Connect with us

ধর্ম ও জীবন

রোজার আগেই উদ্বোধন হলো বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ

Published

on

ডিএসই

পবিত্র রমজান মাস আসার আগেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অবস্থিত এই মসজিদ বিশ্বে তৃতীয় হলেও এটি আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মসজিদ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্য গ্রেট মস্ক অব আলজিয়ার্সের নামাজের জায়গায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন। আলজিয়ার্সের গ্রেট মসজিদে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মিনার রয়েছে—যার উচ্চতা ২৬৫ মিটার (৮৬৯ ফুট)। রাষ্ট্রীয় খরচে ২০১০ এর প্রায় পুরো দশক ধরেই একটি চীনা নির্মাণ সংস্থা দ্বারা চলেছে এই মসজিদ তৈরির কাজ।

মসজিদটির নকশায় রয়েছে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সমন্বিত ছোঁয়া। এতে আলজেরিয়ার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে আরব এবং উত্তর আফ্রিকার সমৃদ্ধিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মসজিদটিতে রয়েছে হেলিকপ্টার অবতরণের একটি প্যাড। একটি লাইব্রেরিও আছে এখানে। সেখানে রাখা যাবে প্রায় ১০ লাখ বই।

মসজিদের উদ্বোধন মুসলিমদের ভালো ও পরিমিতিবোধের দিকে ধাবিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মুসলিম ওলামাদের বিশ্ব ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি আলী মোহাম্মদ সালাবি।

আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি আবদেলমাদজিদ টেবোউন মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। তবে মসজিদটি প্রায় পাঁচ বছর ধরেই পর্যটক এবং রাষ্ট্রীয় দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। কেবল বিলম্বিত হয়েছে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। আসন্ন রমজানে নামাজ আদায় যাতে সম্ভব হয় সে কারণে মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।

তবে প্রকল্পটির বিলম্ব ঘিরে ছিল নানা বিতর্ক। সাত বছর ধরে নির্মাণাধীন এই মসজিদ যে স্থানে অবস্থিত সে জায়গাকে বিশেষজ্ঞরা ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে সতর্ক করেছিলেন। তবে এই সতর্কতার ব্যাপারটি গতকাল রোববার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এপিএসে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বীকার করা হয়নি।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ধর্ম ও জীবন

জুমার আগে যে চার আমল করবেন

Published

on

ডিএসই

জুমার দিন বা শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক বেশি। ‘জুমা’ শব্দটি ‘জমা’ শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ একত্র হওয়া বা একত্র করা।

কোরআন মজিদে সুরা জুমা নামে একটি সুরা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহকে মনে রেখে তাড়াতাড়ি করবে ও বেচাকেনা বন্ধ রাখবে। এই তোমাদের জন্য ভালো, যদি তোমরা বোঝো। নামাজ শেষ হলে তোমরা বাইরে ছড়িয়ে পড়বে ও আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে এবং আল্লাহকে বেশি করে ডাকবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯-১০)।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়াছে। এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)

জুমার আগে যে চার আমল করবেন

শুক্রবারে বিশেষ কিছু আমল ও সুন্নত রয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে সেগুলো বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিক কয়েকটি হলো- গোসল করা, উত্তম পোশাক গায়ে দেওয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা ও মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

কোরবানির জন্য কেমন পশু কিনবেন?

Published

on

ডিএসই

কোরবানির সম্পর্কে হযরত মিখজাফ ইবনে সালিম রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে সমবেত লোকদেরকে সম্বোধন করে একথা বলতে শুনেছি, ‘হে লোক সকল! তোমরা জেনে রাখ, প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর প্রত্যেক বছরই কোরবানি করা কর্তব্য। আর যার সামর্থ্য নেই তাদের ওপর কোরবানি কর্তব্য নয়। কারণ আল্লাহ কারও ওপর এমন কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না, যা তার সাধ্যের বাইরে।’ (তিরমিজি)

কোরবানি করার জন্য শরিয়তে কয়েক ধরনের পশু নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দিয়ে কোরবানির করা জায়েজ। অন্য কোন পশু দিয়ে কোরবানি করার বিধান নেই।

আর বয়সের ক্ষেত্রে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা অন্তত এক বছর । গরু, মহিষ অন্তত দুই বছর ও উট অন্তত ৫ বছর হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে ছয় মাসেরটি দেখতে এক বছরের মতো লাগে, তাহলে সেটি দিয়ে কোরবানি হবে।

কোরবানির পশু কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-

এমন দুর্বল পশু কেনা যাবে না যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে বা কোরবানির স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারবে না। এরকম পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না। আর মোটা-তাজা পশু দিয়ে কোরবানি করা মুস্তাহাব।

কোন পশুর একটি পা যদি এমন ভাবে নষ্ট হয়ে যায় যে, চলার সময় সেটি দিয়ে কোন সাহায্য নিতে পারে না তবে ওই পশু দিয়ে কোরবানি হবে না।

এছাড়া আরো যেসব পশু দিয়ে কোরবানি হবে না-

>শিং গোড়া থেকে ভেঙে গেলে সেই ক্ষত যদি মগজ পর্যন্ত পৌছায়।

>দাঁত মোটেও না উঠলে বা যদি অর্ধেক দাড় পড়ে যায়।

>দৃষ্টি শক্তি তিন ভাগের এক ভাগ কমে বা নষ্ট হয়ে গেলে।

>লেজের অন্তত তিন ভাগের এক ভাগ কাটা গেলে।

>কান একেবারে না উঠলে(অবশ্য খুব ছোট কান থাকলেও হবে)।

>তবে শিং মোটেও না উঠলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি হবে।

গাভীন বলে জানা গেলে সেটা দিয়ে কোরবানি হবে। তবে পেটে বাচ্চা জীবিত পাওয়া গেলে সেটিকেও আল্লাহর নামে জবেহ করতে হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

অসুস্থ প্রাণী জবাই করে খাওয়া যাবে?

Published

on

ডিএসই

ইসলামি বিধানতে হালাল প্রাণীর গোশত খাওয়া বৈধ। কোন কোন প্রাণী বা কী ধরনের প্রাণী খাওয়া জায়েজ ইসলাম এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। হালাল-হারাম সম্পর্কিত কোরআন ও হাদিসের আলোকে প্রণীত মূলনীতি অনুসারে যেসব পশু পাখির গোশত খাওয়া হালাল তা হলো- উট, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, হরিণ, খরগোশ, গরু (বন্য গরুসহ), বন্য গাধা, হাঁস, মুরগী, তিতির, হুদহুদ, রাজহাঁস, বক, সারস, উটপাখি, ময়ুর, চড়ই, কোয়েল, ঘুঘু, কবুতর, পানকৌড়ী এবং মাছ (চিংড়িসহ), ইত্যাদি।

এর বাইরে যেসব পশু-পাখির মাংস খাওয়া হারাম তা হলো- শুকর, হায়না, নেকড়ে কুকুর, বিড়াল, বানর, চিতা, সিংহ, বাঘ, জারবয়া, ভাল্লুক, সাপ, কাঠ বিড়ালী, কচ্ছপ, বেজী, শিয়াল, গৃহপালিত গাধা, হাতি। (রাদ্দুল মুহ্তার, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৩০৬)।

যে সকল পশু-পাখির গোশত খাওয়া বৈধ, ওগুলোও যেন-তেনভাবে মেরে খাওয়া যাবে না। বরং এমনভাবে জবাই করে খেতে হবে, যেন নাপাক রক্ত পশুর শরীর থেকে বের হয়ে যায় এবং জন্তুরও কষ্ট কম হয়। তাই ইসলামের বিধান হচ্ছে, জবাই করার সময় মূল চারটা রগের কমপক্ষে তিনটা কাটতে হবে। এতে নাপাক রক্ত বেশি বের হবে এবং সহজে পশুর জান বের হয়ে যাবে।

সুস্থ সবল প্রাণী সহজেই জবাই করে খাওয়া যায়, তবে অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তা জবাই করে খাওয়া।

অসুস্থ প্রাণী জবাই করে খাওয়া নিয়ে আমাদের সমাজে একটা কথা প্রসিদ্ধ আছে যে, যখন কোনো পশু খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন এমন পশু জবাই করা ও খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষত যখন এমন মনে হয় যে, পশুটি হয়তো বেশিদিন বাঁচবে না।

শরীয়তে এমন পশু খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না? এবিষয়ে ফেকাহবিদ আলেমদের মতামত হলো—

প্রাণীর অসুস্থতা দুই ধরনের হতে পারে।

এক. এমন অসুস্থতা, যার কারণে পশুর গোশত খেলে মানব শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়া এবং ক্ষতি হওয়ার সমূহ আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে এমন প্রাণীর গোশত খাওয়া থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়। এবং কোনো বিক্রেতা রোগের বিষয়টির সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য ঘোষণা ছাড়া এধরনের প্রাণী বা এর গোশত বিক্রি করতে পারবে না। এটি শরীয়তে নিষিদ্ধ ‘আলগারার’ ও ‘আলখিদা’-এর শামিল হবে।

দুই. কোনো প্রাণীর এমন সাধারণ অসুস্থতা, যা তার গোশতে তেমন প্রভাব ফেলে না এবং তা মানব শরীরের জন্য তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে বলেও প্রমাণিত নয়। সে ধরনের অসুস্থ প্রাণীর গোশত খেতে কোনো অসুবিধা নেই। এবং সে প্রাণী বা এর গোশত বিক্রি করতেও বাধা নেই।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

একসঙ্গে অনেককে সালাম দিলে উত্তর দেবেন কে?

Published

on

ডিএসই

সালাম দেওয়া সুন্নত। আর উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। মুসলমানরা একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সালাম দিয়ে থাকেন। কারণ সালাম ইসলামের অভিবাদন, শান্তির প্রতীক এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতির অংশ। সালামের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও শান্তির বার্তা ছড়ানো হয়। সালাম দেওয়া-নেওয়া জান্নাতি মানুষের অভ্যাস।

সালামের প্রচলনকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাজ বলে অভিহিত করেছেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘হে লোক সকল! তোমরা সালাম প্রচার করো, (ক্ষুধার্তকে) খাবার দান করো, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ এবং লোকে যখন (রাতে) ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা নামাজ পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস, ২৪৮৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস, ১৩৩৪-৩২৫১; দারেমি, হাদিস, ১৪৬০)

সালাম এবং মুসাফাহার মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। এ সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা একে অপরের সঙ্গে মুসাফাহা করো, এতে তোমাদের অন্তরে বিদ্যমান প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে। একে অন্যকে হাদিয়া প্রদান করো, এতে হৃদ্যতা সৃষ্টি হবে এবং শত্রুতা ও ঘৃণা দূরীভূত হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস, ৫২১২)

অনেক সময় দেখা যায় কোনো সভা-মঞ্চ বা আলোচনার মজলিশে অনেক মানুষ উপস্থিত থাকেন, সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আলোচকেরা সালাম দিয়ে থাকেন। যেহেতু সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব।

তাই স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে- সভা-মঞ্চ বা আলোচনার মজলিশে উপস্থিত অনেককে একসঙ্গে সালাম দিলে উত্তর কে দেবেন? নাকি সবার পক্ষ থেকে একজন ব্যক্তিই উত্তর দিয়ে দিলে আদায় হয়ে যাবে?

এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে আলেমরা বলেন, কোথাও একাধিক ব্যক্তি থাকলে এবং সবাইকে উদ্দেশ্য করে সালাম দিলে সবার জন্য উত্তর দেওয়া ওয়াজিব নয়। উপস্থিত মানুষদের পক্ষ থেকে কেউ একজন সালামের উত্তর দিলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।

তবে যেহেতু উপস্থিত ব্যক্তিদের সবাইকে উদ্দেশ্য করে সালাম দেওয়া হয়েছে তাই সবার জন্য উত্তর দেওয়া উত্তম। সবাই উত্তর দেওয়া সম্ভব হলে এবং উত্তর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকলে সবারই উচিত সালামের উত্তর দেওয়া।

তবে এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং লক্ষণীয় হলো- অনেক মানুষ আছে, কেউ না কেউ তো সালামের উত্তর দেবেন- এমন ভাবনা থেকে যদি কেউ সালামের উত্তর না দেয়, তাহলে সবাই গুনাহগার হবে।

আর যদি কখনো শুধু কোনো একজন ব্যক্তির নিয়ে বা কোনো এক ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট করে সালাম দেওয়া হয়, তাহলে তাকেই উত্তর দিতে হবে।

(ফতোয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত, ১২/১০৮, ফতোয়ায়ে কাজিখান, হিন্দিয়া, ৩/৩২৭, রদ্দুল মুহতার, ২/৪১৩)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১৫ আমল

Published

on

ডিএসই

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমাবার। এটি মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকেই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। জুমাবার শুরু হওয়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত অনেক আদব রয়েছে। যেসব আদব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করা বাঞ্ছনীয়। এখানে আমরা জেনে নেব জুমার দিন জুমা পড়তে মসজিদে ঢুকার পর থেকে যেসব আদব গুরুত্বের সঙ্গে রক্ষা করা উচিত।

১. আগেভাগে মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছাকাছি বসা। (আবু দাউদ: ১১০৮)

২. সময় থাকলে দু’রাকাত নফল (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ) পড়া। (সহিহ বুখারি: ১১৬৭)

৩. কাবলাল জুমা (৪ রাকাত সুন্নত) পড়া। (আল মুজামুল আওসাত: ১৬১৭)

৪. বয়ান শুরু হলে কাবলাল জুমা বয়ানের পরে পড়া। (মুসনাদে আহমদ: ২০৭২১, জুমার আদব)

৫. ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিজি: ৫০৯, ইবনে মাজাহ: ১১৩৬)

৬. চুপচাপ থাকা (নিচু কণ্ঠে জিকির-আজকার করা)। (সুনানে নাসায়ি: ১৪০১)

৭. মনোযোগসহ খুতবা শোনা ও খুতবার সময় চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারি: ৯৩৪, মুসলিম: ৮৫৭, আবু দাউদ: ১১১৩, আহমদ: ১/২৩০)

৮. বসে থাকা মুসল্লিদের ঠেলে বা সরিয়ে কিংবা মুসল্লিদের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারি: ৯১০, ৮৮৩; আবু দাউদ: ৩৪৩)

৯. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনোকিছু না পড়া, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদ: ১৩৩২)

১০. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারি: ৯১১, মুসলিমঃ ২১৭৭, ২১৭৮)

১১. কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা। (নাসায়ি: ৭১৪, বুখারি: ৯৩৪)

১২. ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদ: ১১১০, ইবনে মাজাহ: ১১৩৪)

১৩. কাতারবদ্ধ হওয়ার সময় সামনের কাতার পুরা করা। (মুসলিম: ৪৩০; রদ্দুল মুহতার : ১/৬৩৬)

১৪. ইমামের পেছনে মনোযোগসহ দুরাকাত জুমার নামাজ পড়া। (সুরা জুমা: ৯-১০)

১৫. জুমার নামাজের পর মসজিদে চার রাকাআত সুন্নাত সালাত আদায় করা। (বুখাররি: ১৮২, মুসলিম: ৮৮১, আবু দাউদ: ১১৩০)

জুমার দিন জুমার নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করার পর উল্লেখিত নেক আমলগুলোর প্রতি মুসল্লিদের যত্নবান হওয়া উচিত। কেননা জুমার দিনের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব ও মর্যাদা অনেক বেশি।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
ডিএসই
কর্পোরেট সংবাদ13 mins ago

প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় নারীর পাশে আইএফআইসি ব্যাংক শীর্ষক বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু

ডিএসই
পুঁজিবাজার48 mins ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে

ডিএসই
রাজধানী1 hour ago

ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ডিএসই
পুঁজিবাজার1 hour ago

শেয়ারবাজার ছাড়লেন দুই হাজার বিনিয়োগকারী, যুক্ত হলেন সমপরিমাণ

ডিএসই
ব্যাংক2 hours ago

ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

ডিএসই
কর্পোরেট সংবাদ2 hours ago

ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে শরী‘আহ সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার

ডিএসই
পুঁজিবাজার3 hours ago

সপ্তাহজুড়ে ব্লকে লাভেলো আইসক্রিমের সর্বোচ্চ লেনদেন

ডিএসই
জাতীয়3 hours ago

মাত্র ১ দিনেই মিলবে ভারতের ভিসা

ডিএসই
পুঁজিবাজার3 hours ago

সাপ্তাহিক দরপতনের তালিকায় ‘এ’ ক্যাটাগরির আধিপত্য

ডিএসই
পুঁজিবাজার3 hours ago

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড

ডিএসই
পুঁজিবাজার4 hours ago

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ই-জেনারেশন

ডিএসই
জাতীয়4 hours ago

ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আ.লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

ডিএসই
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার4 hours ago

নৌবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু

ডিএসই
রাজধানী4 hours ago

রাজধানীতে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বগি বিচ্ছিন্ন

ডিএসই
রাজধানী4 hours ago

রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে শনিবার

ডিএসই
জাতীয়4 hours ago

ঢাকাসহ ৬ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

ডিএসই
জাতীয়5 hours ago

সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

দেশে মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধি
অর্থনীতি14 hours ago

যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি

ডিএসই
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার14 hours ago

ব্র্যাক ব্যাংকে চাকরির সুযোগ

ডিএসই
জাতীয়15 hours ago

ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি হাবিব

ডিএসই
জাতীয়16 hours ago

আজকে ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী

ডিএসই
স্বাস্থ্য16 hours ago

ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১২ জন

ডিএসই
টেলিকম ও প্রযুক্তি16 hours ago

গুগল ডকস থেকে ছবি ডাউনলোড করার সহজ উপায়

ডিএসই
খেলাধুলা17 hours ago

শাহরুখের দলে যোগ দিলেন সাকিব

ডিএসই
আন্তর্জাতিক17 hours ago

তিন দশকে গড় আয়ু বাড়বে পাঁচ বছর

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১