আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়তে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলো নয়াদিল্লি

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনার একদিন পর দেশটিতে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের অবিলম্বে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লি। বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন দেশটির মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (সিসিএস) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) বিশেষ ভিসা ছাড় প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে আর ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে দিল্লি।
সার্ক ভিসার আওতায় ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশটি থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের পর দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের বলেছেন, পেহেলগামে হামলার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের নিরাপত্তা কমিটিকে ব্রিফ করা হয়েছে। বৈঠকে আন্তঃসীমান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মিরে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের বিষয়ে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত ওই অঞ্চলে অবিরাম কর্মযজ্ঞের মাঝে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা বাতিল, নতুন করে ভিসা বন্ধ, সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি বাতিল, ইসলামাবাদ থেকে সামরিক উপদেষ্টাদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটি পেহেলগামে হামলার ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানিয়ে যেভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তার প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান মিশ্রি। এসব বার্তা সন্ত্রাসবাদের প্রতি বিশ্বের জিরো টলারেন্স নীতিরই প্রতিফলন বলে মনে করছে ভারতের নিরাপত্তা কমিটি।
সিসিএসের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বলেন, পাকিস্তানি নাগরিকদের সার্ক ভিসা ছাড়ের আওতায় ভারতে আর ভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। অতীতে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য জারি করা যে কোনও সার্ক ভিসা বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে এই ভিসার আওতায় ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ত্যাগ করতে হবে।

আন্তর্জাতিক
কখনো কখনো যুদ্ধ করেই সমস্যার সমাধান করতে হয়: ট্রাম্প

কখনো কখনো দেশগুলোকে যুদ্ধ করেই সমস্যার সমাধান করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যখন হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘাত তীব্র পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন এই মন্তব্য করলেন তিনি।
এছাড়া ইসরায়েল ও ইরান একসময় সমঝোতায় পৌঁছাবে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। সোমবার (১৬ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আশা করেন ইসরায়েল ও ইরান একসময় একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে। তবে কখনো কখনো দেশগুলোর মধ্যে আগে যুদ্ধ বাধেই এবং যুদ্ধ করেই সমস্যার সমাধান করতে হয়।
জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে আছে এবং থাকবে। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেননি, তিনি ইসরায়েলকে ইরানের ওপর হামলা বন্ধ করতে বলেছেন কিনা।
রোববার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টেও ট্রাম্প একই রকম মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “ইরান ও ইসরায়েলকে একটা সমঝোতায় আসতেই হবে এবং তারা আসবেই।”
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার একটি পরিকল্পনায় সায় দেননি বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস। তারা বলছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ওই পরিকল্পনা সামনে এনেছিলেন।
তিনটি সূত্র সিবিএস-কে জানায়, গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের মধ্যে একটি আলোচনা হয়, যেখানে ট্রাম্প খামেনিকে হত্যা করার পরিকল্পনাকে ভালো সিদ্ধান্ত মনে করেননি। তবে ট্রাম্প এ বিষয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।
একই বিষয়ে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু রয়টার্সের প্রতিবেদনটি সরাসরি অস্বীকার বা স্বীকার কোনোটিই করেননি, যেখানে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছিলেন।
নেতানিয়াহু বলেন, “অনেক কথোপকথন নিয়েই ভুল প্রতিবেদন আসে, যেগুলো আসলে ঘটেইনি। আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলব না। তবে আমি এটুকু বলব, আমরা যা করার দরকার, তা করব। এবং আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের স্বার্থ ভালো বোঝে। তাই আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলছি না।”
কাফি
আন্তর্জাতিক
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে যাচ্ছেন হিমেল: চীন প্রবাসী কমিউনিটির সংবর্ধনা

চীন-বাংলা কমিউনিটির পরিচিত মুখ, জাতীয় সাঁতার দলের সাবেক তারকা নাজমুল হক হিমেল আসন্ন জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছোটবেলার লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এবার তিনি সাহসী এ যাত্রায় নামছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাংলাদেশ ত্যাগ করে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
হিমেলের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল শনিবার (১৪ জুন) রাজধানীর ভাটারায় চীন-বাংলা ব্রিজ কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত হয় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এতে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির বিভিন্ন সদস্য ও হিমেলের শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
কিশোরগঞ্জের নিকলিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা হিমেল জানান, হাওড় অঞ্চলে পানির সঙ্গে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা তাকে সাহসী করে তুলেছে। তবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া যে সহজ কাজ নয়, সেটিও তিনি ভালোভাবেই জানেন। হিমেল বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। হিমশীতল পানি, উত্তাল ঢেউ, জেলিফিশের আক্রমণ, সব কিছুই মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুতির দাবি রাখে। কিন্তু আমি খুবই এক্সসাইটেড। সবার ভালোবাসা ও দোয়া থাকলে ইনশাআল্লাহ সফলভাবে এই যাত্রা সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে পারব।
হিমেল বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা শেষ করে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে। সেখানে তিনি সাঁতারে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে দীর্ঘদিন কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। এখন তার লক্ষ্য ইংলিশ চ্যানেল, যেটি বিশ্বব্যাপী একজন সাঁতারুর জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত।
প্রসঙ্গত, ৩৭ বছর পর কোনো বাংলাদেশি সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে যাচ্ছেন। হিমেলের সঙ্গে একই অভিযানে অংশ নেবেন আরেক তারকা সাঁতারু মাহফিজুর রহমান।
আন্তর্জাতিক
ভারতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৫

ভারতে কেদারনাথগামী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেদারনাথধাম থেকে যাত্রা করা একটি হেলিকপ্টার জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছে।
আরিয়ান এভিয়েশনের ওই হেলিকপ্টারটি গুপ্তকাশী থেকে কেদারনাথ ধামের দিকে যাচ্ছিল। উড্ডয়নের প্রায় ১০ মিনিট পর গৌরীকুণ্ড এবং সোনপ্রয়াগের মাঝামাঝি এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
স্থানীয় সময় রোববার (১৫ জুন) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। উত্তরাখণ্ড সিভিল অ্যাভিয়েশন ডিপার্টমেন্ট অথরিটি (ইউসিএডিএ) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় হেলিকপ্টারে পাইলটসহ সাত আরোহী ছিল। এর মধ্যে ছয়জনই তীর্থযাত্রী যাদের মধ্যে এক শিশুও ছিল।
ওই তীর্থযাত্রীরা উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের বাসিন্দা। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ওই দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাত্র কয়েকদিন আগেই ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে একটি প্লেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৭৯ জন প্রাণ হারায়। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে রাজ্যের মেঘানি এলাকায় আদানি বিমানবন্দরের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার প্লেন। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। প্লেনটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল।
আন্তর্জাতিক
ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইরানের

ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলি বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযানের সময় কমপক্ষে ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) ভোরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কথা বলার সময়, ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এর প্রধান কমান্ডারের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ ওয়াহিদি বলেন, আইআরজিসি এরোস্পেস ডিভিশন কর্তৃক অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।
ওয়াহিদি বলেন, এই লক্ষ্যবস্তুগুলিতে একাধিক পর্যায়ে সফলভাবে আঘাত করা হয়েছে। কর্মকর্তা বলেন, নেভাতিম এবং ওভদা বিমানঘাঁটিতে হামলার কথা উল্লেখ করেছেন। তার কথায়, “এই ঘাঁটিগুলিতে কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কেন্দ্র ছিল এবং যেখান থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো হয়েছিল।”
এছাড়া তেল আবিব শহরের কাছে সরকারের তেল নফ বিমানঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ওই কর্মকর্তার। আইআরজিসি কমান্ডারের মতে, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিশোধের সময় সরকারের সামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সামরিক-শিল্প কেন্দ্রগুলিতেও আঘাত হানা হয়েছিল।
এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, “গত রাতের সীমিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সংঘর্ষ শেষ হবে না এবং ইরানের হামলা অব্যাহত থাকবে। এই পদক্ষেপ আক্রমণকারীদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক এবং দুঃখজনক হবে।”
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। সেনাবাহিনী রাতারাতি ইরানের কয়েক ডজন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা বলার পর এই ঘোষণা আসলো। যার মধ্যে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র অবকাঠামোও রয়েছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে তারা ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে, আইডিএফ বলেছে যে “ইসরায়েলি বিমান বাহিনী ইরানের হুমকি দূর করার জন্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে”।
আন্তর্জাতিক
ইরান ও ইসরায়েলকে যে বার্তা দিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ৬ জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। মিসাইল হামলা শুরু হতেই নিজের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ও উচ্চপদস্থ মন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে মাটির নিচে বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
চলমান এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বার্তায় গুতেরেস লিখেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ, আর তেল আবিবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা- যথেষ্ট হয়েছে। এবার থামার সময়। শান্তি ও কূটনীতির জয় হোক।
এদিকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনও এই সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজকের সঙ্গে কথা বলে তিনি ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছেন, তবে পাশাপাশি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বও তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, আমি সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছি। উত্তেজনা হ্রাসে সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখা জরুরি।
এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তিন ধাপে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ইরানের ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে আঘাত হানে। এতে এক নারী নিহতসহ অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন।
সূত্র: এএফপি, আল জাজিরা