আন্তর্জাতিক
এখন ৫০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক ইলন মাস্ক
বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৫০০ বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০ হাজার কোটি ডলার নিট সম্পদের মাইলফলক ছুঁয়েছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক। ফোর্বসের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী বুধবার (১ অক্টোবর) তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ হাজার ১০ কোটি ডলারে।
ফোর্বসের তালিকায় মাস্কের পর দ্বিতীয় স্থানে আছেন ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। বুধবার (১ অক্টোবর) পর্যন্ত তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ৭০ কোটি ডলার।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মূলত টেসলার শেয়ারের পুনরুত্থান ও নিজের মালিকানাধীন অন্যান্য প্রযুক্তি উদ্যোগের (স্টার্টআপ) বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ায় এই রেকর্ড গড়তে পেরেছে ইলন। টেসলার ১২ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ার তার মালিকানায় রয়েছে। চলতি বছরে টেসলার শেয়ারমূল্য এরই মধ্য ১৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে ও বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার আরও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে মাস্কের সম্পদে একদিনেই যুক্ত হয় প্রায় ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার।
রয়টার্স বলছে, ইলন মাস্কের জন্য বছরের শুরুটা অস্থির থাকলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসায় টেসলার শেয়ার আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। টেসলা বোর্ডের চেয়ারম্যান রবিন ডেনহোলম গত মাসে জানান, হোয়াইট হাউজে কয়েক মাস ব্যস্ত থাকার পর মাস্ক এখন আবার ‘সম্মুখসারিতে ও একেবারে কেন্দ্রে’ ফিরে এসেছেন। এর কয়েক দিনের মধ্যেই মাস্ক নিজেই টেসলার প্রায় ১০০ কোটি ডলারের শেয়ার কিনে কোম্পানির ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার বড় বার্তা দেন।
তবে গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়া ও মুনাফার চাপ অব্যাহত থাকায় শেয়ার কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে টেসলা। এর ফলে তথাকথিত ‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’ গ্রুপের বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে টেসলা অন্যতম খারাপ পারফরমার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত মাসে টেসলা বোর্ড মাস্কের জন্য ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনা প্রস্তাব করে, যেখানে উচ্চাভিলাষী আর্থিক ও কার্যকরী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে মাস্কের আরও বড় শেয়ার দাবিও এতে বিবেচনায় আনা হয়।
মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি এক্সএআই ও রকেট নির্মাতা স্পেসএক্স এ বছরেও বাজারমূল্যে বড় সাফল্য পেয়েছে। জুলাই পর্যন্ত এক্সএআইয়ের মূল্য ছিল ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে সিএনবিসির খবরে বলা হয়, নতুন তহবিল সংগ্রহের পর এর মূল্য ২০ হাজার কোটি ডলার হতে পারে। তবে মাস্ক তখন জানান, তারা কোনো মূলধন সংগ্রহ করছেন না।
অন্যদিকে ব্লুমবার্গের জুলাই মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেসএক্স নতুন অর্থ সংগ্রহ ও অভ্যন্তরীণ শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করছে, যা কোম্পানির মূল্য প্রায় ৪০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করবে।
আন্তর্জাতিক
লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার উপকূলে ২৬ বাংলাদেশিকে নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই উপকূলে অর্ধশতাধিক সুদানিসহ পৃথক আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
দ্বিতীয় ঘটনায় অবশ্য হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। উত্তর-পশ্চিম লিবিয়ার আল-খোমস উপকূলে এই ঘটনা ঘটে। রোববার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর-পশ্চিম লিবিয়ার আল-খোমস উপকূলে প্রায় ১০০ জনকে বহনকারী দুটি অভিবাসী নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট।
সংস্থাটি জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে আল-খোমসের তীরের কাছে উল্টে যাওয়া দুটি নৌকার খবর তারা পায়। প্রথম নৌকাটিতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৬ নাগরিক। তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আর দ্বিতীয় নৌকাটিতে ছিলেন মোট ৬৯ জন। এর মধ্যে দুজন মিসরীয় এবং বাকি ৬৭ জন সুদানি নাগরিক। তাদের মধ্যে আটজন শিশু।
রেড ক্রিসেন্ট জানায়, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জীবিতদের উদ্ধার। এছাড়া মৃতদের মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি সবাইকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার কাজও তারা করে।
মূলত অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় রুট হচ্ছে লিবিয়া। ২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটি ইউরোপগামী অভিবাসীদের ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়। বর্তমানে সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি অভিবাসী লিবিয়ায় অবস্থান করছে। গাদ্দাফির শাসনামলে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় কাজ পেত, কিন্তু তার পতনের পর থেকে দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী মিলিশিয়াদের সংঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়েছে।
অধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘ সংস্থাগুলো বলছে, লিবিয়ায় শরণার্থী ও অভিবাসীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হয়ে থাকে।
অবশ্য অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অর্থসহায়তা দিয়েছে। কিন্তু ওই কোস্টগার্ডের সঙ্গেই নির্যাতন ও অপরাধে জড়িত মিলিশিয়ার সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ইউরোপের দেশগুলো রাষ্ট্রীয় উদ্ধার অভিযান ধাপে ধাপে বন্ধ করায় সমুদ্রযাত্রা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত দাতব্য সংস্থাগুলোও বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে দমনমূলক পদক্ষেপের সম্মুখীন হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
জ্বালানি তেলের বাজারে সুখবর
মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, চলতি বছর বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উৎপাদন আরও বাড়তে পারে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহের অতিরিক্ততা থাকায় ২০২৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মজুত বৃদ্ধি পাবে, যা তেলের দাম কমাতে সহায়ক হবে।
ইআইএ জানিয়েছে, ২০২৫ সালে পরিশোধিতসহ মোট বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের উৎপাদন গড়ে দৈনিক ১০ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এটি পূর্বের পূর্বাভাসের থেকে দৈনিক এক লাখ ব্যারেল বেশি। অপরদিকে, বিশ্বব্যাপী তেলের দৈনিক ব্যবহার ১০ কোটি ৪১ লাখ ব্যারেল হতে পারে।
সরবরাহের অগ্রগতি বজায় থাকায় চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তেলের মজুত ২৯৩ কোটি ব্যারেল হতে পারে, যা ২০২৬ সালের শেষ প্রান্তিকে ৩১৮ কোটি ব্যারেলে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতির প্রভাব ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে পড়ছে। ব্রেন্ট ক্রুডের গড়মূল্য চলতি বছরে ব্যারেলপ্রতি ৬৮ ডলার ৭৬ সেন্টে অবস্থান করবে, যা গত বছরের গড় ৮০ ডলারের থেকে অনেক কম। মার্কিন বাজারে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের গড়মূল্য নেমে আসতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৬৫ ডলারে।
উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর দেশটিতে জ্বালানি তেল উত্তোলন রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে ইআইএ জানিয়েছে। ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে দৈনিক উৎপাদন হতে পারে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল, যা সামান্য কমে ২০২৬ সালে দাঁড়াবে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেলে। সার্বিকভাবে, বিশ্বব্যাপী তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং মজুত বাড়ার ফলে আগামী কয়েক বছর তেলের মূল্য কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জ্বালানি ব্যয়ের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আন্তর্জাতিক
চীনে স্বর্ণের খনির সন্ধান, মজুত সাড়ে ৮ কোটি ভরিরও বেশি
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সীমান্তের কাছে কুনলুন পর্বতমালায় বিশাল এক স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশটির সরকারি ভূতাত্ত্বিকদের পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, এই খনিতে স্বর্ণের মজুত এক হাজার টনেরও বেশি হতে পারে।
গত ৪ নভেম্বর একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধে কাশগর জিওলজিক্যাল টিমের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হে ফুবাও ও তার সহকর্মীরা জানান, পশ্চিম কুনলুন অঞ্চলে হাজার টন স্কেলের একটি স্বর্ণবেল্টের রূপরেখা এখন স্পষ্ট হচ্ছে।
এ নিয়ে গত এক বছরের মধ্যে হাজার টনের বেশি স্বর্ণের মজুত সমৃদ্ধ তিনটি খনির সন্ধান পেল চীন।
এর আগে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিয়াওনিং প্রদেশ এবং মধ্য চীনের হুনান প্রদেশে বিশাল সোনারভাণ্ডার শনাক্ত করা হয়।
আন্তর্জাতিক খনি শিল্পের হিসাবে চীনে অবশিষ্ট উত্তোলন-অপেক্ষমাণ স্বর্ণের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার টন।
আন্তর্জাতিক
পাঁচ সপ্তাহ ধরে পাম তেলের দামে ধারাবাহিক পতন
টানা পাঁচ সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী ফিউচার মার্কেটে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের দাম। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমি চাহিদা কমে যাওয়া, রিঙ্গিতের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়া এবং মজুত বাড়ার আশঙ্কা—এই তিন কারণেই দামের ওপর বড় চাপ তৈরি হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে জানুয়ারি সরবরাহ চুক্তিতে শুক্রবার পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ২২ রিঙ্গিত বা দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ১০৩ রিঙ্গিতে (৯৭১ দশমিক ৩৫ ডলার)। এতে সাপ্তাহিক দরপতন দাঁড়ায় ০.১৫%।
সেলাঙ্গরভিত্তিক ব্রোকার প্রতিষ্ঠান পেলিনদুং বেস্তারির পরিচালক পারামালিঙ্গাম সুপ্রামানিয়াম বলেন, নভেম্বর মাসে সাধারণত চাহিদা কমে যায়। এর সঙ্গে রিঙ্গিতের দর শক্তিশালী হওয়া এবং মজুত বাড়ার সম্ভাবনা মিলেই দামে চাপ পড়েছে।
মালয়েশিয়া বিশ্বে অন্যতম বড় পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশ। চলতি বছরে দেশটিতে উৎপাদন প্রথমবারের মতো দুই কোটি টন ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উৎপাদন বাড়ার কারণে বছরের শেষে মজুত প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হতে পারে।
অক্টোবরের শেষে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল মজুত টানা আট মাস ধরে বাড়তে বাড়তে ছয় বছরেরও বেশি সময়ের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এ সময় রপ্তানি ১–১০ নভেম্বরের মধ্যে আগের মাসের তুলনায় ৯.৫% থেকে ১২.৩% কমেছে।
অন্যান্য ভোজ্যতেলের বাজারেও মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। ডালিয়ান এক্সচেঞ্জে সয়াবিন তেল স্থির থাকলেও পাম অয়েল দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। তবে সিবিওটিতে সয়াবিন তেল দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
ভারতে ২০২৪–২৫ বিপণন বছরে পাম অয়েল আমদানি পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে, আর সয়াবিন তেল আমদানি রেকর্ড সর্বোচ্চে উঠেছে। চাহিদা কমার পেছনে দামের ব্যবধানকেই বড় কারণ হিসেবে দেখছে দেশটির শিল্প সংগঠনগুলো।
এদিকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামও ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে, যা বায়োডিজেলে পাম অয়েল ব্যবহারের চাহিদা বাড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
আন্তর্জাতিক
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে থানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৭
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের একটি থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে শ্রীনগরের নোগাম থানায় জব্দকৃত বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৭ জন নিহত হন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন।
পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। নিহতদের বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য এবং ফরেনসিক দলের সদস্য। তারা বিস্ফোরক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে শ্রীনগর প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন।
আহতদের সেনাবাহিনীর ৯২ ঘাঁটি হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মির ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে গেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া ওই জায়গা ঘিরে ফেলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই থানার পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী জইস-ই-মোহাম্মদের পোস্টার লাগানোর বিষয়টির সুরাহা করেছিল।
পোস্টারের সূত্র ধরে ব্যাপক বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া কয়েকজন চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এরমধ্যে আদিল আহমেদ রাথের নামে এক চিকিৎসককে গত অক্টোবরে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এমন পোস্টার লাগাচ্ছিলেন যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী ও কাশ্মিরে বহিরাগতদের ওপর বড় হামলার হুঁশিয়ারি বাক্য ছিল। তাকে গ্রেপ্তারের পর একটি নেটওয়ার্কের সন্ধান পাওয়া যায়। যারা দিল্লিতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে।



