কর্পোরেট সংবাদ
আর্থিক প্রতারণা ঠেকাতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ব্র্যাকের প্রশিক্ষণ

শেষ হলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এফসিসি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামের প্রথম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েশন। দেশের আর্থিক খাতে অপরাধ ঠেকাতে এ বছরের শুরুতে প্রথম এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর্থিক অপরাধ ও কমপ্লায়েন্সের (এফসিসি) বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রোগ্রামটি চালু করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্প্রতি ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয়ে এফসিসি কোর্চের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নাসের এজাজ বিজয় এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মাহবুব রহমান ও বিজনেস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মুজিবুল হকসহ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রোগ্রামটিতে পেশাগত উন্নয়ন এবং আর্থিক অপরাধ ও কমপ্লায়েন্স (এফসিসি) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। প্রতারণামূলক আর্থিক ক্রিয়াকলাপ, প্রতারণামূলক কর্মকান্ড এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনাও এই কোর্সের অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাশাপাশি এ খাতে যথাযথ কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণ ও ব্যবস্থাপনার মত বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কোর্সটি বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে খুবই যুগোপযোগী। প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেনের কারণে বছরে শতশত কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সরকার, ব্যাংক, জনগন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই কোর্সে অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন এবং কর্মকান্ড ঠেকানো সম্ভব হবে। এর ফলে সরকার, ব্যাংক এবং সার্বিকভাবে জনগণের উপকার হবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মাহবুব রহমান বলেন, টেকসই আর্থিক খাত তৈরি করতে হলে নৈতিকতা শিক্ষা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এফসিসি সার্টিফিকেট কোর্সটি অ্যাকাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে একটি শক্তিশালী সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস। আশাকরি সরকারসহ সবার সহযোগিতায় আর্থিক খাতে অনিয়ম দূর হবে।
আর্থিক অপরাধ ও কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত জ্ঞান শিক্ষার্থীদের পেশাগত জীবনকে এগিয়ে রাখবে বলে মন্তব্য করেন ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মুজিবুল হক। তিনি বলেন, ‘এই কোর্সটি অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রেখেছে, যা আর্থিক অপরাধগুলিকে আরো ভালোভাবে চিহ্নিত করতে এবং এর প্রতিরোধে তাদের সাহায্য করবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে এই কোর্সে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। কোর্সটি তাদের অ্যাকাডেমিক যাত্রায় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোর্স হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এই কোর্সের অভিজ্ঞতা তাদের পেশাজীবনে কাজে লাগবে বলে মন্তব্য করেন।

কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ অ্যাপেই এখন পাওয়া যাচ্ছে রেমিটেন্স স্টেটমেন্ট

প্রবাসীদের প্রিয়জনের সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে বিকাশ অ্যাপে এবার যুক্ত হয়েছে ‘রেমিটেন্স স্টেটমেন্ট’ সেবা। নতুন যুক্ত হওয়া এই ফিচারের মাধ্যমে এখন গ্রাহক যেকোনো সময় তাঁর প্রয়োজনমত রেমিটেন্স স্টেটমেন্ট নিতে পারবেন যা অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করা রেমিটেন্সের রেকর্ড রাখবে। ফলে, তাঁর আর্থিক ব্যবস্থাপনা হবে আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রেও এই স্টেটমেন্ট কাজে লাগবে।
বিকাশ অ্যাপের রেমিটেন্স আইকনে তিনটি ট্যাব যুক্ত আছে- দেশ অনুযায়ী অপারেটর, রেমিটেন্স স্টেটমেন্ট এবং রিসিট। স্টেটমেন্ট অংশে ট্যাপ করে গ্রাহক রেমিটেন্স স্টেটমেন্ট নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। চাইলে ৩০ দিন, ১৮০ দিন, কর-বছর বা নিজের পছন্দমত তারিখ অনুসারে রেমিটেন্সের স্টেটমেন্টের জন্য রিকুয়েস্ট করা যাবে। দিনে ২ বার ও মাসে সর্বোচ্চ ৫ বার এই রিকুয়েস্ট করা যাবে। রিকুয়েস্ট জমা দেয়ার পর সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার মধ্যে স্টেটমেন্ট পেয়ে যাবেন গ্রাহক। স্টেটমেন্ট তৈরি হলে অ্যাপে নোটিফিকেশনও পাবেন গ্রাহক। এরপর ডাউনলোড করে স্টেটমেন্ট টি ব্যবহার করতে পারবেন। গ্রাহক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে স্টেটমেন্টটিকে পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। গ্রাহক রেমিটেন্স স্টেটমেন্টটি পাবেন বিনামূল্যে।
রেমিটেন্স গ্রহীতার নাম, বিকাশ নম্বর, গ্রহীতার ধরন, স্টেটমেন্টের এর সময়সীমা, এবং ইস্যু ডেট থাকবে স্টেটমেন্টের উপরের অংশে এবং নিচের অংশে মোট রেমিটেন্সের সংখ্যা এবং পরিমান থাকবে গ্রাহকের সুবিধার জন্য।
অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের মত পরের অংশ প্রতিটি লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে-শুরুতে রেমিটেন্স গ্রহণের সময় এবং তারিখ, যে দেশ থেকে পাঠানো হয়েছে সে দেশের নাম, সেটেলমেন্ট ব্যাংকের নাম, মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানের নাম এবং পাঠানো রেমিটেন্সের সমপরিমান টাকার অংক লেখা থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসা সব রেমিটেন্সেরই বিস্তারিত তারিখ অনুসারে স্টেটমেন্টে যুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত দেশে থাকা প্রিয়জনের ৪০ লাখেরও বেশি বিকাশ অ্যাকাউন্টে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রবাসীর পাঠানো রেমিটেন্স সবচেয়ে সহজে তাঁর প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে দিতে ধারাবাহিকভাবে নানা সুবিধা যুক্ত করে চলেছে বিকাশ। দেশে থাকা পরিবারের জীবন-মান উন্নয়নের পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিটেন্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করে দেশের অর্থনীতিকেও গতিশীল করছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে ১১০টি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরের (এমটিও) মাধ্যমে দেশের ২৫টি শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকে সেটলমেন্ট হয়ে রেমিট্যান্স পৌঁছাচ্ছে বিকাশ অ্যাকাউন্টে। এ ছাড়া বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বিকাশ।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
এবি ব্যাংকের ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা

এবি ব্যাংক পিএলসির ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাইজার এ. চৌধুরী। এছাড়া এতে ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ শেয়ারহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন।
এতে সাজির আহমেদকে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে পুনঃনির্বাচিত এবং ড. নাসিমা এ. রহমানকে ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন করা হয়। এতে পরিচালক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন-২০২৪ গৃহীত হয়।
এছাড়াও, ২০২৫ সালের জন্য এমএম রহমান এন্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক এবং এস এফ আহমেদ এন্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে কর্পোরেট গভর্নেন্স কমপ্লায়েন্স নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক হিসাবে এ বছর এবি ব্যাংক ব্যাংকিং কার্যক্রমের ৪৩ বছর পূর্ণ করেছে। সভায় ব্যাংকের এই চার দশকের সঙ্গী সকল নীতিনির্ধারক, শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ, আমানতকারী, গ্রাহক এবং পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের নবনিযুক্ত এমডির সঙ্গে মতবিনিময় সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নবনিযুক্ত ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (এমডি) মো. ওমর ফারুক খাঁন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, জোন ও শাখা প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
সোমবার (৪ আগস্ট) হাইব্রিড সিস্টেমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান ও মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম। এসময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টরবৃন্দ, প্রধান কার্যালয়ের উইং ও ডিভিশন প্রধান, ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ, ১৬টি জোনের জোনপ্রধান, ৪০০টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ এবং ২৭১টি উপশাখার ইনচার্জগণ অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. ওমর ফারুক খাঁন বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের বৃহত্তম ব্যাংক এবং সামগ্রিক অর্থনীতির মেরুদন্ড হিসেবে বিবেচিত। দেশের মানুষের অবিরাম আস্থার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে এ আস্থার কিছু ঘাটতি হলেও নতুন বাংলাদেশে তা ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি ব্যাংকের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণে সার্বিক প্রচেষ্টা চালাতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। তিনি ইসলামী ব্যাংককে একটি আধুনিক এবং স্মার্ট ব্যাংক হিসেবে গড়ে তুলতে সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্পোরেট সংবাদ
রেমিট্যান্স গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন জেলায় ব্র্যাক ব্যাংকের নানা আয়োজন

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় রেমিট্যান্স গ্রাহকদের নিয়ে একাধিক গ্রাহক-সম্পৃক্ততা সেশনের আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, চাঁদপুর, সিলেট এবং কুমিল্লার মতো রেমিট্যান্স-নির্ভর জেলাগুলোতে আয়োজিত এই সেশনের লক্ষ্য ছিল, রেমিট্যান্সের ব্যবহার ও বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো নিয়ে রেমিটেন্স গ্রহীতাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শের পাশাপাশি ব্যাংকটির প্রবাসী ব্যাংকিং সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো।
‘উঠান বৈঠক’ ও ব্রাঞ্চ লেভেলে আয়োজিত এই সেশনগুলোতে বিদ্যমান ও সম্ভাব্য রেমিট্যান্স গ্রাহকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সেশনে অংশগ্রহণকারীদের কাছে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘প্রবাসী পরিবার’ এবং ‘তারা প্রবাসী পরিবার’ অ্যাকাউন্টের বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হয়। হুন্ডির মতো অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ পথে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয় সেশনগুলোতে।
এই ক্যাম্পেইনে বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অংশগ্রহণ ও উৎসাহ দেখা গিয়েছে, যার ফলস্বরূপ ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে থাকা গ্রাহকরা কয়েকশ নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুলেছেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল চ্যানেল ও প্রোডাক্ট- যেমন অ্যাস্থা অ্যাপ, এসএমই স্বাবলম্বী ঋণ এবং রেমিট্যান্স-কেন্দ্রিক অন্যান্য সেবার ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো, রেমিট্যান্স গ্রাহকদের সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করা। এ লক্ষ্যে আমরা আমাদের ব্যাংকিং সেবাগুলো এমনভাবে সাজিয়েছি, যা একদিকে যেমন দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে, তেমনি অন্যদিকে গ্রাহকদের অবৈধ চ্যানেলের পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করবে।”
এই উদ্যোগ দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার এবং একটি নিরাপদ ও টেকসই রেমিট্যান্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
কর্পোরেট সংবাদ
‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ ক্যাম্পেইন শুরু

দেশের কটেজ, মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে কম ইন্টারেস্টে জামানতবিহীন ঋণসুবিধা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বাংলাদেশে এসএমই ব্যাংকিংয়ের অগ্রপথিক হিসেবে সিএমএসএমইদের জন্য এই জামানতবিহীন ঋণসুবিধা এই খাতের উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক ‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক এসএমই গ্রাহকদের ১৩.৭৫ শতাংশ হারে জামানতবিহীন ঋণসুবিধা দেবে, যা দেশের সিএমএসএমই খাতে বর্তমানে সর্বনিম্ন রেট। এই উদ্যোগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে।
সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়নের সুযোগ আরও সহজ করার লক্ষ্যে ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এই রেট প্রযোজ্য থাকবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এটি ব্র্যাক ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও উদ্যোক্তা বিকাশে সহায়তা করতে ব্যাংকটি উদ্ভাবনী সিএমএসএমই প্রোডাক্টের উন্নয়নও অব্যাহত রেখেছে।
গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্র্যাক ব্যাংক সেসব সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে পছন্দের ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে, যারা ব্যবসা শুরু কিংবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঋণসুবিধা নিতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়ই প্রয়োজনীয় জামানত দেখাতে পারেন না।
গত ২৪ বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংক ২০ লাখেরও বেশি এসএমই গ্রাহককে সেবা দিয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনন্য মাইলফলক। উদ্যোক্তাদের স্বপ্নপূরণে এ পর্যন্ত ব্যাংকটি এসএমই খাতে ২ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে, যার মাধ্যমে ২ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। দেশের এসএমই খাতে এই লক্ষণীয় প্রভাবের কারণেই ব্র্যাক ব্যাংক এখন এসএমই অর্থায়নের সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। ‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ব্যাংকটি সেই প্রতিশ্রুতি আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের বাস্তব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ক্যাম্পেইনের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক নতুন দুটি প্রোডাক্ট সল্যুশনও নিয়ে এসেছে। এগুলো হলো, প্রবর্তন এবং বিজপে।
‘প্রবর্তন’ আনসিকিউর্ড লোন ডিজাইন করা হয়েছে দেশের ই-কমার্স এবং এফ-কমার্সের মতো অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য। পর্যাপ্ত আর্থিক সুবিধার বাইরে থাকা এসব উদ্যোক্তাদের ব্যবসার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এই ঋণসুবিধাটি। অন্যদিকে ‘বিজপে’ হলো এসএমই ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিংয়ের এমন একটি প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্ম, যা সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের একসঙ্গে অনেকগুলো এবং বড় আকারের লেনদেন করার সুবিধা দেবে। এই প্ল্যাটফর্ম ক্লায়েন্টদের সময় ও খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি ব্রাঞ্চ নির্ভরতাও কমাবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোকে বিকশিত হতে সহায়তা করা। সিএমএসএমই গ্রাহকদের জামানতবিহীন ঋণে মার্কেটের সর্বনিম্ন রেট অফার করা এবং তাঁদের প্রয়োজনের বিষয়টি বিবেচনা করে উদ্ভাবনী সল্যুশন নিয়ে আসার মাধ্যমে আমরা তাঁদের বিশ্বস্ত আর্থিক অংশীদার হয়ে উঠেছি। ‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ আমাদের অর্জিত আস্থা এবং দায়িত্বের প্রতিফলন।”
অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দীর্ঘমেয়াদি ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের আরও সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী আর্থিক সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।