অর্থনীতি
সম্পদের সীমাবদ্ধতায় অপরিহার্য না হলে দেশীয় অর্থায়নে প্রকল্প নয়

সম্পদের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় রেখে একান্ত অপরিহার্য এবং উচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত না হলে দেশীয় অর্থায়নে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। এমনকি সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব সাধারণভাবে পরিহার করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি)। এনইসি সভায় এটাসহ মোট ১৫টি নির্দেশনা জারি করেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এনইসি সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
এনইসি সভা জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিতে অননুমোদিত নতুন প্রকল্পসমূহ আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য নতুনভাবে প্রস্তাব প্রেরণ করতে হবে এবং আরএডিপিতে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প সংখ্যা সীমিত রাখার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জাতীয় গুরুত্ব বিবেচনায় বিশেষ প্রয়োজনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপি বহির্ভূত অন্য প্রকল্পের প্রস্তাবও প্রেরণ করা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিশেষ করে দারিদ্র নিরসন, কর্মসংস্থান সৃজন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন, জেন্ডার সংবেদনশীলতা, আয় বৈষম্য হাস, সামাজিক সুরক্ষা, ঝুঁকি সচেতনতা বৃদ্ধি, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রকল্প কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা বিভাগ থেকে জারিকৃত গ্রিন ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ডেভলপমেন্ট গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বৈশ্বিক তহবিল থেকে অর্থায়ন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যে সব প্রকল্প প্রতিবেশগত সঙ্কটাপূর্ণ এলাকায় বাস্তবায়ন হবে সেসব প্রকল্পের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-১৯৯৭ (সংশোধনীসহ) এবং প্রতিবেশগত সঙ্কটাপূর্ণ এলাকা বিধিমালা, ২০১৬ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন প্রকল্প নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় চিহ্নিত প্রকল্পকে সম্পদ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রসমূহ অর্জন অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন প্রকল্প আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করতে হবে। যেসব বিনিয়োগ প্রকল্পের সম্ভাব্য সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে সেসব প্রকল্প নতুন অননুমোদিত প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
সে ক্ষেত্রে সমীক্ষা প্রতিবেদনের সার-সংক্ষেপ ও সুপারিশ প্রকল্প প্রস্তাবের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সংযুক্ত করতে হবে। বেসরকারি উদ্যোগে বাস্তবায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে এমন প্রকল্প আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পরিহার করতে হবে। সীমিত সম্পদের সুষ্ঠু বাস্তবভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে আবশ্যিকভাবে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায় মন্ত্রণালয় বিভাগের জন্য নির্ধারিত প্রাক্কলন প্রক্ষেপণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
যেসব বিনিয়োগ প্রকল্পে সরকারের অর্থায়নের পাশাপাশি সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নের সংস্থান থাকবে সেসব প্রকল্প নতুন অননুমোদিত প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান নির্মাণ বা প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে বিদ্যমান একই প্রকৃতির প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মক্ষমতা, কার্যকারিতা ও ভৌগোলিক অবস্থানসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়াদি পর্যালোচনাপূর্বক যৌক্তিকতা বিবেচনায় প্রকল্প প্রস্তাব করতে হবে।
গত বছরের ১ মার্চ অনুষ্ঠিত এনইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জিও-এনজিও যৌথ উদ্যোগে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব করা যাবে না। এছাড়া জিও-এনজিও যৌথ উদ্যোগে উদ্বুদ্ধকরণ/সচেতনতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। তাছাড়া, অননুমোদিত নতুন প্রকল্প প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
এডিপিতে যেসব অননুমোদিত নতুন প্রকল্পের প্রকল্প দলিল অনুমোদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ এর মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনের সেক্টর বিভাগে পাওয়া যাবে শুধুমাত্র সেসব প্রকল্প আরএডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা যাবে।
যেসব প্রকল্পের প্রকল্প দলিল পরিকল্পনা কমিশনের সেক্টর বিভাগে পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়-বিভাগে ফেরত দেওয়া হয়েছে ওই সব প্রকল্পের প্রকল্প দলিল পরিকল্পনা কমিশনে পাওয়া যায়নি মর্মে বিবেচিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

ঈদের ছুটি শেষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে বন্দরটির আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হওয়ার বিষয়টি জানান সোনা মসজিদ স্থলবন্দর পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম।
তিনি জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। আজকে ঈদের ছুটি শেষে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যথারীতি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে।
সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশন ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) মো. জামিরুল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটিতে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মার্কিন শুল্কারোপের প্রভাব সামাল দেয়া কঠিন নয়: অর্থ উপদেষ্টা

ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে বালাদেশি পণ্য প্রবেশের ওপর যে শুল্ক আরোপ করেছে, সেটি সামলে নেয়া খুব বেশি কঠিন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে নেগোসিয়েশনের (সমঝোতা) উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভালো কিছু হবে বলে আশাবাদী।
রোববার (৬ এপ্রিল) ঈদ উপলক্ষে টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবসে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রমজান ও ঈদে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা গেছে, মানুষ স্বস্তি পেয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালোর দিকে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, রিজার্ভ বেড়েছে। এবার ঈদে পণ্যের দাম কম ছিল। ঈদ ভালো কেটেছে।
এত দিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। ২ এপ্রিল নতুন করে আরও ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই শুল্কের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বড় বাজারটিতে পণ্য রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বড় ধাক্কার আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকেরা। বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির ১৮ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক বসিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় দুনিয়াজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের এই ঘোষণা নিয়ে বিবিসি, সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমসসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিশ্বনেতাদের ক্রিয়া–প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা। অস্ট্রেলিয়া বলেছে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বন্ধুসুলভ নয়। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, নিঃসন্দেহে এই ঘটনার অর্থনৈতিক প্রভাব অনুভূত হবে। চীন বলেছে, তারা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেবে। অর্থাৎ ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের জবাবে তারাও পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে। বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট, ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করে দিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আইএমএফের সঙ্গে বৈঠক শুরু আজ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ২৩৯ কোটি ডলার কিস্তির অর্থ পাবে বাংলাদেশ। আর এই অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পর্যালোচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধিদল গতকাল (০৫ এপ্রিল) ঢাকায় এসেছে। প্রতিনিধিদলটি ৬ এপ্রিল থেকে টানা দুই সপ্তাহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এ সফরে আইএমএফের দলটির সঙ্গে অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে ১৭ এপ্রিল প্রেস ব্রিফিং করবে সফররত আইএমএফের দল। দলটি প্রথম দিন ৬ এপ্রিল এবং শেষ দিন ১৭ এপ্রিল বৈঠক করবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পায়। একই বছরের ডিসেম্বরে পেয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে।
সম্প্রতি এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেট সহায়তার জন্যই আইএমএফের ঋণ লাগবে। এ কারণেই বাংলাদেশ সরকার ও আইএমএফ যৌথভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত দুটি কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পেতে বাংলাদেশের সামনে মোটাদাগে তিনটি বাধা রয়েছে। এগুলো হলো মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তি রাজস্ব আদায় ও এনবিআরের রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইএমএফকে জানানো হয়েছে, এসব শর্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করার পদক্ষেপ ছাড়া বাকি দুটির বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই। তবে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে। যার কারণে হঠাৎ ডলারের দাম খুব বেশি বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ পদ্ধতিতে ডলারের দাম ১২২ টাকায় স্থিতিশীল আছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদের ছুটি শেষে আজ খুলেছে ব্যাংক-বিমা-পুঁজিবাজার

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের দীর্ঘ ছুটি শেষে আজ রোববার (৬ এপ্রিল) খুলেছে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারবাজারসহ সব ধরনের অফিস। রমজান মাস শেষে এসব প্রতিষ্ঠানের অফিস ও লেনদেনের সময়সূচি আবার আগের অবস্থায় ফিরেছে।
এর আগে গত ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজারের সর্বশেষ কার্যদিবসের লেনদেন হয়। এরপর পবিত্র ঈদুল ফিতর, বিশেষ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে শনিবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত বন্ধ থাকে কার্যক্রম।
ছুটি শেষে আজ থেকে ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ব্যাংকের অফিস সূচি হবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা হবে। তবে রমজান মাসে ব্যাংক লেনদেন হয়েছিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। আর ব্যাংক খোলা ছিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে, রমজানে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে সকাল ১০ থেকে দুপুর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। আর ১টা ৪০ মিনিট থেকে ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ১০ মিনিট পোস্ট ক্লোজিং সেশন ছিল।
তবে ঈদের ছুটি শেষে রোববার থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হবে সকাল ১০টায়, যা চলবে দুপুর ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। নিয়মিত লেনদেন শেষে ১০ মিনিট অর্থাৎ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পোস্ট ক্লোজিং সেশন থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ পালিত হয় মুসলমান ধর্মালম্বীদের বৃহৎ উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে গত ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল নির্ধারিত হয় সরকারি ছুটি। এর সঙ্গে নির্বাহী আদেশে ৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পাশাপাশি যুক্ত হয় ২৮ ও ২৯ মার্চ এবং ৪ ও ৫ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটি। সব মিলিয়ে এবার টানা ৯ দিনের ছুটি কাটালেন বেশিরভাগ কর্মজীবীরা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ছুটি শেষে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

ঈদ উপলক্ষে টানা আট দিনের ছুটি শেষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। শনিবার (৫ এপ্রিল) সকালে থেকে দেশের অন্যতম এই স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়।
ছুটি চলাকালীন ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।
বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ দুপুর থেকেই শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। ফলে বন্দর এলাকায় দেখা দিয়েছে যানজট। বেনাপোলের মতোই পেট্রাপোল বন্দরেও যানজট রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ইব্রাহিম আহম্মেদ জানান, ঈদে টানা আটদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। ভারত-বাংলাদেশ ভিসা কার্যক্রম সীমিত থাকায় এ সময় যাত্রীদের চাপ ছিল না। যাতায়াতকৃত যাত্রীদের যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছিল।
আমদানি-রপ্তানি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে পুনরায় এ স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি।