অর্থনীতি
ভিভিআইপিদের বিদেশ ভ্রমণে দ্বিগুণ বাজেট চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
![ভিভিআইপিদের বিদেশ ভ্রমণে দ্বিগুণ বাজেট চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/01/ministry-of-foreign-affairs-পররাষ্ট্র-মন্ত্রণালয়.jpg)
ভিভিআইপিদের বিদেশ ভ্রমণে চলতি অর্থবছরের বাজেটে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যা মূল বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থের দ্বিগুণ।
নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছয়টি দেশ সফরের সম্ভাবনা ও পুরোনো সফরের বকেয়া বিমানভাড়া পরিশোধ করতে এই বাড়তি অর্থের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করা বিদেশি রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানদের আপ্যায়ন খাতে অতিরিক্ত চার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে গত ২০ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট শাখা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভিভিআইপিদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯৭.২৮ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রপতি দুইবার সিঙ্গাপুর ও একবার ইন্দোনেশিয়া সফর করেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী দুইবার যুক্তরাষ্ট্র এবং একবার করে যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছেন।
এ খাতে বরাদ্দের অর্থ থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের বিমানভাড়ার ব্যয় ছাড়াও তাদের সফরকালে মিশনগুলোতে আবাসন, যানবাহন, মোবাইল সিমকার্ড, অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় এবং তাদের সফরসঙ্গীদের ভাতা, বিমানভাড়া ইত্যাদি ব্যয় মেটানো হয়।
সংশোধিত বাজেটে এ খাতে আরও ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে লিখেছে, বিমান ভাড়া ও ভিআইপি ফ্লাইট সংক্রান্ত ব্যয় বাবদ ১৪টি ফ্লাইটের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৮৬.৬৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘অধিকন্তু, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারকরণের লক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আরও ছয়টি বিদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে, যার জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। এ খাতে অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় হিসাব করে মোট ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন, যেখানে মূল বাজেটে ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভূমি অধিগ্রহণ খাতে তাদের মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সেই বরাদ্দ থেকে ১০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রাচার কাজে বরাদ্দ দিতে অর্থ বিভাগকে প্রস্তাব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চলতি অর্থবছরের আপ্যায়ন ব্যয় খাতে বরাদ্দ রয়েছে মোট ৮ কোটি টাকা। এ খাতে বরাদ্দের অর্থ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আমন্ত্রণে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানসহ গণ্যমান্য অতিথিদের বাংলাদেশ সফরকালে আপ্যায়ন ও স্থানীয় আতিথেয়তায় ব্যয় করা হয়।
চলতি অর্থবছরে পাঁচজন ভিভিআইপি বা রাষ্ট্রপ্রধানের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে এ খাতে মোট ১২ কোটি টাকা ব্যয় প্রাক্কলন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাই এ খাতে অতিরিক্ত চার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে মন্ত্রণালয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা না দেয়ার সুপারিশ আইএমএফের
![রেমিট্যান্সে প্রণোদনা না দেয়ার সুপারিশ আইএমএফের সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/imf-2.jpg)
বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়াতে প্রায় ৫ বছর ধরে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ প্রণোদনা না দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে আইএমএফ বলেছে, সম্প্রতি বিনিময় হার সংস্কারের মধ্যে দিয়ে এ ধরনের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে– (বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আকৃষ্ট করতে) যা অপ্রয়োজনীয়। তাই কর্তৃপক্ষকে এই ভর্তুকি ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে এবং ক্রমান্বয়ে এটি একেবারে বাদ দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফের স্টাফ প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া খেলাপি ঋণ কমাতে বেসরকারি খাতে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি গঠনের সুপারিশও করা হয়েছে।
এর আগে ২৪ জুন (সোমবার) নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ এবং রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও, আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তির অনুমোদন দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অনুমোদনের কথা জানানো হয়েছে।
সরকার ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে ২০১৯ সালের আগস্টে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এটি বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়।
আইএমএফ বলছে, আইএমএফ সমর্থিত (ঋণ) কর্মসূচির আগেই সরকার এই প্রণোদনা চালু করেছে, তাই মাল্টিপল কারেন্সি প্র্যাকটিসের (এমসিপি বা বিভিন্ন মুদ্রায় আন্তর্জাতিক লেনদেনের ) ক্ষেত্রে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়নের (পিসি) কোনো লঙ্ঘন হয়নি; তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এমসিপিতে আইইএমএফের নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই রেমিট্যান্সের প্রণোদনা নিয়ে এমন পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
আগামী ডিসেম্বরে ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাওয়ার আগে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নেট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৪.৯ বিলিয়ন ডলার ও ডিসেম্বর শেষে ১৫.৩ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সংরক্ষণের শর্তারোপ করেছে সংস্থাটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
প্রথম ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৫৭ শতাংশ
![প্রথম ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৫৭ শতাংশ সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/ADP.jpg)
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ হতে বাকি আর মাত্র চারদিন। অর্থবছরের ১১ মাসে অর্থাৎ মে পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্ধেক বাস্তবায়ন হয়েছে। এ সময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। চার বছরের মধ্যে যা সব থেকে কম।
চলতি বছরের ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন বাবদ খরচ হয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। অথচ এই অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। ফলে এক মাসে (চলতি জুন মাসে) খরচের টার্গেট এক লাখ ৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৬১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। তার আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) এ হার ছিল ৬৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে ৫৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়।
বুধবার (২৬ জুন) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে উঠে আসে এসব তথ্য।
আইএমইডি জানায়, আলোচ্য সময়ে এডিপি বাস্তবায়নে এগিয়ে রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন, বাস্তবায়ন হার ৯৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এডিপি বাস্তবায়নে সব থেকে পিছিয়ে নির্বাচন কমিশন, ১১ মাসে বাস্তবায়ন মাত্র ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ। ৬০০ কোটি ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দের মধ্যে এ সময়ে ইসি খরচ করেছে মাত্র ১৮০ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বোতলজাত পানির দাম বাড়ায় ব্যবস্থা নেবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
![বোতলজাত পানির দাম বাড়ায় ব্যবস্থা নেবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Ahsanul-Islam-2.jpg)
দেশে বোতলজাত পানির দাম কেন বেড়েছে সে বিষয়ে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। সেইসাথে বাজারে আলু ও পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। বিএসআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় ফোরামের সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব সভাপতিত্ব করেন।
বোতলজাত পানির দাম বাড়ানো নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমি প্রথম শুনলাম এটা। খবর নেব এটার, কেন বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের কী করণীয়, অবশ্যই আমরা এটার ব্যবস্থা নেব।
সাবান ও গুড়া সাবানের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবান নিয়ে এর আগে কেউ প্রশ্ন করে নাই। এটা নিয়ে কোনো কিছু করণীয় আছে কিনা সেটা দেখব। আপনাদের বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। অনেক বিষয় আছে সেটা আমাদের কিনা সেটা দেখতে হবে। শিল্পগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ের। তাই সাবানের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের আছে কি না সেটা দেখে আপনাদের জানাব।
বাজারে আলুর দাম ৭০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি – এই দাম স্বাভাবিক মনে করেন কিনা প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে আলু ও পেঁয়াজ পর্যাপ্ত আছে, এটাকে স্বাভাবিক বলে মনে করি। দাম যৌক্তিকতার বিষয়টি আমার ইয়ে না। আমি দেখবো, সেটা বার বার বলার চেষ্টা করতেছি।
তিনি বলেন, যেকোনো দ্রব্যের মূল্য নির্ভর করে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা যদি সরবরাহ করতে পারি তাহলে দাম কমে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বাজারে আলু ও পেঁয়াজ কম দামে সরবরাহ না থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত যে মূল্য আছে সেটা আমাকে দেখতে হবে। আমি চাইলেই কাউকে এমন কোনো আইন করে বলতে পারবো না যে, পেঁয়াজের দাম এতো। অত্যন্ত আমি পারবো না। সেটা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার মেকানিজম আমার জানা নাই। আমার যেটা জানা আছে, যদি দাম বেড়ে যায়, তাহলে আমদানি করে কম দামে বাজারে সরবরাহ করলে দাম কমে যাবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঝুঁকিমুক্ত রিজার্ভ অর্জনে তিন বছর লাগবে: আইএমএফ
![ঝুঁকিমুক্ত রিজার্ভ অর্জনে তিন বছর লাগবে: আইএমএফ সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/bangladesh-bank-IMF.jpg)
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশকে দেওয়া নানান শর্তের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারণের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। এ অবস্থায় সংস্থাটি ডিসেম্বরের মধ্যে রিজার্ভের নতুন লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নিট রিজার্ভ ১৫৩২ কোটি ডলারে উন্নীত করতে হবে।
বর্তমানে নিট রিজার্ভ রয়েছে ১৪৭৯ কোটি ডলার, যা দিয়ে ১ দশমিক ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। রিজার্ভকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। গ্রস রিজার্ভ তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান করতে হলে বাংলাদেশকে আরও দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে। নিট রিজার্ভ তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান করতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরও তিন বছর। অর্থাৎ ২০২৬ সালের জুনে গ্রস রিজার্ভ এবং ২০২৭ সালের জুনে নিট রিজার্ভ তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান হবে।
বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন ও আইএমএফ-এর শর্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে সোমবার রাতে প্রকাশিত সংস্থাটির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, আইএমএফ-এর হিসাবে এখন গ্রস রিজার্ভ ১ হাজার ৮৯৯ কোটি ডলার। এ রিজার্ভ দিয়ে ২ দশমিক ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৪৭৯ কোটি ডলার, যা দিয়ে ১ দশমিক ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। অথচ কোনো দেশের রিজার্ভকে নিরাপদ মাত্রায় রাখতে হলে কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের রিজার্ভ বেশ কম রয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য মানতে নারাজ। তারা বলেছে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন নিট ও গ্রস দুই হিসাবেই তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের ওপরে রয়েছে। গ্রস হিসাবে এখন রিজার্ভ ২ হাজার ৫২৩ কোটি ডলার ও নিট হিসাবে ১ হাজার ৯৯১ কোটি ডলার, যা দিয়ে সাড়ে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
আইএমএফ বলেছে, আগামী বছরের জুনের মধ্যে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ২ হাজার ৩২৭ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে। তখন ওই রিজার্ভ দিয়ে আড়াই মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। একই সময়ে নিট রিজার্ভ বেড়ে ১ হাজার ৯৪৭ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে। এ রিজার্ভ দিয়ে ২ দশমিক ১ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। গ্রস রিজার্ভ ২০২৬ সালের জুনে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান হবে। ওই সময়ে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়াবে ৩ হাজার ২১৫ কোটি ডলার। নিট রিজার্ভ ২০২৭ সালের জুনে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান হবে। ওই সময়ে রিজার্ভ বেড়ে হবে ৩ হাজার ৭৭৪ কোটি ডলার।
এদিকে আইএমএফ থেকে চলতি জুন পর্যন্ত নিট রিজার্ভ ধারণের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ৭৭৮ কোটি ডলার। ওই সময়ে এ লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। রিজার্ভ জুন শেষে ১ হাজার ৬৭৩ কোটি ডলারে দাঁড়াতে পারে।
এদিকে আইএমএফ রিজার্ভের নিম্নমুখী প্রবণতা কমানোর জন্য বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে। এজন্য তারা রেমিট্যান্স বাড়াতে বলেছে। কিন্তু রেমিট্যান্স বাড়লেও আগের বৈদেশিক দেনা শোধ করতে গিয়ে বাংলাদেশ রিজার্ভ বাড়াতে পারছে না। এর মধ্যে গত মাসে রপ্তানি আয় বেশ কমে গেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১১ কোটি ডলারের চীনা বিনিয়োগ আসছে দেশে
![১১ কোটি ডলারের চীনা বিনিয়োগ আসছে দেশে সাইফ পাওয়ার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/a-58.jpg)
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা মালিকানাধীন আলপেন বানিয়ান গার্মেন্টস বিডি কোম্পানি লিমিটেড। এ নিয়ে কোম্পানিটি বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে।
বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা কোম্পানিটি প্রায় ৯০ হাজার বর্গমিটার জমির ওপর একটি পোশাক কারখানা স্থাপন করবে। কারখানাটি বছরে ৪ কোটি ৩০ লাখ পিস ওভেন ও নিট পোশাক উৎপাদন করবে, যা রপ্তানি হবে। পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে গেলে কোম্পানিটিতে ১১ হাজার ৯৯৫ জনের কর্মসংস্থান হবে।
বেপজার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর ও আলপেন বানিয়ান গার্মেন্টসের পরিচালক লি টিয়ানিং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। ঢাকায় বেপজা কমপ্লেক্সে চুক্তিটি সই হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপনের জন্য বিনিয়োগ চুক্তি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এককভাবে এটিই হলো সর্বোচ্চ বিনিয়োগ প্রস্তাব।
বিনিয়োগের জন্য বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে বেছে নেওয়ায় আলপেন বানিয়ান গার্মেন্টসকে ধন্যবাদ জানান বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, বেপজা তৈরি পোশাক, বস্ত্র খাতসহ সব খাতকে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য স্বাগত জানায়। তবে অটোমোবাইল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকসসহ তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের মতো বৈচিত্র্যময় খাতে বিনিয়োগকে বেশি উৎসাহিত করে।
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য এখন পর্যন্ত আলপেন বানিয়ান গার্মেন্টসসহ মোট ২৯টি প্রতিষ্ঠান চুক্তি করেছে। তাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৮ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। প্রতিষ্ঠানটি তৈরি পোশাকশিল্পের পাশাপাশি জুতা ও জুতার সরঞ্জাম, টেন্ট ও ক্যাম্পিংসামগ্রী, চুলের যত্নের পণ্য ও সরঞ্জাম, লুব্রিকেন্টস অয়েল, ডিসপোজেবল কাটলারি ইত্যাদি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো চুক্তি সই করেছে।
বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের তিনটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করেছে। চলতি বছরের মধ্যে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি শুরু করবে বলে জানায় বেপজা।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) মোহাম্মদ ফারুক আলম, সদস্য (অর্থ) আ ন ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ সার্ভিসেস) মো. খুরশীদ আলম, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ এস এম আনোয়ার পারভেজ, নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন-অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফজলুল হক মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।