সারাদেশ
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের আরও আট কর্মকর্তা কর্মচারীকে বহিষ্কার

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আরও ৮ কর্মকর্তা কর্মচারীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের রূপপুর প্রকল্পে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে গ্রিনসিটির সাইট কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এরা রূপপুর প্রকল্পের কর্মরত নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) কর্মকর্তা কর্মচারী।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মো. জাহেদুল হাছান স্বাক্ষরিত গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইমেইলে বরখাস্তের অফিস আদেশ পাঠানো হয়। বুধবার তা কার্যকরের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ‘কারণ দর্শাও’ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৮ মে এনপিসিবিএল-এর দাপ্তরিক আদেশ তাদের ১৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
বরখাস্তরা হলেন, কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক ইকতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিপ্লব ও শামীম আহমেদ, ঊর্ধ্বতন সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মনির, সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ঊর্ধ্বতন উপসহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেনুজ্জামান খাঁন, সরকারি ব্যবস্থাপক মো. গোলাম আজম, টেকনিশিয়ান রিয়াজউদ্দিন ও মো. ইসমাইল হোসেন।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বুধবার বিকেলে রূপপুর প্রকল্পের সাইট অফিস ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুস জানান, রূপপুরের ৮ কর্মকর্তা কর্মচারীকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও চাকরিবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাময়িক বরখাস্তের পর গ্রিনসিটি কার্যালয়ে সিকিউরিটি এন্ড ফিজিক্যাল প্রটেকশন সার্ভিসেস বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তাদের ইমেইল পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প সাইটে ও এনপিসিবিএল- এ শৃঙ্খলাবিরোধী বা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন বা কর্তব্য অবহেলা করেছেন বা অসদাচরণ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে বিধায় আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার কারণ ও ব্যক্তিগত শুনানির সুযোগ চান কিনা তা ১০-কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ প্রদান করা হলো। পাশাপাশি সার্ভিস রেগুলেশন ২০২৫ প্রবিধান ৪৪.১ অনুযায়ী আপনাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে ঈশ্বরদীর রূপপুরে কোম্পানির প্রায় ১ হাজার ৮০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ২৮ এপ্রিল আন্দোলন শুরু করেন। ৬ মে তারা ঈশ্বরদী শহরে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন। পরদিন ৭ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে কোম্পানির অফিসে তারা অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন। এতে এনপিসিবিএল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি ও কোম্পানির আইন মেনে চলার চিঠি দেয়। না মানায় পরদিন ৮ মে কোম্পানির ১৮ জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এভাবে একই ঘটনার দায়ে আজ ৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সারাদেশ
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৩২ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

চার মাস ১৭ দিন পর কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। ১৩টি লোহার দানবাক্স থেকে ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো থেকে টাকা ছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৫০০ জনের একটি দল।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এবার আমরা ৪ মাস ১৭ দিন পর দানবক্স খুলেছি। এবার রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদ্রাসার ছাত্ররা টাকা গণনার কাজ করছেন।
এর আগে, গত ১২ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স থেকে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। প্রায় ৯ ঘণ্টায় ৪০০ জনের একটি দল এ টাকা গণনার কাজ করেন। সঙ্গে ছিল স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা, এমনকি রুপার অলংকারও।
এরও আগে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া যায়, আর গণনা শেষে তখন রেকর্ড ভেঙে এক অভাবনীয় অঙ্ক ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। প্রায় ১০ ঘণ্টায় ৪০০ জনের একটি দল এ টাকা গণনার কাজ করেন। সঙ্গে ছিল স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা, এমনকি রুপার অলংকারও।
এ ছাড়া, গত বছরের ১৭ আগস্ট ৩ মাস ২৭ দিন পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক খুলে ২৮ বস্তা টাকার গণনা শেষে পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৯টি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। দান দানবাক্সগুলো খুলে ৩২টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।
টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেসমিন আক্তার, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কামরুল হাসান মারুফ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারেছীসহ ঐতিহাসিক জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২২০ ও পাগলা মসজিদের নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১২০ জন ছাত্র, ব্যাংকের ১০০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকজন সূত্রে জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।
জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।
কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এলাকা এমনকি দেশের দূরদূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয়—এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের হিন্দু-মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও দান করেন।
বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের মধ্যে অধিকাংশই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। আর এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও অধিক সময়ের বলে জানা যায়।
বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠলেও বর্তমানে মসজিদ কমপ্লেক্সটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জায়গা আছে। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য।
এরই মধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়।
মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এ ছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানিয়েছে, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
সারাদেশ
খুলনায় ইজিবাইকে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ জনের

খুলনার ডুমুরিয়ায় ইজিবাইকে দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৪ জন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার ঝিলেরডাঙা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে বলেন, আজ সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। গুরুতর আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে চারজন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সারাদেশ
গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, একই পরিবারের ১০ জন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাজিল এলাকার একটি টিনসেড বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- তানজিল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫), তাদের সন্তান তিশা (১৭) ও আরাফাত (১৫), হাসান (৩৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৩২), তাদের সন্তান মুনতাহা (১১), জান্নাত (৪) ও ইমাম উদ্দিন (১ মাস)। আসমা ও সালমা দুই বোন। তাদের মা তাহেরা খাতুনও (৬০) দগ্ধ হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দগ্ধ হাসানের ছোট ভাই রাকিবুল ইসলাম জানান, টিনসেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন দুই বোন আসমা ও সালমার পরিবার। সাথে তাদের মাও থাকেন। বাড়িটির পাশ দিয়ে গ্যাস লাইনের পাইপ গেছে। সেখান থেকে গ্যাস লিক হয়ে বাসায় ছড়িয়ে পড়ে। রাতে আগুন ধরে গেলে বাসাটি পুড়ে যায় এবং সবাই দগ্ধ হন।
খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে ভোরে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৯ জন রোগী এসেছেন। তাদের কার কত শতাংশ দগ্ধ হয়েছে তা দেখা হচ্ছে। তবে সবার অবস্থাই গুরুতর।
সারাদেশ
প্রাইভেটকারের ওপর উল্টে পড়ল কাভার্ডভ্যান, নিহত ৪

কুমিল্লায় চলন্ত প্রাইভেট কারের ওপর একটি কাভার্ডভ্যান উল্টে পড়েছে। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার হোটেল নূরজাহান এলাকায় ইউটার্নে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম।
স্থানীয়রা জানান, ওই চারজন হোটেল নূরজাহানে এসে খাওয়া দাওয়া করেন। সেখান থেকে থেকে কুমিল্লা শহরের দিকে প্রাইভেট কারে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইউটার্নের কাছে এলে কাভার্ডভ্যানটির মুখোমুখি হয় প্রাইভেট কারটি। কাভার্ডভ্যানের চালক প্রাইভেট কারটিকে বাঁচাতে ব্রেক করলে কাভার ভ্যানটি উল্টে প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সবার।
সারাদেশ
শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন কিরণ নগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শাহিন

শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের কিরণ নগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. জানশরীফ (শাহিন) নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। এনটিআরসিএ’র সাইকেল-৬ নিয়োগে চারু ও কারকলা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।
জানশরীফ (শাহিন) কিরণ নগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে তিনি সখিপুরে হাবিব উল্যাহ কলেজ থেকে এইচএসসি ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এছাড়া, তিনি ঢাকা সাইক টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে চারু ও কারুকলায় কোর্স সম্পূর্ণ করেন।
নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় তিনি অত্যন্ত আনন্দিত এবং সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি ২০১৫ সাল হতে অত্র প্রতিষ্ঠানেই হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে এমপিওভুক্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এই নিয়োগ পরীক্ষা তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৫৭ হাজার প্রার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে প্রায় ৪২ হাজার প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এনটিআরসিএ’র সাইকেল-৬ নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৫টায়।