আবার কেউ কেউ বলেন, বাফেট যত ভালো বিনিয়োগকারী, তার চেয়েও ভালো ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপক। বাফেট যেখানে বিনিয়োগ করেন আর যেভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালান, সেটাকেই আদর্শ মানা হয়। আসলে বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি কিংবদন্তিতুল্য আর ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রথম শ্রেণির। ফোর্বস পত্রিকার ২০২৪ তালিকা অনুযায়ী বাফেটের সম্পদের পরিমাণ এখন ১৩৩ বিলিয়ন ডলার বা ১৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের বাজেট কত জানেন তো? ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি বড় পরিচয় হচ্ছে, তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনহিতৈষীদের একজন। ২০০৬ সালে তিনি তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশই দানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এখন পর্যন্ত দান করেছেন প্রায় ৫৬ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।

যেভাবে বেড়ে ওঠা
ওয়ারেন বাফেটের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ওমাহায়, ১৯৩০ সালের ৩০ আগস্ট। হাওয়ার্ড ও লেইলা বাফেট দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। হাওয়ার্ড দম্পতি বিয়ে করেছিলেন ১৯২৫ সালে। বড় বোন ডরিসের জন্ম ১৯২৮ সালে আর ছোট বোন বার্টি ওয়ারেন বাফেটের চেয়ে তিন বছরের ছোট।

বাবা হাওয়ার্ড বাফেট ছিলেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী। তাঁর শেয়ার কেনাবেচার একটি ব্রোকারেজ ছিল। ছোটবেলায় দেখতেন, বাবা একগাদা কাগজ নিয়ে রাতে বাসায় ফিরছেন। একদিন মাকে জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর বাবা আসলে কী করেন? মা বলেছিলেন, ইনভেস্টর। তখনই তিনি ঠিক করে ফেললেন, তাঁকেও ইনভেস্টর হতে হবে। ছয়-সাত বছর বয়সেই স্কুলের খাতায় নিজের নাম লিখে রেখেছিলেন ‘ওয়ারেন বাফেট: ফিউচার ইনভেস্টর’। বাফেট সেটাই হয়েছেন।

বিনিয়োগকারী হতে ছেলের অদম্য আগ্রহ দেখে বাবা হাওয়ার্ড বাফেট পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘বড় বিনিয়োগকারী হতে চাইলে নিজের একটি ব্যবসা ভাবতে শেখো, নিজের সম্পদমূল্য বাড়িয়ে তোলো।’ এ কথা বাফেট বড় হয়েও মনে রেখেছেন। মূলত, বিনিয়োগকারী হওয়ার বীজ ওয়ারেনের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বাবাই।

একদম ছেলেবেলাতেই ওয়ারেন তাঁর বাল্যবন্ধুকে বলে রেখেছিলেন, ৩৫ বছর বয়সে তিনি লাখপতি বা মিলিয়নিয়ার হবেন। আর এ লক্ষ্যেই মাত্র ১১ বছর বয়সে প্রথম শেয়ারটি কিনেছিলেন। পরে সিএনবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘আমি শুরুই করেছি দেরিতে। জানি না এতটা সময় কেন নষ্ট করেছিলাম।’

দাদার ছিল মুদির দোকান। ওয়ারেন বাফেট সেই বয়সেই নিজের সম্পদমূল্য বাড়াতে সপ্তাহে ৫ ডলার বেতনে দাদার দোকানে কাজ নেন। মাত্র ছয় বছর বয়সেই দাদার দোকান থেকে ২৪ সেন্টে ৬ প্যাকেট কোকাকোলা কিনে একটু দূরে গিয়ে বিক্রি করে ৫ সেন্ট মুনাফা করেছিলেন। এরপর কিছু অর্থ জমিয়ে ১১ বছর বয়সে ৩৮ ডলার করে সিটিজ সার্ভিসের ৬টি শেয়ার কেনেন। এর তিনটি শেয়ার দিয়ে দেন বোনকে। তবে জীবনের প্রথম শেয়ার ব্যবসা শুরুতে হতাশ করেছিল তাঁকে। কিছুদিনের মধ্যেই শেয়ারের দাম কমে ২৭ ডলার হয়ে যায়। কিন্তু তিনি অপেক্ষা করেছেন। দর বেড়ে ৪০ ডলার হতেই বিক্রি করে দেন। তিনি এখনো মানেন, সেটি ছিল তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, কিছুদিনের মধ্যেই ওই শেয়ারের দাম আরও বেড়ে ২০০ ডলার হয়ে যায়। সেই ঘটনা থেকে তিনি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা পেয়েছিলেন। আর তা হলো অধ্যবসায়, যার প্রতিফলন পুরো জীবনেই ছিল।

ছোটবেলায় সম্পদ বাড়াতে ওয়ারেন বাফেট বাড়ি বাড়ি গিয়ে চুইংগাম, পত্রিকা, কোকাকোলাও বিক্রি করেছেন। পাড়ার সেলুনের সামনে বন্ধুরা মিলে একটা পোকার খেলার মেশিনও বসিয়েছিলেন। এ সময় বাবা ওয়ারেনের নামে একটি ব্যাংক হিসাবও খুলে দিয়েছিলেন। একসময় ব্যাংক থেকে নোটিশ এল যে ওয়ারেন বাফেটের নামে কিছু ডলার জমা পড়েছে। ফলে এখন আয়কর দিতে হবে। ছেলেকে বললেন আয়কর দিতে। কারণ, তখন থেকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখতে হবে। বাফেটের বয়স তখন মাত্র ১৪ বছর। বয়স কম হওয়ায় স্থানীয় আয়কর বিভাগ ৩৫ ডলার ফেরত দিলে বাফেট তা দিয়ে একটি বাইসাইকেল কিনেছিলেন। সেই বাইসাইকেল তিনি চালাতেন বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেও।

ওয়াশিংটন–যাত্রা
ওয়ারেন বাফেটের জন্ম ১৯৩০ সালে। ১৯৩০-এর পুরো দশকই ছিল গ্রেট ডিপ্রেশন বা মহামন্দার কাল। লাখ লাখ মানুষ তখন বেকার। বিনিয়োগেও চরম মন্দা। বিনিয়োগকারী হিসেবে সিনিয়র বাফেট সিদ্ধান্তে এলেন যে গন্ডগোলটা আসলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের। তখন ঠিক করলেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়েই সরকারকে প্রভাবিত করতে হবে। নির্বাচনে দাঁড়ালেন। ১৯৪৩ সালে তিনি নেব্রাস্কা সেকেন্ড ডিস্ট্রিক্ট থেকে ইউএস হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের সদস্য নির্বাচিত হলেন। মাঝখানে একবার বাদ দিয়ে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন কংগ্রেসে। ফলে ১৯৪৩ সালেই বাবার সঙ্গে ওমাহা ছেড়ে ওয়াশিংটনে চলে যান তিনি। ওয়ারেন বাবার সঙ্গে ওয়াশিংটন এসেছিলেন ১২০ ডলার হাতে নিয়ে। কিন্তু যখন ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে যান, তখন তাঁর সেই বিনিয়োগ বেড়ে হয়েছিল ১০ হাজার ডলার।

বাফেটের স্কুলজীবন শেষ হয় ১৭ বছর বয়সে, ১৯৪৭ সালে। কলেজে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। কিন্তু বাবার ইচ্ছা ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ওয়ারটন বিজনেস স্কুলে পড়বেন বাফেট। সেখানে ছিলেনও দুই বছর। একসময় ফিরে আসেন ওমাহায়। বাফেট পড়তে চেয়েছিলেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে। কিন্তু তাঁকে নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত হার্ভার্ডের ভর্তির নিকৃষ্টতম প্রত্যাখ্যানের উদাহরণ হিসেবে ধরা হয় এটাকেই।

প্রত্যাখ্যানের গল্প
নেব্রাস্কা ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরে ওয়ারেন বাফেট হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে পড়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল শিকাগোতে। ১০ মিনিট সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর তাঁকে বাতিল করে দেওয়া হয়। এক অনুষ্ঠানে বাফেট এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমার প্রতিক্রিয়া ছিল বাবাকে কীভাবে এটা বলব। তবে সেই প্রত্যাখ্যানই ছিল জীবনে অন্যতম সেরা ঘটনা।’ কেননা, এর ফলে তাঁর সামনে কলাম্বিয়া বিজনেস স্কুলে যাওয়ার দরজা খুলে গিয়েছিল।

অনেক ছেলেবেলা থেকে বিনিয়োগ নিয়ে পড়াশোনা করতেন বলে দুই নামী অধ্যাপকের নাম জানতেন। তাঁরা হলেন বেনজামিন গ্রাহাম বা বেন গ্রাহাম এবং ডেভিড ডড। ওয়ারেন বাফেট এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি তাদের দুজনের বই পড়েছি। সে কারণে আমি তাদের চিঠি লিখলাম। লিখলাম, “প্রিয় অধ্যাপক ডড, আমি ভেবেছিলাম তোমরা দুজন বেঁচে নেই। কিন্তু এখন দেখছি তোমরা বেঁচে আছ এবং কলাম্বিয়ায় পড়াচ্ছ। আমি আসলেই এখানে আসতে চাই।” তাঁরা আমাকে সেখানে নিলেন। তাঁরা দুজনেই অত্যন্ত ভালো শিক্ষক। বিশেষ করে বেন গ্রাহাম আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা দিয়েছিলেন, যা আজীবন কাজে লেগেছে। বলেছিলেন, “বিনিয়োগ করার দুটি নিয়ম আছে। এক হচ্ছে কখনো অর্থ লোকসান দেবে না, আর দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে, প্রথম নিয়মটা কখনো ভুলবে না।”’

১৯৪৯ সালে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে চলে যান কলাম্বিয়া বিজনেস স্কুলে। বেনজামিন গ্রাহামের দ্য ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর এখনো ওয়ারেন বাফেটের অন্যতম প্রিয় বই। গ্রাহামকে আকৃষ্ট করার জন্য বইটি সম্পূর্ণ মুখস্থ করেছিলেন তিনি। বাফেটই ছিলেন বেন গ্রাহামের একমাত্র ছাত্র, যিনি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছিলেন। লেখাপড়া শেষ করার পর বাফেট চেয়েছিলেন গ্রাহামের সঙ্গে কাজ করবেন। কিন্তু ইহুদি না হওয়ায় প্রথমে তিনি তাঁকে নিতে চাননি। পরে অবশ্য সুযোগ পান বাফেট। আর এখান থেকেই শুরু হয়েছিল ওপরে ওঠার।

বেনজামিন গ্রাহামকে নিয়ে আরেকটি মজার গল্প আছে। একবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ওয়াশিংটনের ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন বাফেট। হুজ হুর পুরোনো একটি সংস্করণ পড়ে জেনেছিলেন, বেন গ্রাহাম গেইকো নামে একটি ছোট বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান। ওয়াশিংটনে নেমে তিনি হাজির হন গেইকোর অফিসে। সেদিন ছিল শনিবার। গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। দমলেন না। বেল বাজিয়েই চললেন। একসময় কেউ একজন দরজা খুলে দিলেন। ভেতরে তখনো একজন কাজ করছিলেন। বাফেট প্রথমেই তাঁর কাছে জানতে চাইলেন বিমা কোম্পানিটির কাজের ধরন নিয়ে। সেই কথাবার্তা স্থায়ী হয়েছিল দীর্ঘ চার ঘণ্টা। লোকটি ছিল গেইকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লরিমার ডেভি ডেভিডসন। চার ঘণ্টার সেই আলাপও বাফেটের জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছিল। সেই যে বিমা ব্যবসা পছন্দ করা শুরু করেন, তা আজও আছে।

বাফেট এখন গেইকোর মালিক। আর প্রতিষ্ঠানটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় একটি বিমাপ্রতিষ্ঠান। পরে এক সাক্ষাৎকারে ওয়ারেন বলেছিলেন, সেই চার ঘণ্টার আলাপে যা শিখেছিলেন, তা ছিল কলেজজীবনের শিক্ষার চেয়েও বেশি।

বিয়ে এবং আলাদা থাকা
কলাম্বিয়া থেকে ফিরে এসে ওয়ারেন বাফেট বিয়ে করেন ১৯৫২ সালে, ওমাহায়। সুজান টমসন ছিলেন ছোট বোন বার্টির কলেজের বন্ধু। তবে এই দম্পতি আলাদা বসবাস শুরু করেছিলেন ১৯৭৭ সালে। সুজান সে সময় সান ফ্রান্সিসকো চলে যান তাঁর নিজের সংগীত পেশাকে এগিয়ে নিতে। ২০০৪ সালে সুজান মারা যান, তখনো তাঁরা বিবাহিতই ছিলেন।

২০০৬ সালের ৩০ আগস্ট ওয়ারেন বাফেট দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে করেন অ্যাস্ট্রিড মেংক্সকে। এখানেও একটা গল্প আছে। সুজান ক্যালিফোর্নিয়া চলে যাওয়ার আগে প্রিয় বান্ধবী অ্যাস্ট্রিডকে স্বামীর তদারকির দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই অ্যাস্ট্রিড ছিলেন ওয়ারেনের সঙ্গী। বাফেটের ৭৬তম জন্মদিনের দিন তাঁরা বিয়ে করেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে অ্যাস্ট্রিডের প্রশংসা করে সুজান বলেছিলেন, ‘সে বাফেটের খুব যত্ন করে। যার প্রশংসা সে করে, আমিও করি।’

প্রথম কোম্পানি আর একমাত্র বাড়ি
গুরু বা মেন্টর বেন গ্রাহামের সঙ্গে ওয়ারেন কাজ করেন দুবছর। ১৯৫৬ সালে ফিরে আসেন ওমাহায়। বয়স তখন তাঁর ২৫। ফিরে এসে প্রথম অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ ব্যবসা শুরু করেন। সেই কোম্পানির নাম ছিল বাফেট পার্টনারশিপ লিমিটেড। অংশীদারদের মধ্যে ছিলেন নিজের শ্বশুর, বোন ডরিস, খালা অ্যালিস এবং একজন কলেজের বন্ধু। শুরুতে মোট বিনিয়োগ ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ডলার, এর মধ্যে মাত্র ১০০ ডলার ছিল ওয়ারেনের। কোম্পানিতে ওয়ারেনের ফি ছিল ৪ শতাংশের বেশি লাভ হলে তার ৫০ শতাংশ। আর ক্ষতি হলে তার ২৫ শতাংশ বহন করবেন ওয়ারেন।

বিনিয়োগ ব্যবসায় ভালোই লাভ করেছিলেন তাঁরা। দুই বছর পরই ওমাহায় ৩১ হাজার ৫০০ ডলার দিয়ে একটি বাড়ি কেনেন তিনি। বিশ্বের একজন শীর্ষ ধনী হওয়া সত্ত্বেও পরের ৬৫ বছর ধরে সেই বাড়িতেই তিনি জীবন কাটাচ্ছেন। ৬ হাজার ৫৭০ বর্গফুটের সেই বাড়িতে কক্ষ পাঁচটি। বার্কশায়ার অফিসের খুব কাছেই এই বাড়ি। ১৯৭১ সালে অবশ্য ক্যালিফোর্নিয়ার লেগুনা বিচে একটি অবসরযাপন কেন্দ্র কিনেছিলেন বাফেট, পরে সেটি বিক্রি করে দেন।

২০১৪ সালে বার্কশায়ারের বার্ষিক সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যা চাই, তার সবই আমার জীবনে আছে। তবে আমার জীবন এত সুখের থাকত না, বরং আরও খারাপ হতো, যদি আমার ছয় বা আটটা বাড়ি থাকত।’

বন্ধুত্ব–১: বাফেট ও চার্লি মাঙ্গার
দুজন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব না হলে ওয়ারেন বাফেটের জীবনও হয়তো অসম্পূর্ণ থেকে যেত। তাঁদের একজন হচ্ছে চার্লি মাঙ্গার। চার্লি মাঙ্গার না থাকলে বাফেট হয়তো এত দূর আসতে পারতেন না। চার্লির সঙ্গে দেখা হওয়া ও বন্ধুত্ব ওয়ারেনের জীবনের অন্যতম বড় ঘটনা। নিজেদের নিয়ে তাঁরা কৌতুক করে বলেন, ‘দুজনে দুজনার’। ৬০ বছরের বন্ধুত্ব ছিল তাঁদের, একটি দিনের জন্যও মন-কষাকষি হয়নি।

চার্লি মাঙ্গারের সঙ্গে বাফেটের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৫৯ সালে এক নৈশভোজে। অবশ্য আগে থেকেই তিনি চার্লিকে জানতেন। বাফেট অ্যান্ড সন্স নামে বাফেটের দাদার মুদির দোকানে কিছুদিন কাজ করেছিলেন চার্লি। তবে বন্ধুত্বের শুরু সেই নৈশভোজের টেবিল থেকেই।

কেন চার্লি মাঙ্গারকে ভালো লেগেছিল? বাফেট এক বক্তৃতায় বলেছেন, মাঙ্গার নিজে কৌতুক বলে নিজেই হাসিতে প্রায় গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন দেখে মনে হয়েছিল, এই লোকটি ঠিক তাঁর মতোই। সুতরাং অন্য কোনো বন্ধু খোঁজার আর দরকার নেই। সেই থেকে পরের বছরগুলোয় তাঁরা একসঙ্গে সবকিছু করেছেন। অনেক কিছু শিখেছেনও।

মাঙ্গার ছিলেন মূলত আইনবিদ। হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে পাস করে পরিবারসহ ক্যালিফোর্নিয়া চলে গিয়েছিলেন। অপারেশন করাতে গিয়ে একটা চোখ হারান। অন্য পেশায় থাকলেও দুজনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। পরে বাফেট রাজি করিয়েছিলেন আইন পেশা ছেড়ে তাঁর সঙ্গে যোগ দিতে। ১৯৭৮ সালে বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন মাঙ্গার।

সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাফেটের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ছিল মাঙ্গারের। যেমন একটা সময় প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল বাফেটের। কারণ, প্রযুক্তি কোন দিকে যাবে, তিনি তার পূর্বাভাস দিতে পারতেন না। মাঙ্গার তাঁকে রাজি করান প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগে। এরপরই অ্যাপল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বার্কশায়ার। আজকে বার্কশায়ারের এত অগ্রগতির বড় কারণ অ্যাপলের মুনাফা। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর ৯৯ বছর বয়সে মারা যান চার্লি মাঙ্গার।

বার্কশায়ার গঠনের নেপথ্যে
ওয়ারেন বাফেট এখন বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের হ্যাঙ্গারের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ডুবতে থাকা এ প্রতিষ্ঠান তিনি কিনেছিলেন ১৯৬৫ সালের ১০ মে। কেনার গল্পটিও অনেক মজার। শুরুতে এটি ছিল বস্ত্র কারখানা। ১৮৩৯ সালে এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অলিভার চেস। তখন এর নাম ছিল ভ্যালি ফলস কোম্পানি। ১৯২৯ সালে বার্কশায়ার কটন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হয় ভ্যালি ফলস কোম্পানি। এর নাম হয় বার্কশায়ার ফাইন স্পিনিং অ্যাসোসিয়েটস। ১৯৫৫ সালে এই কোম্পানি আবারও একীভূত হয় হ্যাথঅ্যাওয়ে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সঙ্গে। শুরুতে ভালো করলেও পরে ব্যবসা খারাপ হতে থাকে। তখন এটি চালাতেন সিব্যারি স্ট্যানটন নামের আরেক মার্কিন ব্যবসায়ী।

১৯৬২ সালে ওয়ারেন বাফেট প্রথম বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের শেয়ার কেনা শুরু করেছিলেন। তিনি দেখেছিলেন যে এর শেয়ারদর বাজার পরিস্থিতির তুলনায় কম। তবে যে প্রত্যাশা নিয়ে ওয়ারেন শেয়ার কিনেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ১৯৬৪ সালে সিবারি স্ট্যানটন মৌখিকভাবে ওয়ারেনকে প্রস্তাব দেন যে তিনি সাড়ে ১১ ডলারে শেয়ারগুলো কিনে নেবেন, অর্থাৎ বাইব্যাক করবেন। ওয়ারেন সম্মত হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্ট্যানটন বাইব্যাকের যে নথি পাঠান, সেখানে শেয়ারের দর লেখা ছিল ১১ দশমিক ৩৭৫ ডলার। এতে তিনি খুবই ক্ষুব্ধ হন। ফলে শেয়ার বিক্রি না করে বার্কশায়ারের আরও শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নেন। উদ্দেশ্য ছিল কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্ট্যানটনকে শাস্তি দেওয়া। শেষ পর্যন্ত তা-ই করেছিলেন। মালিকানার কর্তৃত্ব নিয়েই স্ট্যানটনকে বরখাস্ত করেন বাফেট।

ওয়ারেন বাফেটও এটা বস্ত্রকল হিসেবেই চালিয়েছেন। ১৯৬৭ সালে এসে এর সম্প্রসারণ ঘটান। আস্তে আস্তে একটিকে একটি হোল্ডিং কোম্পানিতে পরিণত করেন। সবার আগে বিমাশিল্পে প্রবেশ করেন তিনি। প্রথমে ন্যাশনাল ইনডেমনিটি কোম্পানি নামে একটা বিমা প্রতিষ্ঠান কিনে নেন। পরে কেনেন গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (জিইআইসিও বা গেইকো)। মূলত, বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের উত্থান এই বিমা কোম্পানির মাধ্যমেই। ১৯৮৫ সালে ওয়ারেন বস্ত্রকলের কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ করে দেন।

এখনো ওয়ারেন বাফেট মনে করেন, বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের মতো বস্ত্রকলে বিনিয়োগ হচ্ছে তাঁর সবচেয়ে বড় ভুল; যদিও এখানে বিনিয়োগ করে এখন পর্যন্ত তিনি মুনাফা পেয়েছেন ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই বিনিয়োগ অন্য কোথাও করলে মুনাফা আরও বেশি হতো।

ওয়ারেন বাফেট ১৯৭২ সালে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ছোট্ট একটা চকলেট কোম্পানি কিনে নিয়েছিলেন মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে। সি’জ ক্যান্ডি নামের সেই কোম্পানি কেনা ছিল ওয়ারেনের অত্যন্ত প্রিয় বিনিয়োগ, যাকে তিনি বলেন স্বপ্নের ব্যবসা।

ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি মাইলস্টোন ছিল ১৯৮৩ সাল। সে বছর বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের শেয়ারের দর প্রথমবারের মতো ১ হাজার ডলার হয়। বাফেটের প্রিয় পানীয় চেরি কোকাকোলা। ১৯৮৮ সালে তিনি কোকাকোলা কোম্পানির শেয়ার কেনেন। এর পর থেকে তো বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ে একের পর এক মাইলস্টোন অর্জন করে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোম্পানিতে পরিণত হয়।

বন্ধুত্ব–২: বাফেট ও বিল গেটস
এবার আরেক বন্ধুত্বের গল্প।
দিনটি ছিল ১৯৯১ সালের ৫ জুলাই। এই দিন ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় বিশ্বের আরেক শীর্ষ ধনী বিল গেটসের। অথচ বিল গেটস সেদিন ওয়াশিংটনের সেই নৈশভোজে যেতেই চাননি। মায়ের অনুরোধে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ওয়ারেন বাফেটকে নিয়ে বিল গেটসের বহু লেখার একটি হচ্ছে ‘হোয়াট আই লার্নড ফ্রম ওয়ারেন বাফেট’। লেখাটি ১৯৯৬ সালে হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউতে প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে সেই রাতের বর্ণনা দিয়েছেন বিল গেটস।

বিল গেটস সেখানে লিখেছেন, এমন একজন লোকের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি শুধু শেয়ার নিয়েই কথা বলবেন—বিষয়টা মোটেই ভালো লাগছিল না তাঁর। শেষ পর্যন্ত যেতে রাজি হয়েছিলেন, কারণ পারিবারিক সেই অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর মালিক-প্রকাশক ক্যাথরিন গ্রাহামও থাকবেন—এই কথা শুনে। ক্যাথরিনের সঙ্গে এর আগে কখনো আলাপ হয়নি। ক্যাথরিন ছিলেন ওয়ারেনের ভালো বন্ধু।

সেখানেই ওয়ারেনের সঙ্গে বিল গেটসের আলাপ শুরু। বিল গেটস লিখেছেন, কথা ছিল সৌজন্যের খাতিরে মাত্র কয়েক ঘণ্টা থাকবেন। কিন্তু দুজনে এমনই জমে গেলেন যে পুরোটা দিন গল্প করে কাটিয়ে দিলেন। কেবল তা-ই নয়, বিল গেটস কথা দিলেন, শিগগিরই তাঁরা ফুটবল খেলা দেখতে নেব্রাস্কায় যাবেন।

সেই যে বন্ধুত্বের শুরু, আজও তা অমলিন। ওয়ারেন বাফেটের সেরা অনুরাগীর নাম আসলে বিল গেটস।

জীবনের নতুন অধ্যায়
২০০৯ সালের মার্চ মাসের শুরুর একদিন বিল গেটস আসেন ওমাহায়। এয়ারপোর্টের কাছাকাছি একটি রেস্তোরাঁয় ওয়ারেন বাফেট আর গেটস একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। সেটা ছিল নতুন এক আলোচনার সূত্রপাত। এরপর বিল গেটস আর ওয়ারেন বাফেট ২০০৯ সালের ৪ মার্চ যৌথভাবে একটি চিঠি লেখেন আরেক শীর্ষ ধনী ডেভিড রকফেলারকে। চিঠিতে তাঁকে একটি নৈশভোজে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘প্রিয় ডেভিড, জনকল্যাণকর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা দুজন অনেক আলাপ-আলোচনা করেছি। আমরা ভাবছিলাম, আমাদের সমমনা বারোজনের মতো মানুষের সবাই একসঙ্গে একই আলোচনার টেবিলে বসতে পারলে খুব ভালো হয়। আমাদের লক্ষ্য হবে নিজেদের বিভিন্ন দিক শেয়ার করা। সেই সঙ্গে এটাও আলাপ করে দেখা যে যাঁরা এখনো একই পর্যায়ে আসেননি, তাঁদের সমর্থন জোগাতে ও উৎসাহিত করতে আরও বেশি কিছু করা যায় কি না। আমরা দুজনই আপনি এবং আপনার পরিবার দাতব্যকাজে যে সম্মিলিত স্পৃহার জন্ম দিয়েছেন, তার প্রশংসা করি। সে কারণেই আমরা শুরুতেই আপনার কাছে যেতে চাই আমাদের এই আলোচনা আয়োজনে আপনি আগ্রহী হবেন কি না, তা বুঝতে।’

চিঠি পেয়েই তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন ডেভিড রকফেলার। এরপর ২৪ মার্চ এই তিনজনের স্বাক্ষরে আরেকটি চিঠি পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকজনের কাছে। এরপর বহুল আকাঙ্ক্ষিত নৈশভোজটি অনুষ্ঠিত হয় সে বছরের ৫ মে, রকফেলার ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট হাউসে। এই উদ্যোগে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন বিল গেটসের তৎকালীন স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। তাঁদের লক্ষ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ওই সব সেরা ধনী, যাঁরা সম্পদের একটি বড় অংশ যেকোনো ধরনের ভালো কাজে দান করতে আগ্রহী, তাঁদের একত্র করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া।

ওই নৈশভোজের পরই জনসেবা বা জনহিতকর কাজে দানের বিষয়টি নতুন এক ইতিহাস তৈরি করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তহবিল সংগ্রহের কাজটি শুরু হয় এর পর থেকেই। তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ফোর্বস-এর তালিকার চার শ মার্কিন ধনীকে উদ্বুদ্ধ করা, যাতে তাঁরা অন্তত অর্জিত সম্পদের অর্ধেক দান করেন। এরপরই ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয় একটি নতুন উদ্যোগের, নতুন কর্মসূচির। তার আনুষ্ঠানিক নাম ‘দ্য গিভিং প্লেজ’ বা ‘দানের অঙ্গীকার’।

এমন নয় যে এর আগে কোটিপতিরা দান করতেন না। যেমন ২০০৬ সাল থেকেই ওয়ারেন বাফেট তাঁর সম্পদ নানা ধরনের জনহিতকর কাজে বিলিয়ে দিতে শুরু করেছিলেন। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে বাফেট সহায়তা দিচ্ছেন আগে থেকেই। কিন্তু একটি সম্মিলিত উদ্যোগের ভাবনা থেকেই সৃষ্টি হলো দ্য গিভিং প্লেজের। শর্ত এখানে দুটি। সম্পদের পরিমাণ হতে হবে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি, আর দান করতে হবে সে সম্পদের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ। অবশ্য বিল গেটস তাঁর সম্পদের ৯৫ শতাংশ আর ওয়ারেন বাফেট তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশ দান করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আরও আগেই।

এখন কেমন আছেন
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ওয়ারেন বাফেট প্রকাশ করেন যে তিনি প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। তবে সেটি ছিল প্রথম পর্যায়ের, ফলে কোনো বিপদ ঘটেনি। ২০১৮ সালে এসে ওয়ারেন বাফেট উত্তরাধিকার বাছাইয়ের কাজটি শুরু করেন। ওই বছরের ১০ জানুয়ারি গ্রেগরি অ্যাবেল এবং অজিত জৈন বার্কশায়ারের ভাইস চেয়ার হিসেবে যোগ দেন। বাফেট এ নিয়ে সে সময় বলেছিলেন, উত্তরাধিকার বাছাই করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ। স্বাস্থ্যগতভাবে তিনি খুব ভালো আছেন। দ্রুতই প্রধান নির্বাহীর পদ ছেড়ে তিনি দিচ্ছেন না। দুজনের মধ্যে অ্যাবেল তদারক করছেন বার্কশায়ারের বিমা ব্যবসার বাইরের অন্য সবকিছু, আর বিমা ব্যবসা দেখছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজিত জৈন।

ওয়ারেন বাফেটের তিন সন্তান। আয়ের ৯৯ শতাংশ দান করার অঙ্গীকারের কারণে সন্তানেরা উত্তরাধিকারসূত্রে পাবেন কমই। বাফেট সব সময়ই বলেন, কিছু একটা করার জন্য তিনি সন্তানদের পর্যাপ্ত অর্থ দিয়ে যাবেন। কিন্তু এত অর্থ দিয়ে যাবেন না, যাতে সন্তানদের কিছুই না করতে হয়।

বাফেট চেয়েছেন তাঁর সন্তানেরা জীবনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তাঁর সন্তানেরা। প্রথম সন্তান সুজান এলিস বাফেট নিজেই একজন বড় জনহিতৈষী, নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন আছে। জনশিক্ষা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে এই ফাউন্ডেশন। দ্বিতীয় সন্তান হাওয়ার্ড গ্রাহাম বাফেট একজন ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং লেখক। ছোট ছেলে পিটার অ্যান্ড্রু বাফেট একজন সংগীতশিল্পী, সুরকার ও লেখক। সংগীতে তিনি আঞ্চলিক অ্যামি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। লেখক হিসেবেও নিউইয়র্ক টাইমস–এর বেস্ট সেলিং তালিকায় তিনি আছেন।

ওয়ারেন বাফেট প্রত্যেক সন্তানের ফাউন্ডেশনে বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের ২১০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ শেয়ার দিয়ে রেখেছেন।

সাধারণ জীবনযাপন
ওয়ারেন বাফেটকে বলা হয় সর্বকালের সেরা বিনিয়োগকারী। আবার একজন ভালো মানুষ হিসেবেও তাঁর সুনাম সর্বত্র। খুব সাধারণ জীবন যাপন করেন। দিন শুরু করেন ভোরবেলা। আট ঘণ্টা ঘুমিয়ে ওঠেন সকাল পৌনে সাতটায়। পড়তে ভালোবাসেন। দিনের পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা কেবল পড়েন। পড়ার তালিকায় থাকে মূলত অর্থনীতির নানা জার্নাল, বিভিন্ন কোম্পানি রিপোর্ট, আর্থিক বিবরণী এবং দৈনিক পত্রিকা। তিনি নিয়মিতভাবে পাঁচটি পত্রিকা পড়েন—ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও ওমাহা ওয়ার্ল্ড-হেরাল্ড। নিজেই বলেছেন, দিনে তিনি অন্তত ৫০০ পৃষ্ঠা পড়তে চেষ্টা করেন।

বাফেটের কাজের পদ্ধতিও আলাদা। বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৫টির বেশি। সব কটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা প্রধান নির্বাহী বা সিইও নিয়োগ দেওয়া আছে। তাঁরাই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। বাফেট বলেন, প্রতিষ্ঠানকে সিইও বা ব্যবস্থাপকের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে। আর তাঁর কাজ হচ্ছে যোগ্য সিইও বা ম্যানেজার খুঁজে বের করা। তিনি মনে করেন, বিশেষ মানবিক গুণ থাকলেও বুদ্ধিহীন লোকের পক্ষে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। আর আরামপ্রিয় লোকদের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। কারণ, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁরা ভেঙে পড়েন। একধরনের মানুষ আছেন, যাঁদের কাছে পেশা শুধু উপার্জনের মাধ্যম নয়, ব্যক্তিগত গর্বও বটে। নিতে হবে তাঁদেরই।

নিয়ম মেনে বছরে একবার বার্কশায়ার হ্যাঙ্গারের বার্ষিক সভা হয়। সেই সভার প্রতি দৃষ্টি থাকে সবার। প্রতিবছর এই সভা উপলক্ষে ওয়ারেন বাফেট একটি চিঠি লেখেন। ১৯৬৫ সাল থেকে তিনি প্রতিবছর চিঠি লিখে আসছেন। বলা হয়, সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ-পরামর্শ লুকিয়ে থাকে ওয়ারেন বাফেটের ওই বার্ষিক চিঠিতেই। এই চিঠিকে বলা হয় সেরা বিনিয়োগ-সাহিত্য।

ওয়ারেন বাফেটের বিনিয়োগ-পরামর্শের জন্য এখনো সবাই উন্মুখ হয়ে থাকেন। তাঁর বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে আছে অসংখ্য বই। বিনিয়োগ নিয়ে তাঁর কয়েক হাজার উক্তি পাওয়া যায়। এর মধ্যে উত্তরসূরিদের জন্য তাঁর সবচেয়ে ভালো পরামর্শের একটি হচ্ছে—তাঁদের অবশ্যই তিনটি খারাপ দিক থেকে দূরে থাকতে হবে। যাকে তিনি বলেছেন, ‘এবিসি অব বিজনেস ডিকেই’। যেমন অ্যারোগেন্স বা ঔদ্ধত্য, ব্যুরোক্রেসি বা আমলাতন্ত্র এবং কমপ্লাসেন্সি বা আত্মতুষ্টি।

বাফেট বলেন, একজন ভালো ম্যানেজার বড় ফুটবল কোচের মতো। তাঁরা নিজে মাঠে না নেমেও দলকে খেলান ও জিতিয়ে আনেন। আবার জয়ী হওয়ার উপাদান রেখে যান টিমের মধ্যে, যাতে তিনি না থাকলেও জিততে পারে দলটি। বিনিয়োগ করার জন্য তাঁর সেরা পরামর্শ হচ্ছে, যে জিনিস আমি নিজের জন্য কিনব না, তা অন্যকে কেনার উপদেশ দেব না।

চার্লি মাঙ্গারের মৃত্যুর পর বার্কশায়ারে একা হয়ে গেছেন ওয়ারেন বাফেট। তাই এ বছর তিনি চিঠিতে কী লিখবেন, সবার নজর থাকবে সেদিকেই।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

বিডার ওএসএসে যুক্ত হচ্ছে আরও সাত সেবা

Published

on

পুঁজিবাজার

বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও উন্নত ও সহজ সেবা দিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সিলেট সিটি কর্পোরেশন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি পৃথক পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

এর ফলে বিডা ওএসএস নতুন এই চারটি প্রতিষ্ঠানের আরও ৭টি সেবা যুক্ত হবে। যা অনলাইন ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এ উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের সেবার গতি, স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিডা কার্যালয়ে পৃথক পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডা ও বেজার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী সদস্য ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, “বিনিয়োগকারীদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে বিডা ওএসএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো সেবা গ্রহণ প্রক্রিয়াকে সহজতর করা। বর্তমানে আমরা ওএসএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিডার ২৩ টিসহ মোট ৪৮টি প্রতিষ্ঠানে ১৩৩টি সেবা করে আসছি। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১,৭০,০০০ সেবা দিয়েছি। তবে, এর মধ্যে মাত্র ৫,০০০ অন্য প্রতিষ্ঠানের সেবা দেওয়া হয়েছে, যা প্রত্যাশিত নয়। আমরা বিনিয়োগকারীদের বিডা ওএসএস আরও উৎসাহিত করব। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করবে না, বরং অন্য প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রাপ্তির কার্যক্রম আরও সুষ্ঠুভাবে মনিটরিং করতে সহায়তা করবে।’’

তিনি আরও বলেন, আমাদের ৫টি আইপিএ, প্রত্যকের আবার নিজস্ব ওএসএস রয়েছে, এ সমস্যা দূর করার জন্য আমরা একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি পয়েন্ট তৈরির পরিকল্পনা করছি, যেখানে বিনিয়োগকারীরা একটি আইডি ব্যবহার করে সব আইপিএ থেকে সব ধরনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

সভাপতির বক্তব্যে বিডার সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম বলেন, আজ চারটি সংস্থার সাথে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মাধ্যমে ওএসএস প্ল্যাটফর্মে ৭টি নতুন সেবা যুক্ত হবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ওএসএস সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে সেবা প্রদান প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। বিনিয়োগকারীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিডার পরিচালক আব্দুর রহিম। বিডার মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রয় একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ওএসএস এর হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর ও বক্তব্য রাখেন-নূর উদ্দীন মো. সাদেক হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাউথইস্ট ব্যাংক। মঞ্জুরুল হক, কোম্পানি সচিব, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন। রেজাই রাফি সরকার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিলেট সিটি কর্পোরেশন।জয়শ্রী রানী রায়, রংপুর সিটি কর্পোরেশন। বিডার পক্ষ থেকে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বিডার নির্বাহী সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম (সাউথইস্ট ব্যাংক এর সাথে) ও বিডার মহাপরিচালক জনাব জীবন কৃষ্ণ সাহা রয় (রংপুর সিটি কর্পোরেশন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন)।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আবু মুহাম্মদ নুরুল হায়াত টুটুল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

বাংলাদেশকে ২৪.৮৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান

Published

on

পুঁজিবাজার

বাংলাদেশকে ২৪ দশমিক ৮৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান। প্রতি ডলার সমানে ১১৯ টাকা ৫০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের মধ্যে ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।

জাপান সরকারের ৪৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজের প্রথম ব্যাচের আওতাধীন ‘যমুনা রেলওয়ে ব্রিজ কনসট্রাকশন প্রজেক্ট ও চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় চুক্তি সই হয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ-জাপান সরকারের মধ্যে বিনিময় নোট ও ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি সই করেন। জাপান সরকারের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি চুক্তিতে সই করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সভাকক্ষে ঋণ চুক্তি সই হয়।

‘যমুনা রেলওয়ে ব্রিজ কনসট্রাকশন প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। প্রকল্পে জাইকা ঋণ ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা)। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। প্রকল্পটির জন্য জাপান সরকার বিভিন্ন পর্যায়ে দিয়ে আসছে। প্রকল্পের ঋণের সুদের হার নির্মাণ কাজের জন্য ১ দশমিক ৭০ শতাংশ, পরামর্শকের জন্য ০ দশমিক ৪০ শতাংশ, এককালীন ফি শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। ঋণ পরিশোধকাল ৩০ বছর। এর মধ্যে ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ড। প্রকল্পে তৃতীয় ধাপে ২৩ দশমিক ৭ কোটি ডলার দেবে চীন।

চট্টগ্রাম স্যুয়ারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৫ হাজার ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রকল্পে জাইকা ঋণ ৪ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৫ হতে নভেম্বর ২০৩২ পর্যন্ত। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো চট্টগ্রাম শহরে উপযুক্ত পয়োনিস্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, পয়োনিস্কাশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, পাম্পিং স্টেশন এবং পাইপলাইন ইত্যাদির মতো পয়োনিস্কাশন সুবিধা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং জলজ পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখা। প্রকল্পটির জন্য জাইকা বিভিন্ন পর্যায়ে ঋণ দিয়েছে। প্রকল্পে ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের জন্য জাইকা ১৩ কোটি ডলার ঋণ দেবে।

এ ঋণের (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সুদের হার শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ, এককালীন ফি শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। ঋণ পরিশোধ কাল ৩০ বছর (১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ)। দ্বি-পাক্ষিক পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সহায়তা দিচ্ছে করেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ অন্যান্যখাতের প্রকল্পে ঋণ ও বিভিন্ন প্রকার অনুদান সহায়তা হিসেবে জাপান সরকার ৩২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো এক হাজার ৮৯০ টাকা

Published

on

পুঁজিবাজার

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ২০, ২২ ও ২৪ নভেম্বর তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। ২০ নভেম্বর সব থেকে ভালো মানের একভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ২ হাজার ৯৪০ টাকা। এরপর ২২ নভেম্বর বাড়ানো হয় ১ হাজার ৯৯৪ টাকা। আর ২৪ নভেম্বর বাড়ানো হয় ২ হাজার ৮২৩ টাকা। ফলে তিন দফায় প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ে ৬ হাজার ৭৫৭ টাকা।

টানা তিন দফা দাম বাড়ানোর পর এখন কিছুটা কমানো হলো। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮০৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের একভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির একভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩১৮ টাকা কমিয়ে ৯৪ হাজার ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ২৪ নভেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭০৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩০৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ সোমবার পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

অনলাইনে রিটার্ন জমা পাঁচ লাখ ছাড়ালো

Published

on

পুঁজিবাজার

গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেমটি করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সিস্টেমটি ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৫ লাখ অতিক্রম করেছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) এনবিআর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল ও কর পরিপালন সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে নিজের রিটার্ন তৈরি করে অনলাইনে দাখিল করতে পারছেন। সিস্টেমটি ব্যবহার করে গত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৫ লাখ অতিক্রম করেছে। আর অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা অতিক্রম করেছে ১২ লাখ ৫০ হাজার।

যে সকল করদাতা ইতোমধ্যে সফলভাবে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছে এনবিআর। এছাড়া অন্যান্য ব্যক্তি করদাতাদের যথাসময়ে পোর্টাল ব্যবহার করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিনীত অনুরোধ করেছে সংগঠনটি।

এনবিআর আরও জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে এবং দ্রুত তাদের ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করে দাখিলকৃত রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন। একইসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধের সুবিধা ও কর সমন্বয়ের সুবিধা পাচ্ছেন। এই বিষয়ে কল সেন্টার ও ইমেইলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

ইতোমধ্যে সকল তফশিলি ব্যাংক, সকল মোবাইল টেলিকম প্রতিষ্ঠান, কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রতিনিধি, আয়কর আইনজীবী এবং প্রশিক্ষণপ্রার্থী করদাতাসহ প্রায় ২ হাজার ৪০০ জনকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে এনবিআর।

উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২১ সালে ই-সিস্টেম চালু করার পর ২০২১-২০২২ কর বছরে ৬১ হাজার ৪৯১ জন, ২০২২-২০২৩ কর বছরে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮১ জন ও ২০২৩-২০২৪ কর বছরে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৭ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

মুখ থুবড়ে পড়েছে এডিপি বাস্তবায়ন, একযুগে সর্বনিম্ন

Published

on

পুঁজিবাজার

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে সর্বনিম্ন অর্থছাড় হয়েছে। এতে গত এক যুগের মধ্যে আলোচ্য সময়ে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে সরকার বড় ধরনের কাটছাঁট করতে চায়। তারই প্রভাব পড়েছে এডিপি বাস্তবায়নে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও কাটছাঁটের প্রভাব পড়েনি বড় বরাদ্দ পাওয়া এলজিইডি ও সড়ক খাতে। তবে বরাবরের মতোই উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত।

রোববার (২৪ নভেম্বর) চার মাসের এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে আইএমইডি।

এতে দেখা যায়, চার মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। গত এক যুগে এর চেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য সংস্থাটির ওয়েবসাইটে নেই। সে আলোকে বলা যায়, গত এক যুগে এত কম এডিপি বাস্তবায়ন হয়নি।

গত চার মাসে ২১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩১ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা ছাড় হয়েছিল এই সময়ে। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছাড় হয়েছিল ৩২ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা। মাস হিসেবে শুধু গত অক্টোবরে অর্থছাড় হয়েছে ৮ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। যেখানে আগের অর্থবছরের অক্টোবর মাসে ছাড় হয়েছিল ১১ হাজার ৮২ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) থেকে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা কাটছাঁট হতে পারে। এ কারণে বেশি প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোতে অর্থছাড় করা হচ্ছে। প্রকল্পের অগ্রাধিকার যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ধরা হয় ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন প্রকল্প বেশি প্রয়োজনীয়, কোনটির প্রয়োজনীয়তা কম তা যাচাই বাছাই চলছে। প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে আছে। রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হচ্ছে। ফলে সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে অপচয়মূলক ব্যয় কমানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে খরচ কমানোর বড় জায়গা হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার4 hours ago

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে পুঁজিবাজারে টাকা আসবে: আবু আহমেদ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সুদের হার কমতে পারে। আর সুদের হার কমলে পুঁজিবাজারে টাকা আসা শুরু করবে...

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার4 hours ago

ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে শেয়ার কারসাজি দূর করা সম্ভব: অর্থসচিব

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে শেয়ার কারসাজি ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। এবিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)...

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার5 hours ago

অগ্নি সিস্টেমসের আয় বেড়েছে

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত...

Golden Son Golden Son
পুঁজিবাজার5 hours ago

গোল্ডেন সনের দেড় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গোল্ডেন সন লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা...

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার9 hours ago

রিং সাইনের এজিএমে সম্মতি, হবে হাইব্রিড পদ্ধতিতে

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিং সাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ২৬ ও ২৭ তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে...

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার9 hours ago

ব্লকে ১৬ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে ৩০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের...

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার10 hours ago

এনআরবি ব্যাংকের এএমডি হলেন শাকির আমিন চৌধুরী

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন এনআরবি ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন মো. শাকির আমিন চৌধুরী। এর...

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার10 hours ago

মিথুন নিটিংয়ের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৮...

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার10 hours ago

পর্ষদ সভার তারিখ জানালো তাল্লু স্পিনিং

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৮ নভেম্বর...

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার10 hours ago

বঙ্গজের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বঙ্গজ লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী...

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার10 hours ago

মিউচুয়াল ফান্ড পুঁজিবাজারের অগ্রভাগে থাকা উচিত: বিএসইসি চেয়ারম্যান

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, মিউচুয়াল ফান্ড খাত পুঁজিবাজারের...

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার10 hours ago

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় বিসিএমআইএ’র ১২ দাবি

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও সুরক্ষায় তালিকাভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করা সহ...

পুঁজিবাজার পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার11 hours ago

নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৪ অর্থবছরের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে...

GLOBAL HEAVY CHEMICALS GLOBAL HEAVY CHEMICALS
পুঁজিবাজার12 hours ago

গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪টি কোম্পানির...

পরিশোধিত মূলধন যেসব খাতে ব্যয় করবে এমারেল্ড অয়েল পরিশোধিত মূলধন যেসব খাতে ব্যয় করবে এমারেল্ড অয়েল
পুঁজিবাজার12 hours ago

দরবৃদ্ধির শীর্ষে এমারেল্ড অয়েল

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪ কোম্পানির...

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
পুঁজিবাজার
অর্থনীতি3 hours ago

বিডার ওএসএসে যুক্ত হচ্ছে আরও সাত সেবা

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার4 hours ago

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে পুঁজিবাজারে টাকা আসবে: আবু আহমেদ

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার4 hours ago

ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে শেয়ার কারসাজি দূর করা সম্ভব: অর্থসচিব

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার5 hours ago

অগ্নি সিস্টেমসের আয় বেড়েছে

Golden Son
পুঁজিবাজার5 hours ago

গোল্ডেন সনের দেড় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজার
আইন-আদালত5 hours ago

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ মোকাবিলায় পুলিশের দুর্বলতা ছিল: নাহিদ

পুঁজিবাজার
অর্থনীতি6 hours ago

বাংলাদেশকে ২৪.৮৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান

পুঁজিবাজার
অর্থনীতি6 hours ago

স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো এক হাজার ৮৯০ টাকা

পুঁজিবাজার
আইন-আদালত7 hours ago

অবসরের আগে সচিব ও গ্রেড-১ পদে দুই কর্মকর্তার পদোন্নতি

পুঁজিবাজার
আইন-আদালত7 hours ago

বাংলাদেশ শ্রম আইন সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস

পুঁজিবাজার
অর্থনীতি3 hours ago

বিডার ওএসএসে যুক্ত হচ্ছে আরও সাত সেবা

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার4 hours ago

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে পুঁজিবাজারে টাকা আসবে: আবু আহমেদ

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার4 hours ago

ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে শেয়ার কারসাজি দূর করা সম্ভব: অর্থসচিব

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার5 hours ago

অগ্নি সিস্টেমসের আয় বেড়েছে

Golden Son
পুঁজিবাজার5 hours ago

গোল্ডেন সনের দেড় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজার
আইন-আদালত5 hours ago

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ মোকাবিলায় পুলিশের দুর্বলতা ছিল: নাহিদ

পুঁজিবাজার
অর্থনীতি6 hours ago

বাংলাদেশকে ২৪.৮৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান

পুঁজিবাজার
অর্থনীতি6 hours ago

স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো এক হাজার ৮৯০ টাকা

পুঁজিবাজার
আইন-আদালত7 hours ago

অবসরের আগে সচিব ও গ্রেড-১ পদে দুই কর্মকর্তার পদোন্নতি

পুঁজিবাজার
আইন-আদালত7 hours ago

বাংলাদেশ শ্রম আইন সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস

পুঁজিবাজার
অর্থনীতি3 hours ago

বিডার ওএসএসে যুক্ত হচ্ছে আরও সাত সেবা

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার4 hours ago

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে পুঁজিবাজারে টাকা আসবে: আবু আহমেদ

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার4 hours ago

ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে শেয়ার কারসাজি দূর করা সম্ভব: অর্থসচিব

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার5 hours ago

অগ্নি সিস্টেমসের আয় বেড়েছে

Golden Son
পুঁজিবাজার5 hours ago

গোল্ডেন সনের দেড় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজার
আইন-আদালত5 hours ago

শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ মোকাবিলায় পুলিশের দুর্বলতা ছিল: নাহিদ

পুঁজিবাজার
অর্থনীতি6 hours ago

বাংলাদেশকে ২৪.৮৮ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান

পুঁজিবাজার
অর্থনীতি6 hours ago

স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো এক হাজার ৮৯০ টাকা

পুঁজিবাজার
আইন-আদালত7 hours ago

অবসরের আগে সচিব ও গ্রেড-১ পদে দুই কর্মকর্তার পদোন্নতি

পুঁজিবাজার
আইন-আদালত7 hours ago

বাংলাদেশ শ্রম আইন সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস