খেলাধুলা
বিসিবি নির্বাচন আজ

সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ, একযোগে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, পরে আরও চার প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা, আদালতে পাল্টাপাল্টি রিট–বিতর্কসহ বহু নাটকীয়তার পর অবশেষে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলবে।
তফসিল অনুসারে, ভোটগ্রহণ শেষ হলে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পরিচালক পদে বিজয়ী হওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন।
১, ২ ও ৩ ক্যাটাগরির একটা বড় অংশ নির্বাচনে নেই। সরে দাঁড়িয়েছেন। এক কথায় হেভিওয়েট প্রার্থীদের অনেকেই নির্বাচন বয়কট করেছেন। সরে দাঁড়িয়ে প্রথমে ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন বাতিলের আবেদনের পাশাপাশি তিন দফা প্রস্তাবও দিয়েছেন নির্বাচন বয়কটকারীরা। তারপর ২৪ ঘণ্টা আগে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে বিসিবি প্রধান আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পাঠানো এক চিঠির ওপর কোর্টের রিটের শুনানীর দিন ছিল রোববার (৫ অক্টোবর)। এছাড়া দুদকের পর্যবেক্ষণে থাকা ১৫ ক্লাবের ভাগ্য নির্ধারণের শুনানিও ছিল সেদিন। সব মিলিয়ে অনেক কিছুর সম্ভাবনাই ছিল।
নির্বাচন কি আদৌ হবে? নাকি হঠাৎ স্থগিতের ঘোষণা আসবে? এমন প্রশ্নের উদ্রেকও হয়েছিল। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনা আর গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ নির্ধারিত সূচিতেই হতে যাচ্ছে বিসিবি নির্বাচন।
এর আগে কোর্টের নির্দেশে ১৫ ক্লাবের নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ আসায় ৭৬ থেকে ১৫ বাদ দিয়ে ৬১ ক্লাবের কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচন হওয়ার মতো পরিস্থিতির উদ্রেক হয়। কিন্তু আবার নতুন করে আদালত ১৫ ক্লাবের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় ৭৬ ক্লাবের কাউন্সিলররাই ভোট দিতে পারবেন। তবে যারা এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বা তুলে নিয়েছেন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। যদিও তারা ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন।
তামিম ইকবাল, ফাহিম সিনহা, রফিকুল ইসলাম বাবুসহ মোট ১৫ প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় খুব স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার ক্লাব কোটা মানে ক্যাটাগরি-২ এর নির্বাচনের আকর্ষণ, উত্তেজনা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক কমে গেছে।
তারপরও শেষ পর্যন্ত ঢাকার ক্লাব মানে ক্যাটাগরি-২ থেকে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে ১২ জন নির্বাচিত হবেন। সেদিক থেকে নামমাত্র নির্বাচন হবে ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ জেলা ও বিভাগে। সেখানে ৭২ ভোটে নির্বাচিত হবেন ১০ পরিচালক। এরইমধ্যে নির্বাচন ছাড়াই ৯ জন নির্বাচিত হয়ে গেছেন।
মানে, সোমবারের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-১ এ শুধু রংপুর বিভাগে নির্বাচন হবে। বাকি ৬ বিভাগ মানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালে আর নির্বাচন হবে না।
অন্যদিকে, রংপুর বিভাগে ত্রিমুখী লড়াই হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, রেহাতুল ইসলাম খোকা ও মোহাম্মদ নুর এ শাহাদাৎ স্বপন।
ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগেও নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু ঢাকার তৃতীয় প্রার্থী রেদুয়ান ফুয়াদ আজ শেষ মুহূর্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একইভাবে রাজশাহীর হাসিবুল আলমও শেষ মুহূর্তে নির্বাচন না করার কথা জানিয়েছেন। কাজেই চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও বরিশালের মত ঢাকা ও রাজশাহীতে নির্বাচন হবে না।
৫ বিভাগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন যারা-
ঢাকা বিভাগ: আমিনুল ইসলাম বুলবুল, নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
চট্টগ্রাম: আহসান ইকবাল চৌধুরী ও আসিফ আকবর।
খুলনা বিভাগ: আব্দুর রাজ্জাক, জুলফিকার আলী খান।
সিলেট বিভাগ: রাহাত শামস।
বরিশাল বিভাগ: শাখাওয়াত হোসেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর বিসিবির নির্বাচনের সময় ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেট পার করছে বিতর্কিত সময়।

খেলাধুলা
পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে দারুণ সূচনা হলো বাংলাদেশের। কলম্বোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ম্যাচটি তারা জিতেছে ৭ উইকেট আর ১১৩ বল হাতে রেখে।
বোলাররাই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। স্বর্ণা-মারুফাদের তোপে মাত্র ১২৯ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ফলে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩০ রানের।
রান তাড়ায় দলীয় ৭ রানের মাথায় ফারজানা হককে (২) হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। শারমিন আক্তার ফেরেন ৩০ বলে ১০ রানের ধীর ইনিংস খেলে। এরপর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন রুবাইয়া হায়দার। নিগার সুলতানাকে নিয়ে ৬২ আর সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে ৩৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ বের করেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
নিগার করেন ২৩ রান। ১৯ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন সোবহানা। হাফসেঞ্চুরিয়ান রুবাইয়া ৭৭ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল পাকিস্তান। প্রথম ওভারেই জোড়া ধাক্কা দেন বাংলাদেশি পেসার মারুফা আক্তার। ওভারের পঞ্চম আর ষষ্ঠ বলে উমাইমা সোহেল ও সিদরা আমিনকে গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০) সাজঘরে ফেরান তিনি। দুজনই হয়েছেন বোল্ড।
২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে পাকিস্তান। এরপর রামিনা শামিম ও মুনিবা আলি প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠেন। অবশেষে ১২তম ওভারে এসে মুনিবাকে পয়েন্টে ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন নাহিদা আক্তার। ৩৫ বলে ১৭ করেন মুনিবা।
নিজের পরের ওভারে নিজেই ক্যাচ নিয়ে রামিন শামিমকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা। ৩৯ বলে ২৩ রান নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন রামিন।
সেট হয়ে আউট হয়েছেন সিদরা নওয়াজও (২০ বলে ১৫)। একবার ফাহিমা খাতুনের লেগস্পিনে রিভিউ নিয়ে বাঁচলেও পরে আরেক লেগি রাবেয়া খানের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি।
৬৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ধরে খেলায় মনোযোগ দেন আলিয়া রিয়াজ আর ফাতিমা সানা। ৫৪ বলে তাদের ২৪ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙেন নিশিতা আক্তার নিশি। ডাউন দ্য উইকেটে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে লংঅফ বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন আলিয়া (৪৩ বলে ১৩)।
একশর আগে (৯১ রানে) ৬ উইকেট খুইয়ে ফের চাপে পড়ে পাকিস্তান। এক ওভার পরেই ৩৩ বলে ২২ রান করা ফাতিমা সানাকে এলবিডব্লিউ করেন ফাহিমা খাতুন।
এরপর আর বেশিদূর এগোতে পারেনি পাকিস্তান। ৩৮.৩ ওভারে তাদের ১২৯ রানেই গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশের স্বর্ণা আক্তার মাত্র ৫ রানে ৩টি, মারুফা ও নাহিদা আক্তার নেন ২টি করে উইকেট।
খেলাধুলা
বাংলাদেশকে ১৩০ রানের লক্ষ্য দিলো পাকিস্তান

ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুই উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন মারুফা আক্তার। মাঝের ওভারগুলোতে সেই ধারবাহিকতা ধরে রাখেন স্পিনাররা। নাহিদা-রাবেয়াদের ঘূর্ণিতে বেশি দূর এগোতে পারেনি পাকিস্তান। টাইগ্রেসদের দারুণ বোলিংয়ে দেড়শর আগেই অলআউট হয়েছে পাকিস্তান।
কলম্বোতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করেছে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেছেন রামিন শামিম।
বল হাতে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন মারুফা। ডানহাতি এই পেসারের সুইং আর গতিতে চোখে রীতিমতো সর্ষে ফুল দেখেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ডাবল স্ট্রাইক করেন মারুফা। পঞ্চম বলে ওমাইমা সোহেলকে বোল্ড করেন। পরের বলেই ফর্মে থাকা সিধরা আমিনের স্টাম্প ভাঙেন এই পেসার। দুই ব্যাটারই ডাক খেয়ে সাজঘরে ফিরেছেন।
২ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মুনিবা আলি ও রামিন শামিম। বড় হতে থাকা এই জুটি ভেঙেছেন নাহিদা আক্তার। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৫ বলে ১৭ রান করেছেন মুনিবা।শামিমকেও ফিরিয়েছেন নাহিদা। এই বাঁহাতি স্পিনারকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩৯ বলে ২৩ রান করেছেন শামিম।
দলীয় ফিফটির আগেই ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তানের বিপদে আরো বাড়িয়েছেন সিধরা নাওয়াজ। ২০ বলে ১৫ রান করা এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন রাবেয়া।
এরপর লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ফাতিমা সানা-নাটালিয়া পারভেজরা উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফাতিমা ৩৩ বলে ২২ রান করেছেন। শেষদিকে ডায়ানা ২২ বলে অপরাজিত ১৬ রান করলেও দেড়শর আগেই অল আউট হয় তারা।
বাংলাদেশের হয়ে ৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার স্বর্ণা। এ ছাড়া মারুফা ও নাহিদা দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নিশিতা নিশি, রাবেয়া খান ও ফাহিমা খাতুন।
খেলাধুলা
দেশের ক্রিকেটে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে বিসিবি নির্বাচন: তামিম

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন নিয়ে তৈরি হচ্ছে একের পর এক জটিলতা। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ আরও কয়েকজন। তিনি জানান, আসন্ন এই নির্বাচন দেশের ক্রিকেটে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তামিম। জানান, নোংরামির সঙ্গে থাকতে চান না বলেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তামিম বলেন, ‘আপনারা যখন ইসি চূড়ান্ত তালিকা দেবে, তখন সে তালিকা দেখলেই বুঝবেন যারা সরে গেছেন তাদের সবাই হেভিওয়েট। এটা আমাদের মতো করে আমাদের প্রতিবাদ যে, এই নোংরামির অংশ হয়ে আমরা থাকতে পারব না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না।’
তামিম জানান, আসন্ন নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন যারা বিসিবিতে আছেন, তারা যেভাবে ইলেকশন করছেন, সেভাবে তারা জিততেও পারেন। তবে এটা ইলেকশন হচ্ছে না। আমি একটা কথাই বলব যে, ক্রিকেট হেরে গেছে। আপনারা বলেন যে, ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে। তাদের বলব, আগে আপনারা নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন। এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে একটা কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।’
নিজের সেই বক্তব্যে সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি আমিসহ ১৪-১৫ জন। প্রত্যাহার করার কারণ খুবই স্পষ্ট। মনে হয় না এটা নিয়ে আমাকে বিস্তারিত বা ব্যাখ্যা করে কিছু বলার আছে। আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, নির্বাচনটা কীভাবে হচ্ছে বা কোনদিকে যাচ্ছে এটা সবাই এখন দেখছে। যখন যা মনে হচ্ছে, তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন নয়। ক্রিকেটের সঙ্গে এই জিনিসটা কোনোদিক থেকেই মানায় না।’
খেলাধুলা
বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম ইকবাল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে আলোচিত প্রার্থী জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আজ বুধবার।
তামিমসহ ৭-৮ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তামিমের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিসিবি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৬ অক্টোবর। আর তার আগে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আজ ১ অক্টোবর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনেই তামিম সরে দাঁড়ালেন হঠাৎ করে।
তামিমের মতো পরিচালক পদে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ, ইসরাফিল খসরু, সৈয়দ বোরহানুল ইসলাম এবং রফিকুল ইসলাম বাবুর মতো হেভিওয়েট প্রার্থীরাও।
বলার অপেক্ষা রাখে না, যে ১৫ ক্লাবের ওপর আবার কোর্টের নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তার সবকটাই বিএনপিপন্থি কাউন্সিলরদের। খুব স্বাভাবিকভাবেই ১৫টি নিশ্চিত ভোট হাতছাড়া হয়ে যাবে তামিমের নেতৃত্বাধীন বিএনপিপন্থি প্যানেলের।
এছাড়া শেষমুহূর্তে অনেক চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিয়ে সাজানো ১২ জনের প্যানেল থেকেও নির্বাচন করতে পারবেন না চার জন প্রার্থী। এতে করে শক্তি কমে যাওয়ার উপক্রম হয় অনেকটাই। ফলে আগেরদিনই গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, বিএনপিপন্থিরাসহ তামিম ইকবাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। সেটাই হলো।
খেলাধুলা
বিসিবি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বিতর্কিত সেই ১৫ ক্লাব

দুদকের পর্যবেক্ষণে থাকার কারণে শুরুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকায় ছিল না ১৫ ক্লাব। বিতর্কিতভাবে কাউন্সিলরের তালিকায় না রাখায় পরে বিসিবির নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন ক্লাব কর্তারা। অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ সেপ্টেম্বর শেষ পর্যন্ত ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ ফেরত দেয়া হয়।
পরে চূড়ান্ত কাউন্সিলর তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিতও করে কমিশন। এরপর মনোনয়ন গ্রহণ ও বাছাই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়। তবে এবার হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে আজ মঙ্গলবার ১৫ ক্লাবকে বাদ দেয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না এক্সিউম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমী, মোহাম্মদ ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমী, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, ওল্ড ঢাকা ক্রিকেটার্স, ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমী, বনানী ক্রিকেট ক্লাব, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমী, ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব, প্যাসিফিক ক্রিকেট ক্লাব, স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব ও আলফা স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলররা।