অর্থনীতি
এনইসিতে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার আরএডিপি অনুমোদন

চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) আকার ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে দুই লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় আরএডিপি অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
সভা শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল সালাম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহিদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার।
পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম জানান, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) আকার ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মূল এডিপি ছিল দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক অংশে কমছে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর সরকারের অংশে কমছে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। মূল এডিপিতে যেখানে এক হাজার ৩৪০টি প্রকল্প ছিল, তা সংশোধিত এডিপিতে বাড়িয়ে এক হাজার ৫৮০টি করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। এগুলো হলো দারিদ্র্য বিমোচনমূলক প্রকল্প, সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্প এবং বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্প। এ ছাড়া পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নগর ও পল্লী অবকাঠামো, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের প্রকল্প অগ্রাধিকার পেয়েছে। আরএডিপিতে নতুন প্রকল্প নেওয়ার চেয়ে চলমান প্রকল্প শেষ করার ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতি
ব্যাংকিং খাতে দক্ষ এমডির চরম সংকট: গভর্নর

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খুঁজে পাওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে ফিন্যানশিয়াল এক্সিলেন্স লিমিটেডের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ভালো মানের এমডি পাওয়া এখন বড় সমস্যা। এমনকি ভালো হেড অব ডিপার্টমেন্ট খুঁজে পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।
সেটা করপোরেট বিভাগ হোক বা কনজিউমার বিভাগ—প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষ জনবলের ঘাটতি স্পষ্ট।’
গভর্নর আরো বলেন, ‘প্রোপার নলেজ ও প্রোপার ট্রেনিংপ্রাপ্ত এমডি আমরা পাচ্ছি না। এটা ব্যাংকিং খাতের জন্য এক ধরনের ব্যর্থতা। ফলে সামনে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ আরো বাড়বে।’
ডিজিটাল ব্যাংকিং প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা যখন ডিজিটাল ব্যাংকিং ও আধুনিক প্রশাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি, তখন প্রতিটি সেক্টরে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক এখনো ভারতীয় কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের ওপর নির্ভর করছে। বাংলাদেশে এখনো নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি সম্ভব হয়নি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থনীতিবিদ ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানসিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কারণ প্রশিক্ষিত কিন্তু মানসিকভাবে সঠিকভাবে প্রস্তুত নয়, এমন জনবল অনেক সময় অপ্রশিক্ষিত জনবলের চেয়েও বেশি ক্ষতি করতে পারে। আগামী ৪-৫ মাসে আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
অর্থনীতি
সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ : নৌ উপদেষ্টা

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন সংস্থা (আইএমও) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ডে প্যারালাল ইভেন্ট-২০২৫’-এর প্যানেল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, কূটনীতিক, নৌপরিবহন খাতের বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা অংশগ্রহণ করেন। আগামী বছর অনুষ্ঠানটি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত হবে।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ‘টেকসই সমুদ্রের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির বিভিন্ন কৌশল ও উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে এ প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
ড. সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনা, নৌপরিবহন খাতে দক্ষ জনশক্তি উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্যানেল ও বৈঠকের পাশাপাশি উপদেষ্টা অন্যান্য দেশের প্রতিনিধি ও কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাতের অর্জন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে সদস্য পদে বাংলাদেশের পক্ষে সদস্য দেশগুলোর সমর্থন কামনা করেন।
এ ধরনের আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে নৌপরিবহন খাতে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে এবং আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণে বাংলাদেশের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অর্থনীতি
দুর্গাপূজার ছুটি শেষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

শারদীয় দুর্গাপূজায় টানা ৬ দিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
দুপুরে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশের মধ্যে দিয়ে এই কার্যক্রমের শুরু হয়। আমদানি-রপ্তানি শুরুর ফলে বন্দরের অভ্যন্তরে শ্রমিকদের মাঝে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্যতা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহীন।
তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিলো। টানা ছুটি শেষে আজ শনিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দরের সকল শাখা খুলেছে এবং বেলা সাড়ে ১২ টার পর থেকে ভারত হতে পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। এতে করে সকল প্রকার কার্যক্রম স্বাববিক হয়েছে।
এদিকে আমদানিকৃত সকল প্রকার পণ্য দ্রুত খালাসপূর্বক দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে ব্যবসায়ীদের সকল প্রকার সহযোগিতা করছে হিলি কাস্টমস।
অর্থনীতি
বেড়েছে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ, মাছ-মাংসের বাজার ঊর্ধ্বমুখী

কয়েকদিনের বৃষ্টিকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বাড়িয়েছে কাঁচা মরিচসহ সব ধরনের সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজি কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছে। কিন্তু খুচরা বাজারে সবজির কোনো সংকট নেই। পাশাপাশি খুচরা পর্যায়ে সাত দিনের ব্যবধানে ভোজ্যতেল ও মসুর ডালের দামও বাড়ানো হয়েছে। অসহনীয় মাছ-মাংসের দামও। ফলে এসব পণ্য কিনতে এসে ক্রেতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ৬০-৭০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি ঝিঙা বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা, যা আগে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সিম ২০০ টাকা, উস্তা ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া প্রতি কেজি কচুমুখী ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, শসার কেজি ৬০-৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সঙ্গে প্রতি পিস ফুলকপি ৫০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।
রাজধানীর নয়াবাজারে সবজি কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন, বৃষ্টি হলেই বিক্রেতারা সবজির দাম বাড়িয়ে দেয়। এটা স্বাভাবিক যে বৃষ্টির কারণে সবজি নষ্ট হয়। পরিবহণেও ঝামেলা হয়। এতে সরবরাহ কমে। তবে বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত। কিন্তু বিক্রেতারা বৃষ্টির অজুহাতে সরবরাহ কম বলে বাড়তি দামে বিক্রি করছে। যা কোনোভাবেই ঠিক নয়।
একই বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল আমিন বলেন, আড়তে সবজির সরবরাহ কমেছে। আড়ত পর্যায়ে দাম বাড়ায় আমাদের বাড়তি দরে কিনতে হয়েছে। বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামেই। বৃষ্টি এমন চলতে থাকলে দাম আরও কিছুটা বাড়তে পারে।
এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল ও ডালের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ব্র্যান্ড ভেদে ৩৮০-৩৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা সাত দিন আগেও ৩৭৫-৩৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে পাম তেলের দামও। লিটারপ্রতি পাম তেল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা। যা আগে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সঙ্গে মাঝারি দানার প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। যা সাত দিন আগে সর্বনিম্ন ১১০ টাকায় পাওয়া গেছে।
এছাড়া ছোট দানার প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম গিয়ে ঠেকেছে ১৫০-১৬০ টাকা। যা এক মাস আগেও ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাসের ব্যবধানে এই পণ্যের দাম সর্বোচ্চ কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আর বড় দানার মসুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা।
রাজধানীর কাওরান বাজারে মুদি পণ্য কিনতে আসা নাজমুল বলেন, মিডিয়ায় দেখেছি তেল কোম্পানিগুলো তেলের দাম বাড়াতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে। কিন্তু সরকার দাম বাড়ায়নি। তারপরও দোকানে এসে দেখি বিক্রেতারা তেলের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। সঙ্গে ডালের দামও বাড়ছে হু হু করে। দেখার যেন কেউ নেই।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। যা সাত দিন আগেও ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। যা আগে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা। আর খাসির মাংসে কেজিপ্রতি ১১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।
খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৩০০-২৫০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকা। আর ছোট আকারের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা ও চিংড়ি কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অর্থনীতি
কাঁচা মরিচের দাম ফের ৩০০ টাকা ছাড়ালো

কাঁচা মরিচের দাম আবার ৩০০ টাকা ছাড়াল। খুচরা বাজারে এখন এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৩২০ টাকার আশপাশে। অবশ্য সাধারণ ক্রেতারা একসঙ্গে এক কেজি কাঁচা মরিচ কেনেন না। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনতে তাঁদের অন্তত ৭৫-৮০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
পাঁচ দিন আগেও এক কেজি মরিচের দাম ছিল ২০০-২২০ টাকা। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে প্রতি কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১০০-১২০ টাকা করে। গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার, বিজয় সরণিসংলগ্ন কলমিলতা বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে কাঁচা মরিচের দামের এ তথ্য জানা গেছে।
মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ১৫টির মতো সবজির দোকান রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই বাজারে গিয়ে দেখা গেল, কোনো সবজির দোকানেই ৩২০ টাকা কেজির নিচে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে না। আর মান একটু ভালো হলে সেই দাম আরেকটু বেশি রাখা হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত তিন দিনে দেশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রায় একই সময়ে পূজার ছুটিতে পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেছে। এতে সব মিলিয়ে বাজারে কাঁচা মরিচসহ সবজির সরবরাহ কমেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।
শুধু কাঁচা মরিচ নয়; বাজারে বেশির ভাগ সবজির দামও বাড়তি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা করে বেড়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাছ, মুরগি, ডাল ও চালের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন এক কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকায়, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ১০০ টাকার আশপাশে। আর ছয়-সাত দিন আগে ধরনভেদে এক কেজি বেগুন ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, যা আজ বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ১২০-১৪০ টাকায়। যদিও সবচেয়ে চড়া দাম তাল বেগুনের; কেজি ২২০ টাকার ওপরে।
অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা করে বেড়েছে। দাম বাড়ার পরে পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দুল, লাউ প্রভৃতি সবজি ৭০-৮০ টাকায় এবং কাঁকরোল, করলা, ঢ্যাঁড়স, বরবটি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ৭০-৮০ টাকার নিচে তেমন কোনো সবজি কেনা যাচ্ছে না। টাউন হল বাজার ও কলমিলতা বাজার ঘুরেও কাছাকাছি দাম দেখা গেছে। অবশ্য কারওয়ান বাজারে এসব পণ্যের দাম কিছুটা কম থাকে।
কৃষি মার্কেটের সবজি বিক্রেতা আব্বাস আকন্দ জানান, বর্তমানে বাজারে দেশে উৎপাদিত কাঁচা মরিচ ও টমেটো নেই বললেই চলে। যেসব কাঁচা মরিচ ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে, তার প্রায় পুরোটাই ভারত থেকে আমদানি করা। কিন্তু পূজার ছুটির কারণে এসব পণ্যের আমদানি কমেছে। অন্যদিকে দুই-তিন দিন বৃষ্টির কারণে দেশীয় সবজির সরবরাহও কিছুটা কম। এসব কারণে সবজির দাম এতটা চড়া।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সাইয়েদ হুদা বলেন, সবজির দামে কোনো লাগাম নেই। তিন-চার পদের সবজি কিনলেই ৪০০ টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে।