অর্থনীতি
বাংলাদেশ থেকে ইইউর পোশাক আমদানি কমেছে ১৯ শতাংশ

সম্প্রতি বিশ্ববাজার থেকে পোশাক রফতানি কমিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের উপর। দেশ থেকে যে পরিমাণ পোশাক রফতানি হয় তার ৫০ শতাংশই যায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে।
সদ্যসমাপ্ত ২০২৩ সালের প্রথম ১০ মাসে ইইউর দেশগুলোয় বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান অফিস ইউরোস্ট্যাট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ইইউর দেশগুলো ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে সবচেয়ে বেশি পোশাক আমদানি কমিয়েছে চীন থেকে। এর পরই বাংলাদেশের অবস্থান।
ইউরোস্ট্যাট প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইইউর দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করে ১ হাজার ৮৫৭ কোটি ইউরোর। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তা কমে ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ইউরোয় নেমেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩৬৩ কোটি ইউরোর পোশাক আমদানি কমিয়েছে ইইউ।
২০২২ সালে চীন থেকে ২ হাজার ৪৪১ কোটি ইউরোর পোশাক আমদানি করে ইইউ, যা ২০২৩ সালের একই সময়ে এসে দাঁড়ায় ১ হাজার ৯২৪ কোটি ইউরোয়। অর্থাৎ চীন থেকে ৫১৬ কোটি ৮৯ লাখ ইউরো বা ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ পণ্য আমদানি কমিয়েছে ইইউ।
সমাপ্ত বছরের ১০ মাসে বিশ্ববাজার থেকে ইইউর মোট পোশাক আমদানি কমেছে ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৮ হাজার ৩৩৭ কোটি ইউরোর পোশাক আমদানি করলেও ২০২৩ সালের একই সময়ে তা দাঁড়ায় ৭ হাজার ৩৫ কোটি ইউরোয়। অর্থাৎ ১ হাজার ৩০১ কোটি ইউরোর পণ্য আমদানি কমেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ইইউর পোশাকের চাহিদা কমেছে। যার কারণে গত এক বছরে আমদানি কমিয়েছে ইউরোপ। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ওপর। তবে সামনে পোশাক খাতে আবারো সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি ফের ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম ও পরিবহন খরচও কমছে। এগুলো প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ধারার ভিত্তি তৈরি করবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘যেখানে যত বেশি মার্কেট শেয়ার থাকবে, সেখানকার মার্কেটে নেতিবাচক প্রভাব পড়লে সে প্রভাব বড় শেয়ারধারীর ওপর বেশি পড়বে। ইইউর পোশাক আমদানির বড় দুই অংশীদার বাংলাদেশ ও চীন। সেজন্যই মূলত বাংলাদেশ ও চীন থেকে আমদানির হার এবং পরিমাণও কমেছে। এ কারণেই এ খাতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।’
বিজিএমইএ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউরোপের বাজারে ২০২৩ সালের শেষ দুই মাসেও নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ২০২৪ সালটি কেমন যাবে এটা বলা কঠিন। কারণ একদিকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় যায়, সেটি আমাদের দেখতে হবে। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সাপ্লাই চেইন ও মূল্যস্ফীতিসহ আরো অনেক বিষয়। সেই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থিনীতিতেও কিছু চাপ তৈরি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নিম্নমুখী। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২৪ সালে অর্থনীতি সার্বিকভাবে চাপের মধ্যে থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের চাহিদা বাড়বে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
কাফি

অর্থনীতি
২০ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৮ কোটি ডলার

প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে দেশে ১৭৮ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৮ কোটি ডলার। আর গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ১৬৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
এ ছাড়া গত ২০ অক্টোবর একদিনে প্রবাসীরা দেশে ৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৯৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে যথাক্রমে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
অর্থনীতি
একনেকে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় এক হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভয় প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন। অসুস্থ থাকায় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেননি পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, একনেক সভায় মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
এর মধ্যে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে পাওয়া যাবে ৫০ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হবে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি, সংশোধিত প্রকল্প ৭টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
অনুমোদিত ১৩টি প্রকল্প হলো–
কৃষি মন্ত্রণালয়: ‘পিআরও-অ্যাক্ট বাংলাদেশ: রেজিলিয়েন্স স্ট্রেন্থেনিং থ্রু এগ্রি-ফুড সিস্টেমস ট্রান্সফর্মেশন ইন কক্সেস বাজার’ প্রকল্প।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়: “গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ৩য় সংশোধন)”।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (৩টি):
“খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধন)”।
“জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত)”।
“গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ০১ থেকে ০৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)”।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়: “উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: “অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ” প্রকল্প।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়: “কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথমানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প।
শিল্প মন্ত্রণালয়: “বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন” প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়: “ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (২য় সংশোধিত)”।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়: “মানসিক হাসপাতাল, পাবনা-কে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর” প্রকল্প।
রেলপথ মন্ত্রণালয় (২টি):
“বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৪র্থ সংশোধিত)” প্রকল্প।
“বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধিত)” প্রকল্প।
একনেক সভায় অংশগ্রহণ করেন– পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন; পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতি
স্বর্ণের দাম বেড়ে ভরি ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। এতে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে এক হাজার ৫০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সোনার দাম বাড়ানো হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয় ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে সেই রেকর্ড ভেঙে গেলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৫২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭২৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৭৪ টাকা।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৪৯৬ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ১৪৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭৭ হাজার এক টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮৩১ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকা। আজ রোববার এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ৩ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯ হাজার ২০৩ কোটি টাকা

চলতি (অক্টোবর) মাসের প্রথম ১৮ দিনে দেশে এসেছে প্রায় ১৫৭ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৯ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে যোগ হয়েছে আট কোটি ২৮ লাখ ডলার বা প্রায় এক হাজার ১১ কোটি টাকার প্রবাসী আয়।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, এ রেমিট্যান্স গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ কোটি ১০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ওই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছর ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৯১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৮০৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অর্থবছর অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ও সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।
গত অর্থবছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্সপ্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল, যা ছিল ওই অর্থবছরের এক মাসের হিসাবে রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। এটি আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। তখন জুলাইয়ে ১৯১ দশমিক ৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২ দশমিক ১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০ দশমিক ৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯ দশমিক ৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি ও জুনে ২৮২ কোটি ডলার প্রবাসী আয় পাওয়া গিয়েছিল।
অর্থনীতি
বিমানবন্দরে আগুনে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি: বিজিএমইএ

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলে অনুমান করছেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নেতারা।
তারা বলেছেন, এ দুর্ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরিদর্শন শেষে বিজিএমইএ নেতারা এসব কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক।
তিনি বলেন, ওই অগ্নিকাণ্ডের ফলে তৈরি পোশাক, মূল্যবান কাঁচামাল এবং নতুন ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল পুড়ে গেছে। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আগুনে যে পরিমাণ পণ্য নষ্ট হয়েছে, তা শুধু বর্তমান রপ্তানির ক্ষতি নয়, ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক সুযোগও ব্যাহত করবে। বিজিএমইএ এরই মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ শুরু করেছে। সদস্যদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়েছে।
দিনে ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয় জানিয়ে ইনামুল হক খান বলেন, ক্ষতির পরিমাণ বিপুল হতে পারে। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে শিগগির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা করবে বিজিএমইএ।
তিনি বলেন, আমরা ভেতরে গিয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখেছি। পুরো ইমপোর্ট সেকশন পুড়ে গেছে। আমাদের অনুমান, ক্ষতির পরিমাণ ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) টাকার বেশি হতে পারে।