অর্থনীতি
ভিভিআইপিদের বিদেশ ভ্রমণে দ্বিগুণ বাজেট চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভিভিআইপিদের বিদেশ ভ্রমণে চলতি অর্থবছরের বাজেটে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যা মূল বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থের দ্বিগুণ।
নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছয়টি দেশ সফরের সম্ভাবনা ও পুরোনো সফরের বকেয়া বিমানভাড়া পরিশোধ করতে এই বাড়তি অর্থের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করা বিদেশি রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানদের আপ্যায়ন খাতে অতিরিক্ত চার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে গত ২০ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভিভিআইপিদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯৭.২৮ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রপতি দুইবার সিঙ্গাপুর ও একবার ইন্দোনেশিয়া সফর করেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী দুইবার যুক্তরাষ্ট্র এবং একবার করে যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছেন।
এ খাতে বরাদ্দের অর্থ থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের বিমানভাড়ার ব্যয় ছাড়াও তাদের সফরকালে মিশনগুলোতে আবাসন, যানবাহন, মোবাইল সিমকার্ড, অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় এবং তাদের সফরসঙ্গীদের ভাতা, বিমানভাড়া ইত্যাদি ব্যয় মেটানো হয়।
সংশোধিত বাজেটে এ খাতে আরও ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে লিখেছে, বিমান ভাড়া ও ভিআইপি ফ্লাইট সংক্রান্ত ব্যয় বাবদ ১৪টি ফ্লাইটের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৮৬.৬৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘অধিকন্তু, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারকরণের লক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আরও ছয়টি বিদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে, যার জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। এ খাতে অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় হিসাব করে মোট ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন, যেখানে মূল বাজেটে ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভূমি অধিগ্রহণ খাতে তাদের মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সেই বরাদ্দ থেকে ১০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রাচার কাজে বরাদ্দ দিতে অর্থ বিভাগকে প্রস্তাব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চলতি অর্থবছরের আপ্যায়ন ব্যয় খাতে বরাদ্দ রয়েছে মোট ৮ কোটি টাকা। এ খাতে বরাদ্দের অর্থ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আমন্ত্রণে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানসহ গণ্যমান্য অতিথিদের বাংলাদেশ সফরকালে আপ্যায়ন ও স্থানীয় আতিথেয়তায় ব্যয় করা হয়।
চলতি অর্থবছরে পাঁচজন ভিভিআইপি বা রাষ্ট্রপ্রধানের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে এ খাতে মোট ১২ কোটি টাকা ব্যয় প্রাক্কলন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাই এ খাতে অতিরিক্ত চার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে মন্ত্রণালয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এফআরসির চেয়ারম্যান হামিদুল্লাহ ভূইয়া মারা গেছেন
ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর হামিদুল্লাহ ভূইয়া দিদার মারা গেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আগামীকাল মঙ্গলবার ধনিয়াতে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জানাজা শেষে দুপুর ৩ টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাউন্টিং ডিপার্টমেন্টে আনা হবে। পরে বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবর স্থানে তাকে দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যালামনাই গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সর্বোচ্চ ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর চামড়া
রাজধানীর পোস্তায় কোরবানির চামড়া কেনাবেচা শুরু হয়েছে। আজ বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, পোস্তায় গরুর কাঁচা চামড়া সর্বোচ্চ প্রতি পিস ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তুলনামূলক আকারে ছোট গরুর চামড়া ২০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খাসির কাঁচা চামড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ১০ টাকায়।
পোস্তা এলাকার আড়তদার মো. শাহাদত হোসেন বলেন, এবার শ্রমিকের মজুরিসহ অন্যান্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় প্রতি পিস চামড়া সংরক্ষণের ব্যয় ৩০০ টাকার ওপরে পড়ে যাবে।
এ বছর ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, গত বছর যা ছিল ৫০-৫৫ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় বর্গফুটপ্রতি চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে পাঁচ টাকা।
অন্যদিকে ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা, গত বছর যা ছিল ৪৫-৪৮ টাকা। এ ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হয়েছে সর্বোচ্চ ৭ টাকা। এ ছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ২০-২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্ধারিত দাম অনুযায়ী ঢাকায় মাঝারি আকারের ২৫ বর্গফুটের লবণযুক্ত চামড়ার দাম হওয়ার কথা ১ হাজার ৩৭৫ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এই হিসাব থেকে লবণ, মজুরি ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২৫০ টাকা বাদ দিলে ওই চামড়ার আনুমানিক মূল্য দাঁড়ায় ১ হাজার ১২৫ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা।
গত বছর পুরান ঢাকার পোস্তায় মাঝারি আকারের গরুর একেকটি চামড়া বিক্রি হয়েছে ৭০০-৮৫০ টাকায়। ঢাকার বাইরে দাম ছিল আরও কম। যেমন সিলেটে গরু যতই বড় হোক না কেন, চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায়। বগুড়ার শেরপুরে মাঝারি আকারের গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৪০০-৫০০ টাকায়।
সর্বশেষ ২০১৩ সালে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বেশি ছিল। সেবার গরুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ছিল ৮৫-৯০ টাকা। এর পর থেকে বিভিন্ন কারণে চামড়ার দাম ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। ২০১৯ সালে কোরবানির পশুর চামড়ার দামে বড় ধরনের ধস নামে। ন্যূনতম দাম না পেয়ে দেশের অনেক অঞ্চলে চামড়া সড়কে ফেলে ও মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। এতে প্রায় ২৪২ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হয়।
এর পরের বছর সরকার তৎপরতা বাড়ালে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেনি। তবে দাম কমে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম দাঁড়ায় ৩৫-৪০ টাকা। তারপর গত তিন বছর সরকার নির্ধারিত দাম কিছুটা বাড়লেও কোরবানির চামড়া বিক্রি হয়েছে সেই দরের চেয়ে কম দরে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পদ্মা সেতুতে ঈদযাত্রায় টোল আদায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা
ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতুতে গত সাত দিনে মোট টোল আদায় হয়েছে ২৪ কোটি ৭৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা। গত ১০ জুন থেকে ১৬ জুন রাত ১০টা পর্যন্ত এই টোল আদায় হয়েছে বলে। সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি টোলা আদায় হয়েছে গত ১৪ জুন। ওই দিন মোট আদায় হয় ৪ কোটি ৮২ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ টাকা। ১৫ জুন টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৯০০ টাকা। ১৬ জুন রাত ১০টা পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার সাতশ ৫০ টাকা।
এর আগে গত ১০ জুন টোল আদায় হয় ২ কোটি ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা। ১১ জুন ২ কোটি ৮২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। ১২ জুন ৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৫০ টাকা। ১৩ জুন টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৬৮ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।
গত ৭ দিনে পদ্মা সেতু মাওয়া প্রান্তে টোটাল টোল আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা। একই সময়ে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ৫৯ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা।
সাত দিনে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু অতিক্রম করেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৫শ ৭২টি যানবাহন। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু অতিক্রম করেছে ৮২ হাজার ৮৫টি যানবাহন। দুই প্রান্ত দিয়ে মোট গত ৭ দিনে ২ লাখ ৪ হাজার ৬শ ৫৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
পদ্মা সেতুর অতিরিক্ত প্রকৌশলী আমিরুল হায়দার চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে
দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে। তার বিপরীতে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে। এ দেশের ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তিরা গত এপ্রিল মাসে দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ২ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, মার্চে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা।
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, দেশের ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তিদের পাশাপাশি এ দেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারও এপ্রিলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। এপ্রিলে এ দেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ১৯৯ কোটি টাকা, মার্চে যার পরিমাণ ছিল ২২৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ১ মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে ২৮ কোটি টাকা বা প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়। ঈদুল ফিতরের আগে–পরে মিলিয়ে লম্বা ছুটি ছিল। লম্বা এই ছুটিতে অনেকে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যান, আবার কেউ কেউ বিদেশে ভ্রমণে যান। ঈদের ছুটিতে বিপণিবিতান ও দোকানপাটও বন্ধ ছিল এক সপ্তাহের বেশি। সব মিলিয়ে তাই দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার এপ্রিলে কম ছিল বলে মনে করছেন তাঁরা।
এপ্রিল মাসে ক্রেডিট কার্ডধারী এ দেশের নাগরিকেরা যত অর্থ খরচ করেছেন, তার প্রায় অর্ধেকই খরচ করেছেন বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে, যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ খরচ করেছেন বিভিন্ন রিটেইল শপে, যার পরিমাণ ৩৭০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ৫০৭ কোটি টাকা, মার্চে যার পরিমাণ ছিল ৫০৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে বিদেশি বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে চার কোটি টাকার। দেশের মতো বিদেশেও বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ড বেশি ব্যবহার করেছেন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে। এপ্রিলে মোট ৫০৭ কোটি টাকা খরচের মধ্যে ১৪৯ কোটি টাকা খরচ করা হয় বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে।
বিদেশে গিয়ে গত এপ্রিলে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছেন ভারতে, যার পরিমাণ ৯৮ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপের আহ্বান
উত্তরের সীমান্তবর্তী কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলায় ধরলাপাড়ে কুড়িগ্রাম-সোনাহাট স্থলবন্দর মহাসড়কের মাধবরাম গ্রামে গড়ে উঠতে যাচ্ছে ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’।
কুড়িগ্রামে ভুটানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে অনুরোধ জানিয়েছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক৷
শনিবার (১৫ জুন) রাতে ভুটানে সফররত প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান দেশটির রাজার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ভুটানের রাজা এ অনুরোধ জানান।
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান থেকে ধরলার দূরত্ব প্রায় ৫০০ মিটার, কুড়িগ্রাম শহর থেকে এক কিলোমিটার, রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিন কিলোমিটার, সোনাহাট স্থলবন্দর (ভারতের আসামের সঙ্গে যুক্ত) থেকে ৪৪ কিলোমিটার, চিলমারী নৌ-বন্দর থেকে ৩৪ কিলোমিটার, রংপুর নগরী থেকে ৫২ কিলোমিটার ও লালমনিরহাট বিমানবন্দর থেকে ৩১ কিলোমিটার।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে জিটুজি-ভিত্তিক প্রস্তাবিত ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা।
আঞ্চলিক সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনায় এটি নতুন সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাবে বলে ভুটানের রাজা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ভুটানের রাজা ও রানির প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতে ভুটানের রাজা ভুটানের গেলেফু জেলায় নিমার্ণাধীন অর্থনৈতিক হাবে বাংলাদেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের উৎসাহী বিনিয়োগকারীদের সেখানে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।