কর্পোরেট সংবাদ
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা নগদে, চিন্তামুক্ত অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা
মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫৪ লাখ অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। বিতরণ করা হবে দেশের অন্যতম সেরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মাধ্যমে। আগে থেকেই এর একটি বড় অংশ নগদের মাধ্যমেই এই সহায়তা পেয়ে আসছিল।
তবে এবার বিভিন্ন জায়গায় না রেখে সব শিক্ষার্থীরা আর্থিক সহায়তা এক জায়গায় করায় অসচ্ছল ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছেন।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্পের আওতায় এককালীন ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা পাবেন। এই টাকা পেতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন করেছেন। খুব দ্রুতই এর বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই ভাতা বিতরণ করা হলেও ভেতরে ভেতরে নানান বিশৃঙ্খলা থেকেই গিয়েছিল। সহায়তা বিতরণ প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা আনতে এবার শুধু মাত্র নগদের মাধ্যমে এটি বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মান্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
এতোদিন নগদসহ আরো কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এবং ব্যাংকের মাধ্যমেও বিতরণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এই সহায়তা। কিন্তু বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করতে গিয়ে তারা বেশ কিছু সমস্যায় পড়েন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, “সহায়তার অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ হচ্ছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষন এবং যাচাই বাছাই করাই আমাদের জন্যে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যে আমরা একটি প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছি। তাছাড়া গত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিক পর্যায়ের দেড় কোটির মতো শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি যেহেতু সফলবাবে নগদের মাধ্যমে বিতরণ হয়েছে সে কারণে আমাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়েছে।”
একদিকে শিক্ষার্থীরাও নগদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। গোপালগঞ্জের ওহাব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কামরান জানায়, এর আগে প্রাথমিক পর্যায়ে নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তি পেয়েছে সে। ফেলে নগদের ওপরে তার এক রকম বাড়তি আস্থা তৈরী হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, এর আগে তারা দেখেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফটওয়ার বিভিন্ন রকম হওয়ায় তারা তাদের মতো করে বিভিন্ন পন্থায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তার এই অর্থ বিতরণ করে থাকেন। আর একেক প্রতিষ্ঠান একেক পদ্ধতিতে কাজটি করায় তাদের জন্যে এ এক বড় সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যেই নগদের স্মরণাপন্ন হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
অন্যদিকে আবার গ্রাহক সংখ্যায় নগদ এখন দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে নয় কোটির ওপর নিবন্ধিত গ্রাহক আছে তাদের। সারা দেশে রয়েছে পৌনে তিন লাখ এজেন্ট পয়েন্ট। ফলে যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো সময় টাকা উত্তোলন করাও সম্ভব। এ কারণেই সরকার তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা বিতরণে পছন্দ করে থাকতে পারে বলে জানান নগদের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
“গত কয়েক বছরে সরকারের ভাতা ও সহায়তা বিতরণ পক্রিয়াকে আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে এনেছি। আমাদের ধারে কাছেও এখন আর কেউ নেই। এ কারণেই হয়তো সরকারি সংস্থাগুলো নগদের সেবাই বারবার নিতে চাইছে,” বলেন নগদের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন জাহিদুল ইসলাম সজল।
“প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সহায়তা বিতরণ একটি স্পর্শকাতর প্রকল্প। সেটিও নগদকে বেছে নেওয়ার কারণ হতে পারে। আর নগদের খরচ তো সব সময়ই অনেক কম। এসবই নগদকে সব সময় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখে,” বলেন তিনি।
এর আগে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, ট্রাস্ট থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৪ সালে মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ে ভর্তিকৃত ও অধ্যয়নরত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তি–সহায়তা দেওয়া হবে। ভর্তি–সহায়তা পেতে তখন শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে অবেদন করতে বলা হয়।
এই সহায়তা পাওয়ার জন্যে মা–বাবা বা অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকার কম হতে হবে। তাছাড়া সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর সন্তানেরাও আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে।
ভর্তি–সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের ছবি, স্বাক্ষর, জন্মনিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ থাকতে হবে।
এর আগে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়। সেখান থেকেই প্রতিবছর মাধ্যমিক, উচ্চা মাধ্যমিক এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের দরিদ্র এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন সহায়তা দেওয়া হয়।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তি–সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
এলডিসি দেশগুলোতে ডলার বরাদ্দের প্রস্তাবে সমর্থন চাইলো বাংলাদেশ
জলবায়ু সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের প্রস্তাবে সমর্থন জানাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) আজারবাইজানের বাকুতে কপ-২৯-এর চূড়ান্ত ফলাফলের বিষয়ে এলডিসি মন্ত্রী এবং ইইউ মন্ত্রীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকে অবশিষ্ট সমস্যার সমাধানে উভয় পক্ষের সহযোগিতার মাধ্যমে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সমতাভিত্তিক চুক্তি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি বলেন, অনেক সমস্যা এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। তিনি উভয় পক্ষকে একযোগে কাজ করার মাধ্যমে কপ২৯-এ একটি অর্থবহ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চুক্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বৈঠকে এলডিসি মন্ত্রীরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তাদের মূল অবস্থান তুলে ধরেন।
ইইউ মন্ত্রীরা এলডিসি দেশগুলোর উদ্বেগের বিষয়গুলো স্বীকার করেন এবং জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন, নির্গমন হ্রাস এবং গ্লোবাল স্টকটেক প্রক্রিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
অরবিসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশে চোখের যত্ন ও পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কাজ ও সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেরেক হডকির সাথে এক বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চোখের যত্নের সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে আরা অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হড, অরবিস ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডেরেক বাংলাদেশ সফর করছেন। এখন চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ চলছে। ডেরেকে গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীতে অধ্যাপক ইউনূসের সাথে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
অরবিস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় ডেরেকের সাথে ছিলেন। অরবিস প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টাকে ফ্লাইং আই হাসপাতালের একটি মডেল সংস্করণ উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ইউনূস এটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ডেরেক অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কাজ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবিহিত করেন। অরবিস ১৯৮২ সালে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি-সংরক্ষণ কর্মসূচি শুরু করেছিল। অরবিস গত ৩৯ বছর ধরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে।
ডেরেক বলেন, এই সময়ের মধ্যে, অরবিস এ পর্যন্ত কমিউনিটি আউটরিচ ইভেন্টে ৭.৮ মিলিয়নেরও বেশি চোখের স্ক্রিনিং পরিচালনা করেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি ব্যক্তিকে ওষুধ ও অপটিক্যাল চিকিৎসা প্রদান করেছে, ২৫৮,০০০টিরও বেশি চোখের সার্জারি করেছে এবং বাংলাদেশের ৪০ হাজারের বেশি লোককে চোখের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষিত করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে চক্ষু স্বাস্থ্য খাতে অরবিসের অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অরবিস এখন বাংলাদেশে ১১তম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ড. ইউনূস বলেন, আমি অরবিসকে ভালোবাসি। আমি ফ্লাইং আই হসপিটালকে ভালোবাসি। তিনি উল্লেখ করেন যে, অরবিস বাংলাদেশে চোখের স্বাস্থ্য খাতে ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম।
ডেরেক বলেন, অরবিস ব্যক্তি, পরিবার ও জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার জন্য বিশ্বব্যাপী ২ শতাধিক দেশ ও ভূখণ্ডে দৃষ্টি সংরক্ষণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ সম্পূর্ণভাবে পরিহারযোগ্য অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নিয়ে বসবাস করছে উল্লেখ করে ডেরেক বলেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অরবিস জোরদার ও টেকসই চোখের যত্ন ব্যবস্থা নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
অরবিস প্রেসিডেন্ট বলেন, অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করছে এবং প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ করছে।
তিনি বলেন, গত চার দশক ধরে অরবিস শিশুদের চোখের যত্ন, মাইক্রোসার্জারি, রেটিনাল সার্জারি, কর্নিয়ার রোগ, প্রিম্যাচুরিটি রেটিনোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় অংশীদারদের দক্ষতা ও জ্ঞানের উন্নতিতে সাহায্য করেছে।
ডেরেক এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে আরও অবিহিত করেন, অরবিস সারা দেশে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ৪২টি দৃষ্টি সেবা কেন্দ্র স্থাপন করে চোখের যত্নের সাথে জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করেছে; ১৭টি সেকেন্ডারি হাসপাতাল, চারটি তৃতীয় হাসপাতাল, দুটি ওয়েট ল্যাব, একটি মানসম্পন্ন রিসোর্স সেন্টার ও একটি ডিজিটাল ট্রেনিং হাব প্রতিষ্ঠা বা উন্নতিতে সহায়তা করেছে।
এছাড়া, অরবিস ৪০০টি কমিউনিটি ক্লিনিককে ভিশন স্ক্রিনিং টুলস দিয়ে সজ্জিত করেছে এবং শৈশব অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ, প্রিম্যাচুরিটি রেটিনোপ্যাথির স্ক্রিনিং ও ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্দেশিকা তৈরি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের সাথে হাবের মতবিনিময় সভা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সদস্যবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর এক হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ্জ) মোঃ মতিউল ইসলাম ও যুগ্মসচিব ড. মোঃ মঞ্জুরুল হক, ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল জলিল ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস। এ সময় ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান।
হজ্জ সংক্রান্ত ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা নিয়ে বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম মাহবুব মোরশেদ। এজেন্সী স্বত্বাধিকারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন আল কুতুব ট্রাভেলস-এর কুতুব উদ্দিন, আবাবিল হজ্জ গ্রুপের আলহাজ মোঃ আবু ইউসুফ, ইউরো এয়ার-এর মোঃ মাহমুদুর রহমান এবং চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস-এর সৈয়দ গোলাম সরওয়ার। সভায় অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোঃ জামাল উদ্দিন মজুমদারসহ ব্যাংকের ঊধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ ও হাব-এর সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ
শক্তিশালী ডিজিটাল অর্থনীতি বিনির্মাণে ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে টানা ৪র্থ বারের মতো ‘এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড ডিজিটাল বিজনেস ২০২৩-২৪’ অ্যাওয়ার্ড পেলো দেশের বৃহত্তম এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এবার ‘লিডিং বাই রেজিলিয়েন্স’ শিরোনামে আয়োজিত মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের ষষ্ঠ সংস্করণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক লেনদেনে অবদানের ভিত্তিতে ১৮টি ক্যাটাগরিতে ২৬টি বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হয়।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিকাশের চিফ কাস্টমার সার্ভিস অফিসার নিশাত রহমান। এ সময় মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, বিকাশ-এর হেড অফ ব্যাংকিং পার্টনারশিপ অ্যান্ড অপারেশনস আদনান কবির রকি এবং হেড অফ বিকাশ সেন্টার শাকের বিন খোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাহকসেবার উন্নয়ন এবং জরুরি আর্থিক সেবা দেশের প্রতিটি প্রান্তে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিয়মিত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন করে আসছে বিকাশ। নিরাপদ ও সময়সাশ্রয়ী এসব ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিয়ে গ্রাহকদের দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতাও এনেছে বিকাশ। আর তাই দেশের মানুষের কাছে ডিজিটাল অর্থ লেনদেনের সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে বিকাশ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সরকার নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না: রিজভী
অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। দিনমজুর-শ্রমিকদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান-অটো চালক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই আছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আগের মতোই আছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দিনমজুর-শ্রমিকদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে।
তবে দেশের মানুষকে কষ্টে রেখে উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এ সময় রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে হত্যার লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। আর শেখ হাসিনা হত্যাকাণ্ড চালিয়ে মায়াকান্নার অভিনয় করতেন।
এমআই