জাতীয়
ইউরোপ ভ্রমণে নতুন পদ্ধতির আওতায় বাংলাদেশিরাও
রবিবার থেকে ইউরোপ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন এন্ট্রি ও এক্সিট পদ্ধতির আওতায় বাংলাদেশিরাও পড়বেন।
রবিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) অফিস এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আপডেট, যাদের মধ্যে আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুরাও রয়েছেন, যারা ২৯টি ইউরোপীয় দেশে স্বল্প সময়ের জন্য ভ্রমণ করছেন। ১২ অক্টোবর থেকে প্রবেশ/প্রস্থান ব্যবস্থা ধীরে ধীরে রেকর্ড করবে। এ রেকর্ডে থাকবে ভ্রমণ নথি, ভ্রমণের তারিখ ও বায়োমেট্রিক তথ্য।
সূত্র জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশে এন্ট্রি ও এক্সিট পদ্ধতি। রোববার (১২ অক্টোবর) থেকে এ পদ্ধতি কার্যকর শুরু হয়েছে। ফলে নন-ইইউ ভ্রমণকারী ও ব্রিটিশ পর্যটকরা যেভাবে ইইউ অঞ্চলে এন্ট্রি ও এক্সিট করতো, তা বদলে যাবে।
এন্ট্রি এবং এক্সিট সিস্টেম (ইইএস) অনুযায়ী, নন-ইইউ ভ্রমণকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন- আঙুলের ছাপ ও মুখের ছবি প্রথমবার ইইউভুক্ত (শেনজেন অঞ্চল) ২৯টি দেশে প্রবেশ করার সময় নিবন্ধন করতে হবে। ওই অঞ্চলে সব ইউরোপীয় দেশ অন্তর্ভুক্ত, শুধু আয়ারল্যান্ড ও সাইপ্রাস বাদ। এছাড়াও আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও লিশটেনস্টাইন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে ২৯টি ইউরোপীয় দেশে এবং শুধু নন-ইইউ ভ্রমণকারীদের জন্য। এ সিস্টেম পুরো ইউরোপে কার্যকর হবে ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে। এ সময়ে কিছু সীমান্ত চৌকিতে নতুন ব্যবস্থা এবং প্রচলিত পাসপোর্ট স্ট্যাম্পিংয়ের যৌথ ব্যবহার হতে পারে।
নতুন এ ইলেকট্রনিক সিস্টেমের মাধ্যমে ইউ’র সীমান্তে হাতে হাতে পাসপোর্ট স্টাম্প করার প্রয়োজনীয়তা বাতিল হয়ে যাবে। এর পরিবর্তে ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি হবে, যা বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে যাত্রীদের পরিচয় এবং তাদের ট্র্যাভেল ডকুমেন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
ইইউ চায় এর বাহিরের সীমান্তের ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করা, অবৈধ অভিবাসন রোধ করা, পরিচয় জালিয়াতি প্রতিহত করা এবং যারা অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি অবস্থান করছে তাদের শনাক্ত করা।
শেনজেন অঞ্চলে প্রথমবার প্রবেশ করা যেকোনো যাত্রীকে তাদের পাসপোর্ট স্ক্যান করতে হবে, আঙুলের ছাপ নিবন্ধন করতে হবে এবং মুখের স্ক্যান দিতে হবে।
এক্সিটের সময় যাত্রীর তথ্য ইইএস (ইইএস) ডাটাবেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় তারা নির্ধারিত অবস্থানের সময়সীমা মেনে চলেছে এবং এক্সিট রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী ভ্রমণে শুধুমাত্র মুখের বায়োমেট্রিক যাচাই করলেই হবে।
১২ বছরের নিচের শিশুদের ইইএস-এ নিবন্ধন করতে হবে, তবে তাদের কেবল ছবি তোলা হবে। ইইএস ব্যবহারের জন্য কোনো অর্থ প্রদান করতে হয় না।
জাতীয়
বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন ৪ নারী
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ পাচ্ছেন ৪ বিশিষ্ট নারী।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এ বছর বেগম রোকেয়া পদকের জন্য নারীশিক্ষা শ্রেণিতে (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকার শ্রেণিতে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার শ্রেণিতে নাবিলা ইদ্রিস ও নারী জাগরণ শ্রেণিতে (ক্রীড়া) ঋতুপর্ণা চাকমা নির্বাচিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রোকেয়া দিবস পালন উপলক্ষে সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চারজনের হাতে রোকেয়া পদক তুলে দেওয়া হবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
প্রসঙ্গত, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী-পুরুষ সমান মর্যাদা আর অধিকার নিয়ে বাঁচবে। সেই স্বপ্নের কথাই তিনি লিখে গেছেন তার গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধগুলোতে। নারীশিক্ষার প্রসারে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, তাদের ক্ষমতায়ন, ভোটাধিকারের জন্য লড়াইটা এই বাংলায় রোকেয়াই শুরু করেছিলেন।
৯ ডিসেম্বর তার জন্মদিন। ১৯৩২ সালের এই দিনেই মারা যান তিনি। দিনটি রোকেয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
জাতীয়
রোহিঙ্গাদের ১১.২ মিলিয়ন ডলারের এলপিজি সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য-কাতার
কক্সবাজারে বসবাসরত ৬ লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তা ও পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে যুক্তরাজ্য ও কাতার যৌথভাবে ১১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা ঘোষণা করেছে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, এই যৌথ সহায়তার মাধ্যমে ক্যাম্পে বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং শরণার্থী শিবির ও আশপাশের এলাকায় পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহ করা হবে।
দুই দেশের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা একসঙ্গে নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও আরও টেকসই সম্প্রদায় গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এলপিজি সরবরাহের ফলে জ্বালানি কাঠের ওপর নির্ভরতা কমবে, যা গত কয়েক বছরে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বন উজাড়ের কারণ হয়েছিল।
২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের আগমনের পর থেকে কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল হিসেবে রয়ে গেছে।
জাতীয়
দুর্নীতি আছে, দখল-চাঁদাবাজিও চলছে: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘দুর্নীতি আগের চেয়ে বেড়েছে নাকি কমেছে, সে বিষয়ে তুলনামূলক তথ্য নেই। এটি নিয়ে টিআইবি কাজ করছে। কিন্তু এটা বলতে পারি, দুর্নীতি অব্যাহত আছে। রাজনৈতিক ও সরকারি স্পেসের ক্ষমতাকে অপব্যহার করে বিভিন্ন মহল দলবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। সরকারের অভ্যন্তরেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। এটা উদ্বেগজনক।’
দুর্নীতি আগের চেয়ে বেড়েছে নাকি কমেছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
‘সুশাসিত, বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের অঙ্গীকার: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের ইশতেহার প্রণয়নে টিআইবির সুপারিশ’ শিরোনামে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এই সরকারের সময়ে আরও কঠোরভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সে ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থ হয়েছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।’ টিআইবি বর্তমান সরকারের পুরো মেয়াদের ওপর একটি বিশ্লেষণ তৈরির কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা এমন অবস্থায় আছি যে ৫৪ বছর, বিশেষ করে গত ১৫ বছরের যে জঞ্জাল, সেটা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশে সুশাসিত, গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজটা চট করে জাদুর কাঠি দিয়ে সম্ভব নয়। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়, এটা মানতে হবে। তবে এই সুযোগটা তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগ রাজনৈতিক দলগুলো কতটা নেবে, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ; একইভাবে তাদের কার্যপদ্ধতির মধ্যে অর্থ, পেশি ও ধর্মের প্রভাবটা নির্বাচনের আগে ও পরে কতটুকু তাদের প্রভাবিত করবে, সেটার ওপর ফলাফল অনেকটা নির্ভর করবে।
ব্যবসা খাতের সংস্কার নিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটা অনেকটা রাজনৈতিক দলের সংস্কারের মতো। এটা ভেতর থেকে আসতে হবে, তাদের নিজেদেরই করতে হবে। ব্যবসায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারলে চূড়ান্ত বিবেচনায় ব্যবসায়ীরাই লাভবান হবেন। এটা না করা গেলে একশ্রেণির ব্যবসায়ী লাভবান হন, অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, যেটা গত ১৫ বছরে দেখা গেছে। এর ফলে রাষ্ট্রকাঠামো দখল হয়েছে। কর্তৃত্ববাদ বিকাশের অন্যতম পিলার (স্তম্ভ) হিসেবে ব্যবসা খাতের একাংশ কাজ করেছে। সেই অবস্থার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেটাই তারা চাইছেন।
আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে রাখা উচিত এমন ৫২টি প্রস্তাব সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরে টিআইবি। এর মধ্যে প্রথম সাতটি প্রস্তাব পড়ে শোনান ইফতেখারুজ্জামান।
এগুলোর মধ্যে আছে জুলাই জাতীয় সনদ ও এর বাইরে থাকা সংস্কার কমিশনগুলোর বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা; জুলাই সনদসহ অন্যান্য সংস্কার কমিশনের ওপর ভিত্তি করে যেসব অধ্যাদেশ জারি ও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো ও কার্যকর ও অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থান ও কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলের সব হত্যা, অপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার অব্যাহত রাখা।
বাকি প্রস্তাবগুলো পড়ে শোনান টিআইবির জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা মো. জুলকারনাইন এবং গবেষণা ও নীতি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান। এসব প্রস্তাবে অনিয়ম–দুর্নীতি প্রতিরোধ, দলের কার্যক্রমে গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচারের চর্চা, সম–অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যাংক–আর্থিক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও পরিবেশ–জলবায়ু খাতে সংস্কার, বেসরকারি খাতে সুশাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার করার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ ও কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এমকে
জাতীয়
ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছি: প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার।
তিনি বলেন, জাতির জন্য প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে আপনারা (ইসি) চালকের আসনে আছেন। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে আমরা ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছি।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
পরে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বৈঠকের বরাতে এসব এতথ্য জানান।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিইসি নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
প্রস্তুতিকালে ইসিকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদানের জন্য সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।
নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে ধন্যবাদ জানান।
সিইসি বলেন, এরই মধ্যে নাগরিকরা নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, যা দেশে নির্বাচনি আমেজ সৃষ্টি করেছে।
এমকে
জাতীয়
সোমবার ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সোমবার (৮ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
বার্তায় বলা হয়, হাসনাবাদ জোনাল অফিসের আওতাধীন সোমবার উত্তর পানগাঁও, দক্ষিণ পানগাঁও, জাজিরা, কাজিরগাঁও, দক্ষিণ বাগৈর, কান্দাপাড়া, আইন্তা কাউটাইল, ব্রাক্ষণগাঁও ও বসুন্ধরা এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এমকে



