আন্তর্জাতিক
আবেদনের পাঁচ মিনিটেই মিলছে ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা
কুয়েতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবারও উন্মুক্ত হয়েছে ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা। নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালুর ফলে এখন আবেদন প্রক্রিয়া আগের তুলনায় অনেক সহজ ও দ্রুত হয়েছে। আবেদনকারীর তথ্য আপলোড করার পর যাচাইকরণ সম্পন্ন হলেই মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ই-মেইলে পৌঁছে যাচ্ছে ই-ভিসা। এতে স্বস্তি ফিরেছে দেশটিতে থাকা তিন লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসীর মাঝে।
আগের ৩০ দিনের পরিবর্তে এবার ভিজিট ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। পাশাপাশি শিথিল হয়েছে বেতন-শর্ত, ফলে অনেক প্রবাসী এখন শুধু স্ত্রী-সন্তান নয়, চার ডিগ্রি আত্মীয় যেমন খালা, কাকা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নাতি-নাতনি, শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা ছেলে-মেয়ের স্ত্রী/স্বামীকেও কুয়েতে আনতে পারবেন।
নতুন প্ল্যাটফর্মে মোট চার ধরনের ভিসার আবেদন করা যাচ্ছে—
.ট্যুরিস্ট
.ফ্যামিলি ভিজিট
.বিজনেস
.গভর্নমেন্ট ভিসা
সম্পর্ক প্রমাণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জন্মসনদই যথেষ্ট হলেও কিছু পরিস্থিতিতে বিবাহ সনদ লাগতে পারে। সব নথিই অবশ্যই আরবি ভাষায় জমা দিতে হবে। অন্য ভাষার নথি অনুমোদিত অনুবাদ অফিস থেকে আরবিতে রূপান্তর করতে হবে।
জিসিসি দেশগুলোর বহু পেশাজীবী অনলাইনে বা আগমনের সময় সহজেই পর্যটন ভিসা পেতে পারবেন। তালিকায় রয়েছে, কোম্পানির চেয়ারম্যান, এমডি, কূটনীতিক, বিচারক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গোল্ডেন ভিসাধারী, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, হিসাবরক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, পাইলট, মিডিয়া কর্মীসহ আরও অনেক পেশা।
পেশা সম্পর্কিত তথ্য আবেদন করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই হয়ে যায়। পাশাপাশি আবেদনকারীদের কুয়েতে নিজস্ব অথবা আমন্ত্রণকারীর ঠিকানা প্রদান বাধ্যতামূলক।
ইসরাইলের নাগরিক ছাড়া বিশ্বের সব দেশের নাগরিকই এই সুবিধা পাবেন। তবে ভিজিট ভিসায় কাজ করা বা ভিসা রূপান্তরের চেষ্টা করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আইন লঙ্ঘন করলে ভিজিটরকে নির্বাসিত করা হবে এবং স্পন্সরও কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে পারেন।
এখন ফ্যামিলি ভিজিট ভিসায় সর্বোচ্চ তিন মাস অবস্থানের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি এক বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিজিট ভিসা চালু হয়েছে, তবে প্রতিবার প্রবেশের পর সর্বোচ্চ এক মাস অবস্থান করে দেশে ফিরে যেতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিজিট ভিসার অপব্যবহার হলে বাংলাদেশের জন্য এ সুবিধা আবারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই স্বজনদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি প্রবাসীদের নিশ্চিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন কারখানায় চীনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করবে না টেসলা
যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত গাড়িতে চীনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইলোন মাস্কের কোম্পানি টেসলা। ওয়াশিংটন-বেইজিং চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে এ বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) নির্মাতা চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদন অনুসারে এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কারখানায় কিছু চীনা যন্ত্রাংশের বিকল্প ব্যবহার শুরু করেছে টেসলা। আগামী এক বা দুই বছরের মধ্যে বাকি সব যন্ত্রাংশের জন্য বিকল্প উৎস খুঁজে বের করার পরিকল্পনা করছে তারা।
বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি এ কোম্পানি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার শুল্কের ওঠা-নামা এবং বাণিজ্যবৈষম্য গাড়ির দাম ও সরবরাহ ব্যবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করছে। তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেসলা।
গত দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্রের কারখানা থেকে উত্তর আমেরিকার বাজারে সরবরাহ বাড়িয়েছে কোম্পানিটি। গত এপ্রিলে টেসলা জানিয়েছিল, চীনা যন্ত্রাংশের বিকল্প খুঁজছে তারা।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী চীনে উৎপাদিত এ কোম্পানির ইভির বিক্রি গত মাসে ২০২৪ সালের অক্টোবরের তুলনায় ৯ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৬১ হাজার ৪৯৭ ইউনিটে নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যবিবাদের কারণে চলতি বছর সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বৈশ্বিক গাড়ি শিল্প। উচ্চ শুল্ক, দুষ্প্রাপ্য খনিজ ও চিপের সম্ভাব্য ঘাটতির কারণে কোম্পানিগুলো চীননির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে।
গত সপ্তাহে জেনারেল মোটরস তাদের সরবরাহকারীদের চীনা যন্ত্রাংশ সরাতে নির্দেশ দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, টেসলার এ পদক্ষেপ থেকে প্রতীয়মান হয় যে বৈশ্বিক বাণিজ্য অনিশ্চয়তার মধ্যে মার্কিন নির্মাতারা সরবরাহ চেইন সুরক্ষিত করার চেষ্টা করছে।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদির
আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি পুনর্গঠন এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। দেশটিতে সফরকালে সৌদি বিনিয়োগ ৬০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে নেওয়ারে বড় ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
এর আগের দিন ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যৌথ ব্রিফিংয়ে এমবিএস বলেন, আমরা আশা করছি আজ বা আগামীকাল ঘোষণা দিতে পারবো যে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের প্রকৃত বিনিয়োগ বাড়িয়ে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত করছি।
তিনি আরও জানান, প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)সহ বিভিন্ন খাতে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বড় চুক্তি হবে, যা ভবিষ্যতে আরও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ক্রাউন প্রিন্সের বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, মানে, ৬০০ বিলিয়ন এখন ১ ট্রিলিয়ন হবে? জবাবে এমবিএস বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। আজ যে চুক্তিগুলো স্বাক্ষর হচ্ছে, সেগুলোই এই বৃদ্ধিকে সম্ভব করবে।
ট্রাম্প সৌদি বিনিয়োগের প্রশংসা করে বলেন, আপনি যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে সম্মত হয়েছেন-এজন্য ধন্যবাদ। আর যেহেতু আমার বন্ধু, তাই হয়তো এই অঙ্ক ১ ট্রিলিয়নেও পৌঁছাতে পারে। তবে এ বিষয়ে আমাকে আরও কিছু কাজ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্সেস রিমা বিনত বান্দার আল সউদ এ বৈঠককে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, দুই দেশ বেশ কয়েকটি বড় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করেছে। যদিও এসব চুক্তির বিস্তারিত তিনি প্রকাশ করেননি।
রিমা বলেন, এই চুক্তিগুলো দুই দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি সৌদি ও মার্কিন নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার করবে।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী এবং আসন্ন চাকরি প্রতিবেদনের দিকে বিনিয়োগকারীদের গভীর মনোযোগের মধ্যেই বিশ্ববাজারে সোনার দাম বৃদ্ধি দেখিয়েছে। নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে মূল্যবান ধাতুটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ স্পষ্ট হওয়ায় দাম ১ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা ৪৭ মিনিট (১০.৪৭ জিএমটি) পর্যন্ত স্পট সোনার দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ১১২ দশমিক ৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে ডিসেম্বরে সরবরাহযোগ্য মার্কিন ফিউচার সোনার দামও ১ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ১১২ দশমিক ৯০ ডলার হয়েছে।
এফএক্সটিএম-এর সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট লুকমান ওটুনুগা বলেন, আগের সেশনে সোনার দাম মনস্তাত্ত্বিক সীমা ৪ হাজার ডলারের কাছ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পর বাজারে সতর্কতার মধ্যেও আজ সোনা কিছুটা ঝলমল করছে।
বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষা করছেন ফেডের অক্টোবর বৈঠকের কার্যবিবরণী এবং বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হতে যাওয়া সেপ্টেম্বরের চাকরি প্রতিবেদনের জন্য। রয়টার্স জরিপ অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫০ হাজার নতুন চাকরি সৃষ্টির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ওটুনুগা আরও বলেন, যদি নতুন অর্থনৈতিক তথ্য সুদের হার কমানোর পক্ষে যায়, তাহলে সোনার দাম ৪ হাজার ১৩০ থেকে ৪ হাজার ২০০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে ফেড কর্মকর্তাদের কঠোর মন্তব্য বা প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক তথ্য এলে দাম আবার ৪ হাজার ডলারের নিচে নামতে পারে।
নতুন তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের মধ্যভাগে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারভাতা গ্রহণকারীর সংখ্যা দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে ট্রেডারদের প্রত্যাশা কমে ৪৬ শতাংশে নেমেছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৬৩ শতাংশ ছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, ফেডের বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ও শ্রমবাজার নিয়ে মতপার্থক্য কতটা গভীর—সে বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। সুদহার কমার সম্ভাবনা থাকলে সোনার জন্য তা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে, আর শ্রমবাজার শক্তিশালী থাকলে সোনার দাম চাপের মুখে পড়ে।
অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর বাজারেও উত্থান দেখা গেছে। স্পট সিলভারের দাম ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৫২ দশমিক ২৭ ডলার, প্লাটিনাম ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৬৬ দশমিক ৩২ ডলার এবং প্যালাডিয়াম ২দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৪৩৩ দশমিক ৪৬ ডলার প্রতি আউন্স হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বে ক্ষুধার্তদের খাবার সরবরাহে ১৩ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে বলেছে, অর্থায়ন কমে যাওয়ায় ২০২৬ সালে তীব্র ক্ষুধার মুখে থাকা ৩১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশকে খাদ্য সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়বে।
রোম থেকে এএফপি জানায়, মঙ্গলবার ডব্লিউএফপির এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার অর্থায়ন হ্রাস পাওয়ায় ডব্লিউএফপি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (প্রায় ১১ কোটি) ক্ষুধার্ত মানুষকে খাদ্য সহায়তায় অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য হচ্ছে।
এতে আনুমানিক ১৩ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। তবে সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, ‘বর্তমান অর্থায়নের পূর্বাভাস অনুযায়ী ডব্লিউএফপি হয়তো লক্ষ্যকৃত অর্থের অর্ধেকের কাছাকাছি পাবে।’
ডব্লিউএফপি’র সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর অধীনে বিদেশি সহায়তা কমিয়ে দিয়েছেন। অন্যান্য বড় দাতা, বিশেষ করে কিছু ইউরোপীয় অনেক দেশও তাদের মানবিক বাজেট কমিয়েছে।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, সংঘাত, চরম আবহাওয়া এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ২০১৯ সালের তুলনায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এ বছর গাজা ও সুদানের কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে। ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন এটিকে ‘একবিংশ শতাব্দীতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
২০২৬ সালের গ্লোবাল আউটলুক প্রতিবেদনের ভূমিকায় তিনি লিখেছেন, বিশ্বের প্রতিক্রিয়া ‘ধীর, বিচ্ছিন্ন এবং অর্থায়নহীন’ রয়ে গেছে।
তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী সহায়তা এখন মোট চাহিদার অর্ধেকেরও কম পূরণ করছে। খাদ্য সহায়তায় ব্যাপক কাটছাঁট হয়েছে। প্রায় সব কার্যক্রমেই খাদ্য ও নগদ অর্থ কমাতে হয়েছে এবং কোন ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া হবে তা অগ্রাধিকার দিতে হয়েছে।’
একই সময়ে সহায়তা কর্মীদের ওপর হামলা বেড়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবহেলা প্রকাশ করছে।
২০২৬ সালে ক্ষুধার মুখে থাকা মানুষের মধ্যে ৪১ মিলিয়নকে জরুরি বা তারও বেশি সংকটাপন্ন অবস্থায় শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের দুটি খাদ্য সংস্থা-ডব্লিউএফপি এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) হাইতি থেকে দক্ষিণ সুদান পর্যন্ত ১৬টি ‘ক্ষুধার হটস্পট’ চিহ্নিত করেছে। তারা বলেছে, তহবিল ঘাটতি ইতোমধ্যেই পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এক যৌথ প্রতিবেদনে সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ২৯ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে তারা এখন পর্যন্ত মাত্র ১০.৫ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে।
এমকে
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বাড়াচ্ছে সৌদি আরব। দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) এই ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিনিয়োগ ৬০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলারে নেওয়া হবে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, “আমার মনে হয়, আজ বা আগামীকাল আমরা ঘোষণা করতে পারবো যে এই ৬০০ বিলিয়ন ডলারের প্রকৃত বিনিয়োগে বাড়িয়ে আমরা প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে যাচ্ছি।”
এমবিএস জানান, প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে দুই দেশ বহু চুক্তি স্বাক্ষর করবে, যা “বড় ধরনের বিনিয়োগ সুযোগ তৈরি করবে।”
এ সময় ট্রাম্প কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “মানে আপনি বলছেন, ৬০০ বিলিয়ন এখন ১ ট্রিলিয়ন হবে?” জবাবে এমবিএস বলেন, “নিশ্চিতভাবেই, কারণ আজ যে চুক্তিগুলো আমরা করছি, সেগুলোই এ বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে সহজ করবে।”
ট্রাম্প এসময় সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ আপনি যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে সম্মত হয়েছেন। আর যেহেতু তিনি আমার বন্ধু, তাই হয়তো এটি ১ ট্রিলিয়নও হতে পারে— তবে আমাকে একটু এটা নিয়ে কাজ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ৬০০ বিলিয়ন নিশ্চিত ভাবেই ধরতে পারি, তবে এই অংক আরও কিছুটা বাড়তেও পারে।”
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্সেস রিমা বিনত বান্দার আল সউদ প্রোসডেন্ট ট্রাম্প ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বৈঠককে “সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন” বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি জানান, দুই দেশ কয়েকটি বড় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করেছে। যদিও এসব চুক্তির বিস্তারিত তিনি উল্লেখ করেননি।
সৌদি এই রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “এই চুক্তিগুলো দুই দেশে বিনিয়োগ বাড়াবে, সৌদি ও মার্কিন নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তায় আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি আরও শক্তিশালী করবে।”



