জাতীয়
এভারকেয়ার থেকে ফিরোজার পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ
বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে হাসপাতাল থেকে মরদেহ বের করে গুলশানে নেওয়া হচ্ছে।
গুলশান এভিনিউয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসভবনে বেগম জিয়ার মরদেহ নেয়া হচ্ছে। দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আপসহীন এই নেত্রীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে দুপুর সাড়ে ৩টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
এদিকে, বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে কনকনে শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই রাজধানীতে দলে দলে মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন। এছাড়া মঙ্গলবার রাত থেকেই জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, এভারকেয়ার হাসপাতাল, গুলশান কার্যালয় ও ফিরোজার সামনে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ ঢাকায় আসছেন ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদল। জানাজা ও দাফনকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করা বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বেনজির ভুট্টোর পর মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
জাতীয়
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়ার মরদেহ
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মরদেহ জাতীয় পতাকায় মোড়ানো একটি গাড়িতে করে গুলশান থেকে জানাজার জন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িবহর তারেক রহমানের গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসা থেকে বের হয়েছে।
গাড়িবহরে লাল সবুজ রঙের বাসটিও রয়েছে। তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমান, ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা জানাজাস্থলে যাচ্ছেন।
জানাজা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বেগম খালেদা জিয়া।
জানাজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ রাজধানীতে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ ও ২ জানুয়ারি) তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। এ ছাড়া বুধবার সারাদেশে সাধারণ ছুটি থাকছে।
জাতীয়
খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দা শর্মা ঢাকায় এসেছেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতের কিছু আগে বালা নন্দা শর্মা ঢাকায় আসেন। তাকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (আন্তঃসরকারি ও কনস্যুলার বিষয়ক) এম ফরহাদ হোসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে, তার প্রতি শেষশ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
এ ছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি এন ধুংগিয়েল, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও দেশটির উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আলী হায়দার আহমেদ, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিজিতা হেরাথের মঙ্গলবার ঢাকায় আসার কথা।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমানের পদত্যাগ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
জাতীয়
ভোর থেকেই খালেদা জিয়ার জানাজা স্থলে মানুষের ঢল
রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার(৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভোরের আলো ফোটার আগেই আসতে শুরু করেছেন।
ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মানুষরা সকাল চারটায় থেকেই আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই কালো ব্যাজ পরে শোক প্রকাশ করছেন। জানাজা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে জোরদার করা হয়েছে।
নিরাপত্তার কারণে খালেদা জিয়ার স্বামী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের আশপাশে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকার থেকে ঘোষণা এসেছে, খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ ঢলে আসছে, যা তার রাজনীতির দীর্ঘদিনের প্রভাব এবং জনপ্রিয়তার প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে।
জাতীয়
শেষবার গুলশানের বাসায় খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ বাংলাদেশের পতাকায় মোড়ানো একটি গাড়িতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে মরদেহ বের করা হয়।
গাড়িটি তারেক রহমানের গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। নেতাকর্মী ও স্বজনেরা তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন।
এরপর গুলশান থেকে খালেদা জিয়াকে জানাজার জন্য নেওয়া হবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। জানাজা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন বেগম খালেদা জিয়া।
লাল-সবুজের পতাকা মোড়ানো অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার মরদেহ, নেওয়া হচ্ছে গুলশানে জানাজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ রাজধানীতে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত (৩১ ডিসেম্বর এবং ১ ও ২ জানুয়ারি) তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। এ ছাড়া বুধবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি থাকছে।




