Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

অর্থনীতি

ওয়ারেন বাফেটের বেড়ে ওঠা-জীবন-বিয়ে ও বিনিয়োগের যত কাহিনি

Published

on

ট্রাম্প

আগামী ৩০ আগস্ট তাঁর বয়স হবে ৯৪ বছর। এখনো খেতে পছন্দ করেন চিজ বার্গার আর চেরি কোকাকোলা। চুটিয়ে কন্ট্রাক্ট ব্রিজ খেলেন। ‘ব্রেকিং ব্যাড’ ওয়েব সিরিজের দারুণ ভক্ত। ৬৫ বছর ধরে একটি বাসাতেই থাকেন। লেনদেন করেন নগদ অর্থে। আর যা আয় করেন, বিলিয়ে দেন তার প্রায় সবটাই।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বলছি ওয়ারেন বাফেটের কথা, বিশ্বের সেরা বিনিয়োগকারী। তিনি এমন এক মানুষ, যাঁর কোনো শত্রু নেই বললেই চলে। নামটা যেন কেবলই ভালো লাগা আর শ্রদ্ধার। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১১ সালে তাঁর গলায় প্রেসিডেনশিয়াল গোল্ড মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওয়ারেন বাফেট কেবল একজন শীর্ষ ধনীই নন, একই সঙ্গে অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও ভালোবাসার মানুষ।’ ভালোবেসে তাঁকে ডাকা হয় ‘ওমাহার জাদুকর’।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ওয়ারেন বাফেট এখন বিশ্বের ষষ্ঠ শীর্ষ ধনী, বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। আবার কেউ কেউ বলেন, বাফেট যত ভালো বিনিয়োগকারী, তার চেয়েও ভালো ম্যানেজার বা ব্যবস্থাপক। বাফেট যেখানে বিনিয়োগ করেন আর যেভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালান, সেটাকেই আদর্শ মানা হয়। আসলে বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি কিংবদন্তিতুল্য আর ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রথম শ্রেণির। ফোর্বস পত্রিকার ২০২৪ তালিকা অনুযায়ী বাফেটের সম্পদের পরিমাণ এখন ১৩৩ বিলিয়ন ডলার বা ১৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের বাজেট কত জানেন তো? ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি বড় পরিচয় হচ্ছে, তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনহিতৈষীদের একজন। ২০০৬ সালে তিনি তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশই দানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর এখন পর্যন্ত দান করেছেন প্রায় ৫৬ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।

যেভাবে বেড়ে ওঠা
ওয়ারেন বাফেটের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ওমাহায়, ১৯৩০ সালের ৩০ আগস্ট। হাওয়ার্ড ও লেইলা বাফেট দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। হাওয়ার্ড দম্পতি বিয়ে করেছিলেন ১৯২৫ সালে। বড় বোন ডরিসের জন্ম ১৯২৮ সালে আর ছোট বোন বার্টি ওয়ারেন বাফেটের চেয়ে তিন বছরের ছোট।

বাবা হাওয়ার্ড বাফেট ছিলেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারী। তাঁর শেয়ার কেনাবেচার একটি ব্রোকারেজ ছিল। ছোটবেলায় দেখতেন, বাবা একগাদা কাগজ নিয়ে রাতে বাসায় ফিরছেন। একদিন মাকে জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর বাবা আসলে কী করেন? মা বলেছিলেন, ইনভেস্টর। তখনই তিনি ঠিক করে ফেললেন, তাঁকেও ইনভেস্টর হতে হবে। ছয়-সাত বছর বয়সেই স্কুলের খাতায় নিজের নাম লিখে রেখেছিলেন ‘ওয়ারেন বাফেট: ফিউচার ইনভেস্টর’। বাফেট সেটাই হয়েছেন।

বিনিয়োগকারী হতে ছেলের অদম্য আগ্রহ দেখে বাবা হাওয়ার্ড বাফেট পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘বড় বিনিয়োগকারী হতে চাইলে নিজের একটি ব্যবসা ভাবতে শেখো, নিজের সম্পদমূল্য বাড়িয়ে তোলো।’ এ কথা বাফেট বড় হয়েও মনে রেখেছেন। মূলত, বিনিয়োগকারী হওয়ার বীজ ওয়ারেনের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বাবাই।

একদম ছেলেবেলাতেই ওয়ারেন তাঁর বাল্যবন্ধুকে বলে রেখেছিলেন, ৩৫ বছর বয়সে তিনি লাখপতি বা মিলিয়নিয়ার হবেন। আর এ লক্ষ্যেই মাত্র ১১ বছর বয়সে প্রথম শেয়ারটি কিনেছিলেন। পরে সিএনবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘আমি শুরুই করেছি দেরিতে। জানি না এতটা সময় কেন নষ্ট করেছিলাম।’

দাদার ছিল মুদির দোকান। ওয়ারেন বাফেট সেই বয়সেই নিজের সম্পদমূল্য বাড়াতে সপ্তাহে ৫ ডলার বেতনে দাদার দোকানে কাজ নেন। মাত্র ছয় বছর বয়সেই দাদার দোকান থেকে ২৪ সেন্টে ৬ প্যাকেট কোকাকোলা কিনে একটু দূরে গিয়ে বিক্রি করে ৫ সেন্ট মুনাফা করেছিলেন। এরপর কিছু অর্থ জমিয়ে ১১ বছর বয়সে ৩৮ ডলার করে সিটিজ সার্ভিসের ৬টি শেয়ার কেনেন। এর তিনটি শেয়ার দিয়ে দেন বোনকে। তবে জীবনের প্রথম শেয়ার ব্যবসা শুরুতে হতাশ করেছিল তাঁকে। কিছুদিনের মধ্যেই শেয়ারের দাম কমে ২৭ ডলার হয়ে যায়। কিন্তু তিনি অপেক্ষা করেছেন। দর বেড়ে ৪০ ডলার হতেই বিক্রি করে দেন। তিনি এখনো মানেন, সেটি ছিল তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, কিছুদিনের মধ্যেই ওই শেয়ারের দাম আরও বেড়ে ২০০ ডলার হয়ে যায়। সেই ঘটনা থেকে তিনি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা পেয়েছিলেন। আর তা হলো অধ্যবসায়, যার প্রতিফলন পুরো জীবনেই ছিল।

ছোটবেলায় সম্পদ বাড়াতে ওয়ারেন বাফেট বাড়ি বাড়ি গিয়ে চুইংগাম, পত্রিকা, কোকাকোলাও বিক্রি করেছেন। পাড়ার সেলুনের সামনে বন্ধুরা মিলে একটা পোকার খেলার মেশিনও বসিয়েছিলেন। এ সময় বাবা ওয়ারেনের নামে একটি ব্যাংক হিসাবও খুলে দিয়েছিলেন। একসময় ব্যাংক থেকে নোটিশ এল যে ওয়ারেন বাফেটের নামে কিছু ডলার জমা পড়েছে। ফলে এখন আয়কর দিতে হবে। ছেলেকে বললেন আয়কর দিতে। কারণ, তখন থেকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখতে হবে। বাফেটের বয়স তখন মাত্র ১৪ বছর। বয়স কম হওয়ায় স্থানীয় আয়কর বিভাগ ৩৫ ডলার ফেরত দিলে বাফেট তা দিয়ে একটি বাইসাইকেল কিনেছিলেন। সেই বাইসাইকেল তিনি চালাতেন বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেও।

ওয়াশিংটন–যাত্রা
ওয়ারেন বাফেটের জন্ম ১৯৩০ সালে। ১৯৩০-এর পুরো দশকই ছিল গ্রেট ডিপ্রেশন বা মহামন্দার কাল। লাখ লাখ মানুষ তখন বেকার। বিনিয়োগেও চরম মন্দা। বিনিয়োগকারী হিসেবে সিনিয়র বাফেট সিদ্ধান্তে এলেন যে গন্ডগোলটা আসলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের। তখন ঠিক করলেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়েই সরকারকে প্রভাবিত করতে হবে। নির্বাচনে দাঁড়ালেন। ১৯৪৩ সালে তিনি নেব্রাস্কা সেকেন্ড ডিস্ট্রিক্ট থেকে ইউএস হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের সদস্য নির্বাচিত হলেন। মাঝখানে একবার বাদ দিয়ে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন কংগ্রেসে। ফলে ১৯৪৩ সালেই বাবার সঙ্গে ওমাহা ছেড়ে ওয়াশিংটনে চলে যান তিনি। ওয়ারেন বাবার সঙ্গে ওয়াশিংটন এসেছিলেন ১২০ ডলার হাতে নিয়ে। কিন্তু যখন ওয়াশিংটন ছেড়ে চলে যান, তখন তাঁর সেই বিনিয়োগ বেড়ে হয়েছিল ১০ হাজার ডলার।

বাফেটের স্কুলজীবন শেষ হয় ১৭ বছর বয়সে, ১৯৪৭ সালে। কলেজে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর ছিল না। কিন্তু বাবার ইচ্ছা ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ওয়ারটন বিজনেস স্কুলে পড়বেন বাফেট। সেখানে ছিলেনও দুই বছর। একসময় ফিরে আসেন ওমাহায়। বাফেট পড়তে চেয়েছিলেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে। কিন্তু তাঁকে নেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত হার্ভার্ডের ভর্তির নিকৃষ্টতম প্রত্যাখ্যানের উদাহরণ হিসেবে ধরা হয় এটাকেই।

প্রত্যাখ্যানের গল্প
নেব্রাস্কা ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরে ওয়ারেন বাফেট হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে পড়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল শিকাগোতে। ১০ মিনিট সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর তাঁকে বাতিল করে দেওয়া হয়। এক অনুষ্ঠানে বাফেট এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমার প্রতিক্রিয়া ছিল বাবাকে কীভাবে এটা বলব। তবে সেই প্রত্যাখ্যানই ছিল জীবনে অন্যতম সেরা ঘটনা।’ কেননা, এর ফলে তাঁর সামনে কলাম্বিয়া বিজনেস স্কুলে যাওয়ার দরজা খুলে গিয়েছিল।

অনেক ছেলেবেলা থেকে বিনিয়োগ নিয়ে পড়াশোনা করতেন বলে দুই নামী অধ্যাপকের নাম জানতেন। তাঁরা হলেন বেনজামিন গ্রাহাম বা বেন গ্রাহাম এবং ডেভিড ডড। ওয়ারেন বাফেট এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি তাদের দুজনের বই পড়েছি। সে কারণে আমি তাদের চিঠি লিখলাম। লিখলাম, “প্রিয় অধ্যাপক ডড, আমি ভেবেছিলাম তোমরা দুজন বেঁচে নেই। কিন্তু এখন দেখছি তোমরা বেঁচে আছ এবং কলাম্বিয়ায় পড়াচ্ছ। আমি আসলেই এখানে আসতে চাই।” তাঁরা আমাকে সেখানে নিলেন। তাঁরা দুজনেই অত্যন্ত ভালো শিক্ষক। বিশেষ করে বেন গ্রাহাম আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা দিয়েছিলেন, যা আজীবন কাজে লেগেছে। বলেছিলেন, “বিনিয়োগ করার দুটি নিয়ম আছে। এক হচ্ছে কখনো অর্থ লোকসান দেবে না, আর দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে, প্রথম নিয়মটা কখনো ভুলবে না।”’

১৯৪৯ সালে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে চলে যান কলাম্বিয়া বিজনেস স্কুলে। বেনজামিন গ্রাহামের দ্য ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর এখনো ওয়ারেন বাফেটের অন্যতম প্রিয় বই। গ্রাহামকে আকৃষ্ট করার জন্য বইটি সম্পূর্ণ মুখস্থ করেছিলেন তিনি। বাফেটই ছিলেন বেন গ্রাহামের একমাত্র ছাত্র, যিনি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছিলেন। লেখাপড়া শেষ করার পর বাফেট চেয়েছিলেন গ্রাহামের সঙ্গে কাজ করবেন। কিন্তু ইহুদি না হওয়ায় প্রথমে তিনি তাঁকে নিতে চাননি। পরে অবশ্য সুযোগ পান বাফেট। আর এখান থেকেই শুরু হয়েছিল ওপরে ওঠার।

বেনজামিন গ্রাহামকে নিয়ে আরেকটি মজার গল্প আছে। একবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ওয়াশিংটনের ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন বাফেট। হুজ হুর পুরোনো একটি সংস্করণ পড়ে জেনেছিলেন, বেন গ্রাহাম গেইকো নামে একটি ছোট বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান। ওয়াশিংটনে নেমে তিনি হাজির হন গেইকোর অফিসে। সেদিন ছিল শনিবার। গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। দমলেন না। বেল বাজিয়েই চললেন। একসময় কেউ একজন দরজা খুলে দিলেন। ভেতরে তখনো একজন কাজ করছিলেন। বাফেট প্রথমেই তাঁর কাছে জানতে চাইলেন বিমা কোম্পানিটির কাজের ধরন নিয়ে। সেই কথাবার্তা স্থায়ী হয়েছিল দীর্ঘ চার ঘণ্টা। লোকটি ছিল গেইকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লরিমার ডেভি ডেভিডসন। চার ঘণ্টার সেই আলাপও বাফেটের জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছিল। সেই যে বিমা ব্যবসা পছন্দ করা শুরু করেন, তা আজও আছে।

বাফেট এখন গেইকোর মালিক। আর প্রতিষ্ঠানটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় একটি বিমাপ্রতিষ্ঠান। পরে এক সাক্ষাৎকারে ওয়ারেন বলেছিলেন, সেই চার ঘণ্টার আলাপে যা শিখেছিলেন, তা ছিল কলেজজীবনের শিক্ষার চেয়েও বেশি।

বিয়ে এবং আলাদা থাকা
কলাম্বিয়া থেকে ফিরে এসে ওয়ারেন বাফেট বিয়ে করেন ১৯৫২ সালে, ওমাহায়। সুজান টমসন ছিলেন ছোট বোন বার্টির কলেজের বন্ধু। তবে এই দম্পতি আলাদা বসবাস শুরু করেছিলেন ১৯৭৭ সালে। সুজান সে সময় সান ফ্রান্সিসকো চলে যান তাঁর নিজের সংগীত পেশাকে এগিয়ে নিতে। ২০০৪ সালে সুজান মারা যান, তখনো তাঁরা বিবাহিতই ছিলেন।

২০০৬ সালের ৩০ আগস্ট ওয়ারেন বাফেট দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে করেন অ্যাস্ট্রিড মেংক্সকে। এখানেও একটা গল্প আছে। সুজান ক্যালিফোর্নিয়া চলে যাওয়ার আগে প্রিয় বান্ধবী অ্যাস্ট্রিডকে স্বামীর তদারকির দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই অ্যাস্ট্রিড ছিলেন ওয়ারেনের সঙ্গী। বাফেটের ৭৬তম জন্মদিনের দিন তাঁরা বিয়ে করেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে অ্যাস্ট্রিডের প্রশংসা করে সুজান বলেছিলেন, ‘সে বাফেটের খুব যত্ন করে। যার প্রশংসা সে করে, আমিও করি।’

প্রথম কোম্পানি আর একমাত্র বাড়ি
গুরু বা মেন্টর বেন গ্রাহামের সঙ্গে ওয়ারেন কাজ করেন দুবছর। ১৯৫৬ সালে ফিরে আসেন ওমাহায়। বয়স তখন তাঁর ২৫। ফিরে এসে প্রথম অংশীদারত্বের ভিত্তিতে বিনিয়োগ ব্যবসা শুরু করেন। সেই কোম্পানির নাম ছিল বাফেট পার্টনারশিপ লিমিটেড। অংশীদারদের মধ্যে ছিলেন নিজের শ্বশুর, বোন ডরিস, খালা অ্যালিস এবং একজন কলেজের বন্ধু। শুরুতে মোট বিনিয়োগ ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ডলার, এর মধ্যে মাত্র ১০০ ডলার ছিল ওয়ারেনের। কোম্পানিতে ওয়ারেনের ফি ছিল ৪ শতাংশের বেশি লাভ হলে তার ৫০ শতাংশ। আর ক্ষতি হলে তার ২৫ শতাংশ বহন করবেন ওয়ারেন।

বিনিয়োগ ব্যবসায় ভালোই লাভ করেছিলেন তাঁরা। দুই বছর পরই ওমাহায় ৩১ হাজার ৫০০ ডলার দিয়ে একটি বাড়ি কেনেন তিনি। বিশ্বের একজন শীর্ষ ধনী হওয়া সত্ত্বেও পরের ৬৫ বছর ধরে সেই বাড়িতেই তিনি জীবন কাটাচ্ছেন। ৬ হাজার ৫৭০ বর্গফুটের সেই বাড়িতে কক্ষ পাঁচটি। বার্কশায়ার অফিসের খুব কাছেই এই বাড়ি। ১৯৭১ সালে অবশ্য ক্যালিফোর্নিয়ার লেগুনা বিচে একটি অবসরযাপন কেন্দ্র কিনেছিলেন বাফেট, পরে সেটি বিক্রি করে দেন।

২০১৪ সালে বার্কশায়ারের বার্ষিক সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যা চাই, তার সবই আমার জীবনে আছে। তবে আমার জীবন এত সুখের থাকত না, বরং আরও খারাপ হতো, যদি আমার ছয় বা আটটা বাড়ি থাকত।’

বন্ধুত্ব–১: বাফেট ও চার্লি মাঙ্গার
দুজন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব না হলে ওয়ারেন বাফেটের জীবনও হয়তো অসম্পূর্ণ থেকে যেত। তাঁদের একজন হচ্ছে চার্লি মাঙ্গার। চার্লি মাঙ্গার না থাকলে বাফেট হয়তো এত দূর আসতে পারতেন না। চার্লির সঙ্গে দেখা হওয়া ও বন্ধুত্ব ওয়ারেনের জীবনের অন্যতম বড় ঘটনা। নিজেদের নিয়ে তাঁরা কৌতুক করে বলেন, ‘দুজনে দুজনার’। ৬০ বছরের বন্ধুত্ব ছিল তাঁদের, একটি দিনের জন্যও মন-কষাকষি হয়নি।

চার্লি মাঙ্গারের সঙ্গে বাফেটের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৫৯ সালে এক নৈশভোজে। অবশ্য আগে থেকেই তিনি চার্লিকে জানতেন। বাফেট অ্যান্ড সন্স নামে বাফেটের দাদার মুদির দোকানে কিছুদিন কাজ করেছিলেন চার্লি। তবে বন্ধুত্বের শুরু সেই নৈশভোজের টেবিল থেকেই।

কেন চার্লি মাঙ্গারকে ভালো লেগেছিল? বাফেট এক বক্তৃতায় বলেছেন, মাঙ্গার নিজে কৌতুক বলে নিজেই হাসিতে প্রায় গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন দেখে মনে হয়েছিল, এই লোকটি ঠিক তাঁর মতোই। সুতরাং অন্য কোনো বন্ধু খোঁজার আর দরকার নেই। সেই থেকে পরের বছরগুলোয় তাঁরা একসঙ্গে সবকিছু করেছেন। অনেক কিছু শিখেছেনও।

মাঙ্গার ছিলেন মূলত আইনবিদ। হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে পাস করে পরিবারসহ ক্যালিফোর্নিয়া চলে গিয়েছিলেন। অপারেশন করাতে গিয়ে একটা চোখ হারান। অন্য পেশায় থাকলেও দুজনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। পরে বাফেট রাজি করিয়েছিলেন আইন পেশা ছেড়ে তাঁর সঙ্গে যোগ দিতে। ১৯৭৮ সালে বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন মাঙ্গার।

সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাফেটের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ছিল মাঙ্গারের। যেমন একটা সময় প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল বাফেটের। কারণ, প্রযুক্তি কোন দিকে যাবে, তিনি তার পূর্বাভাস দিতে পারতেন না। মাঙ্গার তাঁকে রাজি করান প্রযুক্তি কোম্পানিতে বিনিয়োগে। এরপরই অ্যাপল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বার্কশায়ার। আজকে বার্কশায়ারের এত অগ্রগতির বড় কারণ অ্যাপলের মুনাফা। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর ৯৯ বছর বয়সে মারা যান চার্লি মাঙ্গার।

বার্কশায়ার গঠনের নেপথ্যে
ওয়ারেন বাফেট এখন বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের হ্যাঙ্গারের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ডুবতে থাকা এ প্রতিষ্ঠান তিনি কিনেছিলেন ১৯৬৫ সালের ১০ মে। কেনার গল্পটিও অনেক মজার। শুরুতে এটি ছিল বস্ত্র কারখানা। ১৮৩৯ সালে এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অলিভার চেস। তখন এর নাম ছিল ভ্যালি ফলস কোম্পানি। ১৯২৯ সালে বার্কশায়ার কটন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হয় ভ্যালি ফলস কোম্পানি। এর নাম হয় বার্কশায়ার ফাইন স্পিনিং অ্যাসোসিয়েটস। ১৯৫৫ সালে এই কোম্পানি আবারও একীভূত হয় হ্যাথঅ্যাওয়ে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সঙ্গে। শুরুতে ভালো করলেও পরে ব্যবসা খারাপ হতে থাকে। তখন এটি চালাতেন সিব্যারি স্ট্যানটন নামের আরেক মার্কিন ব্যবসায়ী।

১৯৬২ সালে ওয়ারেন বাফেট প্রথম বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের শেয়ার কেনা শুরু করেছিলেন। তিনি দেখেছিলেন যে এর শেয়ারদর বাজার পরিস্থিতির তুলনায় কম। তবে যে প্রত্যাশা নিয়ে ওয়ারেন শেয়ার কিনেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। ১৯৬৪ সালে সিবারি স্ট্যানটন মৌখিকভাবে ওয়ারেনকে প্রস্তাব দেন যে তিনি সাড়ে ১১ ডলারে শেয়ারগুলো কিনে নেবেন, অর্থাৎ বাইব্যাক করবেন। ওয়ারেন সম্মত হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্ট্যানটন বাইব্যাকের যে নথি পাঠান, সেখানে শেয়ারের দর লেখা ছিল ১১ দশমিক ৩৭৫ ডলার। এতে তিনি খুবই ক্ষুব্ধ হন। ফলে শেয়ার বিক্রি না করে বার্কশায়ারের আরও শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নেন। উদ্দেশ্য ছিল কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্ট্যানটনকে শাস্তি দেওয়া। শেষ পর্যন্ত তা-ই করেছিলেন। মালিকানার কর্তৃত্ব নিয়েই স্ট্যানটনকে বরখাস্ত করেন বাফেট।

ওয়ারেন বাফেটও এটা বস্ত্রকল হিসেবেই চালিয়েছেন। ১৯৬৭ সালে এসে এর সম্প্রসারণ ঘটান। আস্তে আস্তে একটিকে একটি হোল্ডিং কোম্পানিতে পরিণত করেন। সবার আগে বিমাশিল্পে প্রবেশ করেন তিনি। প্রথমে ন্যাশনাল ইনডেমনিটি কোম্পানি নামে একটা বিমা প্রতিষ্ঠান কিনে নেন। পরে কেনেন গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (জিইআইসিও বা গেইকো)। মূলত, বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের উত্থান এই বিমা কোম্পানির মাধ্যমেই। ১৯৮৫ সালে ওয়ারেন বস্ত্রকলের কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ করে দেন।

এখনো ওয়ারেন বাফেট মনে করেন, বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের মতো বস্ত্রকলে বিনিয়োগ হচ্ছে তাঁর সবচেয়ে বড় ভুল; যদিও এখানে বিনিয়োগ করে এখন পর্যন্ত তিনি মুনাফা পেয়েছেন ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই বিনিয়োগ অন্য কোথাও করলে মুনাফা আরও বেশি হতো।

ওয়ারেন বাফেট ১৯৭২ সালে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ছোট্ট একটা চকলেট কোম্পানি কিনে নিয়েছিলেন মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলারে। সি’জ ক্যান্ডি নামের সেই কোম্পানি কেনা ছিল ওয়ারেনের অত্যন্ত প্রিয় বিনিয়োগ, যাকে তিনি বলেন স্বপ্নের ব্যবসা।

ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি মাইলস্টোন ছিল ১৯৮৩ সাল। সে বছর বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের শেয়ারের দর প্রথমবারের মতো ১ হাজার ডলার হয়। বাফেটের প্রিয় পানীয় চেরি কোকাকোলা। ১৯৮৮ সালে তিনি কোকাকোলা কোম্পানির শেয়ার কেনেন। এর পর থেকে তো বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ে একের পর এক মাইলস্টোন অর্জন করে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোম্পানিতে পরিণত হয়।

বন্ধুত্ব–২: বাফেট ও বিল গেটস
এবার আরেক বন্ধুত্বের গল্প।
দিনটি ছিল ১৯৯১ সালের ৫ জুলাই। এই দিন ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় বিশ্বের আরেক শীর্ষ ধনী বিল গেটসের। অথচ বিল গেটস সেদিন ওয়াশিংটনের সেই নৈশভোজে যেতেই চাননি। মায়ের অনুরোধে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ওয়ারেন বাফেটকে নিয়ে বিল গেটসের বহু লেখার একটি হচ্ছে ‘হোয়াট আই লার্নড ফ্রম ওয়ারেন বাফেট’। লেখাটি ১৯৯৬ সালে হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউতে প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে সেই রাতের বর্ণনা দিয়েছেন বিল গেটস।

বিল গেটস সেখানে লিখেছেন, এমন একজন লোকের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি শুধু শেয়ার নিয়েই কথা বলবেন—বিষয়টা মোটেই ভালো লাগছিল না তাঁর। শেষ পর্যন্ত যেতে রাজি হয়েছিলেন, কারণ পারিবারিক সেই অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর মালিক-প্রকাশক ক্যাথরিন গ্রাহামও থাকবেন—এই কথা শুনে। ক্যাথরিনের সঙ্গে এর আগে কখনো আলাপ হয়নি। ক্যাথরিন ছিলেন ওয়ারেনের ভালো বন্ধু।

সেখানেই ওয়ারেনের সঙ্গে বিল গেটসের আলাপ শুরু। বিল গেটস লিখেছেন, কথা ছিল সৌজন্যের খাতিরে মাত্র কয়েক ঘণ্টা থাকবেন। কিন্তু দুজনে এমনই জমে গেলেন যে পুরোটা দিন গল্প করে কাটিয়ে দিলেন। কেবল তা-ই নয়, বিল গেটস কথা দিলেন, শিগগিরই তাঁরা ফুটবল খেলা দেখতে নেব্রাস্কায় যাবেন।

সেই যে বন্ধুত্বের শুরু, আজও তা অমলিন। ওয়ারেন বাফেটের সেরা অনুরাগীর নাম আসলে বিল গেটস।

জীবনের নতুন অধ্যায়
২০০৯ সালের মার্চ মাসের শুরুর একদিন বিল গেটস আসেন ওমাহায়। এয়ারপোর্টের কাছাকাছি একটি রেস্তোরাঁয় ওয়ারেন বাফেট আর গেটস একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। সেটা ছিল নতুন এক আলোচনার সূত্রপাত। এরপর বিল গেটস আর ওয়ারেন বাফেট ২০০৯ সালের ৪ মার্চ যৌথভাবে একটি চিঠি লেখেন আরেক শীর্ষ ধনী ডেভিড রকফেলারকে। চিঠিতে তাঁকে একটি নৈশভোজে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘প্রিয় ডেভিড, জনকল্যাণকর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা দুজন অনেক আলাপ-আলোচনা করেছি। আমরা ভাবছিলাম, আমাদের সমমনা বারোজনের মতো মানুষের সবাই একসঙ্গে একই আলোচনার টেবিলে বসতে পারলে খুব ভালো হয়। আমাদের লক্ষ্য হবে নিজেদের বিভিন্ন দিক শেয়ার করা। সেই সঙ্গে এটাও আলাপ করে দেখা যে যাঁরা এখনো একই পর্যায়ে আসেননি, তাঁদের সমর্থন জোগাতে ও উৎসাহিত করতে আরও বেশি কিছু করা যায় কি না। আমরা দুজনই আপনি এবং আপনার পরিবার দাতব্যকাজে যে সম্মিলিত স্পৃহার জন্ম দিয়েছেন, তার প্রশংসা করি। সে কারণেই আমরা শুরুতেই আপনার কাছে যেতে চাই আমাদের এই আলোচনা আয়োজনে আপনি আগ্রহী হবেন কি না, তা বুঝতে।’

চিঠি পেয়েই তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন ডেভিড রকফেলার। এরপর ২৪ মার্চ এই তিনজনের স্বাক্ষরে আরেকটি চিঠি পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকজনের কাছে। এরপর বহুল আকাঙ্ক্ষিত নৈশভোজটি অনুষ্ঠিত হয় সে বছরের ৫ মে, রকফেলার ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট হাউসে। এই উদ্যোগে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন বিল গেটসের তৎকালীন স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। তাঁদের লক্ষ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ওই সব সেরা ধনী, যাঁরা সম্পদের একটি বড় অংশ যেকোনো ধরনের ভালো কাজে দান করতে আগ্রহী, তাঁদের একত্র করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া।

ওই নৈশভোজের পরই জনসেবা বা জনহিতকর কাজে দানের বিষয়টি নতুন এক ইতিহাস তৈরি করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তহবিল সংগ্রহের কাজটি শুরু হয় এর পর থেকেই। তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ফোর্বস-এর তালিকার চার শ মার্কিন ধনীকে উদ্বুদ্ধ করা, যাতে তাঁরা অন্তত অর্জিত সম্পদের অর্ধেক দান করেন। এরপরই ২০১০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয় একটি নতুন উদ্যোগের, নতুন কর্মসূচির। তার আনুষ্ঠানিক নাম ‘দ্য গিভিং প্লেজ’ বা ‘দানের অঙ্গীকার’।

এমন নয় যে এর আগে কোটিপতিরা দান করতেন না। যেমন ২০০৬ সাল থেকেই ওয়ারেন বাফেট তাঁর সম্পদ নানা ধরনের জনহিতকর কাজে বিলিয়ে দিতে শুরু করেছিলেন। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে বাফেট সহায়তা দিচ্ছেন আগে থেকেই। কিন্তু একটি সম্মিলিত উদ্যোগের ভাবনা থেকেই সৃষ্টি হলো দ্য গিভিং প্লেজের। শর্ত এখানে দুটি। সম্পদের পরিমাণ হতে হবে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি, আর দান করতে হবে সে সম্পদের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ। অবশ্য বিল গেটস তাঁর সম্পদের ৯৫ শতাংশ আর ওয়ারেন বাফেট তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশ দান করার ঘোষণা দিয়েছিলেন আরও আগেই।

এখন কেমন আছেন
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ওয়ারেন বাফেট প্রকাশ করেন যে তিনি প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। তবে সেটি ছিল প্রথম পর্যায়ের, ফলে কোনো বিপদ ঘটেনি। ২০১৮ সালে এসে ওয়ারেন বাফেট উত্তরাধিকার বাছাইয়ের কাজটি শুরু করেন। ওই বছরের ১০ জানুয়ারি গ্রেগরি অ্যাবেল এবং অজিত জৈন বার্কশায়ারের ভাইস চেয়ার হিসেবে যোগ দেন। বাফেট এ নিয়ে সে সময় বলেছিলেন, উত্তরাধিকার বাছাই করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ। স্বাস্থ্যগতভাবে তিনি খুব ভালো আছেন। দ্রুতই প্রধান নির্বাহীর পদ ছেড়ে তিনি দিচ্ছেন না। দুজনের মধ্যে অ্যাবেল তদারক করছেন বার্কশায়ারের বিমা ব্যবসার বাইরের অন্য সবকিছু, আর বিমা ব্যবসা দেখছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজিত জৈন।

ওয়ারেন বাফেটের তিন সন্তান। আয়ের ৯৯ শতাংশ দান করার অঙ্গীকারের কারণে সন্তানেরা উত্তরাধিকারসূত্রে পাবেন কমই। বাফেট সব সময়ই বলেন, কিছু একটা করার জন্য তিনি সন্তানদের পর্যাপ্ত অর্থ দিয়ে যাবেন। কিন্তু এত অর্থ দিয়ে যাবেন না, যাতে সন্তানদের কিছুই না করতে হয়।

বাফেট চেয়েছেন তাঁর সন্তানেরা জীবনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তাঁর সন্তানেরা। প্রথম সন্তান সুজান এলিস বাফেট নিজেই একজন বড় জনহিতৈষী, নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন আছে। জনশিক্ষা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে এই ফাউন্ডেশন। দ্বিতীয় সন্তান হাওয়ার্ড গ্রাহাম বাফেট একজন ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং লেখক। ছোট ছেলে পিটার অ্যান্ড্রু বাফেট একজন সংগীতশিল্পী, সুরকার ও লেখক। সংগীতে তিনি আঞ্চলিক অ্যামি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। লেখক হিসেবেও নিউইয়র্ক টাইমস–এর বেস্ট সেলিং তালিকায় তিনি আছেন।

ওয়ারেন বাফেট প্রত্যেক সন্তানের ফাউন্ডেশনে বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের ২১০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ শেয়ার দিয়ে রেখেছেন।

সাধারণ জীবনযাপন
ওয়ারেন বাফেটকে বলা হয় সর্বকালের সেরা বিনিয়োগকারী। আবার একজন ভালো মানুষ হিসেবেও তাঁর সুনাম সর্বত্র। খুব সাধারণ জীবন যাপন করেন। দিন শুরু করেন ভোরবেলা। আট ঘণ্টা ঘুমিয়ে ওঠেন সকাল পৌনে সাতটায়। পড়তে ভালোবাসেন। দিনের পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা কেবল পড়েন। পড়ার তালিকায় থাকে মূলত অর্থনীতির নানা জার্নাল, বিভিন্ন কোম্পানি রিপোর্ট, আর্থিক বিবরণী এবং দৈনিক পত্রিকা। তিনি নিয়মিতভাবে পাঁচটি পত্রিকা পড়েন—ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও ওমাহা ওয়ার্ল্ড-হেরাল্ড। নিজেই বলেছেন, দিনে তিনি অন্তত ৫০০ পৃষ্ঠা পড়তে চেষ্টা করেন।

বাফেটের কাজের পদ্ধতিও আলাদা। বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৫টির বেশি। সব কটি প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা প্রধান নির্বাহী বা সিইও নিয়োগ দেওয়া আছে। তাঁরাই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। বাফেট বলেন, প্রতিষ্ঠানকে সিইও বা ব্যবস্থাপকের হাতেই ছেড়ে দিতে হবে। আর তাঁর কাজ হচ্ছে যোগ্য সিইও বা ম্যানেজার খুঁজে বের করা। তিনি মনে করেন, বিশেষ মানবিক গুণ থাকলেও বুদ্ধিহীন লোকের পক্ষে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। আর আরামপ্রিয় লোকদের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। কারণ, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাঁরা ভেঙে পড়েন। একধরনের মানুষ আছেন, যাঁদের কাছে পেশা শুধু উপার্জনের মাধ্যম নয়, ব্যক্তিগত গর্বও বটে। নিতে হবে তাঁদেরই।

নিয়ম মেনে বছরে একবার বার্কশায়ার হ্যাঙ্গারের বার্ষিক সভা হয়। সেই সভার প্রতি দৃষ্টি থাকে সবার। প্রতিবছর এই সভা উপলক্ষে ওয়ারেন বাফেট একটি চিঠি লেখেন। ১৯৬৫ সাল থেকে তিনি প্রতিবছর চিঠি লিখে আসছেন। বলা হয়, সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ-পরামর্শ লুকিয়ে থাকে ওয়ারেন বাফেটের ওই বার্ষিক চিঠিতেই। এই চিঠিকে বলা হয় সেরা বিনিয়োগ-সাহিত্য।

ওয়ারেন বাফেটের বিনিয়োগ-পরামর্শের জন্য এখনো সবাই উন্মুখ হয়ে থাকেন। তাঁর বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে আছে অসংখ্য বই। বিনিয়োগ নিয়ে তাঁর কয়েক হাজার উক্তি পাওয়া যায়। এর মধ্যে উত্তরসূরিদের জন্য তাঁর সবচেয়ে ভালো পরামর্শের একটি হচ্ছে—তাঁদের অবশ্যই তিনটি খারাপ দিক থেকে দূরে থাকতে হবে। যাকে তিনি বলেছেন, ‘এবিসি অব বিজনেস ডিকেই’। যেমন অ্যারোগেন্স বা ঔদ্ধত্য, ব্যুরোক্রেসি বা আমলাতন্ত্র এবং কমপ্লাসেন্সি বা আত্মতুষ্টি।

বাফেট বলেন, একজন ভালো ম্যানেজার বড় ফুটবল কোচের মতো। তাঁরা নিজে মাঠে না নেমেও দলকে খেলান ও জিতিয়ে আনেন। আবার জয়ী হওয়ার উপাদান রেখে যান টিমের মধ্যে, যাতে তিনি না থাকলেও জিততে পারে দলটি। বিনিয়োগ করার জন্য তাঁর সেরা পরামর্শ হচ্ছে, যে জিনিস আমি নিজের জন্য কিনব না, তা অন্যকে কেনার উপদেশ দেব না।

চার্লি মাঙ্গারের মৃত্যুর পর বার্কশায়ারে একা হয়ে গেছেন ওয়ারেন বাফেট। তাই এ বছর তিনি চিঠিতে কী লিখবেন, সবার নজর থাকবে সেদিকেই।

শেয়ার করুন:-

অর্থনীতি

সারাদেশে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু রোববার

Published

on

ট্রাম্প

টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্যাদি (ভোজ্যতেল, চিনি ও মশুর ডাল) বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হবে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শনিবার (৯ আগস্ট) টিসিবির উপপরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০ আগস্ট হতে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ব্যতীত) ঢাকা মহানগরীতে ৬০টি, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ছয়টি, কুমিল্লা মহানগরীতে তিনটি এবং ঢাকা জেলায় আটটি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় চারটি, পটুয়াখালী জেলায় পাঁচটি ও বাগেরহাট জেলায় পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে দৈনিক ট্রাক প্রতি ৫০০ জন সাধারণ মানুষের নিকট সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্যতেল, চিনি ও মশুর ডাল) বিক্রয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

যেকোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। ভোক্তা প্রতি ভোজ্য তেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মশুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীর নিকট বিক্রয় মূল্য পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, বাড়ছে ডিম-তেল-পেঁয়াজের দাম

Published

on

ট্রাম্প

নিত্যপণ্যের বাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। একে তো চালের চড়া দাম, এরমধ্যে প্রতিকেজি ৮০ টাকার নিচে মিলছে না বেশিরভাগ সবজি। সঙ্গে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজ, ডিম, আদা ও এলাচের দামও। এদিকে, প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম একসঙ্গে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা। অনেকে সাধ্যের মধ্যে চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর কয়েকটি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমনটা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

দেখা গেছে, আজকের বাজারে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা (দেশি) প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বেগুন (গোল) প্রতি কেজি ১২০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ১০০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ ছাড়া গাঁজর প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, টমেটো প্রতি ১৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কঁচু প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে আরেক ক্রেতা হাবিব আহমেদ বলেন, বাজারে একমাত্র কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, বাকি সব ধরনের সবজি ১০০ টাকার ঘরে। এত দাম দিয়ে সবজি কিনে খাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে হয়ে গেছে। কি কারণে সবজির দাম এত বেশি জিজ্ঞেস করলে বিক্রেতারা বলে, বাজারে একেবারেই সরবরাহ কম সবজির। সে কারণে দাম বাড়তি যাচ্ছে। ‌

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে এসে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মোটামুটি গত একমাস ধরে সবজির দাম খুব বেশি যাচ্ছে। আজকের বাজারে মনে হচ্ছে আরও একটু বেশি দাম। বেশিরভাগ সবজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে যদি সবজি এক কেজি করে কিনতাম এখন আধা কেজি কিনতে হচ্ছে। কি কারণে দাম বেড়েছে যে সে বিষয় নিয়ে কখনো দেখিনা বাজার মনিটরিং হতে। সেই সুযোগে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে সবজি বিক্রেতারা অতিরিক্ত দাম আদায় করছে।

খিলগাঁও তালতলা বাজারে ক্রেতা জহির উদ্দিন বলেন, পটোল আর ঢ্যাঁড়স কিনলাম ৬০ টাকা কেজিতে। অন্য কোনো সবজি এর নিচে নেই শুধু পেঁপে ছাড়া। করলা, বরবটি, কাকরোলের দাম ৮০ থেকে ১২০ টাকা চাচ্ছে। প্রয়োজনমতো সবজি কিনে খাওয়াও আমাদের মতো নিম্নবিত্ত মানুষদের ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম হওয়ায় দাম বাড়তি যাচ্ছে। তাছাড়া বেশ কিছু সবজির ইতোমধ্যে মৌসুম শেষ হওয়ার কারণেও দাম বেড়েছে।

শুধু সবজি নয়, বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারদর তাদের ওপর একটা বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। কারণ, এই মুহূর্তে বাজারে চাল, সবজিসহ ডিম থেকে শুরু করে মসলাজাতীয় পণ্য, সবকিছুর দামই চড়া। দামের চাপে অনেকে বাজারের পণ্যের তালিকা ছোট করতে বাধ্য হচ্ছেন।

অন্যদিকে, রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে আরও দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, ডিম, এলাচসহ বিভিন্ন পণ্যের।

এরমধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১৫-২০ টাকা। ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। আর ১২০ টাকা ডিমের ডজন এখন ১৪০ টাকা।

পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের ভরা মৌসুম শেষ হয়ে আসছে। এরমধ্যে কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যায়ে বিঘ্ন ঘটেছে। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

কারওয়ান বাজারে পাইকারি বিক্রেতা জুবায়ের আলী বলেন, কয়েকদিন আগে পাইকারিতে প্রতি পাল্লা ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি করছি। উৎপাদন এলাকায় পেঁয়াজের দাম কয়েক দিন বেড়েছে। পাবনা-ফরিদপুর এলাকার মোকামে প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম প্রায় ৪০০ টাকা বেড়েছে।

বাড়তি দামের কারণ হিসেবে ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের ওপর নতুন একটি একটি চাপ তৈরি হয়েছে। কারণ ঢাকার বাজারে বৃষ্টির প্রভাবে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এতে করে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি, যা অনেকটাই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণত ডিমের চাহিদা বেড়ে গেছে।

বাজারে প্রতি ১০০ গ্রাম এলাচ আগে ৪০০ টাকা বিক্রি হলে এখন সেটি সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় উঠেছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি আদার দাম ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা।

চড়া চালের দামে নিম্নমুখী কোনো প্রবণতা নেই। মাস দেড়েক ধরে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে চাল। মোটা চালের দামই এখন ৬০ টাকার বেশি। মাঝারি মানের এক ধরনের কিছু মিনিকেট ও নাজির রয়েছে, যেটা শুধু ৬৫-৭০ টাকায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া বাকি সব চালের দাম সাধারণত ৭৫-৮৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আর খুব ভালো মানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চালের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা ছুঁইছুঁই করছে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.৫৫ শতাংশ

Published

on

ট্রাম্প

দীর্ঘ সময় পর গত জুনে স্বস্তি ফিরেছিল মূল্যস্ফীতিতে। তবে জুলাইয়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার শূন্য দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়েছে। ফলে জুনের ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে বেড়ে জুলাইয়ে তা হয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বিবিএস জানায়, জুলাইয়ে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও। মাসটিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জুনে যা ছিল ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এছাড়া জুনে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ থাকলেও জুলাইয়ে সেটি বেড়ে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বেড়েছে শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ।

জুলাইয়ে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

সঞ্চয়পত্রে আগ্রহ কমছে, বিল-বন্ডে বিনিয়োগ বেড়ে পাঁচ গুণ

Published

on

ট্রাম্প

দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় করার সামর্থ্য কমে গেছে। একই সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের সুদহার নিয়ে বিভ্রান্তি, নিয়মের জটিলতা এবং ব্যাংক ও সরকারি বিল-বন্ডে উচ্চ সুদের হার—এসব কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে আগ্রহ ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। বিপরীতে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। গত জুন শেষে সরকারি এ উপাদানে ব্যক্তি, কর্পোরেট বডি, প্রভিডেন্ট, পেনশন ফান্ডের বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের জুন শেষে যা ছিল মাত্র ২৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা। গত দুই বছরে বেড়ে প্রায় পাঁচ গুণ হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, টানা তিন অর্থবছর ধরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নিট বিক্রি কমেছে ৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। এর ফলে সঞ্চয়পত্রে মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকায়। আগের দুই অর্থবছরেও যথাক্রমে ২১ হাজার ১২৪ কোটি এবং ৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ কমেছিল।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

একসময় বাজেট ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র ছিল সরকারের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উৎস। চলতি অর্থবছরের জন্য সঞ্চয়পত্র থেকে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ১৪ হাজার কোটি করা হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০১৯ সালে ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালুর পর সঞ্চয়পত্র কেনার প্রক্রিয়া অনেক কঠোর হয়ে যায়। একই নামে বড় অঙ্কে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ কমে যায়, এক লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে টিআইএন বাধ্যতামূলক হয়।

পাশাপাশি প্রতি ছয় মাস অন্তর সুদহার পরিবর্তনের নতুন নিয়মে সর্বশেষ জুলাই মাসে সুদহার ৪৭ থেকে ৫৭ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি ও কম বিনিয়োগে আলাদা সুদহার প্রযোজ্য হয়, যা অনেকের কাছে জটিল মনে হচ্ছে।

ফলে বিনিয়োগকারীরা এখন বেশি ঝুঁকছেন ট্রেজারি বিল ও বন্ডের দিকে। যেখানে ব্যাংক, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ফান্ড এবং ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগ দ্রুত বাড়ছে। ২০২৩ সালের জুন শেষে এ খাতে মোট বিনিয়োগ ছিল ২৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা, যা ২০২৫ সালের জুন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ১৫৯ কোটি টাকায়—মাত্র দুই বছরে বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রেজারি বিল-বন্ডে এখন ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ পাওয়া যাচ্ছে, যা করমুক্ত এবং নিরাপদ। সময়মতো মুনাফা পাওয়ার নিশ্চয়তা ও সেকেন্ডারি বাজারে বিক্রির সুযোগ থাকায় এটি এখন ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় খাতে পরিণত হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

সিআরআর ঘাটতিতে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংককে জরিমানা

Published

on

ট্রাম্প

তারল্য সংকটে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ নগদ জমা সংরক্ষণ (সিআরআর) রাখতে পারেনি আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। এজন্য দণ্ডসুদ হিসেবে জরিমানা গুনতে হয়েছে শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি এ অর্থ পরিশোধ করেছে ব্যাংকটি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক নির্ধারিত নগদ জমা (সিআরআর) রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। নিয়ম অনুসারে ৯ শতাংশ হারে দণ্ডসুদ বাবদ ১৯ কোটি ১৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ১৪ দিনের মধ্যে ( ৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত স্থানে জমা দিতে হবে। সময়মতো না দিলে ব্যাংকের হিসাব থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এবিষয় জানতে চাইলে ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) কামাল হোসেন বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কিছুটা অস্থিরতা তৈরি হয়, যার প্রভাবে নির্ধারিত হারে সিআরআর বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আমাদের ব্যাংকের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা আরোপ করা হয়। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক চিঠির মাধ্যমে করা জরিমানা পরিশোধের জন্য ১৪ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করে। আমরা নির্ধারিত সময়সীমার আগেই ৪ আগস্ট, জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেছি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে আমাদের ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্থিতিশীল। এখন ঋণের প্রবাহ তুলনামূলকভাবে কম, বিপরীতে আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সিআরআর সংরক্ষণসহ অন্যান্য আর্থিক বাধ্যবাধকতা যথাযথভাবে পূরণ করতে কোনো সমস্যা নেই।

গত বছর ক্ষমতার পালাবদলের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এস আলম গ্রুপের সত্তাধীন ব্যাংকগুলোর ওপর বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। এর প্রেক্ষাপটে, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এস আলমের ভাই আবদুস সামাদ নিজেই পদত্যাগ করেন। পরে ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন সেলিম রহমান, যিনি কেডিএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুর রহমানের ছেলে। ব্যাংক খাতে খলিলুর রহমান ও এস আলমের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরে সেপ্টেম্বরে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা বেসরকারি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়ার। তার সঙ্গে পর্ষদের চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক হন। তারা হলেন— বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, এনআরবি ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ এবং হিসাববিদ মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান।

বর্তমান ২২৬টি শাখা, ৮৭টি উপশাখা, প্রায় ৭৫০টির মতো এজেন্ট আউটলেট নিয়ে কার্যক্রম চলছে। গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ। আমানত রয়েছে ৫১ হাজার কোটি টাকা এবং ৪৬ হাজার কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ রয়েছে।

এদিকে গত এপ্রিলে ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের অর্থ তছরুপ করার অভিযোগে আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরমান আর চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ নাদিমসহ চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। অপর দুই কর্মকর্তা হলেন ব্যাংকটির ডিএমডি ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধান আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া ও ট্রেজারি বিভাগের প্রধান মো. আব্দুল মবিন।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

ট্রাম্প ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক7 hours ago

ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাবে ভারতের শেয়ারবাজারে বড় ধস

সপ্তাহের শেষে বড় পতনের মুখে পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজার। গতকাল শুক্রবার সেনসেক্স ও নিফটি ৫০—উভয় সূচকেরই বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে...

ট্রাম্প ট্রাম্প
পুঁজিবাজার10 hours ago

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড

বিদায়ী সপ্তাহে (০৩ আগস্ট-০৭ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে...

ট্রাম্প ট্রাম্প
পুঁজিবাজার10 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স

বিদায়ী সপ্তাহে (৩ আগস্ট-০৭ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন করা ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে ১৩৮টির শেয়ারদর বেড়েছে।...

ট্রাম্প ট্রাম্প
পুঁজিবাজার11 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বিএসসি

বিদায়ী সপ্তাহে (৩ আগস্ট-৭ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)...

ট্রাম্প ট্রাম্প
পুঁজিবাজার1 day ago

বিনিয়োগকারীদের মূলধন বাড়লো দুই হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (০৩ আগস্ট থেকে ০৭ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে।...

ট্রাম্প ট্রাম্প
পুঁজিবাজার2 days ago

৯৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি জাহাজ কিনছে বিএসসি

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) চীন থেকে দুটি নতুন জাহাজ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৯৪৭ কোটি...

ট্রাম্প ট্রাম্প
পুঁজিবাজার2 days ago

ব্লক মার্কেটে ১৯ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ৩৯টি কোম্পানির ১৯ কোটি ৪২ লাখ ৯৬ হাজার টাকার শেয়ার...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  
ট্রাম্প
অর্থনীতি6 hours ago

সারাদেশে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু রোববার

ট্রাম্প
জাতীয়6 hours ago

জুলাই ঘোষণাপত্রে সর্বত্রই অভ্যুত্থান, কোথাও বিপ্লব নেই: মাহমুদুর রহমান

ট্রাম্প
জাতীয়7 hours ago

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ৩ হাজার ৫৫৯ মামলা

ট্রাম্প
রাজনীতি7 hours ago

আ. লীগ বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না: সালাহউদ্দিন

ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক7 hours ago

ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাবে ভারতের শেয়ারবাজারে বড় ধস

ট্রাম্প
সারাদেশ8 hours ago

সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে হ্যানিট্র্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে: জিএমপি কমিশনার

ট্রাম্প
রাজনীতি8 hours ago

নিরপেক্ষ মানুষও বিএনপির কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করে: তারেক রহমান

ট্রাম্প
জাতীয়9 hours ago

ক্রীড়া বিকেন্দ্রীকরণে যথাযথ অবকাঠামো প্রয়োজন: আসিফ মাহমুদ

ট্রাম্প
জাতীয়9 hours ago

সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব খুব গুরুত্বপূর্ণ: ফওজিয়া মোসলেম

ট্রাম্প
রাজনীতি9 hours ago

তারেক রহমানই দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল

ট্রাম্প
অর্থনীতি6 hours ago

সারাদেশে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু রোববার

ট্রাম্প
জাতীয়6 hours ago

জুলাই ঘোষণাপত্রে সর্বত্রই অভ্যুত্থান, কোথাও বিপ্লব নেই: মাহমুদুর রহমান

ট্রাম্প
জাতীয়7 hours ago

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ৩ হাজার ৫৫৯ মামলা

ট্রাম্প
রাজনীতি7 hours ago

আ. লীগ বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না: সালাহউদ্দিন

ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক7 hours ago

ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাবে ভারতের শেয়ারবাজারে বড় ধস

ট্রাম্প
সারাদেশ8 hours ago

সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে হ্যানিট্র্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে: জিএমপি কমিশনার

ট্রাম্প
রাজনীতি8 hours ago

নিরপেক্ষ মানুষও বিএনপির কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করে: তারেক রহমান

ট্রাম্প
জাতীয়9 hours ago

ক্রীড়া বিকেন্দ্রীকরণে যথাযথ অবকাঠামো প্রয়োজন: আসিফ মাহমুদ

ট্রাম্প
জাতীয়9 hours ago

সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব খুব গুরুত্বপূর্ণ: ফওজিয়া মোসলেম

ট্রাম্প
রাজনীতি9 hours ago

তারেক রহমানই দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল

ট্রাম্প
অর্থনীতি6 hours ago

সারাদেশে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু রোববার

ট্রাম্প
জাতীয়6 hours ago

জুলাই ঘোষণাপত্রে সর্বত্রই অভ্যুত্থান, কোথাও বিপ্লব নেই: মাহমুদুর রহমান

ট্রাম্প
জাতীয়7 hours ago

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ৩ হাজার ৫৫৯ মামলা

ট্রাম্প
রাজনীতি7 hours ago

আ. লীগ বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না: সালাহউদ্দিন

ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক7 hours ago

ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাবে ভারতের শেয়ারবাজারে বড় ধস

ট্রাম্প
সারাদেশ8 hours ago

সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে হ্যানিট্র্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে: জিএমপি কমিশনার

ট্রাম্প
রাজনীতি8 hours ago

নিরপেক্ষ মানুষও বিএনপির কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করে: তারেক রহমান

ট্রাম্প
জাতীয়9 hours ago

ক্রীড়া বিকেন্দ্রীকরণে যথাযথ অবকাঠামো প্রয়োজন: আসিফ মাহমুদ

ট্রাম্প
জাতীয়9 hours ago

সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব খুব গুরুত্বপূর্ণ: ফওজিয়া মোসলেম

ট্রাম্প
রাজনীতি9 hours ago

তারেক রহমানই দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল