ধর্ম ও জীবন
বাউলের সম্মান বেশি দিলে মানসিক চিকিৎসা দরকার: মোক্তার আহমেদ
জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা প্রফেসর মোক্তার আহমেদ বলেন, “যাদের কাছে আল্লাহর সম্মানের চেয়ে বাউলের সম্মান বেশী, তাদের মানসিক ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।”
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে মোক্তার আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন।
তিনি এই বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মুসলিম সমাজকে আল্লাহর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
এমকে
ধর্ম ও জীবন
স্বাধীনতার ৫০ বছরে আলেমদের কোনো স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্র: আহমাদুল্লাহ
স্বাধীনতার ৫০ বছরে রাষ্ট্র দেশে আলেম সমাজের অবদানের কোনো স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্র বলে এমন মন্তব্য করেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
ররিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত ইমাম-খতিব জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করতে আলেম সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই পরিবর্তনে রাষ্ট্রকে সহায়তা করার জন্য আলেম সমাজ প্রস্তুত। তবে তার জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয়ভাবে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা।
ধর্ম ও জীবন
ভূমিকম্পের তীব্রতা ভয়াবহ হলে শেষ আমল হতো ফজরের নামাজ: আজহারী
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, কম্পনটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।
এই ভূমিকম্পের তীব্রতা আরও ভয়াবহ হলে আমাদের শেষ আমল কী হতো এবং কতজন আসলে আমলকারী ব্যক্তির কাতারে থাকতে পারতাম, এমন প্রশ্ন রেখেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘ভেবে দেখেছেন কি? আজ ভূমিকম্পের তীব্রতা আরও ভয়াবহ হলে খুব কম সংখ্যক মানুষের শেষ আমল হতো ফজরের নামাজ। সেই লিস্টে আপনি থাকতেন তো?’
তিনি বলেন, “উত্তর ‘না’ হলে, শুধরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে এখনো। এই কম্পনে টের না পেলেও, চূড়ান্ত কম্পন কিন্তু ঠিকই টের পাইয়ে দিবে। তাই আসুন, সময় থাকতে নিজেদের শুধরে নিই।”
পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। যেখানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “তোমরা কি নিশ্চিত হয়ে গেছো যে, যিনি আসমানে রয়েছেন তিনি তোমাদেরকে সহ এ জমিনকে ধ্বসিয়ে দেবেন না, অতঃপর আকস্মিকভাবে তা থর থর করে কাঁপতে থাকবে?” (সুরা আল-মুলক, আয়াত : ১৬)
জাতীয়
যে কারণে ঢাকায় আসতে পারছেন না জাকির নায়েক
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা হচ্ছে না। আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর দুদিনের জন্য ঢাকায় আসার কথা ছিল তার। আপাতত তাকে ঢাকায় আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় নির্বাচনের পর ইসলামি স্কলার জাকির নায়েক ঢাকায় আসতে পারেন। তবে নির্বাচনের আগে নয়।
জানা যায়, জাকির নায়েক বাংলাদেশে এলে অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটবে।
এর ফলে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের প্রয়োজন হবে। তবে সামনে নির্বাচন, এই মুহূর্তে এত সদস্য মোতায়েন সম্ভব নয়।
আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় অন্যদের মধ্যে গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ম ও জীবন
ওমরাহ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম সৌদির
সৌদি আরব পবিত্র ওমরাহ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করেছে। এবার থেকে ভিসার কার্যকারিতা তিন মাস থেকে কমিয়ে এক মাস করা হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভিসা ইস্যুর তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে হবে। নতুন নিয়ম ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে প্রবেশের পর অবস্থানকাল আগের মতোই সর্বোচ্চ তিন মাস বহাল থাকবে। অর্থাৎ, ভিসা ইস্যুর তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে, কিন্তু দেশে প্রবেশের পর সর্বোচ্চ তিন মাস অবস্থান করতে পারবেন ওমরাহযাত্রী।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভিসা ইস্যুর ৩০ দিনের মধ্যে সৌদি আরবে প্রবেশ না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আহমেদ বাজায়েফার জানান, গ্রীষ্মকালের শেষে শীতল আবহাওয়া শুরু হওয়ায় পবিত্র মক্কা-মদিনায় বিপুলসংখ্যক ওমরাহযাত্রী আগমনের প্রস্তুতি হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের জুনের শুরুতে শুরু হওয়া ওমরাহ মৌসুমে ইতোমধ্যেই চার মিলিয়নের বেশি বিদেশি হাজি সৌদি আরবে পৌঁছেছেন, যা আগের বছরের পুরো মৌসুমের তুলনায় বেশি।
ধর্ম ও জীবন
পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও মুক্তি লাভে যে দোয়া পড়বেন
ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা অফিস-ব্যবসার কাজে অনেকেই ঋণ নিয়ে থাকেন। তবে সময়মতো ঋণ পরিশোধ না করতে পারলে চরম দুশ্চিন্তায় ভোগেন ঋণগ্রহীতা। আবার ঋণের সঙ্গে একবার জড়িয়ে পড়লে সহজেই এর থেকে মুক্তি পাওয়াও দায়।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৩৯০) এ ক্ষেত্রে কেউ যেন গড়িমসি না করে সে বিষয়েও তাগিদ দিয়েছেন নবীজি (সা.)। তবে কেউ যদি একান্তই কোনোভাবে ঋণ পরিশোধ করতে না পারেন, তবে সে ক্ষেত্রে ঋণমুক্তির জন্য দোয়াও শিখিয়ে দিয়েছেন বিশ্বনবী (সা.)।
এমনকি খোদ নবীজিও (সা.) ঋণের বোঝা থেকে আশ্রয় চেয়ে দোয়া করতেন। আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন- হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুশ্চিন্তা, পেরেশানি, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণের বোঝা ও লোকজনের আধিপত্য থেকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯২৯)
এ ক্ষেত্রে কারও যদি পাহাড় সমপরিমাণও ঋণ থাকে তবে বিশেষ একটি দোয়া রয়েছে, যার মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিন ওই ব্যক্তির ঋণমুক্তির পথ সহজ করে দেন। আলী (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, একবার জনৈক মুকাতিব (বিনিময়মূল্যের ভিত্তিতে মালিকের সঙ্গে মুক্তির চুক্তি করা) গোলাম আলী রা. এর কাছে এসে বলল- আমি আমার চুক্তি অনুসারে বিনিময়মূল্য দিতে অপারগ হয়ে পড়েছি। আপনি আমাকে কিছু সাহায্য করুন। জবাবে আলী রা. বললেন- আমি কি তোমাকে এমন কিছু কালিমা শিখিয়ে দেব যেগুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শিখিয়েছিলেন? তোমার জিম্মায় যদি ছবীর পাহাড় (তায় কাবীলায় অবস্থিত আরবের একটি বড় পাহাড়) ঋণও থাকে, তবে এতে আল্লাহ তা’য়ালা তাও আদায় করে দেবেন। এরপর আলী রা. কালিমাটি শিখিয়ে দিয়ে বললেন- তুমি বলবে-
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
বাংলা: আল্লাহুম্মাক-ফিনি বি-হালালিকা, আন-হারামিকা, ওয়াগনিনি বিফাদলিকা আম্মান-সিওয়াকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! হারাম থেকে মুক্ত রেখে তোমার প্রদত্ত হালাল বস্তুই আমার জন্য যথেষ্ট করে দাও। তোমার অনুগ্রহে তুমি ছাড়া অন্য সবকিছু থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দাও। (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৬৩)
কাফি



