কর্পোরেট সংবাদ
উত্তালের পরে ইবিতে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু
নানা বাঁধা বিপত্তির মধ্যদিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইমাম নিয়োগ বোর্ডের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টায় নিয়োগ বোর্ড শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকেল সাড়ে তিনটায় উপাচার্যের বাসভবনে এ পরিক্ষা আরম্ভ হয়। এসময় ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন চাকরিপ্রার্থীকে ঢুকতে দেখা যায়।পরবর্তীতে লিখিত পরিক্ষা শেষে ৭জন ভাইভা পরিক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, এ নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-কর্মকর্তারা দুগ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। শিক্ষকদের একপক্ষ নিয়োগ স্থগিতের দাবিতে এবং অপরপক্ষ ও ছাত্রলীগ সম্মিলিত হয়ে নিয়োগ বোর্ড চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন। উপাচার্যের কার্যালয়ে বোর্ড বন্ধের দাবি নিয়ে যাওয়া শিক্ষকদের সঙ্গে বোর্ড চালু রাখার দাবি নিয়ে যাওয়া ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় শিক্ষকরা উপাচার্যের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে সকাল ১০ টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কার্যালয়, মেইন গেইট, প্রশাসন ভবন এবং ভিসির বাস ভবনের সামনে দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটে। এতে পক্ষে বিপক্ষে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বক্তব্য তুলে ধরেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তারা।
এদিন সকাল থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে একে একে জড়ো হতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তার সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট, ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়ায় নিয়োগ বোর্ড স্থগিত রাখার পক্ষে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দাবি অনুযায়ী, উপাচার্যের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি তাকে নির্দোষ হিসেবে রায় দেওয়া পর্যন্ত তারাও উপাচার্যের সকল নিয়োগ বোর্ড বন্ধ রাখার পক্ষে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু অনুরোধ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম পদে নিয়োগ বোর্ড দেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর শেখ আব্দুস সালাম। তদন্ত কমিটির কাজ চলমান থাকার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এদিন সকালে নিয়োগ বোর্ড আপাতত স্থগিত রাখার দাবি জানাতে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। তাদের কথোপকথনের একপর্যায়ে হুড়মুড়িয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ইবিতে দীর্ঘদিন বিভিন্ন দপ্তরে চুক্তিভিত্তিক কর্মরত সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরা। তারা একপর্যায়ে ভিসির বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান ও উপস্থিত শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও লাঞ্চিত করে। একই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপাচার্যের কার্যালয়ে তুমুল হট্টগোলের একপর্যায়ে অপদস্ত হয়ে, গালাগাল ও লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে শাপলা ফোরাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শিক্ষক সমিতির শিক্ষকবৃন্দ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন।
এসময় ইউজিসির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধ রাখা, বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত অন্যান্য নিয়োগ বন্ধ রাখা, প্লানিং কমিটির সুপারিশ মোতাবেক বিশেষজ্ঞ সদস্য নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত সকল শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখা, মধ্যে প্রচারিত সকল দুর্নীতির তদন্ত দ্রুততময় শেষ করা সহ নানা দাবী তুলে ধরেন শিক্ষকরা।
এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ যারা ইতিমধ্যে শিক্ষাজীবন শেষ করেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এ বিশ্ববিদ্যালয় চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের দাবি, সঠিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা যদি যোগ্য হিসেবে প্রতীয়মান হয়, প্রশাসনের যদি মনে হয় যে তারা যোগ্য তবে তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেতে চায়। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ বিপক্ষে দাঁড়ানোর মত কোন বিষয় আছে বলে আমার মনে হয় না।
ঘটনাস্থলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এই মুহূর্তে দেখলাম নিচে মাইক বাঁধিয়ে এক ধরনের বক্তব্য, কর্মকাণ্ড হয়েছে। এক পর্যায়ে ওখান থেকে একটা টিম ভিসি অফিসে দাবি নিয়ে আসছে। বিষয়টা হচ্ছে মানুষের দাবি-দাওয়া থাকতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা চাই যে কেউ অফিসে ঢুকার আগে পিএস’র সাথে কথা বলে বা অনুমতি নিয়ে ঢুকুক। কিন্তু পর্যায়ক্রমে না ঢুকে প্রথমে কর্মচারী-কর্মকর্তার মাঝে আদর্শিক শিক্ষক গ্রুপ, পরক্ষণেই ছাত্রলীগ ঢুকে পড়েছে। আমি জানি না পিএসের সাথে অনুমতি নিয়েছে কিনা। একটু ডেকোরামের মাধ্যমে একটা গ্রুপ শেষ হলে অন্য গ্রুপ আসবে এভাবে তো শৃঙ্খলা থাকে। আমার প্রথম পরিচয় শিক্ষক, দ্বিতীয়ত আমি দায়িত্বশীল ব্যক্তি। সবার প্রতি এটাই অনুরোধ থাকবে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ইমামের মতো একটি পদ নিয়ে এমন হয়েছে, এটি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। আমি নিজেই এখানে শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী ছিলাম। আমি দেখেছি, এখানে যারা এসেছে তাদের অধিকাংশেরই ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে। তারা আমাদের এখানে উপস্থিত শিক্ষকদের সম্মানহানি করেছে।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন বলেন, যেহেতু নিয়োগ নিয়ে একটি বিষয় তদন্তাধীন রয়েছে তাই আমরা বলেছিলাম যে তদন্ত প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়া পর্যন্ত আপনি নিয়োগে যাবেন না। আর যদি নিয়োগে আপনি নির্দোষ প্রমাণিত হন বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক নিয়োগের মত ভাল একটি কাজ দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। এই সামান্য কথাটি আমরা বলা শেষ করতে পারেনি কিন্তু অনেক সন্তান সমতুল্য শিক্ষার্থী, অছাত্র বা বহিরাগতদের আমাদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে দাঁড় করানো হয়েছে, আমাদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন পদ পদবীতে থাকলেও নিয়ম মেনে সেখানে যাই, কিন্তু এরকম একটা মিছিল কিভাবে সেখানে প্রবেশ করল, কারা নেতৃত্বে ছিল, কারা তাদের সাপোর্ট দিয়েছে, তা বের করার প্রয়োজন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা আজকের এই কাল্পনিক ঘটনা ঘটিয়েছে আমি মনে করি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিৎ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি কোনো ধরনের নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে কখনোই জড়িত নই। এসব অভিযোগের সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি আমার সততা নিয়ে এসব অভিযোগ মোকাবিলা করতে চাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ফের এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন খায়রুল আলম
এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে খায়রুল আলম চৌধুরী দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। খায়রুল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
খায়রুল আলম ২০০১ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব উইলভার হ্যাম্পটন থেকে স্নাতক, ২০০২ সালে সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর করেন ও লন্ডনের লিঙ্কনস ইন থেকে বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি নেন।
বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন খায়রুল আলম।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
কিস্তি বিলম্ব ফি ছাড়া জমা নেবে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
চলমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ ও ক্রেডিট কার্ডের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেননি অনেক গ্রাহক। জরিমানা ছাড়া চলতি জুলাই মাস পর্যন্ত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকরা তা পরিশোধ করতে পারবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সকল এটিএম যথারীতি চালু রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের যেসকল গ্রাহক ডেবিট কার্ড আগে ব্যবহার করেননি বা নেননি, তারা ব্যাংকের যে কোনো শাখা থেকে ইনস্ট্যান্ট ডেবিট কার্ড নিয়ে স্বচ্ছন্দ্যে লেনদেন করতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ সেবা নিয়ে গ্রাহকদের পাশে আছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ইসলামিক’র উদ্বোধন অনুষ্ঠিত
প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি পরিপূর্ণ ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আইএফআইসি ব্যাংকিং সেবায় যুক্ত হলো শরীয়াহ্ভিত্তিক আধুনিক ব্যাংকিং সেবা ‘আইএফআইসি ইসলামিক’। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর পল্টনের আইএফআইসি টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে ‘আইএফআইসি ইসলামিক’ ব্যাংকিং সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. খুরশীদ আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা, ব্যাংকের অ্যাডভাইজর শাহ এ সারওয়ার, শরীয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. আনোয়ার হোসাইন মোল্লা-সহ প্রমুখ।
এখন থেকে শাখা-উপশাখায় দেশের বৃহত্তম ব্যাংক আইএফআইসি’র দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ১৪০০ এর অধিক সকল শাখা-উপশাখা থেকে ইসলামি ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকেরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বেসিসের ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ার হলেন নগদের ইডি এলিট
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এমএফএস ও ফাস্টেট ইউনিকর্ন নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের এ নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্টে নগদের ভূমিকার বহিঃপ্রকাশ ঘটল। বিস্তৃত দূরদর্শী উদ্ভাবক নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের নিয়োগের মাধ্যমে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বেসিস নির্বাহী কমিটি মন্তব্য করেছেন।
সফটওয়্যার খাতের সংগঠনের (বেসিস) ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট উদ্ভাবনী চিন্তা ও ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি পুনর্গঠনের লক্ষ্য পূরণে কাজ করবেন। তা ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া ও কমিটির সদস্যদের অনুপ্রাণিত করতেও তিনি ভূমিকা রাখবেন।
স্ট্যান্ডিং কমিটি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলতে গুরুত্ব দেবে ও ডিজিটাল পেমেন্ট সল্যুশনকে আরও বেশি জনপ্রিয় করতে ও ফিনটেক স্টার্টআপের সমৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর ও অন্তর্ভূক্তিমূলক আর্থিক অবকাঠামো তৈরিতে ইন্ডাস্ট্রির নেতা ও অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে চাই।
তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বেশ কিছু সফল ব্যবসা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি পেশাজীবী, ক্রীড়া, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি বড়তাকিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জেসিআই চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেসিআই বাংলাদেশের দুবারের সফল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে জেসিআই বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারপারসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এলিট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের ডিজিটাল বুথ উদ্বোধন ও কর্মশালা
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের মোহাম্মদপুর ডিজিটাল বুথের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এ বুথ উদ্বোধন করা হয়। ডিজিটাল বুথ উদ্বোধনের পাশাপাশি এদিন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বিষয়ক একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় পুঁজিবাজারে সুপরিকল্পিত বিনিয়োগ নিয়ে নানা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়।
ডিজিটাল বুথ উদ্বোধন ও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা-কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের আঞ্চলিক প্রধান, মোহাম্মদপুর ডিজিটাল বুথের ব্যবস্থাপক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী নতুন নতুন শাখা ও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করছে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ । এরই ধারাবাহিকতায় মোহাম্মদপুর ডিজিটাল বুথের উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের আঞ্চলিক প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ এলাহী বলেন, পুঁজিবাজারের মত অপার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে সুপরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে যেকোনো শ্রেণীপেশার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। ট্রেজারি বন্ড, আইপিওর মত বাড়তি মুনাফা-সংবলিত খাতগুলো বিনিয়োগকারীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এছাড়াও ভবিষ্যতে ইটিএফ ও কমোডিটি মার্কেটের মত আকর্ষণীয় প্রোডাক্টগুলো পুঁজিবাজারে সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে।
অনুষ্ঠানে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন বিভাগের প্রধান মো. জাহাংগীর হোসেন বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, লংকাবাংলার ডিজিটাল প্লাটফর্ম আইব্রোকার, ট্রেডক্সএক্সপ্রেসের বিভিন্ন ফিচারের ব্যবহার এবং এর সুবিধাগুলো তুলে ধরেন। ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা নিজস্ব মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে নিজের বিনিয়োগ নিজেই দেখভাল করতে পারবেন।
কর্মশালায় নীতিনির্ধারক, গ্রাহক, বিনিয়োগকারী ও অংশীজনদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের ইতি টানা হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা পুঁজিবাজারের সমৃদ্ধির জন্য মতামত প্রকাশের পাশাপাশি দেশব্যাপী নতুন শাখা ও ডিজিটাল বুথ স্থাপনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
এমআই