জাতীয়
বিদেশিরা বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
![বিদেশিরা বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/01/স্বাস্থ্যমন্ত্রী-সামন্ত-লাল-সেন.jpg)
দেশের রোগীরা চিকিৎসা নিতে আর বিদেশে যাবে না, বরং বিদেশ থেকে বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসবে এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই- বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চিকিৎসা খাত নিয়ে অনেক যুদ্ধ করেছি, সেটার আস্থা প্রধানমন্ত্রী রেখেছেন। আমি তার প্রতিদান দিতে চাই। আমাদের ডাক্তাররা অনেক মেধাবী। রোগী যেন বিদেশে না যায় বরং বিদেশ থেকে রোগী আমাদের দেশে আসে এমন ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জীবনে কখনও কোনো অনিয়ম করিনি। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে সেটা সহ্যও করব না। আমার কিছুই চাওয়ার নেই। একটাই লক্ষ্য, সেটা হলো দেশের স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানো।’
এ সময় তিনি স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে চিকিৎসক, নার্স, স্টাফসহ সবার সহযোগিতা চান। একইসঙ্গে দেশের বাইরে যাতে আর কোনো মানুষ চিকিৎসা নিতে না যায় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবা দিতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিশু আয়ানের বিষয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এখানে শুধু চিকিৎসককে দোষ দিলে হবে না, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা অন্য কারও গাফিলতি আছে কি না এবং ঘটনা আসলে কী ঘটেছিল সেটি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সেভাবেই কাজ চলছে। এখানে সরাসরি কাউকে দোষারোপ করা যাবে না।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: আইএসপিআর
![সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: আইএসপিআর দুই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/ISPR.jpg)
বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানোর বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। রবিবার (২৮ জুলাই) গণমাধ্যমে এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী ক্রম অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে গত ২০ জুলাই ভোর থেকে নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দ্রুত নৈরাজ্য প্রশমন করতে সাহায্য করে।
এতে বলা হয়, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য দেশে ও বিদেশে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা বলে অনুমিত।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সংবিধান সমুন্নত রেখে প্রচলিত আইনের আওতায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, দেশবাসীর জানমালের নিরাপত্তা ও জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
‘স্বার্থান্বেষী মহলের এ জাতীয় বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছে। জনগণের স্বার্থে ও রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে’, বলে জানায় আইএসপিআর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিনদিন চেক ক্লিয়ারিংয়ের নতুন সময়সূচি
![তিনদিন চেক ক্লিয়ারিংয়ের নতুন সময়সূচি দুই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/06/bangladesh-bank-4.jpg)
কারফিউ চলাকালে ২৮, ২৯ ও ৩০ জুলাই (রবি, সোমবার ও মঙ্গলবার) ব্যাংক লেনদেনের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তিনদিন চেক ক্লিয়ারিং হাউজের নতুন সময়সূচি চলবে।
রবিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস), স্বয়ংক্রিয় চেক নিকাশ ঘর (বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ-বিএসিএইচ বা ব্যাচ) এবং বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) এ তিন প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম নতুন সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। এসব সেবার মাধ্যমে এক শাখা থেকে অন্য শাখায় বা অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে অর্থ পরিশোধ ও স্বয়ংক্রিয় চেক নিষ্পত্তি করে থাকে।
বিএসিএইচ-এর মাধ্যমে হাই ভ্যালু চেক (৫ লাখ টাকার বেশি) এবং রেগুলার ভ্যালু চেক (৫ লাখ টাকার কম) নিকাশ ব্যবস্থা নিষ্পত্তি করা হয়। হাই ভ্যালুর চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য বেলা ১২টার মধ্যে পাঠাতে হবে। এগুলো বেলা ২টা ১৫ মিনিটের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে। আর যেকোনো রেগুলার ভ্যালুর চেক বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে ক্লিয়ারিং হাউজে পাঠাতে হবে। এসব চেক বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে।
আরটিজিএস-এর গ্রাহক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। আন্তঃব্যাংক ট্রান্সফার ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সেবা আগের নিয়মে চলবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, ২৮, ২৯ ও ৩০ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর লেনদেন হবে। ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। একই সঙ্গে ব্যাংক শাখাগুলোতে সব স্বাভাবিক লেনদেন চলবে।
স্বাভাবিক সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চলে। আর ব্যাংকের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।
এর আগে কারফিউ ও সাধারণ ছুটির কারণে টানা তিন দিন বন্ধের পর গত ২৪ ও ২৫ জুলাই ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা খোলে। এসব শাখায় বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সীমিত পর্যায়ে কিছু সেবা দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সহিংসতায় ১৪৭ জন মারা গেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
![সহিংসতায় ১৪৭ জন মারা গেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/sorasto-montri.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত-সহিংসতায় সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ১৪৭ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এর মধ্যে পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
রবিবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মৃতের সংখ্যা নির্ণয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে। নিহতদের মধ্যে কতজন নারী, কতজন পুরুষ কিংবা কোন পেশার মানুষ কতজন- সেটি নির্ধারণের কার্যক্রমও চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নিহত ৩৪ জনের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা
![নিহত ৩৪ জনের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা দুই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/PM-14.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় নিহত ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যরা রোববার (২৮ জুলাই) সকালে গণভবনে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজ-খবর নেন। অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আবেগাপ্লুত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমাকে দেখেন, আমি কত শোক নিয়ে বেঁচে আছি।
এক রাতে বাবা-মা, ভাইসহ নিজের স্বজন হারানোর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই। আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি।
এ সময় গণভবনের ব্যাংকোয়েট হলে হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
প্রধানমন্ত্রী ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন।
এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নিয়েছি: ডিবিপ্রধান
![নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নিয়েছি: ডিবিপ্রধান দুই](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/harun-or-rashid.jpg)
নিরাপত্তার স্বার্থে কোটা আন্দোলনের পাঁচ সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অনুরোধ করেন।
গত শুক্রবার কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে নিরাপত্তার স্বার্থে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায়ও দুইজন সমন্বয়ককে নিরাপত্তা স্বার্থে নিয়ে আসা হয় ডিবি কার্যালয়ে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগিয়েছে, এসব দুর্বৃত্ত, এসব জামায়াত-শিবিরে চক্রদের ধরার দায়িত্ব আমাদের কাছে। কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, তারা যদি বিভিন্ন জায়গায় বলে, তাদের সঙ্গে যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে, এটা জানার পর আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের নিরাপদে নিয়ে আসা।
তিনি বলেন, প্রশ্ন আসতে পারে শুধু তাদের ক্ষেত্রে কেন নিরাপত্তার বিষয়। মনে রাখতে হবে এই লোকগুলোকে কেন্দ্র করে অর্থাৎ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঘিরেই কিন্তু অস্বাদু চক্র জামায়াত-বিএনপি এই সুযোগে অনুপ্রবেশ করে একটা গণতান্ত্রিক সরকারকে পতন ঘটাতে চেয়েছিল। এই চক্র রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী আগুন লাগাতে চেয়েছিল। সেই কারণে আমি মনে করি, এই চক্র যদি আবার শিক্ষার্থীদের কোনো কিছু করে আন্দোলনের কিছু করতে চায়, সেই জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নিয়েছি।
কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে কত দিন রাখা হবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলব এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলব।
নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি সমন্বয়কদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে হারুন-অর-রশিদ বলেন, যেহেতু তারা নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের কাছে… তারপরেও তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে কথা-বার্তা হচ্ছে। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সুন্দর একটা আন্দোলন ছিল, এই আন্দোলনের সময় তাদের সঙ্গে কারা কারা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে, কারা কারা তাদের উসকানি দিয়েছিল। আমরা তাদের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তারা কিছু নাম ও নম্বর আমাদের দিয়েছে।
খবর ছড়ানো হচ্ছে যে, ডিবিতে সমন্বয়কদের মারধর করেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, যারা ফেসবুকে লেখালিখি করে, তারা অনেকের নাম-নম্বর ধরে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে। আমি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছি, এই গুজবও ছড়িয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রের অনেক ব্যক্তির নামেও কিন্তু অনেক গুজব ছড়িয়েছে। তাহলে এটাও বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। আমরা যাদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়ে এসেছি, তাদের নিয়ে যদি কোনো গুজব ছড়ায়, সেটি বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। তারা এই গুজব ছড়িয়ে কিছু ভিউ বাড়িয়ে টাকা আয় করতে চায়।
বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন আসছে আন্দোলনকারীদের পুলিশ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, যাতে করে তারা আর একত্রিত হতে না পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এসব গুজবকে আপনারা বিশ্বাস করবেন না। আইনের স্বার্থে আমরা অনেককে অনেক সময় গ্রেপ্তার করেছি। যারা পুলিশকে হত্যা করেছে এবং গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির… সেই সময়তো ওইসব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে অনেকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। সেই সময়তো প্রশ্ন আসেনি যে আমরা তাদের প্রতি অন্যায় করেছি। আজকে যে মানুষকে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়ে এসেছি, এই গুজব আপনারা বিশ্বাস করবেন না।
সমন্বয়কদের পরিবারের পক্ষ থেকে ও তাদের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, নিরাপত্তা পরিবারের মাধ্যমে যেন দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, কারা কী বলছে এ বিষয়ে আমরা কোনো কিছু জানি না। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো আবেদন আসেনি। আমাদের কাছে এই বিষয়ে কেউ কিছু বলেনি। আমরা জাস্ট নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নিয়ে এসেছি। তাদের আন্দোলন সম্পর্কে টুকটাক আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
তিনি বলেন, যাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা নিয়ে এসেছি, তাদের পরিবারের কাছে অনুরোধ করব, দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আমরা মনে করি তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা দেখছি। তাদের পরিবার যেন নিশ্চিন্ত থাকে, সেই বিষয়ে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই।
কাফি