জাতীয়
রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে পুলিশ

রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে ফরিদপুরের বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করছে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রেতা, বিক্রেতা ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে লিফলেট বিতরণ করেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুর শহরের নিউমার্কেট, তিতুমীর বাজার, টেপাখোলার গরুর হাট ও একই এলাকার কাঁচা বাজার সহ স্থানীয় আরও কিছু বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পরিদর্শন করেন ওসিসহ পুলিশের একটি টিম।
বিভিন্ন দোকানে আসা ক্রেতা সাধারণের মাঝে যেকোনো ধরনের অন্যায়ের প্রতিরোধে পুলিশের সহায়তা নিতে লিফলেটও বিতরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, রমজান কিংবা ঈদ মৌসুম এলেই কিছু অপরাধী বাজারে ও মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের টার্গেট করে নানা উপায় তাদের সর্বশ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় মলম পার্টি ও ছিনতাই কারীদের দৌরাত্ম বেড়ে যায়। সেই সাথে বিক্রেতারাও অতি মুনাফার লোভে নিত্যপণ্যে দাম বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। এজন্য আমরা নিউমার্কেট তিতুমীর বাজার এলাকায় কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের এবং ব্যাংকিং সহ নগদ টাকা বহনে সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছি।

জাতীয়
এনসিপিকে জুলাই সনদে সই করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের জুলাই জাতীয় সনদে সই করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, এ সনদ জাতির জন্য মহামূল্যবান সম্পদ, এখানে সবার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে বলে এনসিপিকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
আগামী সাধারণ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এনসিপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
বৈঠকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে দলটির চার সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। দলের অন্য সদস্য ছিলেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামন্তা শারমিন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
বৈঠকে এনসিপি নেতারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, গণভোট এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের আগে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রোডম্যাপ এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা চাই। এ বিষয়ে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা এনসিপিকে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই সনদ জাতির জন্য মহামূল্যবান সম্পদ; এখানে সবার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।’
নাহিদ প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার জন্য এনসিপির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৬২

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৫ জনে দাঁড়াল। এ ছাড়া গত একদিনে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন করে ৭৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭০, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০০, খুলনা বিভাগে ৪০ জন, ময়মনসিংহে ৪১ জন, রাজশাহীতে ৩৯, রংপুরে ৩ এবং সিলেট বিভাগে ১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৯৭১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৪৯২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৬২ হাজার ৩৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৫৫ জনের।
জাতীয়
ফেব্রুয়ারিতে উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সরকার সব কিছু করছে : প্রধান উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করার জন্য সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২২ অক্টোবর) জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধান উপদেষ্টা এমন মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তিনি এখানে অবস্থানকালে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
বৈঠক চলাকালীন, রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানান এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরো বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে, এটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।’ তিনি সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার, বিশেষ করে জুলাই জাতীয় সনদের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসে কথা বলতে দেখে ভালো লাগছে। নির্বাচনের পরও দেশের এসব সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সনদে সই করার জন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে একটি চমৎকার কাজ করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা ঐক্য এবং পরিবর্তনের জন্য একটি অভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছিল। এটি আসন্ন নির্বাচনের আগে আস্থা তৈরিতে সহায়তা করে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করছে।’
রাষ্ট্রদূত জার্মানিতে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যার কথাও উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত উভয়েই দুই দেশের জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান।
তারা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি এবং এ ক্ষেত্রে জার্মানির সহায়তার বিষয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জার্মানি ইউরোপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং নতুন রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
অন্যান্য
জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আজ বুধবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টায় এনসিপি এবং সন্ধ্যা ৬টায় জামায়াতের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এ তথ্য জানান।
চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয়
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার

সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন এবং কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমনটি জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গুরুত্ব বিবেচনা করে সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের জন্য ফাইল পাঠায়। প্রধান উপদেষ্টা সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর তা স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য এখন স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্ভব্যতা যাচাইসহ তাদের পর্যায়ের বিভিন্ন কাজ করবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি এখনো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। সিটি করপোরেশন তাদের পর্যায়ের কাজ শেষ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবে। এরপর তা নিকার (প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি) সভায় অনুমোদনের জন্য উঠবে।