জাতীয়
ইতালি-চীন-পাকিস্তান-তুরস্ক থেকে যুদ্ধবিমান-হেলিকপ্টার কিনছে বাংলাদেশ
দেশের বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নে গভীর মনোযোগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে চীনের কাছ থেকে জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার খবর, ইতালির কাছ থেকে কেনা হচ্ছে ইউরোফাইটার টাইফুন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান এবং তুরস্কের তৈরি টি-১২৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টারও যোগ হতে যাচ্ছে দেশের বিমানবাহিনীর বহরে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ২০২৭ সালের মধ্যে ইতালি থেকে ১০টি ৪.৫ প্রজন্মের মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট ইউরোফাইটার টাইফুন এবং তুরস্ক থেকে ছয়টি টি-১২৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। এ উদ্যোগের নীতিগত অনুমোদন ও দুই দেশের সরকারের সম্মতিতে চুক্তিপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইতালি ও তুরস্কের পক্ষের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
আর এ পরিকল্পনায় একজন এয়ার ভাইস মার্শালকে সভাপতি করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ১২ সদস্যের একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হবে। এতে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বিমান সদরের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। এসব সংস্থাকে চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে প্রতিনিধি মনোনয়ন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে ইতালি ও তুরস্কের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে এই যৌথ কমিটি এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে ক্রয়চুক্তি সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, যৌথ কমিটি খসড়া চুক্তিপত্র পর্যালোচনা, দর-কষাকষি, চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণ, অর্থপরিশোধ পদ্ধতি ও আনুষঙ্গিক বিষয় নির্ধারণ করবে। চুক্তিতে থাকবে যুদ্ধবিমান সংরক্ষণ, প্রশিক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি শর্তাবলি। ক্রয় প্রক্রিয়া জিটুজি (সরকার-টু-গভর্নমেন্ট) পদ্ধতিতেই যাচাই-বাছাই করে করা হবে।
এর আগে, চীনের কাছ থেকে ২০টি জে-১০সি ক্রয়ের ব্যাপারে আলোচনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অত্যাধুনিক এ যুদ্ধবিমানগুলো কেনার জন্য প্রায় ২২০ কোটি ডলারের এক প্রস্তাব রাখে সরকার। তাছাড়া, পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৬টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের জন্য আরও প্রায় ৭২০ মিলিয়ন ডলার খরচ ধরা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পাক-ভারত ও চীন-ভারত সীমান্তে চলমান উত্তেজনা, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর ও মায়ানমারের সংকট বিবেচনায় দেশের বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন জরুরি। সামরিক সক্ষমতা শক্তিশালী করাই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার।
ইউরোফাইটার টাইফুনের বিশেষত্ব:
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইউরোফাইটার টাইফুন। ফ্রান্সের তৈরি রাফালের সঙ্গে অনেকটাই মিল আছে এর। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি ও স্পেনের সম্মিলিত উদ্যোগে এটি তৈরি করেছে একটি কনসোর্টিয়াম। আকাশে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন, শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় ভাঙন, স্থল আক্রমণ, বৈদ্যুতিক যুদ্ধ—সব ক্ষেত্রে টাইফুন দক্ষতার স্বাক্ষর রাখে। ন্যাটো মানসম্পন্ন টাইফুনে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তি ও নমনীয় মডুলার কাঠামো। এর দুটি ইউরোজেট ইজে২০০ টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে। রিফুয়েলিং ছাড়া একটানা দুই হাজার ৯০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এই টাইফুন।
ডেল্টা-ডানা ও কানার্ড নকশা যুদ্ধবিমানটিকে দেয় অতুলনীয় গতিশীলতা। এক আসনের হলেও রয়েছে দুই আসনের সংস্করণ। দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ মিটার, ডানার প্রস্থ ১১ মিটার, খালি অবস্থায় ওজন ১১ টন এবং সর্বোচ্চ টেক-অফ ওজন ২৩.৫ টন। এ ছাড়া প্রযুক্তি, রাডার ও সেন্সর সুবিধা, অস্ত্র বহনের সক্ষমতা, স্টেলথ প্রযুক্তি থাকায় শত্রুর রাডারে সহজে ধরা পড়ে না এবং উচ্চতাপ সহনশীল হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ লড়াইয়ের সক্ষমতা আছে এই বিমানের।
জাতীয়
দুর্নীতি আছে, দখল-চাঁদাবাজিও চলছে: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘দুর্নীতি আগের চেয়ে বেড়েছে নাকি কমেছে, সে বিষয়ে তুলনামূলক তথ্য নেই। এটি নিয়ে টিআইবি কাজ করছে। কিন্তু এটা বলতে পারি, দুর্নীতি অব্যাহত আছে। রাজনৈতিক ও সরকারি স্পেসের ক্ষমতাকে অপব্যহার করে বিভিন্ন মহল দলবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। সরকারের অভ্যন্তরেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক।’
দুর্নীতি আগের চেয়ে বেড়েছে নাকি কমেছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
‘সুশাসিত, বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের অঙ্গীকার: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের ইশতেহার প্রণয়নে টিআইবির সুপারিশ’ শিরোনামে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এই সরকারের সময়ে আরও কঠোরভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সে ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থ হয়েছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।’ টিআইবি বর্তমান সরকারের পুরো মেয়াদের ওপর একটি বিশ্লেষণ তৈরির কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা এমন অবস্থায় আছি যে ৫৪ বছর, বিশেষ করে গত ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশে সুশাসিত, গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজটা চট করে জাদুর কাঠি দিয়ে সম্ভব নয়। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়, এটা মানতে হবে। তবে এই সুযোগটা তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগ রাজনৈতিক দলগুলো কতটা নেবে, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ; একইভাবে তাদের কার্যপদ্ধতির মধ্যে অর্থ, পেশি ও ধর্মের প্রভাবটা নির্বাচনের আগে ও পরে কতটুকু তাদের প্রভাবিত করবে, সেটার ওপর ফলাফল অনেকটা নির্ভর করবে।
ব্যবসা খাতের সংস্কার নিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটা অনেকটা রাজনৈতিক দলের সংস্কারের মতো। এটা ভেতর থেকে আসতে হবে, তাদের নিজেদেরই করতে হবে। ব্যবসায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারলে চূড়ান্ত বিবেচনায় ব্যবসায়ীরাই লাভবান হবেন। এটা না করা গেলে একশ্রেণির ব্যবসায়ী লাভবান হন, অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, যেটা গত ১৫ বছরে দেখা গেছে। এর ফলে রাষ্ট্রকাঠামো দখল হয়েছে। কর্তৃত্ববাদ বিকাশের অন্যতম পিলার (স্তম্ভ) হিসেবে ব্যবসা খাতের একাংশ কাজ করেছে। সেই অবস্থার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটাই তারা চাইছেন।
আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে রাখা উচিত এমন ৫২টি প্রস্তাব সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরে টিআইবি। এর মধ্যে প্রথম সাতটি প্রস্তাব পড়ে শোনান ইফতেখারুজ্জামান।
এগুলোর মধ্যে আছে জুলাই জাতীয় সনদ ও এর বাইরে থাকা সংস্কার কমিশনগুলোর বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা; জুলাই সনদসহ অন্যান্য সংস্কার কমিশনের ওপর ভিত্তি করে যেসব অধ্যাদেশ জারি ও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো ও কার্যকর ও অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থান ও কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলের সব হত্যা, অপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার অব্যাহত রাখা।
বাকি প্রস্তাবগুলো পড়ে শোনান টিআইবির জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা মো. জুলকারনাইন এবং গবেষণা ও নীতি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান। এসব প্রস্তাবে অনিয়ম–দুর্নীতি প্রতিরোধ, দলের কার্যক্রমে গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচারের চর্চা, সম–অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যাংক–আর্থিক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও পরিবেশ–জলবায়ু খাতে সংস্কার, বেসরকারি খাতে সুশাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার করার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ ও কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এমকে
জাতীয়
ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছি: প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার।
তিনি বলেন, জাতির জন্য প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে আপনারা (ইসি) চালকের আসনে আছেন। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে আমরা ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছি।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
পরে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বৈঠকের বরাতে এসব এতথ্য জানান।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিইসি নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
প্রস্তুতিকালে ইসিকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদানের জন্য সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।
নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে ধন্যবাদ জানান।
সিইসি বলেন, এরই মধ্যে নাগরিকরা নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, যা দেশে নির্বাচনি আমেজ সৃষ্টি করেছে।
এমকে
জাতীয়
সোমবার ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সোমবার (৮ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
বার্তায় বলা হয়, হাসনাবাদ জোনাল অফিসের আওতাধীন সোমবার উত্তর পানগাঁও, দক্ষিণ পানগাঁও, জাজিরা, কাজিরগাঁও, দক্ষিণ বাগৈর, কান্দাপাড়া, আইন্তা কাউটাইল, ব্রাক্ষণগাঁও ও বসুন্ধরা এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এমকে
জাতীয়
ডিএমপির ১৫ পরিদর্শককে বদলি ও পদায়ন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত ১৫ জন পুলিশ পরিদর্শককে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) মো. আমির খসরু স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলি বা পদায়ন করা কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
বদলি ও পদায়নকৃতরা হলেন– ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের পরিদর্শক আহসান উল্লাহকে ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত), শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সরদার ইব্রাহিম হোসেন সোহেলকে কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মাসুদ রানাকে সূত্রাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবি তেজগাঁও বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমকে ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত), পিএস অ্যান্ড আইআই বিভাগের পরিদর্শক আব্দুস সালামকে নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত), আইএডির পরিদর্শক মো. মুনিরুজ্জামানকে উত্তরা পশ্চিম থানা পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবির রমনা বিভাগের পরিদর্শক মীর রেজাউল ইসলামকে শাহ আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবি মতিঝিল বিভাগের পরিদর্শক মোহা. আনোয়ার হোসেন খানকে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবি ওয়ারি বিভাগের পরিদর্শক বাহালুল খানকে রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল হাসান খানকে গেন্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত), নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাফিজুল ইসলামকে যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত), বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ রফিকুল ইসলামকে উত্তরখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত), রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ মশিউল আলমকে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত), উত্তর পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ উল্লাহ ফয়সালকে গোয়েন্দা বিভাগ ও কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলামকে গোয়েন্দা বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।
জাতীয়
কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে: কৃষি উপদেষ্টা
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে কৃষক এবং ভোক্তাদের ক্ষতি হচ্ছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি বিষয়ক সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে অসাধু চক্রের হাত রয়েছে। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে একটা চক্র আছে। এই চক্রকে খুঁজে বের করতে হবে। অনেকে আমদানির জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিল। বাজারে পেঁয়াজ আছে, কিন্তু কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয়েছে।
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। পেয়াজের দাম ৭০ টাকা হলে সবার জন্য ভালো। বাজারে দামের ক্ষেত্রে যোগসাজশ থাকলে কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরি থাকবে না। ব্যবসায়ীদের কারসাজি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখবে।
তিনি আরও বলেন, সবজির দাম মোটামুটি সহনীয় আছে। দিন যাওয়ার সাথে সাথে আরও কমবে। তবে কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
এদিকে বাজার সহনীয় রাখতে রোববার থেকে থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে রোববার থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে। প্রতিদিন ৫০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রত্যেকটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেয়া হবে।
এমকে



