কর্পোরেট সংবাদ
ক্লাইমেট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিটি ব্যাংক
সিটি ব্যাংক পিএলসি ক্লাইমেট রিপোর্ট ২০২৪ প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্টটি আন্তর্জাতিক সাস্টেইনেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ড প্রণীত আইএফআরএস এস ১ (জেনারেল রিকুইরেমেন্টস ফর ডিসক্লোজার অফ সাস্টেনিবিলিটি-রিলেটেড ফিনান্সিয়াল ইনফরমেশন) এবং আইএফআরএস এস ২ (ক্লাইমেট-রিলেটেড ডিসক্লোজারেস) এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে। এই রিপোর্টটির উদ্দেশ্য হলো বিনিয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের জন্য সুস্পষ্ট এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক তথ্য তুলে ধরা। এতে ব্যাংকের পরিচালনা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত পরিকল্পনায় সাসটেইনেবিলিটি এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত ঝুঁকি ও সম্ভাবনা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
রিপোর্টটিতে সিটি ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত বিষয়াদি তদারকির জন্য ব্যাংকের প্রশাসনিক কাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম ব্যাবসায়িক মডেল গঠনে গৃহীত কৌশলসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও এতে কার্বন নির্গমন হ্রাসে ব্যাংকের কার্যক্রমের অগ্রগতি, জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং টেকসই ও সবুজ অর্থায়ন উদ্যোগসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। এই রিপোর্টে আমাদের নীট-জিরো অঙ্গীকারের অগ্রগতি নির্দেশকারী পরিমাপ ও লক্ষ্যসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে সিটি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, “নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিনিয়োগকারী ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের পক্ষ থেকে সাসটেইনেবিলিটি এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার তথ্য প্রকাশে স্বচ্ছতার প্রত্যাশা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইএফআরএস এস ১ এবং এস ২ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে ক্লাইমেট রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতার কাঠামো আরও শক্তিশালী করেছি এবং টেকসই ও জলবায়ু-সহনশীল ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি।”
সিটি ব্যাংক তার মূল ব্যবসায়িক কৌশলের সাথে জলবায়ু-সংক্রান্ত বিষয়সমূহকে সমন্বয় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজ অব্যাহত রাখবে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন হামজা চৌধুরী
বিকাশ’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ইংলিশ লেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের জনপ্রিয় ফুটবলার হামজা চৌধুরী। দেশের মানুষের সাথে নতুন আবেগে ফুটবল-কে সংযুক্ত করা এই খেলোয়াড়, গ্রাহকদের ক্যাশলেস লেনদেনে উৎসাহিত করতে বিকাশ এর বিভিন্ন ধরনের প্রচার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন। ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ততা বাড়ানোর পাশাপাশি সেবাটির ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করার লক্ষ্যেও একসাথে কাজ করবে বিকাশ ও হামজা চৌধুরী।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে হামজা চৌধুরীর সাথে বিকাশের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিকাশ এর চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলী, চিফ লিগ্যাল অফিসার মাজেদুল ইসলাম এবং চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.), হেড অব ব্র্যান্ড আশরাফ-উল-বারী সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হামজা চৌধুরী সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল তারকা, যিনি শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তাঁর আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, পেশাদারিত্ব এবং ইতিবাচক ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি সকল শ্রেণির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত হামজা বাংলাদেশের পথশিশুদের নিয়ে কল্যাণমূলক উদ্যোগের পাশাপাশি তাঁর পারিবারিক নিবাস সিলেটের হবিগঞ্জে, একটি এতিমখানায় অর্থায়ন করে চলেছেন। বিকাশ এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে বিকাশ এর সেবাগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রতিষ্ঠানটির মূল্যবোধের প্রসারে নানা ধরনের প্রচারণামূলক কার্যক্রমে অংশ নিবেন তিনি।
বিকাশ’র সাথে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে হামজা চৌধুরী বলেন, “বিকাশ এর মত কোটি মানুষের ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত হওয়া এক ধরনের সুযোগ। বিকাশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য গর্বের । দেশসেরা এই ব্র্যান্ডটির প্রসারে একসাথে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
নগদে প্লে প্রোটেক্ট সতর্কবার্তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই: কর্তৃপক্ষ
সেবার মানোন্নয়নের জন্য সিকিউরিটি সিস্টেম আপডেট করার সময় গুগল প্লে প্রোটেক্ট সতর্কবার্তা দেখানোর ঘটনায় গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ।
বৃহস্পতিবার রাতে কিছু ব্যবহারকারী গুগলের প্লে প্রোটেক্ট সতর্কবার্তার সম্মুখীন হন। নগদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গুগলের নিজস্ব সিকিউরিটি পলিসির আপডেটের কারণে এ ধরনের বার্তা প্রদর্শিত হয়ে থাকতে পারে। এতে কিছু গ্রাহক বিভ্রান্ত হলেও বিষয়টি চিহ্নিত হওয়ার পর নগদের টেকনিকাল টিম দ্রুত গুগলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং সমাধানের বিষয়ে উভয়পক্ষ কাজ করছে।
নগদ কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের অ্যাপ সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সব ধরনের আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় নিরাপত্তা মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। ব্যবহারকারীদের কোনো ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাপে সংরক্ষণ করা হয় না বলেও নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে, উদ্ভুত পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে ব্যবসায়িকভাবে নগদকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ জানিয়েছে নগদ।
কর্পোরেট সংবাদ
এএমএফ এশিয়া মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ইমরান কাদির
এশিয়া মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড (ইয়ুথ) শীর্ষক পুরস্কার জিতেছেন দ্য ডেইলি স্টারের বিক্রয় ও বিপণন প্রধান এবং তরুণদের আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ইমরান কাদির। যা এশিয়ার ‘টপ আউটস্ট্যান্ডিং ইয়ুথ মার্কেটার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ নামে স্বীকৃত।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে মোনার্ক ইম্পেরিয়াল হোটেলে এক জমকালো অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের (এএমএফ) ১৭টি সদস্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তিনি এই পুরস্কার জিতেছেন। দেশগুলো হলো- কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নেপাল, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।
পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ইমরান কাদির বলেন, “এই অর্জন শুধু আমার ব্যক্তিগত নয়, বরং বাংলাদেশের যুবসমাজ ও আমাদের বিপণন খাতের সৃজনশীল চিন্তা ও উদ্ভাবনী শক্তির স্বীকৃতি। এএমএফ কর্তৃপক্ষ ও আমার যাত্রার অংশ হওয়া সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”
এএমএফ এশিয়া মার্কেটিং এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড এশিয়ার শ্রেষ্ঠ মার্কেটিং নেতৃবৃন্দ ও উদ্ভাবকদের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে, যেখানে মহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী পেশাজীবীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ইমরান কাদির পেশায় একজন গণমাধ্যমকর্মী, বর্তমানে দ্য ডেইলি স্টারের বিক্রয় এবং বিপণন প্রধান হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ ও ব্যবসার অংশীদার। তিনি মিশন সেভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও স্প্রীহা ফাইন্ডেশনের ট্রাষ্টি। তিনি ক্লাব জেসিআই লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মার্কেটিং কমিটির সদস্য। বিনিয়োগ বিষয়ে আগ্রহ থেকে তার লেখা বই ‘রোড টু ওয়েলথ’, পাঠক মহলে সমাদৃত।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
সাউথইস্ট ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং সচেতনতা বিষয়ক কর্মসূচি
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা অঞ্চলে অবস্থিত ১৮টি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং অভিভাবকদের অংশগ্রহণে “সাউথইস্টএডুফিন’র বৈশিষ্ট্য ও সুবিধাসমূহ পরিচিতি” শীর্ষক এক স্কুল ব্যাংকিং সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা বিষয়ক কর্মসূচি আয়োজন করেছে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি।
সম্প্রতি এই কর্মসূচিটি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার তত্ত্বাবধানে পতেঙ্গা উপশাখা কর্তৃক আয়োজন করা হয়, যার মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষা খাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং সেবা সম্প্রসারণে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা।
উক্ত অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুম উদ্দিন খান, আঞ্চলিক প্রধান (চট্টগ্রাম) মো. আবদুল মান্নান এবং ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সাউথইস্টএডুফিন-একটি আধুনিক ও সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমকে সহজতর করে। এটি ফি ব্যবস্থাপনা, উপস্থিতি নিরীক্ষণ, গ্রেড ব্যবস্থাপনা এবং অভিভাবক, শিক্ষকদের জন্য যোগাযোগ সুবিধাসহ উন্নত ফিচার প্রদান করে। শিক্ষার্থীরা সাউথইস্ট ব্যাংকের যে কোন শাখা, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং এবং অন্যান্য ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বেতন ও অন্যান্য ফি সহজে পরিশোধ করতে পারবে।
এছাড়াও, ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং একাউন্ট “তারকা”, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ন্যূনতম জমা, কোন রক্ষণাবেক্ষণ ফি ছাড়াই এবং আকর্ষণীয় মুনাফাসহ সঞ্চয় হিসাব খুলতে পারবে। এর মাধ্যমে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক শৃঙ্খলা ও সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্যাংক সর্বদা শিক্ষা খাতে ডিজিটাল রূপান্তর, যুবশক্তির ক্ষমতায়ন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই উদ্যোগটি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন, যা আগামী প্রজন্মের আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষা খাতে প্রযুক্তিনির্ভর, সহজ ও সুবিধাজনক আর্থিক সেবা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্পোরেট সংবাদ
সুবিধা বঞ্চিত তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়াতে কাজ করবে ইউনিসেফ-সিটি ব্যাংক
সিটি ব্যাংক এবং ইউনিসেফ এক নতুন অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী, বিশেষ করে মেয়েদের, কর্মসংস্থান ও উদ্যোগ দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হবে।
সম্প্রতি সিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এবং সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মাহিয়া জুনেদ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিআইও কাজী আজিজুর রহমান, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শাহরিয়ার জামিল খান এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল, যেমন বাগেরহাট জেলার কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা বাজারচাহিদা নির্ভও প্রশিক্ষণ, ক্যারিয়ার কোচিং এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পাবে। প্রকল্পটি বাস্তবভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ফলপ্রসূ শিক্ষার সুযোগের ওপর গুরুত্ব দেবে, যাতে পিছিয়ে পড়া তরুণ প্রজন্ম টেকসই জীবিকা গড়ে তুলতে পারে এবং জলবায়ু সহনশীল সম্প্রদায় গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “প্রত্যেক শিশু ও তরুণের স্বপ্ন দেখার, শেখার এবং বিকশিত হওয়ার অধিকার আছে। সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব কেবল দক্ষতায় বিনিয়োগ নয়, এটি শিশুদের আশায় বিনিয়োগ। জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বঞ্চিত কিশোরী ও তরুণীদের কর্মসংস্থান, দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়ে আমরা তাদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছি। বেসরকারি খাতের সঙ্গে একযোগে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছি যেখানে প্রতিটি তরুণ অবদান রাখতে পারবে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির সুফল ভোগ করতে পারবে।”
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “বাংলাদেশে ইউনিসেফ দীর্ঘদিন ধরে শিশু ও তরুণদের জীবনোন্নয়ন ও নানা সুযোগ সৃষ্টি করে অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে। এই অর্থবহ অংশীদারত্বে ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একসাথে আমরা তরুণদের, বিশেষ করে মেয়েদের এমন দক্ষতা ও সুযোগ তৈরি করতে চাই যা তাদেরকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।”
এমকে



