সারাদেশ
সব রেকর্ড ভেঙে শোলাকিয়ায় ৬ লাখের বেশি মুসল্লির অংশগ্রহণ
এক মাস সিয়াম সাধনার পর উপমহাদেশসহ দেশের অন্যতম বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার ঐতিহাসিক এই জামাতে প্রায় ৬ লাখের বেশি মুসল্লি অংশ নেন। এর আগে, গত বছরের ঈদুল ফিতরের নামাজের ৫ লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টায় দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী জানান, এবারের ঈদুল ফিতরের জামাতে প্রায় ৬ লাখেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের জামাতে অংশ নিতে এদিন সকালে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ঈদগাহে আসে। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি ট্রেন সকালে মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জে পৌঁছায়। সকাল ৯টার মধ্যেই ঈদগাহ ময়দান লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর জামাতে ইমামতি করেছেন কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজার মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। বিকল্প ইমাম হিসেবে ছিলেন হয়বতনগর এ ইউ কামিল মাদরাসার প্রভাষক মাওলানা জুবায়ের ইবনে আব্দুল হাই।
মুসল্লিদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল এই ঈদগাহ ময়দান। এ বছর শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হলো। খুতবা শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
শোলাকিয়ায় নামাজ আদায়ে দুই দিন ধরেই গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪টি জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জে লোক আসতে শুরু করেন। অনেকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বাসায়, আবাসিক হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে এবং ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাত্রীযাপন করেন। ভোররাতে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও হেঁটে হাজারো মানুষ কিশোরগঞ্জে আসেন। সবার গন্তব্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া। বড় ঈদগাহ, বড় জামাত বেশি মুসল্লির সঙ্গে জামাত আদায় করলে দোয়া কবুল হয়—এমন আকর্ষণে সকাল থেকেই এই ঈদ জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য কিশোরগঞ্জ ও আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন লাখো মুসল্লি।
নেত্রকোনা থেকে ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। তার সঙ্গে এসেছেন আরও কয়েকজন মুসল্লি। তারা সবাই একসঙ্গে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের নামাজ শেষ করে বাড়ি ফিরবেন। তাদের মধ্যে এক স্বস্তির ঈদ উদযাপন লক্ষ্য করা গেছে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ হাছান চৌধুরী বলেন, অতীতের বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা সব সময় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। এবারও পূর্বের সব বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। তাই আমরা কিছু বাড়তি আয়োজন করেছি। এর মধ্যে ইদগাহ ময়দানকে লক্ষ্য করে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদগাহ ময়দান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, খুব সুন্দরভাবেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ঈদগাহ মাঠের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকলেই আমাদের সহযোগিতা করছেন। রাস্তাঘাটে মানুষে লোকারণ্য। নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে সবাই শান্তিপূর্ণভাবেই বাসায় ফিরতে পারবেন।
রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে মুসল্লিদের সংকেত দিতে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। তিনটি জামাত শুরুর ১৫ মিনিট আগে, দুটি ১০ মিনিট আগে এবং শেষ গুলিটি ছোড়া হয় জামাত শুরুর এক মিনিট আগে। আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের চলাচলের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনেরও ব্যবস্থা করেছে। একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে এবং অন্যটি ভৈরব থেকে ছেড়েছে।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রার্থনার ক্যাপ, মুখোশ এবং প্রার্থনার ম্যাট ছাড়া অন্য কিছু বহন করা নিষিদ্ধ ছিল। মুসল্লিদের সাহায্য করার জন্য বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক এবং কয়েকটি মেডিকেল টিম মাঠে কর্তব্যরত ছিল। মাঠসহ প্রবেশপথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারও ছিল। আর পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা আকাশে উড়েছে।
প্রসঙ্গত, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। তবু এ ঈদগাহ ময়দানের ধারাবাহিক জামাত আয়োজনে ছন্দপতন ঘটেনি, কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে দুই বছর এই ঈদগাহ ময়দানে ঈদের কোনো জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
২৭৪ বছরের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে শোলাকিয়া ঈদগাহ। এই ঈদগাহের যাত্রা শুরু ১৭৫০ সালে। তবে ১৮২৮ সালে প্রথম আনুমানিক সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সেই থেকেই এই ঈদগাহসহ পুরো এলাকার নামকরণ হয় ‘শোলাকিয়া’। ১৮২৮ সাল থেকে জামাত গণনায় এবার ১৯৭তম জামাত হবে।
প্রশাসন থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেনাবাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ, সাদা পোশাকের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মোট ৫টি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছিল। তারা আনসার সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠ পর্যবেক্ষণ করছিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও, ৬টি ওয়াচ টাওয়ার এবং ড্রোনও মাঠে নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল।
জরুরি সেবার জন্য ৬টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিস সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
সারাদেশ
ভেদরগঞ্জে বর্ণিল আয়োজনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
বর্ণিল আয়োজনে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের সখিপুরে উদযাপিত হয়েছে দেশের বহুল জনপ্রিয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে সখিপুর প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি এক প্রাণবন্ত মিলনমেলায় পরিণত হয়।
সময় কণ্ঠস্বরের উপজেলা প্রতিনিধি এম. এম. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এবং কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি শাহীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এম. রাফসান রাব্বি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ অশোক চন্দ্র ঠিকাদার, সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়েজ আহম্মেদ, শহীদ সিরাজ সিকদার কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোতালেব মাঝি, সখিপুর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাজিব সরদার, সখিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফাইজুল ইসলাম সরদার, সখিপুর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমেদ সরদার, মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মাহবুব আলম, কালবেলা-এর জেলা প্রতিনিধি খান মোহাম্মদ সিহান, নিউজ২৪-এর জেলা প্রতিনিধি বিধান মজুমদার অনি, সখিপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন জুয়েল, দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হৃদয়, অর্থসংবাদ ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি তাহের আলী, গোসাইরহাট উপজেলা প্রতিনিধি সাহেদ আলম, দৈনিক মাতৃভূমির ক্রাইম রিপোর্টার আতিকুর রহমান, কাইউম খান ও আল আমিনসহ স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা, তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন এবং সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে দৈনিক কালবেলা অল্প সময়েই পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে। গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সামাজিক সমস্যার চিত্র সংবাদে তুলে ধরায় পত্রিকাটির অবদান প্রশংসনীয়।
বক্তারা আরও বলেন, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার চর্চা বজায় রেখে কালবেলা ভবিষ্যতে দেশের গণমাধ্যম জগতে আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের সম্মানজনক পরিবেশে কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও সংবাদ সংগ্রহে প্রশাসনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সখিপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও চ্যানেল এস টেলিভিশনের উপজেলা প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম ঢালী। তিনি বলেন, কালবেলা শুধু একটি পত্রিকা নয়-এটি সত্যের পক্ষে কলমধারীদের একটি পরিবার। এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।
অর্থসংবাদ/কাফি/তাহের
সারাদেশ
হাজী মো. এরশাদ হোসেন মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মোল্লা কান্দিতে মরহুম হাজী মো. এরশাদ হোসেন মোল্লার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় মরহুমের নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন তাঁর সন্তান মো. গোলাম মোস্তফা মোল্লা।
মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন পীরে কামেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মো. আবু ছালেহ (পীর সাহেব), উত্তর তারাবুনিয়া দরবার শরীফ।
এ সময় বক্তারা মরহুম হাজী মো. এরশাদ হোসেন মোল্লার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, তিনি জীবদ্দশায় এলাকার উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একজন সৎ, নির্লোভ ও পরোপকারী ব্যক্তি, যার স্মৃতি আজও এলাকার মানুষের হৃদয়ে অমলিন।
অনুষ্ঠানে এলাকার অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে মরহুমের কবর জিয়ারত করা হয়। পরবর্তীতে প্রায় এক হাজার মানুষের জন্য তবারক ও খাবারের আয়োজন করা হয়। শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
সারাদেশ
চোখের আলো নেই, তবু কর্মের আলোয় আলোকিত সেলিম গায়েন
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের উত্তর তারাবুনিয়ার গায়েন কান্দির সেলিম গায়েনের বয়স প্রায় ৬০ বছর। ছোটবেলায় বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টি হারান তিনি। তবে চোখের আলো হারালেও, জীবন থেকে হারাননি আত্মবিশ্বাস আর কর্মের আলো।
প্রায় ৪৫ বছর ধরে গ্রামে দোকানদারি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন সেলিম গায়েন। গ্রামের মানুষ তাকে চেনে ‘অন্ধ সেলিম’ নামে, কিন্তু তার কর্মদক্ষতা ও সততায় আজও সবাই মুগ্ধ। অন্ধ হয়েও সৌরবিদ্যুতের লাইট ও ফ্যান মেরামত করতে পারেন তিনি। শুধু নিজের দোকানের জন্য নয়, এলাকার মসজিদেও বিনা পারিশ্রমিকে লাইট ও ফ্যান ঠিক করে দেন। পাশাপাশি নিয়মিত আজান দেন স্থানীয় মসজিদে।
তার ৯ সন্তানের মধ্যে ৪ছেলে প্রবাসে আছেন। তবে কারও কাছে সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে নিজেই হালাল উপার্জনের পথে জীবন গড়েছেন তিনি। কিছুদিন আগে তার দোকান থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা চুরি হয়। জীবনের শেষ বয়সে এমন ঘটনায় মন ভেঙে গেলেও তিনি হাল ছাড়েননি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজের দোকানেই কাটান সময়।
চোখের আলো না থাকলেও, কর্ম আর সততার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছেন সেলিম গায়েনের জীবন। অন্ধ হয়েও তিনি যেন সমাজের এক জ্বলজ্বলে দৃষ্টান্ত যে প্রমাণ করে, ইচ্ছা থাকলে অসম্ভব বলে কিছু নেই।
এলাকার মানুষ তাকে একজন ভালো ও সৎ মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করেন। সমাজের সবাই তাকে সম্মান ও ভালোবাসেন। অনেকেই বলেন, সেলিম গায়েনের মতো মানুষ আজকাল বিরল। তার সততা, ধৈর্য ও পরিশ্রম দেখে গ্রামের তরুণরাও অনুপ্রাণিত হয়। স্থানীয়রা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় নিয়মিত দোয়া করেন, যেন তিনি আরও দীর্ঘদিন সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকেন।
অর্থসংবাদ/কাফি/তাহের
সারাদেশ
শরীয়তপুরের বালা পরিবারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ও আরশীনগর এলাকার ঐতিহ্যবাহী বালা পরিবার এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে। স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে এই সভাটি শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চরসেনসাস ইউনিয়নের তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজ্বী আবুল কাশেম বালা।
দলমত নির্বিশেষে বালা পরিবারের সদস্যরা এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। প্রধান অতিথি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরণ বলেন, বালা পরিবার এই অঞ্চলের ঐতিহ্য ও ঐক্যের প্রতীক। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও এলাকার উন্নয়ন ও মানবসেবার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাজ্বী আবুল কাশেম বালা বলেন, বালা পরিবারের সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে পরিবারের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, রাজনীতি ভিন্ন হলেও সবার উদ্দেশ্য মানুষের কল্যাণ হওয়া উচিত।
বালা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সখিপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বালা, থানা যুবদলের সভাপতি মাসুম বালা, সাবেক ছাত্রনেতা মাইদুল ইউসুফ জিসান বালা, আক্তারুজ্জামান বালা এবং আব্দুল কাদের বালাসহ অনেকে সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সারাদেশ
এবার চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) অ্যাডাম ক্যাপ নামে একটি তোয়ালে কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুপুর ২টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ইপিজেড, আগ্রাবাদ, বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
তবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।




