খেলাধুলা
বিসিবি নির্বাচন আজ
সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ, একযোগে ১৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, পরে আরও চার প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা, আদালতে পাল্টাপাল্টি রিট–বিতর্কসহ বহু নাটকীয়তার পর অবশেষে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলবে।
তফসিল অনুসারে, ভোটগ্রহণ শেষ হলে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পরিচালক পদে বিজয়ী হওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন।
১, ২ ও ৩ ক্যাটাগরির একটা বড় অংশ নির্বাচনে নেই। সরে দাঁড়িয়েছেন। এক কথায় হেভিওয়েট প্রার্থীদের অনেকেই নির্বাচন বয়কট করেছেন। সরে দাঁড়িয়ে প্রথমে ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন বাতিলের আবেদনের পাশাপাশি তিন দফা প্রস্তাবও দিয়েছেন নির্বাচন বয়কটকারীরা। তারপর ২৪ ঘণ্টা আগে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে বিসিবি প্রধান আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পাঠানো এক চিঠির ওপর কোর্টের রিটের শুনানীর দিন ছিল রোববার (৫ অক্টোবর)। এছাড়া দুদকের পর্যবেক্ষণে থাকা ১৫ ক্লাবের ভাগ্য নির্ধারণের শুনানিও ছিল সেদিন। সব মিলিয়ে অনেক কিছুর সম্ভাবনাই ছিল।
নির্বাচন কি আদৌ হবে? নাকি হঠাৎ স্থগিতের ঘোষণা আসবে? এমন প্রশ্নের উদ্রেকও হয়েছিল। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনা আর গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ নির্ধারিত সূচিতেই হতে যাচ্ছে বিসিবি নির্বাচন।
এর আগে কোর্টের নির্দেশে ১৫ ক্লাবের নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ আসায় ৭৬ থেকে ১৫ বাদ দিয়ে ৬১ ক্লাবের কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচন হওয়ার মতো পরিস্থিতির উদ্রেক হয়। কিন্তু আবার নতুন করে আদালত ১৫ ক্লাবের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় ৭৬ ক্লাবের কাউন্সিলররাই ভোট দিতে পারবেন। তবে যারা এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বা তুলে নিয়েছেন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। যদিও তারা ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন।
তামিম ইকবাল, ফাহিম সিনহা, রফিকুল ইসলাম বাবুসহ মোট ১৫ প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় খুব স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার ক্লাব কোটা মানে ক্যাটাগরি-২ এর নির্বাচনের আকর্ষণ, উত্তেজনা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক কমে গেছে।
তারপরও শেষ পর্যন্ত ঢাকার ক্লাব মানে ক্যাটাগরি-২ থেকে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে ১২ জন নির্বাচিত হবেন। সেদিক থেকে নামমাত্র নির্বাচন হবে ক্যাটাগরি-১ অর্থাৎ জেলা ও বিভাগে। সেখানে ৭২ ভোটে নির্বাচিত হবেন ১০ পরিচালক। এরইমধ্যে নির্বাচন ছাড়াই ৯ জন নির্বাচিত হয়ে গেছেন।
মানে, সোমবারের নির্বাচনে ক্যাটাগরি-১ এ শুধু রংপুর বিভাগে নির্বাচন হবে। বাকি ৬ বিভাগ মানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশালে আর নির্বাচন হবে না।
অন্যদিকে, রংপুর বিভাগে ত্রিমুখী লড়াই হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, রেহাতুল ইসলাম খোকা ও মোহাম্মদ নুর এ শাহাদাৎ স্বপন।
ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগেও নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু ঢাকার তৃতীয় প্রার্থী রেদুয়ান ফুয়াদ আজ শেষ মুহূর্তে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। একইভাবে রাজশাহীর হাসিবুল আলমও শেষ মুহূর্তে নির্বাচন না করার কথা জানিয়েছেন। কাজেই চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট ও বরিশালের মত ঢাকা ও রাজশাহীতে নির্বাচন হবে না।
৫ বিভাগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন যারা-
ঢাকা বিভাগ: আমিনুল ইসলাম বুলবুল, নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
চট্টগ্রাম: আহসান ইকবাল চৌধুরী ও আসিফ আকবর।
খুলনা বিভাগ: আব্দুর রাজ্জাক, জুলফিকার আলী খান।
সিলেট বিভাগ: রাহাত শামস।
বরিশাল বিভাগ: শাখাওয়াত হোসেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর বিসিবির নির্বাচনের সময় ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেট পার করছে বিতর্কিত সময়।
খেলাধুলা
হামজা-জামালদের জন্য ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা
২২ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। মঙ্গলবার(১৮ নভেম্বর) রাতের এই স্মরণীয় মুহূর্তকে আরও বিশেষ করে তুলতে দলকে ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি আসে ম্যাচের ১৩ মিনিটে। দারুণ এক মুভমেন্টে বল পেয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোল করেন তরুণ প্রতিভা মোরসালিন। গোলের পর ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া চেষ্টা করে ভারত। কিন্তু মাঝ মাঠে হামজা চৌধুরীর নেতৃত্বে জমাট রক্ষণ, শৃঙ্খলিত ডিফেন্স আর গোলরক্ষকের দৃঢ়তা ভারতের সব চেষ্টাই ব্যর্থ করে দেয়।
২০০৩ সালের ঢাকার ২-১ গোলের পর ভারতের বিপক্ষে আর কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। দুই দশকেরও বেশি সময় পর সেই খরা কাটিয়ে ফিরল নতুন ইতিহাস। এ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে ৩০ বার মুখোমুখি লড়াইয়ে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ জয়।
হামজা চৌধুরী ও সামিতের মতো নতুনদের আগমনে দলের খেলার ধরণ বদলে যাওয়ায় ভক্তদের মাঝে তৈরি হয়েছে নতুন আশাবাদ। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশ দেখিয়েছে ধারাবাহিক উন্নতি। হংকংয়ের সঙ্গে ড্র, নেপালের বিপক্ষে দুর্ভাগ্যজনক ড্র। আরেক ম্যাচে শেষ মুহূর্তে হার। সব মিলিয়ে এই জয় লাল-সবুজ দলের অগ্রগতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ।
পুরো দেশ যখন ঐতিহাসিক জয়ের আনন্দে ভাসছে, ঠিক তখন ২ কোটি টাকার পুরস্কারের ঘোষণা রাতটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছে। জাতীয় দল, স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে সমর্থকদের হৃদয় সব জায়গায় এখন ফুটবলে বাংলাদেশের জয়ের উৎসবের আমেজ।
খেলাধুলা
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত বাংলাদেশের ভারত সফর
ভারতের অনুরোধে আইসিসির দু’দলের নির্ধারিত এফটিপিতে থাকা বাংলাদেশ নারী দলের ডিসেম্বরের ভারত সফর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।বাংলাদেশ নারী দল ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি–টোয়েন্টি খেলতে ভারতের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল।
তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সম্প্রতি বিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছে, নারী ক্রিকেটারদের দীর্ঘ বিরতি দিতে তারা এখন সিরিজ আয়োজন করতে পারছে না—কারণ বিশ্বকাপ জয়ের পর দলটিকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে চায় তারা, বিশেষ করে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ (ডব্লিউপিএল) সামনে রেখে।
বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ক্রিকবাজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “হ্যাঁ, তারা জানিয়েছে যে আলোচনা অনুযায়ী সিরিজটি এখন হচ্ছে না। তবে এটাকে বাতিল বলা যাবে না—এটা শুধু স্থগিত হলো। আবার নতুন করে সময় নির্ধারণ হবে।”
ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত রজ্জাক আরও বলেন, “এটা স্থায়ীভাবে স্থগিত হওয়ার প্রশ্নই আসে না, কারণ এটি এফটিপির অংশ। তারা ডব্লিউপিএলের আগে নিজেদের খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে চায়।”
এই সিরিজের ওয়ানডে অংশ দিয়েই শুরু হওয়ার কথা ছিল দুই দলের নতুন আইসিসি নারী ওডিআই চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র। প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ দল ১৪ বা ১৫ ডিসেম্বর ভারত যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
উল্লেখ্য, এর আগেও ভারতীয় দলের সফর সূচিতে পরিবর্তন এসেছে—২০২৫ সালের আগস্টে হওয়া কথা থাকা ভারতের পুরুষ দলের বাংলাদেশ সফরও স্থগিত হয়েছিল, যা এখন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরের উইন্ডোতে।
খেলাধুলা
২২ বছর পর ভারতকে হারালো বাংলাদেশ
ফিলিপাইনের রেফারি ক্লিকফোর্ডের শেষ বাঁশি। জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শকদের বাধনহারা উল্লাস। ২২ বছর পর ভারতকে হারাল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে প্রায় ২৪ হাজার দর্শকের সামনে হামজাদের ১-০ গোলের জয়।
২০০৩ সালে এই স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মতিউর মুন্নার গোল্ডেন গোলে বাংলাদেশ ভারতকে পরাজিত করেছিল। ২২ বছর পর এবার বাংলাদেশ জিতল শেখ মোরসালিনের গোলে। বাংলাদেশ ম্যাচের ১২ মিনিটে লিড নেয়। এরপর ৮০ মিনিটের বেশি সময় বাংলাদেশ সেই লিড বজায় রাখে।
হংকং ও নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে গোল হজম করেছিল। তাই বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের মনে শঙ্কা ছিল রক্ষণ কিংবা গোলরক্ষকের ভুলে শেষে এসে গোল হজম করে বসে কি না! আজ আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়নি। ভারত দ্বিতীয়ার্ধে মুর্হুমুহু আক্রমণ করেও গোল করতে পারেনি।
বাংলাদেশের ডিফেন্স জমাট রেখেছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা ফুটবলার হামজা চৌধুরি। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের রক্ষণ সামলেছেন। বিশেষ করে ৩২ মিনিটে ভারতের নিশ্চিত গোল তিনি হেড দিয়ে সেভ করেন। দ্বিতীয়ার্ধেও তিনি অনেকগুলো আক্রমণ প্রতিহত করেছেন।
ভারতের কোচ খালিদ জামিল দ্বিতীয়ার্ধে অনেক কৌশল পরিবর্তন ও খেলোয়াড় পরিবর্তন করেছেন। এরপরও ম্যাচে গোল করে সমতা আনতে পারেনি। বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা দ্বিতীয়ার্ধে গোলদাতা মোরসালিনের পরিবর্তে শাহরিয়ার ইমনকে নামান। শাহরিয়ার ইমন গতি দিয়ে ভারতের রক্ষণে কাপন ধরালেও গোল পাননি।
ভারতের র্যাংকিং ১৩৬। শক্তিমত্তায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। ২৫ মার্চ ভারতের হোম ম্যাচের একাদশের ৯ জনই আজকের একাদশে ছিলেন না। ভারতের কোচ খালিদ জামিল মোহনবাগানের ফুটবলারদের ক্যাম্পে দেরিতে যোগ দেয়ায় বাদ দিয়ে এসেছেন। এতে ভারতের শক্তি খর্ব হয়। মাঠেও সেটার প্রমাণ মেলে।
এর আগে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের ১২ মিনিটে উত্তাল জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি। কাউন্টার অ্যাটাকে মোরসালিন-রাকিব বল দেয়া নেয়া করে ভারতের বক্সে এগুতে থাকেন। রাকিব মোরসালিনের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান। ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসেন। মোরসালিন বুদ্ধিদীপ্তভাবে প্লেসিং করেন গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে। বল জালে জড়ানোর সাথে সাথেই বাংলাদেশের ডাগ আউটের উল্লাস।
বাংলাদেশ গোল দেয়ার পর কয়েক মিনিট উজ্জীবিত ফুটবল খেলে। পরবর্তীতে নিজেদের ভুল পাসে ভারতের পায়ে বল তুলে দিয়ে অযথাই চাপে পড়ে। বিশেষ করে ৩১ মিনিটে গোলরক্ষক মিতুল বল ক্লিয়ার করতে পারেননি ঠিক মতো। ভারতের চাংতে গোলপোস্ট অরক্ষিত পান। তার নেয়া শট বাংলাদেশের পোস্টের দিকেই ছিল। কয়েক গজ দূর থেকে হামজা চৌধুরি লাফিয়ে হেড করে নিশ্চিত গোল সেভ করেন।
ভারত কয়েকটি কর্নার পায়। এতে অবশ্য বড় কোনো বিপদ ঘটেনি বাংলাদেশের। ৪৪ মিনিটে বক্সের সামনে থেকে হামজা খুব দ্রুত বা পায়ে শট নেন। যা অল্পের জন্য পোস্টের পাশ দিয়ে যায়। অস্বস্তি বোধ করায় ডিফেন্ডার তারিক কাজীর পরিবর্তে শাকিল আহাদ তপুকে নামান কোচ ক্যাবরেরা।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। সেটার রেষ মাঠেও ছিল। ৩৫ মিনিটের দিকে বল দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার তপু ও ভারতের মিডফিল্ডার বিক্রমের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এতে অন্য ফুটবলাররা উত্তেজিত হয়ে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ফিলিপাইনের রেফারি দুই জনকে হলুদ কার্ড দেখান। দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। রেফারি একাধিক কার্ড দেখিয়েছেন। ফিলিপাইনের রেফারি ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুর ম্যাচে বিতর্কিত রেফারিং করেছিলেন। আজকের ম্যাচে অবশ্য রেফারির সিদ্ধান্ত তেমন সমালোচনার মধ্যে পড়েনি।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচ শেষে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে। ভারতের বিপক্ষে ভারতে ড্র ও হংকংয়ে একটি ড্র করেছিল বাংলাদেশ। দু’টি হোম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল। আজই প্রথম হোম ম্যাচে জিতল এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। ভারত দুই পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নিচে। দুই দলেরই এশিয়া কাপ খেলার সম্ভাবনা আগের ম্যাচেই শেষ হয়েছে।
খেলাধুলা
বিসিবি পরিচালক পদে নিযুক্ত হলেন রুবাবা দৌলা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক পদে করপোরেট ব্যক্তি ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা নিযুক্ত হয়েছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে তাঁকে কাউন্সিলর হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রুবাবা দৌলার অন্তর্ভুক্তিতে ২৫ সদস্যের বিসিবি পর্ষদ পূর্ণতা পেয়েছে।
এনএসসি মনোনীত কাউন্সিলর পদে মোট দুজন থাকেন। গত ৬ অক্টোবর বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের পর, এনএসসি যে দুজনকে মনোনয়ন দেয়, তাঁদের একজন ইসফাক আহসানকে নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। এ বিষয়ে এনএসসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইসফাক আহসান পদত্যাগ করেছেন। ব্যবসায়ী ইসফাকের আওয়ামী লীগের পদ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এনএসসি তাঁর জায়গায় রুবাবা দৌলাকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে রুবাবা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেননি।
রুবাবা বর্তমানে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ওরাকলের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সংযোগ রয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, একই সময়ে বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য হিসেবেও ছিলেন।
গ্রামীণফোনে ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি দেশের ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত মুখ ছিলেন। সেই সময় গ্রামীণফোন ছিল জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর (২০০৩-২০১১), এবং ২০০৭ সালে বিসিবির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
আজ বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের একটি সভা রয়েছে, যেখানে রুবাবা দৌলা যোগ দিতে পারেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত অন্য কাউন্সিলর ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
খেলাধুলা
বিনামূল্যে যেভাবে দেখবেন বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা
টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানোর পর সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। অন্যদিকে টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ক্যারিবিয়ানরা।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ক্যারিবীয়রা। ঐ হোয়াইটওয়াশের প্রতিশোধ এবার নিতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ২১বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় ৮টিতে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ১১ ম্যাচে। ২ ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
যেভাবে দেখবেন খেলা
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি চ্যানেল।
এ ছাড়াও অনলাইনেও দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। যে কোনো জায়গা থেকে মোবাইলে ম্যাচটি দেখা ট্যাপম্যাডে। এ ছাড়া বিভিন্ন আনঅফিসিয়াল আ্যপসের মাধ্যমেও ম্যাচটি উপভোগ করা যাবে। যদিও সেগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা কিছু হলেও থেকেই যায়।



