কর্পোরেট সংবাদ
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা নগদে, চিন্তামুক্ত অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা

মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫৪ লাখ অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। বিতরণ করা হবে দেশের অন্যতম সেরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মাধ্যমে। আগে থেকেই এর একটি বড় অংশ নগদের মাধ্যমেই এই সহায়তা পেয়ে আসছিল।
তবে এবার বিভিন্ন জায়গায় না রেখে সব শিক্ষার্থীরা আর্থিক সহায়তা এক জায়গায় করায় অসচ্ছল ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছেন।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্পের আওতায় এককালীন ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা পাবেন। এই টাকা পেতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন করেছেন। খুব দ্রুতই এর বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই ভাতা বিতরণ করা হলেও ভেতরে ভেতরে নানান বিশৃঙ্খলা থেকেই গিয়েছিল। সহায়তা বিতরণ প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা আনতে এবার শুধু মাত্র নগদের মাধ্যমে এটি বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মান্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
এতোদিন নগদসহ আরো কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এবং ব্যাংকের মাধ্যমেও বিতরণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এই সহায়তা। কিন্তু বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করতে গিয়ে তারা বেশ কিছু সমস্যায় পড়েন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, “সহায়তার অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ হচ্ছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষন এবং যাচাই বাছাই করাই আমাদের জন্যে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যে আমরা একটি প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিয়েছি। তাছাড়া গত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিক পর্যায়ের দেড় কোটির মতো শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি যেহেতু সফলবাবে নগদের মাধ্যমে বিতরণ হয়েছে সে কারণে আমাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়েছে।”
একদিকে শিক্ষার্থীরাও নগদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। গোপালগঞ্জের ওহাব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কামরান জানায়, এর আগে প্রাথমিক পর্যায়ে নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তি পেয়েছে সে। ফেলে নগদের ওপরে তার এক রকম বাড়তি আস্থা তৈরী হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, এর আগে তারা দেখেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফটওয়ার বিভিন্ন রকম হওয়ায় তারা তাদের মতো করে বিভিন্ন পন্থায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তার এই অর্থ বিতরণ করে থাকেন। আর একেক প্রতিষ্ঠান একেক পদ্ধতিতে কাজটি করায় তাদের জন্যে এ এক বড় সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যেই নগদের স্মরণাপন্ন হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
অন্যদিকে আবার গ্রাহক সংখ্যায় নগদ এখন দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে নয় কোটির ওপর নিবন্ধিত গ্রাহক আছে তাদের। সারা দেশে রয়েছে পৌনে তিন লাখ এজেন্ট পয়েন্ট। ফলে যে কোনো জায়গা থেকে যে কোনো সময় টাকা উত্তোলন করাও সম্ভব। এ কারণেই সরকার তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা বিতরণে পছন্দ করে থাকতে পারে বলে জানান নগদের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
“গত কয়েক বছরে সরকারের ভাতা ও সহায়তা বিতরণ পক্রিয়াকে আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে এনেছি। আমাদের ধারে কাছেও এখন আর কেউ নেই। এ কারণেই হয়তো সরকারি সংস্থাগুলো নগদের সেবাই বারবার নিতে চাইছে,” বলেন নগদের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন জাহিদুল ইসলাম সজল।
“প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সহায়তা বিতরণ একটি স্পর্শকাতর প্রকল্প। সেটিও নগদকে বেছে নেওয়ার কারণ হতে পারে। আর নগদের খরচ তো সব সময়ই অনেক কম। এসবই নগদকে সব সময় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখে,” বলেন তিনি।
এর আগে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, ট্রাস্ট থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৪ সালে মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ে ভর্তিকৃত ও অধ্যয়নরত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তি–সহায়তা দেওয়া হবে। ভর্তি–সহায়তা পেতে তখন শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে অবেদন করতে বলা হয়।
এই সহায়তা পাওয়ার জন্যে মা–বাবা বা অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকার কম হতে হবে। তাছাড়া সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীর সন্তানেরাও আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে।
ভর্তি–সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের ছবি, স্বাক্ষর, জন্মনিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ থাকতে হবে।
এর আগে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়। সেখান থেকেই প্রতিবছর মাধ্যমিক, উচ্চা মাধ্যমিক এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের দরিদ্র এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন সহায়তা দেওয়া হয়।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তি–সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের রংপুর ও বগুড়া জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির রংপুর ও বগুড়া জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) ব্যাংকের রংপুর জোনাল অফিস কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন। রংপুর জোনপ্রধান মো. মতিয়ুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বগুড়া জোনপ্রধান শিকদার মো. শিহাবুদ্দীন। সম্মেলনে জোনদ্বয়ের অধীন শাখাসমূহের প্রধান ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের কুমিল্লা জোনে টাউন হল মিটিং

এনআরবিসি ব্যাংকের কুমিল্লা জোনে টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ফেনীর একটি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়। টাউন হল মিটিংয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশীদ, কুমিল্লা জোনাল হেড কাজী মোহাম্মদ জিয়াউল করীমসহ শাখা-উপশাখাগুলোর সকলস্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ফেনীর সমন্বয়ে গঠিত কুমিল্লা জোনের বিদ্যমান শ্রেণিকৃত ঋণ ৫ শতাংশ থেকে শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়মনীতির অনুসরণ, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে ঋণশৃঙ্খলা অনুসরণের মাধ্যমে গুণগত মানসম্পন্ন সম্পদ বাড়াতে হবে। ঋণ আদায় বাড়াতে প্রয়োজনীয় আইনগত পদ্ধতির প্রয়োগ করতে হবে। এতে কর্পোরেট সুশাসন ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত হবে এবং সাথে সাথে ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সূচকে অগ্রগতি হবে।
এছাড়া তিনি সুদবিহীন ও স্বল্প সুদের আমানতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে তহবিল ব্যয় কমিয়ে আনা এবং সিএমএসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত আমাদের ব্যাংকের বিপুল সংখ্যক শাখা-উপশাখা রয়েছে। কুমিল্লায় বড় শিল্পের পাশাপাশি অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) রয়েছে। এছাড়া মৎস্যচাষ ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের দ্রæত প্রসার ঘটছে কুমিল্লাতে। এই অঞ্চলের শাখা ও উপশাখাগুলোর মাধ্যমে এসবখাতের উন্নয়নে সার্বিক সেবা কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে। বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের তাদের প্রয়োজন বিবেচনা করে ব্যাংকিং সেবা বিস্তার ঘটাতে হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
এবি ব্যাংকে এএমএল ও সিএফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম

এবি ব্যাংক পিএলসি এএমএল এবং সিএফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউর পরিচালক মো. মফিজুর রহমান খান চৌধুরী এবং অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে এবি ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান কাইজার এ. চৌধুরী, পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যবৃন্দ এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ সিনিয়র ম্যানেজমেন্টের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক নোয়াখালী জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাংকের নোয়াখালী জোনাল অফিস কনফারেন্স হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান মো. আনোয়ার হোসেন।
ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাকসুদুর রহমান এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিসুল হক।
সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
গ্রাহক সেবা বাড়াতে বাংলালিংক ও বিকাশের চুক্তি

উন্নত ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধিতে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের সাথে এক কৌশলগত অংশীদারিত্ব করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক। এ অংশীদারিত্বের ফলে, গ্রাহকেরা এখন বিকাশের মাধ্যমে এসএমএস-ভিত্তিক সমাধান, ডেটা প্যাকেজ সেবা ও সহজ পেমেন্ট সুবিধা উপভোগ করবেন।
সম্প্রতি, রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার’স ডেন’ -এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশজুড়ে সবার কাছে ডিজিটাল সুবিধা পৌঁছে দেয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই দুই সেবাখাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান দু’টি নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে যাবে।
এ অংশীদারিত্বের ফলে দু’টি প্রতিষ্ঠান সেবার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করা ও দ্রুত লেনদেন সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ডিজিটাল সুবিধাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির প্রসারে সম্মিলিতভাবে কাজ করেবে, যা দেশের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে আরও বেশি গ্রাহককেন্দ্রিক, সহজ ও স্মার্ট সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলালিংক ও বিকাশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
এবিষয়ে বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, দেশে ডিজিটাল উদ্ভাবনে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে, আমরা উন্নত আইসিটি সমাধান ও নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সেবার মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিকাশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব, গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং দেশজুড়ে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ যৌথ লক্ষ্যেরই প্রতিফলন। বাংলালিংকের ডিজিটাল সেবাদানে অভিজ্ঞতা এবং বিকাশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সল্যুশনে দক্ষতাকে একত্রিত করে আমরা ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বেশি চাহিদা পূরণে এবং একটি আরও আধুনিকবাংলাদেশ গঠনে অর্থবহ অবদান রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিকাশের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর বলেন, একটি গ্রাহককেন্দ্রিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকাশ বিশ্বাস করে, এই ধরণের অংশীদারিত্ব দীর্ঘমেয়াদে গ্রাহকদের জন্য ইতিবাচক অবদান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালক করে। বাংলালিংকের মতো অংশীদারদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আস্থার পরিবেশ গড়ে তুলব, যেখানে গ্রাহকরা নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা উপভোগ করবেন এবং সহজ আর্থিক সমাধান উপভোগ করবেন, যা তাদের জীবনকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তারা বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রাহককেন্দ্রিক করার বিষয়ে ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এন্টারপ্রাইজ বিজনেস ডিরেক্টর রুবাইয়াত এ. তানজিন; হেড অব কি সেগমেন্ট সাদ মোহাম্মদ ফাইজুল করিম; হেড অব সেলস প্ল্যানিং অ্যান্ড অপারেশনস মোহাম্মদ আহাসুন হাবিব; কর্পোরেট গ্রুপ ম্যানেজার এস. এম. ফাহাদুজ্জামান এবং কর্পোরেট অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার এস. এম. রাশেদুজ্জাহান।
বিকাশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ; ইভিপি ও হেড অব সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট মোহাম্মদ রাশেদুল আলম; টেকনোলজি ও জেনারেল প্রোকিউরমেন্ট বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল বিন রায়হান; এসসি গভর্নেন্স অ্যান্ড কন্ট্র্যাক্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার মশিউর রহমান; এবং এসসি গভর্নেন্স অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার তানজিদ হাসান ফাহিম।