পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের গতি ফেরাতে ডিবিএ’র সাত প্রস্তাব

দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন অনেক ভাল। যার প্রতিফলন শিগগির শেয়ারবাজারে পড়বে বলে মনে করে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। ফলে পুঁজিবাজারের সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সাত প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় সাম্প্রতিক শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত শীর্ষ ত্রিশ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময়কালে এ দাবি জানানো হয়।
পুঁজিবাজারের গতি ফেরাতে ডিবিএ’র সাত প্রস্তাব তুলে ধরে ডিবিএর প্রতিনিধিরা জানান- শেয়ারের দরে পুনরায় ফ্লোর আরোপ করা হতে পারে বলে বাজারে যে গুজবটি রয়েছে, তা শতভাগ গুজব, মিথ্যা, ভিত্তিহীন। ফ্লোর প্রাইসের পূনরাবৃ্ত্তি ঘটবে বলে ডিবিএ আদৌ মনে করেনা। বর্তমান মর্জিন বিধিমালা-১৯৯৯ এর যুগোপযোগী ও সংস্কার প্রয়োজন।
তারা বলেন, ভাল কোম্পানির আইপিও বাজারে তালিকাভূ্ক্ত করতে হবে। কোম্পানি তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে সকল প্রকার আইন ও বিধি-বিধানের সঠিক পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক নির্ভরতা কমাতে মিউচুয়াল ফান্ডের উপর জোর দিতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। কোম্পানির ক্যাটাগরি ডিভিডেন্ডের উপর না করে উহার ক্যাপিটাল সাইজের উপর করাই যৌক্তিক।
ডিবিএর প্রতিনিধিরা বলেন, সাধারন শেয়ারহোল্ডার, স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার কিংবা অন্য কোন শেয়ারহোল্ডারদের না জানিয়ে ভিন্ন কোন উপায়ে কোন কোম্পানির শেয়ার বৃদ্ধি করা উচিৎ নয়। দ্বৈত করের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তা সমাধান করতে হবে।
আলোচনায় অংশ নেয়া প্রতিনিধিরা সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা মনে করেন, বাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার মত উল্লেখযোগ্য কোন কারন নেই। তবে কারো কারো মতে, শেয়ার দরের উপর থেকে ফ্লোর তুলে নিলে এমনিতেই কিছুটা প্রাইস এডজাস্টমেন্ট হয়ে থাকে। এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক। খুব শিগগির বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে বলে ইঙ্গিত করেছেন শীর্ষ এই ব্রোকার প্রতিনিধিরা। তবে আগামীদিনে বাজারের সার্বিক স্বার্থে উপস্থিতি প্রতিনিধিগণ এসব দাবি তুলেছেন, যা বাস্তবায়নের ফলে বাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং বাজার দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল ও টেকসই হবে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী শীর্ষ বোকারেজ কোম্পানিগুলো হলো- লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, সিটি ব্রোকারেজ, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ, শান্তা সিকিউরিটিজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, ইবিএল সিকিউরিটিজ, ইউনাইটেড ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডিং কোং, এমটিবি সিকিউরিটিজ, আইসিবি সিকউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি, বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এনআরিবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস, গ্লোব সিকিউরিটিজ, এবি সিকিউরিটিজ, কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজ এন্ড ইন্ভেস্টমেন্ট, ফার্স ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ, এনসিসিবি সিকিউরিটিজ এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, মিকা সিকিউরিটিজ, আকিজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি’ রোজারিও, ডিবিএর সাবেক প্রেসিডেন্ট আহমাদ রশীদ লালী, বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সিইও মোস্তফা জামানুল বাহার প্রমূখ।
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট বৈঠকে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাজারের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ করে সভা শেষ করেন। ডিবিএ প্রেসিডেন্ট বিনোয়গকারীদের কোনরুপ গুজবে কান না দিয়ে বিনিয়োগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন এবং বাজারের প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ করেছেন।
কাফি

পুঁজিবাজার
আইসিবি ইউনিট ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা

ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ লিমিটেড (আইসিবি) পরিচালিত বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড আইসিবি ইউনিট ফান্ডের গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের ইউনিটহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। আলোচিত বছরের জন্য ইউনিটহোল্ডাররা ৩০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ পাবেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত আইসিবির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইসিবি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
গত বছর আলোচিত ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারটেদর ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল।
ঘোষিত লভ্যাংশ প্রাপ্তির যোগ্যতা নির্ধারণে রেকর্ড তারিখ ছিল ৩০ জুন। ওই তারিখে যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে ক্যাপিটেক পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ডের ইউনিট ছিল, তারা ঘোষিত লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন।
আইসিবি ইউনিট ফান্ডের সার্টিফিকেট পুনঃক্রয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬৮ টাকা, যা আগামী ৩ আগস্ট কার্যকর হবে।
এসএম
পুঁজিবাজার
লোকসানে এনআরবি ব্যাংক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি এনআরবি ব্যাংক পিএলসি গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হলেও আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২৯ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে ১৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ১৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৪ টাকা ৭৯ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ১৩ টাকা ৬৮ পয়সা ছিল।
গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১১ টাকা ৪৫ পয়সা।
এসএম
পুঁজিবাজার
এসবিএসি ব্যাংকের আয় কমেছে ৭৮ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি এসবিএসি ব্যাংক পিএলসি গত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৭৮ দশমিক ২৬ শতাংশ।
বুধবার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে শূন্য ৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ২৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১৪ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ৪৬ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৩ টাকা ৭২ পয়সা।
এসএম
পুঁজিবাজার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ইপিএস কমেছে ১৫ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি) গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ১৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বুধবার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৩৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
আলোচিত হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির সমন্বিত আয় হয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে সমন্বিত আয় ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা।
দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২ টাকা ৯৭ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ২১ টাকা ৯১ পয়সা ছিল।
গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২৭ টাকা ২৬ পয়সা।
এসএম
পুঁজিবাজার
এক্সিম ব্যাংকের ইপিএস কমেছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি (এক্সিম ব্যাংক) গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন,২৫) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১ টাকা ১৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
দুই প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ১২ টাকা ৭১ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ৫ পয়সা ছিল।
গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২১ টাকা ৮৪ পয়সা।
এসএম