অর্থনীতি
অনলাইনে অসমর্থ ব্যক্তি করদাতাদের পেপার রিটার্ন দাখিলের সুযোগ
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলে প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়া ব্যক্তি করদাতাদের জন্য আবেদন করার সময় বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন বিশেষ আদেশ অনুযায়ী, অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে অসমর্থ ব্যক্তি করদাতারা আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পেপার রিটার্ন দাখিলের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করেছে এনবিআর। আদেশে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ৩২৮-এর ক্ষমতাবলে নির্দিষ্ট কিছু করদাতা ছাড়া সব স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার জন্য অনলাইনে (www.etaxnbr.gov.bd) আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তবে ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন বা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে কেউ অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে, তিনি সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদন সাপেক্ষে ওই করদাতা পেপার রিটার্ন দাখিলের সুযোগ পাবেন।
এনবিআর জানিয়েছে, পূর্বে জারি করা তিনটি বিশেষ আদেশের ধারাবাহিকতায় এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রকৃত সমস্যায় পড়া করদাতারা কোনও ধরনের হয়রানি ছাড়াই রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান আদেশে সই করেন। আদেশটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দফতর, কর কমিশনারেট এবং এনবিআরের সব সদস্য ও কর্মকর্তাদের অবগতির জন্য পাঠানো হয়েছে।
কর কর্মকর্তারা বলছেন, অনলাইন কর ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও সর্বজনগ্রাহ্য করতে ধাপে ধাপে সংস্কার আনা হচ্ছে। তবে বাস্তব সমস্যার কথা বিবেচনায় রেখে সাময়িকভাবে পেপার রিটার্নের সুযোগ রাখাও প্রয়োজন— এই সিদ্ধান্ত তারই প্রতিফলন।
অর্থনীতি
সুইজারল্যান্ড থেকে এলএনজি আমদানি করবে সরকার
সুইজারল্যান্ডের সোকার ট্রেডিং এসএ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে স্বল্পমেয়াদে এলএনজি আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। একই সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে টিভিসি, ভিডিও ডকুমেন্টরি প্রচারের ক্যারাভান অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য ভৌত সেবা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, দেশে গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে দেশীয় উৎপাদিত গ্যাসের পাশাপাশি মধ্য দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদি ভিত্তিতে এবং স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে সুইজারল্যান্ডের সোকার ট্রেডিং এসএ জিটুজি ভিত্তিতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে এলএনজি সরবরাহ এবং এফএসআরইউ (ভাসমান সংরক্ষণ ও পুনঃগ্যাসীকরণ ইউনিট) স্থাপনের জন্য আগ্রহ ব্যক্ত করে প্রস্তাব দাখিল করে।
জিটুজি কমিটির সভায় গ্যাসের সরবরাহ নির্বিঘ্ন করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় সুইজারল্যান্ডের সোকার ট্রেডিং এসএ থেকে ২০২৬ সালে স্বল্পমেয়াদে কিছু সংখ্যাক এলএনজি কার্গো আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে পিপিএ ২০০৬ এর ৬৮ ধারা এবং পিপিআর ২০২৫ এর ৯৯(২) এবং ১০৭(২) বিধি মোতাবেক সুইজারল্যান্ডের সোকার ট্রেডিং এসএ থেকে জিটুজি সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বল্প মেয়াদে এলএনজি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদ তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের লক্ষ্যে জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে নির্মিত আকর্ষণীয় প্রচারসামগ্রী- যথা টিভিসি, ভিডিও ডকুমেন্টরি ইত্যাদি দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারে অধিকতর ক্যারাভান অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য ভৌত সেবা ক্যাটাগরিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগের অনুমোদন চাওয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে।
অর্থনীতি
২৯ দিনে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স
চলতি মাসের প্রথম ২৯ দিনে দেশে এসেছে ৩ বিলিয়ন ৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ৩৭ হাজার ১০০ কোটি ২০ লাখ টাকা। এটি দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ। গত বছর রমজানের ঈদ কেন্দ্র করে মার্চ মাসে একক মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, ডিসেম্বরের প্রথম ২৮ দিনে এসেছে ২৯৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি। গত বছর একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪২ কোটি ১০ লাখ ডলার।
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৬০৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪২ কোটি ১০ লাখ ডলার বেশি। এ সময়ে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর প্রণোদনা, বৈধ পথে টাকা পাঠাতে উৎসাহ এবং এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সক্রিয় ভূমিকার কারণে প্রবাসী আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের ৬ তারিখ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৩৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বেশি। এ হিসাবে অর্থবছরভিত্তিক প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স এসেছে— জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার এবং নভেম্বরে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
২০২৪–২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল ওই অর্থবছরের রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার— আগের বছরের তুলনায় যা ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
অর্থনীতি
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনছে সরকার
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪৪ টাকা ১ পয়সা।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য ‘অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
এর প্রেক্ষিতে দেশের সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি দরপত্র জমা পড়ে। ৬টি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৩৫৯.৭৭ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ ডলারে কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২২০ কোটি ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০৫ টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে ৪৪ টাকা ১ পয়সা।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ভারত ও পাকিস্তান থেকে ১ লাখ টন চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভারত থেকে ৪৩ টাকা ৫১ পয়সা কেজি দরে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সেদ্ধা চাল এবং পাকিস্তান থেকে ৪৮ টাকা ৩০ পয়সা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ চাল ছিল।
জানা গেছে, দেশের সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। ৪টি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি’র সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের এম/এস পাত্তাভি অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারে এই চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২১৭ কোটি ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬৫ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৫৫.৭৭ ডলার।
এছাড়া দেশের সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল জিটুজি পদ্ধতিতে পাকিস্তান থেকে আমদানির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তান চাল সরবরাহের আগ্রহ ব্যক্ত করে পত্র পাঠায়।
পরবর্তীতে দুই দেশেরে মধ্যে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্ধারিত প্রতি মেট্রিক টন ৩৯৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ১ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৪১ কোটি ৫২ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা।
অর্থনীতি
ডিসেম্বরে ১০০ কোটির বেশি ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
সাতটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি ডলারের বিনিময় হার ও কাট–অফ হার ছিল ১২২ টাকা ৩০ পয়সা। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, সর্বশেষ এ ক্রয়ের ফলে ডিসেম্বর মাসে মোট ডলার কেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার, যা এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এছাড়া চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই–ডিসেম্বর) মোট ডলার ক্রয় হয়েছে ৩১৩ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার, যা প্রায় ৩.১৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, মঙ্গলবার সাতটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৮ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে। এতে ডিসেম্বর মাস ও চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ডলার ক্রয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
অর্থনীতি
বুধবার বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের লেনদেন হবে না। একই কারণে বন্ধ থাকবে দেশের প্রধান দুই পুঁজিবাজার-ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ছুটির তালিকা অনুযায়ী প্রতি বছর ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বর-এই দুই দিন ‘ব্যাংক হলিডে’ হিসেবে পালিত হয়। আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা ও বার্ষিক হিসাবনিকাশ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে এ ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথা অনুযায়ী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই এবং পঞ্জিকা বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকে। তবে এ সময় ব্যাংকের নিজস্ব দাপ্তরিক কার্যক্রম চলমান থাকে। আর্থিক হিসাব মেলানোর প্রয়োজনে সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকলেও কোনো গ্রাহক লেনদেন সম্পন্ন করা হয় না।
ব্যাংক হলিডেতে বাংলাদেশ ব্যাংকও কোনো ব্যাংকের সঙ্গে কিংবা ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে লেনদেন পরিচালনা করে না। তবে গ্রাহকরা নির্ধারিত সীমার মধ্যে এটিএম কার্ড ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
অন্যদিকে পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচার নিষ্পত্তি ব্যাংকের মাধ্যমে হওয়ায় ব্যাংক বন্ধ থাকলে শেয়ারবাজারেও লেনদেন স্থগিত থাকে। সে অনুযায়ী আগামীকাল বুধবার ডিএসই ও সিএসইতে শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে এদিনও পুঁজিবাজারে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু থাকবে।
এমকে




