অর্থনীতি
আজ যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। সর্বশেষ সমন্বয়ে প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দামে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির এই ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। নতুন দর রবিবার (২ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে, আর আজ **বুধবার (৫ নভেম্বর)**ও সেই দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় স্বর্ণের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজকের স্বর্ণের বাজারদর:
- ২২ ক্যারেট: প্রতি ভরি ২,০১,৭৭৬ টাকা
- ২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১,৯২,৫৯৬ টাকা
- ১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১,৬৫,০৮১ টাকা
- সনাতন পদ্ধতি: প্রতি ভরি ১,৩৭,১৮০ টাকা
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫% সরকার নির্ধারিত ভ্যাট এবং ৬% বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরি পরিবর্তিত হতে পারে।
অর্থনীতি
ডিসেম্বরের ২০ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৭ কোটি ডলার
চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৭ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৭ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২১ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫৮ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ১৪ থেকে ২০ ডিসেম্বর দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ডিসেম্বরের ৭ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৮৭ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর ডিসেম্বরের প্রথম ৬ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ৬৩ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
এর আগে, গত নভেম্বরে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর গত অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছিল যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ও ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে যথাক্রমে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
এমকে
অর্থনীতি
ই-রিটার্ন ব্যবস্থায় যুক্ত হবে ব্যাংক-পুঁজিবাজারের তথ্য: এনবিআর চেয়ারম্যান
ভবিষ্যতে ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র, ডিপিএস, এফডিআর ও শেয়ারবাজারের ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-রিটার্নে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ডিআরইউ সদস্যদের জন্য ‘ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল সাপোর্টিং বুথের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এতে করদাতাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহের ঝামেলা কমবে। এতে কর্মকর্তারাও করদাতার ব্যক্তিগত লেনদেন দেখতে পারবেন না। শুধু করদাতাই লগইন করে নিজের তথ্য দেখতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। স্বাগত বক্তৃতা রাখেন অর্থ সম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ সোহেল।
মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আয়করের পাশাপাশি আগামী বছর থেকে ভ্যাট রিটার্নও বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। কাগজের রিটার্নে জটিলতা ও অনিয়ম বেশি হয়। অনলাইনে রিটার্ন দিলে সময়, খরচ সবই সাশ্রয়ী হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশটা আমাদের সবার। পরিবারের মতো রাষ্ট্রও চলে সবার অবদানে। যাদের আয় বেশি তারা বেশি কর দেবেন, যাদের কম তারা কম দেবেন-কিন্তু সবাইকেই দিতে হবে।
এমকে
অর্থনীতি
দেশের সব বন্দরে খুব দ্রতই আরটিজিএস চালু করা হবে: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘আমদানি-রপ্তানি কাজ সহজতর করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক লেনদেনের জন্য দেশের সকল বন্দর ও বিমান বন্দরে খুব দ্রতই আরটিজিএস (রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) চালু করা হবে। দেশের প্রথম জেলা হিসেবে কক্সবাজার জেলাকে ক্যাশলেস জেলা হিসেবে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাশলেস বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রত্যেক নাগরিকের হাতে ছয়/সাত হাজার টাকার মধ্যে স্মার্ট ফোন পৌঁছাতে হবে। প্রান্তিক এলাকায় নারী এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
শনিবার বিকেলে নগরের রেডিসন ব্লু হোটেলে আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন বণিক সমিতি, চেম্বার প্রতিনিধি, বন্দর, কাস্টমস, শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও তফসিলি ব্যাংকের আঞ্চলিক প্রধানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষরা এতে অংশ নেন।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য সিঙ্গাপুর, দুবাই ও হংকং এর ন্যায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি করতে হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চল বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। এ অঞ্চল সমুদ্র, পাহাড় ও সমতলের এক অন্যন্য অঞ্চল। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর, রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল, ভারী শিল্প, জ্বালানি অবকাঠামো এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সিংহভাগ এ অঞ্চলের ওপর নির্ভরশীল। তবে এ সম্ভাবনাকে পূর্ণ রূপ দিতে আর্থিক খাতের সুদৃৃঢ় ভূমিকা অপরিহার্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো উৎপাদনমুখী খাতে পর্যাপ্ত ও স্বল্পমূল্যের ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমসমূহের অব্যহৃত ফান্ড এ অঞ্চলের উপযুক্ত গ্রাহকের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। আর্থিক অর্ন্তভূক্তির অংশ হিসেবে প্রত্যেক ব্যাংককে অন্তত একটি বিদ্যালয়ে আর্থিক সাক্ষরতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল লেনদেন ও ক্যাশলেস লেনদেনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর উপাচার্য ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া ও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. খসরু পারভেজ। বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম অফিসে প্রশাসন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সভা শুরু হয়। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল আমিন চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করণীয় বিষয়ক ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধরা অর্থনৈতিক, ব্যাংকিং, বন্দর, কাস্টমস, রপ্তানি, কৃষি, শিল্প খাতের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন ও সুপারিশ তুলে ধরেন। এ বিষয়ে গভর্নর তাৎক্ষণিক কিছু বিষয়ে সমাধান প্রদান করেন এবং কিছু বিষয়ে ভবিষ্যতে নীতি প্রণয়ণের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন। সভাপতির বক্তব্যে মো. মকবুল হোসেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকে আর্থিকর সাক্ষরতার বিষয়টি অর্ন্তভূক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অর্থনীতি
৫ শতাংশ টাকাও খরচ করতে পারেনি ৮ মন্ত্রণালয়-বিভাগ
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) আটটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের বরাদ্দের ৫ শতাংশের বেশি টাকা খরচ করতে পারেনি। এর মধ্যে সংসদবিষয়ক সচিবালয় এক টাকাও খরচ করেনি।
অন্য সাতটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হলো—আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ।
সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) জুলাই-নভেম্বর মাসের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, সংসদবিষয়ক সচিবালয়ের এক প্রকল্পে ২০ লাখ বরাদ্দ থাকলেও এখনো কোনো টাকা খরচ করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
একইভাবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ১৫টি প্রকল্পে ৭ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। পাঁচ মাসে খরচ হয়েছে মাত্র ২৯৩ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ৪ হাজার ৮১০ কোটি টাকার বিপরীতে খরচ মাত্র ৮৬ কোটি টাকা।
এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বরাদ্দের ২ দশমিক ৩১ শতাংশ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) ২ দশমিক ১২ শতাংশ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, জননিরাপত্তা বিভাগ ১ দশমিক ২৫ শতাংশ খরচ করেছে।
গত জুলাই-নভেম্বর মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হার মাত্র ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৪৩ টাকা খরচ হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কম।
চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। ১১৯৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অর্থনীতি
রেমিট্যান্স সংগ্রহে চতুর্থ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
রেমিট্যান্স আহরণে অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অর্জন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি)। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সারা দেশের মধ্যে রেমিট্যান্স সংগ্রহে চতুর্থ স্থান অধিকার করায় ব্যাংকটিকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয় ।
গত বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল-এর কাছ থেকে এই সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
অ্যাওয়ার্ড গ্রহণকালে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. খালেদুজ্জামান এবং আন্তর্জাতিক ও হিসাব মহাবিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দ্রুত এবং নিরাপদে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আধুনিক প্রযুক্তি ও গ্রাহকবান্ধব সেবা নিশ্চিত করে আসছে। এই স্বীকৃতি ব্যাংকের প্রতি প্রবাসীদের আস্থা আরও সুদৃঢ় করবে এবং ভবিষ্যতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে উৎসাহিত করবে ।




