কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশের প্রথম সোশ্যাল বন্ড ইস্যুর অনুমোদন পেলো ব্র্যাক ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের প্রথম সোশ্যাল সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংক। ১ হাজার কোটি টাকা মূল্যমানের এই বন্ডের নাম ‘ব্র্যাক ব্যাংক সোশ্যাল সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড’।
এর ফলে ব্যাংকটির টিয়ার-টু ক্যাপিটাল আরও শক্তিশালী হবে, যা দেশের সিএমএসএমই, নারী উদ্যোক্তা, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, সাশ্রয়ী আবাসন এবং স্বাস্থ্যসেবা ও স্যানিটেশনের মতো জরুরি সেবা খাতগুলোতে অর্থায়ন সুবিধা আরও সহজ করবে।
আইসিএমএ (ICMA)-এর সোশ্যাল বন্ড প্রিন্সিপালস ২০২৫ অনুযায়ী প্রণীত, ব্র্যাক ব্যাংক সোশ্যাল বন্ড ফ্রেমওয়ার্ককে আন্তর্জাতিক সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস একটি সেকেন্ড পার্টি অপিনিয়নের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটিও বাংলাদেশে এই প্রথম। এই উদ্যোগ ব্র্যাক ব্যাংকের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিস চর্চার প্রতিফলন। ব্র্যাক ব্যাংকের এই পদক্ষেপটি টেকসই অর্থায়নে ব্যাংকটির নেতৃত্বস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
উল্লেখ্য, ব্র্যাক ব্যাংক ২০২৪ সালের ব্লুমবার্গ ইএসজি রেটিংয়ে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম হয়েছে; বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি রেটিংয়ে ধারাবাহিকভাবে পঞ্চম বছরের মতো দেশের টপ সাসটেইনেবল ব্যাংকের স্বীকৃতি অর্জন করেছে; এবং গ্লোবাল এসএমই ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ ‘সাসটেইনেবল এসএমই ফাইন্যান্সিয়ার অব দ্য ইয়ার–এশিয়া’ সম্মাননা অর্জন করেছে। বর্তমানে ব্যাংকটির মোট ঋণ পোর্টফোলিওর ৮২% টেকসই অর্থায়ন খাতে বিনিয়োগ করা আছে।
বন্ড ইস্যু নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশের প্রথম সোশ্যাল সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বন্ড দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ক্ষমতায়ন করবে, নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করবে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন খাতকে আরও সহজ করবে। আমরা আশা করি, এটি দেশের পুঁজিবাজারে টেকসই উদ্ভাবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংককে ৭৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এআইআইবি ও এনডিবি

এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ও নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) যৌথভাবে বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংককে ৭৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৭ কোটি মার্কিন ডলার দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন দিচ্ছে। এর মধ্যে এআইআইবি দেবে ৫০ মিলিয়ন এবং এনডিবি দেবে ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯০০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে সম্প্রতি তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
এই অর্থায়ন বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রকল্পে দীর্ঘমেয়াদি তহবিল সরবরাহ করবে, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও টেকসই অবকাঠামো খাতে। এর মাধ্যমে দেশের অবকাঠামো অর্থায়নের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করা ছাড়াও বিদ্যুৎ, জ্বালানি দক্ষতা, ই-মোবিলিটি ও ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত হবে।
চুক্তিতে সই করেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, এআইআইবির ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড ফান্ডস ক্লায়েন্টস বিভাগের মহাপরিচালক গ্লোবাল গ্রেগরি লিউ, এনডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিওও রোমান সেরভ এবং মহাপরিচালক বিন হান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হোলসেল ব্যাংকিং প্রধান মেসবাউল আসীফ সিদ্দিকী।
সিটি ব্যাংক জানায়, বাংলাদেশে কোনো বেসরকারি ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সার্বভৌম গ্যারান্টি ছাড়াই এআইআইবির এটিই প্রথম ঋণ সুবিধা। সিটি ব্যাংকের জন্য এই ঋণ দেশে বেসরকারি খাতের মূলধন বিনিয়োগ আরও গতিশীল করবে, দীর্ঘমেয়াদি অবকাঠামো ঋণ প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, এআইআইবি ও এনডিবির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের অংশীদারিত্ব তাদের সিটি ব্যাংকের প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ। একই সঙ্গে এই অর্থায়ন সিটি ব্যাংককে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে সক্ষম করবে, যা দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কর্পোরেট সংবাদ
হুন্দাই গাড়ি ক্রয়ে বিশেষ ছাড় পাবেন প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা

বাংলাদেশে হুন্দাই গাড়ি ক্রয়ে বিশেষ ছাড় পাবেন প্রাইম ব্যাংকপিএলসির গ্রাহকরা। বাংলাদেশে হুন্দাইয়ের অফিসিয়াল প্রস্তুতকারক এবং অনুমোদিত পরিবেশক ফেয়ার টেকনোলজি লিমিটেড (হুন্দাই)। সম্প্রতি ঢাকায় ব্যাংকের করপোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকরা বাংলাদেশে হুন্দাই গাড়ি ক্রয়ে বিশেষ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা ও প্রিমিয়াম লাইফস্টাইল সুবিধা প্রদানে এ উদ্যোগ প্রাইম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
চুক্তিতে প্রাইম ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন মামুর আহমেদ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন। ফেয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন মো. জাহিদুল কবীর, হেড অব ট্রেজারি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জোয়াদার তানভীর ফয়সাল, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট প্রাইম ব্যাংক; জে এম তসলিম কবীর, হেড অব মার্কেটিং, ফেয়ার গ্রুপ এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক গ্রাহক ও কর্মীদের প্রিমিয়াম লাইফস্টাইল সুবিধা প্রদানের অঙ্গীকারকে আরও সুসংহত করল, যা গ্রাহকদের সামগ্রীক ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) কর্তৃক গৃহীত এ পরীক্ষায় ৮৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুত্তীর্ণ ১২ শতাংশ পরীক্ষার্থীর জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে পূনর্মূল্যায়ন করা হবে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক এমটিও পার্টনারদের নিয়ে বিকাশে কর্মশালা

কম খরচে, নিরাপদে মুহূর্তের মধ্যে দেশে থাকা প্রিয়জনের কাছে রেমিট্যান্স পাঠানোই প্রবাসীদের প্রধান চাহিদা। এই চাহিদা পূরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং রেমিট্যান্স ইকোসিস্টেমের সকল পক্ষের সমন্বিত সেবা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন খাত বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের উদ্যোগে আয়োজিত “বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের পরিবর্তিত চিত্র ও উদীয়মান সম্ভাবনা” শীর্ষক এক কর্মশালায় এমন মন্তব্য করেন এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, প্রেরকদের আরও সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহের হার আরও বাড়বে। তাই, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মেলাতে দ্রুত নীতিগত উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে এই কর্মশালায়।
কর্মশালায় অংশ নেন জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক এর শীর্ষ কর্মকর্তাগণ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটর (এমটিও) ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম, টেরাপে, এনইসি করপোরেশন, মাস্টারকার্ড, ইন্সট্যান্ট ক্যাশ, ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ কোম্পানি, সিমপায়সা, হোমটাউন, ট্যাপ ট্যাপ সেন্ড, ইজিরেমিট এর কর্মকর্তারাও অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স খাতের বিকাশ, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিকাশের হেড অব রেমিট্যান্স জাহিদুল আহসান। বিকাশের চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, রেমিট্যান্স প্ল্যাটফর্মকে দ্রুততর, ব্যয় সাশ্রয়ী ও ইন্টারঅপারেবল করতে রেমিট্যান্স ইকোসিস্টেমের সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিতভাবে কাজ করা জরুরি। রেমিট্যান্স পাঠানোর অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে প্রযুক্তি ভিত্তিক অবকাঠামোতে এখনই বিনিয়োগ করলে সামগ্রিকভাবেই এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানি ট্রান্সফার অপারেটরের প্রতিনিধিরা বলেন, অ্যাপ-ভিত্তিক রেমিট্যান্স সেবার কারণে এখাত আরও বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ হচ্ছে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে গ্রাহকের অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুহূর্তের মধ্যে রেমিট্যান্স পাঠানোর সেবা সম্প্রসারণে ডেটা ভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রবাসীরা ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ, আবাসন নির্মাণ, সন্তানের ভবিষ্যৎ সহ নানা কারণে রেমিট্যান্স পাঠান। তারা নিরাপদে টাকা জমানোর সুবিধা চান, আবার তাদের ঋণেরও প্রয়োজন পড়ে। টাকা পাঠানোর নিরাপদ, সহজ ও দ্রুততম প্রযুক্তি পদ্ধতির মাধ্যমে লেনদেন নিশ্চিত করতে হবে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স বিষয়ক প্রতিনিধিরা বলেন, আগে রেমিটেন্স মানেই ছিল ‘ক্যাশ ওভার দ্য কাউন্টার’। রেমিট্যান্স আসতেও অনেক বেশি সময় লাগতো। এখন বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে মুহূর্তের মধ্যে বিকাশ এর মতো এমএফএস এ টাকা পাঠানোর সেবা চালু হয়েছে। তবে এর ব্যাপকতা নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ আছে। ইকোসিস্টেমের সব পক্ষের সমন্বিত পদক্ষেপে রেমিট্যান্স অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ, তাৎক্ষণিক এবং নিরাপদ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের ১৭৬টি দেশ থেকে দেড় কোটির বেশি প্রবাসী প্রতিবছর দেশে তাদের আয় পাঠান। কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, ফেনী ও নোয়াখালীর প্রবাসীর সংখ্যা বেশি হলেও, এখন দেশের প্রায় সব জেলার প্রবাসীরাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন ও দেশে থাকা প্রিয়জনের কাছে কষ্টার্জিত আয় পাঠাচ্ছেন। দেশের ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের প্রসারে রেমিট্যান্স পাঠানো এখন আগের চেয়ে অনেক দ্রুত ও সহজ হয়েছে।
কর্পোরেট সংবাদ
পাঠাও নিয়ে এলো মার্চেন্টদের জন্য পেমেন্টের দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সমাধান ‘ইনস্টাপে’

বাংলাদেশের শীর্ষ কুরিয়ার সার্ভিস পাঠাও কুরিয়ার নিয়ে এলো ‘ইনস্টাপে’, একটি এক্সক্লুসিভ ফিচার যা আপনার পেমেন্টকে করে দিচ্ছে সুপার ফাস্ট ও ঝামেলাহীন। ডেলিভারি হলে সঙ্গে সঙ্গে টাকা চলে যাবে আপনার পাঠাও পে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে, আর প্রয়োজনে সাথে সাথে উইথড্রও করতে পারবেন এমনকি ছুটির দিন বা আসন্ন দুর্গাপূজার সময়েও। চালু করতে চাইলে শুধু মার্চেন্ট প্যানেলে ‘এনাবল ইনস্টাপে’ বাটনে ক্লিক করুন এবং উপভোগ করুন ৭ দিনের ফ্রি ট্রায়াল।
ইনস্টাপেতে, পেমেন্টের জন্য পেমেন্টের ২ থেকে ৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে না। পণ্য ডেলিভারি হওয়া মাত্র পেমেন্ট চলে যাবে তাদের পাঠাও পে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে, যা চাইলে তখনই উইথড্র করা যাবে। এমনকি সেটি কার্যদিবসের বাইরে ছুটি, যেমন আসন্ন দুর্গাপুজোর সময়েও। পাঠাও কুরিয়ার মার্চেন্টরা শুধু ‘এনাবল ইনস্টাপে’ বাটনে ক্লিক করেই এই সুবিধা নিতে পারবেন এবং সাথে ৭ দিনের ফ্রি ট্রায়াল পাবেন।
ই-কমার্স মার্চেন্টদের জন্য ইনস্টাপে পরিচালনা আর খরচ ম্যানেজ করা সহজ করে, ফান্ড সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকসেস করতে সক্ষম করে, এবং ব্যবসা বাড়াতে দ্রুত পুনঃবিনিয়োগ করা যায়। প্রাথমিক রোলআউটের পর থেকে ইতিমধ্যেই ১০,০০০+ মার্চেন্ট ইনস্টাপে ব্যবহার শুরু করেছেন এবং এই দ্রুত এবং স্মার্ট উপায়ে সব মিলিয়ে ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন। যা একটি মাইলস্টোন। এরই মাধ্যমে দেখা যায় দেশজুড়ে গ্রাহকরা আমাদের ওপর কতটা আস্থা রাখে এবং ইনস্টাপে ব্যবসার জন্য কতটা কার্যকরী। ইনস্টাপে দিয়ে পাঠাও নিশ্চিত করছে, গ্রাহকরা যেভাবে চান লেনদেন করতে পারা, ফান্ড ঠিক সময়ে পাওয়া, আর ফাইন্যান্স সহজে ম্যানেজ করতে পারার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাকসেসফুল মিশন।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩,০০,০০০ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং ১০,০০০ রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫,০০,০০০-এরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।