কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের প্রথম ইএসজি প্রতিবেদন প্রকাশ
সিটি ব্যাংক পিএলসি ‘Bank on Solidity, Banking on Sustainability’ শিরোনামে প্রথমবারের মত তাদের এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি টেকসই ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিংয়ের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্রেমওয়ার্ক- যেমন GRI Standards, IFRS S1 ও S2 এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং পূর্ববর্তী সাসটেইনেবিলিটি প্রতিবেদন প্রকাশের ধারাবাহিকতায় এই পূর্ণাঙ্গ ইএসজি প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে জলবায়ু ও পরিবেশ সংক্রান্ত উদ্যোগ সমূহের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সিটি ব্যাংকের বিস্তৃত অবদানকেও তুলে ধরা হয়েছে। সবুজ ও টেকসই অর্থায়নের প্রবৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগের তথ্য এই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়াও এতে গ্রাহকের পরিবেশ ও সামাজিক ঝুঁকি (ESRM) নির্ণয় কিভাবে অর্থায়নের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে তা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগের পাশাপাশি প্রতিবেদনটিতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের তথ্য রয়েছে। এ বছরের প্রতিবেদনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ব্যাংকের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের হিসাব প্রকাশ, যা ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতি পরিপালনের একটি নজির।
ইএসজি প্রতিবেদন প্রকাশনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সিটি ব্যাংক পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘এই ইএসজি প্রতিবেদনটি দায়িত্বশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের কার্যক্রমের প্রতিফলন। আমরা পরিবেশ, সামাজিক এবং সকল ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করে আমাদের অংশীদারদের মধ্যে দৃঢ় আস্থা গড়ে তুলেছি। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে টেকসই প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে আমাদের ভূমিকা জোরদার করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছি।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের টেকসই যাত্রায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিনিয়োগকারী, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং দায়িত্বশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনুসন্ধানকারী গ্রাহকদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা আরও জোরদার করবে বলে ব্যাংক আশা রাখে।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংককে আবারও দেশসেরা ক্রেডিট রেটিং দিলো এসঅ্যান্ডপি
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস ব্র্যাক ব্যাংককে আবারও দেশসেরা ক্রেডিট রেটিং দিয়েছে। সংস্থাটি ব্র্যাক ব্যাংককে ‘স্থিতিশীল’ আউটলুকের সাথে দীর্ঘমেয়াদে ‘বি+’ ক্রেডিট রেটিং দিয়েছে, যা বাংলাদেশের সার্বভৌম রেটিংয়ের সমান। নয় বছর ধরে এই ধারাবাহিক স্বীকৃতি ব্যাংকটির টেকসইতার প্রতিফলন।
ব্যাংকিং খাতে নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতি আস্থা বজায় রেখেছে এসঅ্যান্ডপি। গত ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত এক রিপোর্টে সংস্থাটি বলেছে, “চ্যালেঞ্জিং অপারেটিং পরিবেশের মধ্যেও ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের আর্থিক সক্ষমতা বজায় রাখবে। ব্যাংকের লক্ষণীয় মুনাফা, আয় ধরে রাখার ক্ষমতা এবং পরিমিত ঋণ প্রবৃদ্ধি আগামী দুই বছর রিস্ক অ্যাডজাস্টেড ক্যাপিটাল (আরএসি) রেশিও বজায় রাখতে সহায়তা করবে।”
এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস আরও উল্লেখ করেছে, “আমাদের দৃষ্টিতে ব্র্যাক ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল প্রোফাইল ‘স্থিতিশীল’ থাকবে। ব্যাংকটির দক্ষ ও বিচক্ষণ ম্যানেজমেন্ট ব্যাংকের ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রাখার পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতের অস্থির সময় অতিক্রম করতে সহায়তা করবে। ব্যাংকের নন-পারফর্মিং লোনের অনুপাত আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসে ৩.১% থেকে ৩.৫%-এর মধ্যে থাকবে বলে আমরা আশা করছি। এই হার বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান গড়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ব্যালেন্সড লোন পোর্টফোলিও এবং প্রোঅ্যাকটিভ রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ব্যাংকের অ্যাসেট কোয়্যালিটি ঠিক রাখবে।”
ব্র্যাক ব্যাংকের ‘স্থিতিশীল’ আউটলুক সম্পর্কে এসঅ্যান্ডপি মন্তব্য করেছে, “বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং অপারেটিং পরিস্থিতি স্থিতিশীলভাবে মোকাবেলা করতে পারবে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংকটির বর্তমান এই শক্তিশালী আর্থিক অবস্থান আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসও বজায় থাকবে।”
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস থেকে প্রাপ্ত এই রেটিং সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “এই স্বীকৃতি আমাদের টেকসই মূলধন কাঠামো, সম্পদের গুণগত মান, সুশাসন ও শক্তিশালী তারল্য অবস্থানের প্রতিফলন। স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে এমন মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি শুধু ব্র্যাক ব্যাংকের জন্যই বড় অর্জন নয়, বরং বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্যও এক শক্তিশালী বার্তা।”
তিনি আরও বলেন, “এই সাফল্যে আমরা গর্বিত ও সম্মানিত। এই অর্জনে আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার, সহকর্মী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের প্রতি। সকলের অবিচল আস্থাই আমাদের এগিয়ে চলার প্রেরণা।”
উল্লেখ্য, এসঅ্যান্ডপি ছাড়াও সিআরএবি থেকে ‘এএএ’ এবং মুডি’স থেকে ‘বি২’ রেটিং নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত ব্যাংক।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
নানান সেবা নিয়ে এসএমই মেলায় ইসলামী ব্যাংক
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলায় স্টল উদ্বোধন করেছে ইসলামী ব্যাংক।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন ফিতা কেটে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে স্টলটি উদ্বোধন করেন।
এ সময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এসএমই ইনভেস্টমেন্ট উইং প্রধান আবু সাঈদ মো. ইদ্রিস, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মজনুজ্জামান ও মোহাম্মদ জাকির হোসাইন এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলামসহ নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী ব্যাংকের এ স্টলে মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থী, গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদেরকে ব্যাংকের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নানান সেবা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (এসএমই) বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা হচ্ছে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিআইসিএম’র বিশেষ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পিএলসির কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত এক মাসব্যাপী ‘ফান্ডামেন্টালস অন ট্রেডিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এনালাইসিস’ প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিআইসিএম’র মাল্টিপারপাস হলে প্রশিক্ষনের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা শুরু হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর।
প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন বিআইসিএম’র শিক্ষকবৃন্দ-সহকারী অধ্যাপক কাশফীয়া শারমিন, সহযোগী অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খান, সহকারী অধ্যাপক এস. এম. কালবীন ছালিমা এবং অন্যান্য রিসোর্স পার্সন।
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ ও বিআইসিএমের মধ্যে বিদ্যমান ২ বছরের প্রশিক্ষণ অংশীদারিত্বের আওতায় এই বিশেষায়িত কোর্সটি আয়োজন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই প্রশিক্ষণ কর্মকর্তাদের বাজার বিশ্লেষণ, ট্রেডিং জ্ঞান এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে, যা গ্রাহকসেবা আরও উন্নত করতে সহায়তা করবে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
কোহিনূর কেমিক্যালের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা
প্রসাধনী প্রস্তুতকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ আয়োজন করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী ও কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রমের ওপর আলোচনা করা হয়। আলোচ্যসূচিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে। আলোচ্য সভায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য ৬৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ এবং ১০ শতাংশ হারে বোনাস শেয়ার প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল করিম। এতে আরও ছিলেন– পরিচালক মো. এবাদুল করিম, স্বতন্ত্র পরিচালক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ও কাজী মামুনুল আশরাফ, কোম্পানি সচিব মো. কামরুজ্জামান ও সিএফও মোহা. শামীম কবির।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ’র কন্টাক্টলেস এনএফসি পেমেন্টে কেনাকাটা হবে আরও দ্রুত-নিরাপদ
এখন থেকে এনএফসি (নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) এনাবেল্ড কিউআর-এ ট্যাপ করেই পেমেন্ট করা যাচ্ছে বিকাশ-এ। গ্রাহকের ডিজিটাল পেমেন্ট অভিজ্ঞতাকে আরও ঝামেলাহীন, নিরাপদ ও কন্টাক্টলেস করতেই এই সেবা চালু করেছে বিকাশ। এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে গ্রাহকরা এখন কোনো পিন নম্বর ছাড়াই মাত্র এক ট্যাপে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারবেন, যা তাদের ক্যাশলেস পেমেন্টের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং দেশের ডিজিটাল পেমেন্টের ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে।
এনএফসি প্রযুক্তির মাধ্যমে পেমেন্ট করার সুবিধা গ্রাহকদের দৈনন্দিন লেনদেনকে বিশেষ করে ছোট-বড় দোকান, সুপারশপ, ক্যাফে ও অন্যান্য খুচরা বিক্রেতার কাছে পেমেন্ট আরও দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত করে তুলছে। বিকাশ-এর মাধ্যমে এনএফসি পেমেন্ট করতে হলে গ্রাহককে এনএফসি চিহ্নিত কিউআর কোডে মোবাইল ট্যাপ করতে হবে। এরপর লগইন করলে সরাসরি পেমেন্ট স্ক্রিনে নিয়ে যাবে। এখানে টাকার পরিমাণ বসিয়ে নিশ্চিত করলেই পেমেন্টটি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
ফলে পিন ভুলে যাওয়া কিংবা বেহাত হওয়ার বিড়ম্বনা যেমন থাকলো না, তেমনি বাড়লো বিকাশ অ্যাপের নিরাপত্তাও। উল্লেখ্য, ১ হাজার টাকা পর্যন্ত পিন ছাড়াই এনএফসি পেমেন্ট করা যাচ্ছে।
প্রযুক্তির অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিনের লেনদেনকে আরও সহজ, নিরাপদ ও ঝামেলাহীন করতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা নিয়ে আসছে বিকাশ। তারই ধারাবাহিকতায় এবার এনএফসি পেমেন্ট সুবিধা চালু করলো প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহকরা এখন ক্যাশলেস, কন্টাক্টলেস ও নিরাপদ লেনদেনের অভিজ্ঞতা নিতে পারছেন। ধারাবাহিকভাবে বিকাশ-এর এই এনএফসি পেমেন্ট সেবাটি সারাদেশের মার্চেন্ট পয়েন্টগুলোতে বিস্তৃত করা হবে।



