অর্থনীতি
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন জানুয়ারিতে
হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইল ফোনে ঘরে বসে খোলা যায় হিসাব। শহর থেকে গ্রামে মুহূর্তেই পাঠানো যাচ্ছে অর্থ। কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, ঋণ গ্রহণসহ যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন পরিষেবা। বিদেশ থেকে আসছে রেমিট্যান্স। ফলে বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) ওপর মানুষের আগ্রহের পাশাপাশি বাড়ছে নির্ভরশীলতা। গ্রাহকের সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও।
বুধবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে— বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই অঙ্ক এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। জানুয়ারিতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা।
এর আগে একক মাসে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত বছরের জুনে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেলেন সঙ্গে দিনদিন বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা। বর্তমানে বিকাশ, রকেটের, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। ২০২৪ সালের জুন মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৩ হাজার জন। গ্রাহক বেশি হওয়ার কারণ অনেক গ্রাহক একাধিক সিম ব্যবহার করছে। লেনদেনের সুবিধার্থে একাধিক সিমের হিসাব খুলছে।
নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৭১ লাখ ৮১ হাজার ও নারী ৯ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩২১টি।
এখন গ্রাহক ঘরে বসেই ডিজিটাল কেওয়াইসি (গ্রাহকসম্পর্কিত তথ্য) ফরম পূরণ করে সহজেই এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে হিসাব খুলতে পারছেন। ফলে গ্রাহক ঝামেলামুক্তভাবে হিসাব খুলতে পারছেন।
২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসের(এমএফএস) যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপর ‘নগদ’-এর অবস্থান।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এখন গাড়িচালক, নিরাপত্তাকর্মী ও গৃহপরিচারিকাদের বেতনও এখন দেওয়া হচ্ছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো সেবা মাধ্যম ব্যবহার করে। পোশাকখাতসহ শ্রমজীবীরা এমএফএস সেবার মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাচ্ছেন। যার ফলে দিনে দিনে নগদ টাকার লেনদেন কমে আসছে। এই প্রবণতা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানুয়ারি মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানো হয়েছে ৪০ হাজার ২২৮ কোটি টাকা আর উত্তোলন হয়েছে ৩৭ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। এসময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩৫ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ৪ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ২ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৫ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এছাড়া ৫৯৩ কোটি টাকার প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দশ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৮১ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
রবিবার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ৭৩ কোটি ১০ লাখ, ৬৭ কোটি ৯০ লাখ , ৭১ কোটি ৮০ লাখ ও ৭৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
এদিকে মে মাসের প্রথম ১০ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ৪ থেকে ১০ মে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মে মাসের ১ থেকে ৩ তারিখ দেশে এসেছে ১৪ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাজশাহীর আম বাজারজাতের তারিখ নির্ধারণ
রাজশাহী থেকে চলতি মৌসুমের আম বাজারজাতকরণের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে আমের জন্য বিখ্যাত অঞ্চলটির জেলা প্রশাসন। আগামী ১৫ মে রাজশাহীর বিভিন্ন বাগানের গাছ থেকে নিরাপদ আম পাড়া, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণ শুরু হবে। তবে ম্যাংগো ক্যালেন্ডার মেনে প্রথমেই নামবে গুটি জাতের আম। জাতআম গোপালভোগ, রানিপছন্দ ও লক্ষণভোগসহ মিষ্টি জাতের আম বাজারে আসতে শুরু করবে আগামী ২৫ মে থেকে। এরপর ১০ জুলাই আশ্বিনা ও ২০ আগস্ট গৌরমতি আম নামবে রাজশাহীর বাজারে।
রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় রাজশাহীর আম নামানোর সময় নির্ধারণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিয়ময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় আম পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। সেখানেই এই ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিসি শামীম আহমেদ।
তিনি বলেন, রাজশাহী আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। এর সুখ্যাতি রয়েছে বিশ্বজুড়েই। তবে মৌসুমের নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাজারে যেন কোনোভাবেই কেউ অপরিপক্ব এবং কেমিক্যাল মিশ্রিত কোনো আম নামিয়ে বিক্রি করতে না পারে। আর সেজন্যই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এ ফল পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে আজ সভার আহ্বান করা হয়েছে।
তিনি জানান, নির্দিষ্ট তারিখের আগে কেউ আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক আরও জানান, স্থানীয় গুটি জাতের আঁটি আম আগামী ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এছাড়া ২৫ মে থেকে সুস্বাদু রসাল আম গোপালভোগ, রানিপছন্দ ও লক্ষণভোগ, হিমসাগর ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন, ফজলি ১৫ জুন, আশ্বিনা ১০ জুলাই, বারি-৪ জাতের আম ৫ জুলাই, গৌড়মতি জাতের আম ১৫ জুলাই, ইলামতি ২০ আগস্ট থেকে পাড়া ও বাজারজাতকরণ করতে পারবেন।
রাজশাহী জেলার সব আমচাষি, বাগান মালিক, আড়ত মালিক এবং ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রেই একই ম্যাংগো ক্যালেন্ডার কার্যকর থাকবে। এছাড়াও বহুল পরিচিত কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছরই সংগ্রহ করা যাবে বলে জানান।
সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে রাজশাহীর প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ছালমা, পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম নূর হোসেন নির্ঝর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার, রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার সংখ্যা বেড়ে ২১৭
নির্মাণ থেকে শুরু করে উৎপাদন কার্যক্রমে মান ধরে রাখায় দেশে নতুন করে আরও দুটি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। সনদ পাওয়া কারখানা দুটি হচ্ছে গাজীপুরের এমটি সোয়েটার্স ও উত্তরখানের কেসি বটম অ্যান্ড শার্টওয়্যার কোম্পানি। ফলে দেশে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে ২১৭–তে দাঁড়িয়েছে।
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল আজ রোববার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১১টি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে।
কারখানা দুটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এই সনদ পাওয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে কয়েকটি শর্ত পালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়। এমটি সোয়েটার্স ও কেসি বটম অ্যান্ড শার্টওয়্যার কোম্পানি উভয়েরই লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। তাদের অর্জিত নম্বর যথাক্রমে ৮২ ও ৮১। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান দুটি সবচেয়ে মর্যাদাশীল সনদ লাভ করেছে।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।
বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, পরিবেশবান্ধব ২১৭ কারখানার মধ্যে লিড প্লাটিনাম ৮৩টি, লিড গোল্ড ১২০, লিড সিলভার ১০ ও সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে ৪টি। অর্থাৎ ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ কারখানাই লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চামড়া ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ পেতে সুপারিশ করা হবে: শিল্পমন্ত্রী
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চামড়া ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে সহজ শর্তে ঋণ পেতে সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। আগামী ৭ থেকে ৮ মাস যেন তারা ব্যবসা করতে পারে এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি ইস্যু করা হবে।
রবিবার (১২ মে) রাজধানীর শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাড়তি চাপ হবে না। আমরা পরিকল্পনা নিয়ে আগোচ্ছি। আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে ট্যানারি শিল্প নগরী। তিনি বলেন, যেহেতু কোরবানি সামনে, ব্যবসায়ীদের আর্থিক অবস্থাও খুব ভালো না। এক্ষেত্রে ক্যাপিটাল শর্টফল যাতে না হয় সে বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি ইস্যু করবো। যাতে আগামী ৭ থেকে ৮ মাসের জন্য অর্থ সহায়তা তারা পান। আর ব্যাংকের চলমান ঋণ থাকবে ব্যাংকের পলিসি অনুযায়ী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আবারও বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশীয় সফটওয়্যারে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রত্যয়ে গঠিত হলো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৪-২৬।
১১ সদস্যের নির্বাহী পরিষদে ‘ওয়ান টিম’ এর ৮ সদস্যের নিরঙ্কুশ বিজয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে টিম ক্রিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল টি আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রাশিদুল হাসান।
সহ-সভাপতি (প্রশাসন) নির্বাচিত হয়েছেন মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল এবং সহ-সভাপতি (অর্থ) নির্বাচিত হয়েছেন ডিভাইন আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান।
এছাড়া, বেসিসের নবনির্বাচিত পরিচালক হয়েছেন অ্যাডভান্সড ইআরপি বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, শ্যুটিং স্টার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম, এ আর কমিউনিকেশন্সের প্রতিষ্ঠাতা এম আসিফ রহমান, অ্যানালাইজেন বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক, বন্ডস্টাইন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম, কার্নিভাল অ্যাসিউর লিমিটেডের পরিচালক বিপ্লব ঘোষ রাহুল এবং ফাইনালিটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আব্দুল্লাহ জায়েদ।
শনিবার বেসিস সম্মেলন কেন্দ্রে নতুন পরিষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সাবেক সভাপতি সরওয়ার আলম ও হাবিবুল্লাহ এন করিম।
পুনঃনির্বাচিত বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘বেসিস সদস্যদের নিরঙ্কুশ ভালোবাসাতেই ‘ওয়ান টিম’-এর বিজয় এসেছে। দ্বিতীয়বারের মতো আমার এই দায়িত্ব গ্রহণের লক্ষ্য থাকবে বেসিস যে ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করেছে এবং দেশের একটা অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে যে সুপরিচিত লাভ করেছে সেটাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়া।’
গত ৮ মে রাজধানীর গুলশানের শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশেনে হয়েছে বেসিসের নির্বাচন।
নির্বাচনে রাসেল টি আহমেদ নেতৃত্বাধীন প্যানেল ‘ওয়ান টিম’ ১১টি পদের মধ্যে ৮টিতে জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল নেতৃত্বাধীন প্যানেল ‘টিম স্মার্ট’ পেয়েছে ৩টি পদ।