জাতীয়
খালেদা জিয়ার কবরের জায়গা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাজধানীর জিয়া উদ্যানে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কবরের জায়গা পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর জিয়া উদ্যানে খালেদা জিয়ার কবরের জায়গা পরিদর্শনে আসেন তিনি। এ সময় কবর খনন কার্যক্রম ছাড়াও সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এদিকে, আজ সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে মরদেহবাহী গাড়িটি গুলশান-২ এর উদ্দেশে রওনা হয়। পরে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে কুড়িল ফ্লাইওভার অতিক্রম করে নৌ সদর দফতরের পাশ দিয়ে গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসায় পৌঁছায়।
দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহিদ জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে সমাহিত করা হবে।
জাতীয়
খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন, স্মরণকালের রেকর্ড মানুষের অংশগ্রহণ
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এতে স্মরণকালের রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ৩টা ৫ মিনিটে জানাজা শেষ হয়। জানাজায় ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
এতে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতারা।
এছাড়াও বন্ধুপ্রতিম বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও অংশগ্রহণ করেন।
এদিন দুপুর ২টায় জানাজা শুরুর কথা থাকলেও ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে মানুষের বিস্তৃতি আশপাশের এলাকা বিজয় সরণি, খামারবাড়ি মোড়, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, শেরে বাংলা নগর, কলেজগেট, আসাদগেট ও শাহবাগসহ অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ে।
ভবনের ছাদ ও ওভার ব্রিজসহ যে যেখানে সুযোগ পেয়েছেন সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়েছেন। চাপ ঠেলে সময় মতো আসতে না পেরে অনেকে জানাজা পাননি।
ধারণা করা হচ্ছে, নিকট অতীতে এতো বড় জানাজা দেখেনি দেশবাসী।
পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানাজার পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পাশে স্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
এসময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদরা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে।
জাতীয়
জানাজাস্থলে খালেদা জিয়ার মরদেহ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জানাজাস্থলে নেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে লাল-সবুজ পতাকায় মোড়ানো ফ্রিজার ভ্যানে করে তার মরদেহ নেওয়া হয়।
এর আগে দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জানাজাস্থলে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান এবং বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত হয়েছেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মাদ আবদুল মালেক। কিছুক্ষণের মধ্যেই খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা শুরু হবে।
জাতীয়
খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে প্রধান উপদেষ্টা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য সকাল থেকেই রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন। মানুষের চোখে মুখে একজন আপসহীন দেশনেত্রীকে হারানোর বেদনা।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার পর সরেজমিনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে দেখা যায়, জানাজার ৫ ঘণ্টা আগেই হাজার হাজার মানুষ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অবস্থান করছেন।
অন্যদিকে চারদিক থেকে মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য ছুটে আসছেন।
নরসিংদী থেকে আসা আমির হোসেন বলেন, বাড়ি থাকতে পারিনি। নিজের টাকা খরচ করে প্রিয় নেত্রীর জানাজা করতে ছুটে এসেছি।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ফারুক আহমেদ ও শ্যামল কুমার বলেন, এরকম দেশপ্রেমিক সাহসী নেত্রী বাংলাদেশের ইতিহাসে আর আসবে কিনা জানি না। প্রিয় নেত্রীর শেষ বিদায় জানাতে চলে এসেছি।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আজ (বুধবার) দুপুর ২টায় বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজার আয়োজনে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
জানাজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ রাজধানীতে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন কার্যক্রমকে ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে এভারকেয়ার হাসপাতাল, জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, ‘আপসহীন নেত্রী’ খ্যাত খালেদা জিয়া।
তার মৃত্যুতে দেশে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও আজ বুধবার জানাজা উপলক্ষে একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতীয়
খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিচ্ছেন ৩২ দেশের কূটনীতিক
রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নেওয়া হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার কিছু পরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করে খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী পতাকায় মোড়ানো গাড়িবহর। দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে তার জানাজা।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথচলায় আপসহীন এ নেত্রীর জানাজায় উপস্থিত থাকছেন ঢাকায় নিযুক্ত বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার। এরইমধ্যে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা জানাজাস্থলের উদ্দেশে বারিধারা ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
তারা হলেন— নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত জোরিস ফ্রান্সিস্কাস জেরার্ডাস ভ্যান বোমেল, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদুল মোত্তালিব এস. এম. সোলাইমান, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল, রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত একাতেরিনা সেমেনোভা, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কাইঙ্গল, সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার মিচেল লি, প্যালেস্টাইনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জিয়াদ এম. হামাদ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, দক্ষিণ কোরিয়া ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জিনহি ব্যাক, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা ক্যাথরিন কুক, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মো, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেংগলি, ইতালির রাষ্ট্রদূত আলেসান্দ্রো আন্তোনিও, কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং, জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনচি, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস, স্পেনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত লারা দে লা পেনা ফের্নান্দেজ, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হোকন আরাল্ড গুলব্রানসেন, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফের্নান্দো দিয়াস ফেরেস, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলওয়াহাব সাইদানি, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসমান, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদিউপ, কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলি এম. এস. আল-কাহতানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার, বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্র মনি পাণ্ডে, মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত আমির ফারিদ আবু হাসান এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সিমোন লসন পারচম।
গত মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বেগম খালেদা জিয়ার। গত ২৩ নভেম্বর ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এরপর দেখা দেয় নিউমোনিয়া, সঙ্গে কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের পুরনো সমস্যা। হাসপাতালে ভর্তির পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) নেওয়া হয় তাকে।
১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্ম নেয়া এই নেত্রী ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক দীর্ঘ ও ঘটনাবহুল অধ্যায়ের নাম।
জাতীয়
ফয়সালের ভিডিওবার্তা এআই দিয়ে তৈরি নয়
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের একটি ভিডিওবার্তা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি যাচাই করে দেখা গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি নয়। ভিডিওতে দৃশ্যমান ফয়সালের চেহারা, মুখভঙ্গি ইত্যাদি ফয়সাল করিমের বাস্তব চেহারা এবং মুখভঙ্গির সঙ্গে পুরোপুরি সাযুজ্যপূর্ণ।
ঢাকাভিত্তিক ডিজিটাল অনুসন্ধানমূলক সংবাদমাধ্যম দ্য ডিসেন্ট বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) তাদের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছে।
এমআরডিআই’র ফ্যাক্ট চেক জানিয়েছে, শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের নামে প্রচারিত একটি ভিডিওবার্তা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হলে এমআরডিআই ফ্যাক্ট চেক টিম বিষয়টি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিশ্লেষণ করে।
দ্য ডিসেন্ট জানিয়েছে, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের বক্তব্য হিসেবে প্রচারিত একটি ভিডিওর বিষয়ে আমাদের কাছে অনেকে জানতে চেয়েছেন।
ভিডিওটি সম্পর্কে দ্য ডিসেন্ট এর পর্যবেক্ষণ নিচে তুলে ধরা হলো:
প্রথমত, ভিডিওটি এআই জেনারেটেড নয়। কারণ, ভিডিওতে দৃশ্যমান ফয়সালের চেহারা, মুখভঙ্গি ইত্যাদি ফয়সাল করিমের বাস্তব চেহারা এবং মুখভঙ্গির সঙ্গে পুরোপুরি সাযুজ্যপূর্ণ।
ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া গেছে তা এআই জেনারেটেড নয়। অন্তত চারটি নির্ভরযোগ্য এআই যাচাই টুলে পরীক্ষা করার পর প্রতিটি টুলই ভিডিওটি এআই জেনারেটেড না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
ভিডিওর একাধিক ফ্রেইমে দেখা যায়, ফয়সাল নির্দিষ্ট একটি মুখভঙ্গি করার সময় তার থুতনিতে থাকা দাড়ি অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। দ্য ডিসেন্টের বিশ্লেষণ বলছে, এটি মূলত ভিডিও রেকর্ড করার সময় Filter (এসব ফিল্টারও এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে) অন থাকার প্রভাবে হয়েছে। এই দাড়ি অদৃশ্য হয়ে যাওয়া দৃশ্য এটা প্রমাণ করে না যে, পুরো ভিডিওটি একটি এআই-সৃষ্ট কন্টেন্ট।
দ্বিতীয়ত, ভিডিওতে ফয়সাল দাবি করেছেন তিনি বর্তমানে দুবাইয়ে আছেন। আসলেই তিনি দুবাইয়ে আছেন কিনা তা শুধু এই ভিডিওর মাধ্যমে যাচাই করা সম্ভব নয় এবং ফয়সাল নিজেও তার মুখের বক্তব্য ছাড়া দুবাইয়ে অবস্থানের কোনো প্রমাণ হাজির করেননি।
তৃতীয়ত, ফয়সাল ভিডিওতে অন্তত একটি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তা হলো, তিনি বলেছেন হাদিকে হত্যার সময় ব্যবহৃত বাইকে তিনি ছিলেন না। তবে দ্য ডিসেন্ট আগেই বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেছে যে, হাদিকে হত্যার সময় ব্যবহৃত বাইকে ফয়সাল করিম এবং তার সহযোগী আলমগীর শেখ ছিলেন। বাইকের পেছনে বসে গুলিবর্ষণকারী ব্যক্তি ফয়সাল করিম এবং বাইকচালক আলমগীর শেখ। এসব তথ্য পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে এবং তা দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে।
চতুর্থত, ফয়সাল একটি অভিযোগ করেছেন, ওসমান হাদি তাকে অর্থ মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি কাজ (তদবিরের মাধ্যমে) পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। হাদির মৃত্যুর পর এ ধরনের দাবি প্রমাণ বা প্রমাণ করা অসম্ভব। তবে, হাদির ব্যাপারে তদবির বাণিজ্যের এমন অভিযোগ এর আগে শোনা যায়নি। বরং অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা ক্ষমতাধর বিভিন্ন ব্যক্তির অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। নিজে এই ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে তার জীবদ্দশায় অভিযোগ ওঠা স্বাভাবিক ছিল।




