কর্পোরেট সংবাদ
উত্তালের পরে ইবিতে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু

নানা বাঁধা বিপত্তির মধ্যদিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইমাম নিয়োগ বোর্ডের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ টায় নিয়োগ বোর্ড শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকেল সাড়ে তিনটায় উপাচার্যের বাসভবনে এ পরিক্ষা আরম্ভ হয়। এসময় ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন চাকরিপ্রার্থীকে ঢুকতে দেখা যায়।পরবর্তীতে লিখিত পরিক্ষা শেষে ৭জন ভাইভা পরিক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, এ নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-কর্মকর্তারা দুগ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। শিক্ষকদের একপক্ষ নিয়োগ স্থগিতের দাবিতে এবং অপরপক্ষ ও ছাত্রলীগ সম্মিলিত হয়ে নিয়োগ বোর্ড চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন। উপাচার্যের কার্যালয়ে বোর্ড বন্ধের দাবি নিয়ে যাওয়া শিক্ষকদের সঙ্গে বোর্ড চালু রাখার দাবি নিয়ে যাওয়া ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় শিক্ষকরা উপাচার্যের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে সকাল ১০ টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কার্যালয়, মেইন গেইট, প্রশাসন ভবন এবং ভিসির বাস ভবনের সামনে দফায় দফায় এসব ঘটনা ঘটে। এতে পক্ষে বিপক্ষে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বক্তব্য তুলে ধরেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তারা।
এদিন সকাল থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে একে একে জড়ো হতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তার সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট, ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়ায় নিয়োগ বোর্ড স্থগিত রাখার পক্ষে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দাবি অনুযায়ী, উপাচার্যের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি তাকে নির্দোষ হিসেবে রায় দেওয়া পর্যন্ত তারাও উপাচার্যের সকল নিয়োগ বোর্ড বন্ধ রাখার পক্ষে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু অনুরোধ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম পদে নিয়োগ বোর্ড দেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর শেখ আব্দুস সালাম। তদন্ত কমিটির কাজ চলমান থাকার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এদিন সকালে নিয়োগ বোর্ড আপাতত স্থগিত রাখার দাবি জানাতে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। তাদের কথোপকথনের একপর্যায়ে হুড়মুড়িয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ইবিতে দীর্ঘদিন বিভিন্ন দপ্তরে চুক্তিভিত্তিক কর্মরত সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরা। তারা একপর্যায়ে ভিসির বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান ও উপস্থিত শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও লাঞ্চিত করে। একই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপাচার্যের কার্যালয়ে তুমুল হট্টগোলের একপর্যায়ে অপদস্ত হয়ে, গালাগাল ও লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে শাপলা ফোরাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শিক্ষক সমিতির শিক্ষকবৃন্দ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন।
এসময় ইউজিসির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধ রাখা, বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত অন্যান্য নিয়োগ বন্ধ রাখা, প্লানিং কমিটির সুপারিশ মোতাবেক বিশেষজ্ঞ সদস্য নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত সকল শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রাখা, মধ্যে প্রচারিত সকল দুর্নীতির তদন্ত দ্রুততময় শেষ করা সহ নানা দাবী তুলে ধরেন শিক্ষকরা।
এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ যারা ইতিমধ্যে শিক্ষাজীবন শেষ করেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এ বিশ্ববিদ্যালয় চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের দাবি, সঠিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা যদি যোগ্য হিসেবে প্রতীয়মান হয়, প্রশাসনের যদি মনে হয় যে তারা যোগ্য তবে তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেতে চায়। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ বিপক্ষে দাঁড়ানোর মত কোন বিষয় আছে বলে আমার মনে হয় না।
ঘটনাস্থলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এই মুহূর্তে দেখলাম নিচে মাইক বাঁধিয়ে এক ধরনের বক্তব্য, কর্মকাণ্ড হয়েছে। এক পর্যায়ে ওখান থেকে একটা টিম ভিসি অফিসে দাবি নিয়ে আসছে। বিষয়টা হচ্ছে মানুষের দাবি-দাওয়া থাকতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা চাই যে কেউ অফিসে ঢুকার আগে পিএস’র সাথে কথা বলে বা অনুমতি নিয়ে ঢুকুক। কিন্তু পর্যায়ক্রমে না ঢুকে প্রথমে কর্মচারী-কর্মকর্তার মাঝে আদর্শিক শিক্ষক গ্রুপ, পরক্ষণেই ছাত্রলীগ ঢুকে পড়েছে। আমি জানি না পিএসের সাথে অনুমতি নিয়েছে কিনা। একটু ডেকোরামের মাধ্যমে একটা গ্রুপ শেষ হলে অন্য গ্রুপ আসবে এভাবে তো শৃঙ্খলা থাকে। আমার প্রথম পরিচয় শিক্ষক, দ্বিতীয়ত আমি দায়িত্বশীল ব্যক্তি। সবার প্রতি এটাই অনুরোধ থাকবে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ইমামের মতো একটি পদ নিয়ে এমন হয়েছে, এটি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। আমি নিজেই এখানে শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী ছিলাম। আমি দেখেছি, এখানে যারা এসেছে তাদের অধিকাংশেরই ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে। তারা আমাদের এখানে উপস্থিত শিক্ষকদের সম্মানহানি করেছে।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন বলেন, যেহেতু নিয়োগ নিয়ে একটি বিষয় তদন্তাধীন রয়েছে তাই আমরা বলেছিলাম যে তদন্ত প্রতিবেদন ইতিবাচক না হওয়া পর্যন্ত আপনি নিয়োগে যাবেন না। আর যদি নিয়োগে আপনি নির্দোষ প্রমাণিত হন বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক নিয়োগের মত ভাল একটি কাজ দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। এই সামান্য কথাটি আমরা বলা শেষ করতে পারেনি কিন্তু অনেক সন্তান সমতুল্য শিক্ষার্থী, অছাত্র বা বহিরাগতদের আমাদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে দাঁড় করানো হয়েছে, আমাদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন পদ পদবীতে থাকলেও নিয়ম মেনে সেখানে যাই, কিন্তু এরকম একটা মিছিল কিভাবে সেখানে প্রবেশ করল, কারা নেতৃত্বে ছিল, কারা তাদের সাপোর্ট দিয়েছে, তা বের করার প্রয়োজন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা আজকের এই কাল্পনিক ঘটনা ঘটিয়েছে আমি মনে করি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিৎ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি কোনো ধরনের নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে কখনোই জড়িত নই। এসব অভিযোগের সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি আমার সততা নিয়ে এসব অভিযোগ মোকাবিলা করতে চাই।

কর্পোরেট সংবাদ
কৃষি উন্নয়নে ইউসিবি ও প্ল্যান্টেন অ্যাগ্রোর নতুন উদ্যোগ

কৃষি আমাদের দেশের প্রাণ, আর এ খাতের উন্নয়ন মানেই দেশের উন্নয়ন। এই গুরুত্ব বুঝে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) এবং কৃষি-প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপ প্ল্যান্টেন অ্যাগ্রো লিমিটেড একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ লক্ষে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান দুটি এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যার মাধ্যমে তারা একসাথে কৃষিখাতে উন্নত প্রযুক্তি ও নতুন নতুন সমাধান নিয়ে কাজ করবে। এর মাধ্যমে কৃষকের দক্ষতা বাড়বে এবং ফসলের উৎপাদনও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই অংশীদারিত্বে ইউসিবি ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেবে আর প্ল্যান্টেন অ্যাগ্রো প্রযুক্তিগত দিকগুলো সামলাবে। এতে করে দেশের কৃষি খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
চুক্তিতে ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাবিল মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্ল্যান্টেন অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম আজম ফারুক স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের আরও অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের কৃষকরা প্রযুক্তি ও অর্থের সাহায্যে আরও ভালোভাবে চাষ করতে পারবে, যা দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
কর্পোরেট সংবাদ
কোরবানির পশু কেনা ও হাসিল পরিশোধ সহজ হয়েছে বিকাশ পেমেন্টে

গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে ২৭টি পশুর হাটে বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে কেনা যাচ্ছে কোরবানির পশু। ক্যাশ টাকা বহন এবং ছেঁড়া বা জাল টাকার ঝুঁকি এড়িয়ে দেশজুড়ে এই হাটগুলোতে সহজেই বিকাশ পেমেন্টে কোরবানির পশুর মূল্য ও হাসিল পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
এবছর হাটের তালিকায় ঢাকার গাবতলী, বছিলা, ভাটারা, ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট হাট, দিয়াবাড়ি হাট, পোস্তগোলা হাট, চট্টগ্রামের সাগরিকা, বিবিরহাট, মইজ্জারটেক, বরিশালের দপদপিয়া হাট, রাজশাহীর সিটি হাট, রংপুরের লালবাগ, সিলেটের কাজী বাজারসহ ২৭ টি পশুর হাটে ক্যাশ টাকা ছাড়াই বিকাশ পেমেন্টে কোরবানির পশু কেনা যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, যারা ক্যাশ টাকা ছাড়া বা ক্যাশ দিয়ে পশু কিনবেন, উভয়েই হাসিলের অর্থ বিকাশেই পরিশোধ করতে পারবেন। হাটের নির্দিষ্ট স্থানে দেয়া বিকাশের কিউআর কোড স্ক্যান করে খুব সহজেই হাসিল পরিশোধ করতে পারবেন ক্রেতারা।
হাটের পাশাপাশি এখন অনেকেই অনলাইনেই কোরবানির পশু কেনেন। অনলাইনে কোরবানির পশু কেনার ক্ষেত্রেও বিকাশ পেমেন্ট স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করছেন ক্রেতারা।
উল্লেখ্য, ঈদ উপলক্ষ্যে বিকাশ-এ এখন দৈনিক লেনদেনে ক্যাশ ইন (১০০,০০০ টাকা পর্যন্ত), সেন্ড মানি (১০০,০০০ টাকা পর্যন্ত) ও অ্যাড মানি (১০০,০০০ টাকা পর্যন্ত) এর লিমিটও বেড়েছে! তাই এই ঈদে গ্রাহকরা যেকোনো প্রয়োজনে, বিকাশ-এ আরও বেশি লেনদেন করতে পারছেন নিশ্চিন্তে। এই পরিবর্তিত লিমিট চলবে ৯ জুন, ২০২৫ পর্যন্ত।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংক ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সমঝোতা

সিটি ব্যাংক পিএলসি এবং বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলির সংগঠন চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) যৌথ উদ্যোগে একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ইভেন্টে বাংলাদেশ সফরে আসা শতাধিক চীনা বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।
চীনা ব্যবসায়ীদের এই সফরের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে যৌথ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনা খুঁজে বের করা।
অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংক ও সিইএবি’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এই স্মারকের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বাজারে চীনা ব্যবসায়ের প্রসারে সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং সিইএবি’র সেক্রেটারি জেনারেল কোয়াংচো চং।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ এবং সিইএবি’র প্রেসিডেন্ট হান কুন। উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ চীনা ও বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে।
কর্পোরেট সংবাদ
সেরা ৯ শাখা-উপশাখাকে পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড দিলো এনআরবিসি ব্যাংক

২০২৪ সালের পারফরম্যান্স বিবেচনায় তিন ক্যাটাগরিতে সেরা ৯ শাখা ও উপশাখাকে আওয়ার্ড প্রদান করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত স্ট্রাটেজিক বিজনেস কনফারেন্সে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান।
অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর, মো. আনোয়ার হোসেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ, এফসিএ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কার্যকর সেবা, সেবার মান ও সামগ্রিক কর্মদক্ষতার মানদন্ডে নগর শাখা, গ্রামীণ শাখা এবং উপশাখা এই তিন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়। নগর শাখা ক্যাটাগরিতে টঙ্গী শাখাকে প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এই ক্যাটাগরিতে মিরপুর শাখা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড এবং হাতিরপুল শাখা সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।
গ্রামীণ শাখার মধ্যে রুহিতপুর শাখা প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড, চারাবাগ শাখা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড এবং রূপপুর শাখা সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। উপশাখা ক্যাটাগরিতে প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে রামপুরা উপশাখা, গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে রায়পুর উপশাখা এবং সিলভার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে দাগনভুঁইয়া উপশাখা।
অনুষ্ঠানে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, এই পুরস্কার ব্যাংকের শাখা ও উপশাখাগুলোর ধারাবাহিক কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি। ব্যাংকের এই সেবাকেন্দ্রগুলো নির্ধারিত লক্ষ্য অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কাজ করেছে এবং সেবার মান বজায় রেখেছে। এসময় তিনি বিজয়ী শাখা-উপশাখাগুলোর ম্যানেজারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং সর্বক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা, মো. ফয়েজ আলম ও মো. আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহ সভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
কাফি