জাতীয়
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলাতে পারে: ফারুকী

নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলাতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নতুন নাম কী হবে সে বিষয়ে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
একই সঙ্গে সব জাতিসত্তার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এবারের নববর্ষের শোভাযাত্রায় নতুন রং, গন্ধ ও সুর পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন এই উপদেষ্টা।
রবিবার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে জাতীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপন নিয়ে সভা শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
ফারুকী বলেন, ‘এবার চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হবে সেখানে আপনারা সত্যিকার অর্থেই নতুন জিনিস দেখবেন। আপনাদের চোখেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন অনেক। সেটা এখন আমরা বিস্তারিত না বলছি। সারপ্রাইজ হিসেবেই থাকলো। ইটস এ টিজার। যারা অংশগ্রহণ করবেন তারা নিজেরাই নিজেদের চোখে দেখতে পারবেন পরিবর্তনগুলো কীভাবে ঘটছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলেই (শোভাযাত্রায়) নতুন কিছু দেখতে পাবেন। নতুন রং দেখবেন, নতুন গন্ধ পাবেন, নতুন সুর পাবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘কী নামে শোভাযাত্রা হবে, আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সভা আছে, সেখানে সেটা ঠিক হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই শোভাযাত্রা প্রথমে আনন্দ শোভাযাত্রা নামে শুরু হয়েছিল। সেখান থেকে হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। যে নাম একবার পরিবর্তিত হয়েছে, সবাই যদি সর্বসম্মত হয় তবে আবার পরিবর্তন হতে পারে। আবার যদি সবাই সর্বসম্মত হয় তবে পরিবর্তন নাও হতে পারে।’
‘এবারের শোভাযাত্রাটি আর বাঙালির শোভাযাত্রা না। এ শোভাযাত্রা বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারো, প্রত্যেকের। প্রত্যেকেই তাদের নিজস্বতা নিয়ে সেখানে অংশগ্রহণ করবেন। তাই আমাদের দেখতে হবে আমরা এমন একটা নাম না দেই যেটা শুধু আমাদেরই হয়, ওরা আর অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে। ওরা যেন ব্র্যাকেটে না পড়ে যায়।’ বলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে এটাকে (শোভাযাত্রা) কী নামে ডাকা হবে, যে নামে সবাইকে একটা ছাতার মধ্যে আনা যায়। সেটার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আগামীকালের সভায় সেই সিদ্ধান্ত হবে।
ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে স্বীকৃতি দিয়েছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ইউনেস্কো এই শোভাযাত্রাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউনেস্কো আগামীবার জানবে এ শোভাযাত্রা আরও বড় হয়েছে, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। ইউনেস্কোর এটাতে খুশি হওয়ার কারণ হবে, আপত্তি করার কোনো কারণ নেই। আমরা বরং এতদিন অনেকগুলো জাতি-গোষ্ঠীকে মাইনাস করে এসেছিলাম। আমরা এটাকে সংশোধন করছি।’
অনুষ্ঠানটি পুনর্বিবেচিত হয়েছে, তাই এর নামটিও পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নববর্ষ ও চৈত্র সংক্রান্তির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের তথ্য তুলে ধরে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে একটা রক কনসার্ট হচ্ছে। যেখানে চাকমা, গারো, মারমা ও বাংলা ব্যান্ড- সবাই মিলে পারফর্ম করবে। এছাড়া চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে বাউল ও ফকিররা গান গাইবেন। ওদের একটা উৎসব হবে সেখানে।’
‘এছাড়া ১৪ এপ্রিল সংসদ ভবনের সামনে একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ড্রোন শোর আয়োজন করা হবে। চীনের দূতাবাসের সহযোগিতায় ড্রোন শো হবে। সেখানে বিকেল বেলা গান শুনবেন, সন্ধ্যার পর দেখবেন সংসদ ভবনের ওপরে বাংলার আকাশের ড্রোন দিয়ে কিছু ইমেজ তৈরি করা হচ্ছে।’ যোগ করেন ফারুকী।
উপদেষ্টা আরও বলেন, এবার ধানমন্ডি ৮ নম্বরের রবীন্দ্র সরোবরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সুরের ধারার গানের অনুষ্ঠান হবে। মেলার মতো আয়োজনও সেখানে করা হবে। অর্থাৎ ঢাকার নানান জায়গায় উৎসব ছড়িয়ে যাবে।
এবার নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ করার ক্ষেত্রে কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সূর্যাস্তের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে- এবার আমাদের নির্দেশনা এটা না। তবে কোন অনুষ্ঠান কখন শেষ হবে সেটা স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা ঠিক করে নেবে।’
এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার প্রত্যেক জেলা ও উপজেলার জন্য বরাদ্দ দ্বিগুণ করেছি। পাশাপাশি যে জেলাগুলোতে আমাদের ভিন্ন ভাষাভাষী ভাই-বোনেরা বসবাস করেন, সেই জেলাগুলোতে আমাদের বরাদ্দের পরিমাণ আরও বেশি হবে। সেটা কত হবে, কালকের মধ্যেই মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
সবাইকে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, সরকার অবশ্যই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। আমরা আশা করি আগে যেভাবে সামনে- পিছনে র্যাব দিয়ে মিছিল করতে হতো, এবার সেভাবে করতে হবে না। এটা বাংলাদেশের মানুষের সবার উৎসব। সব রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক দল মনে করে, এটা তাদের উৎসব। তারা প্রত্যেকই অংশ নেবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, কাল আমরা অপারেশনাল পর্যায়ের মিটিং করবো। সিদ্ধান্তগুলো নিতে কিছুটা সময় লাগবে। অনেকগুলো মিটিং আছে। ঈদের খোলার পরে (ছুটি শেষে) সংবাদ সম্মেলন করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রাম সফর করছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই মধ্যে চট্টগ্রামে পৌঁছে গেছেন তিনি। দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি অংশ নেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে।
বুধবার (১৪ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটযোগে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে সকাল সোয়া ৯টায় এসে পৌঁছান তিনি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ড. ইউনূস তার কর্মজীবনের সূচনা করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে। আজকের সফরে তিনি চবি ছাড়াও হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করবেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি তিনি ঐতিহাসিক জোবরা গ্রাম পরিদর্শন করবেন। এ গ্রামেই ক্ষুদ্রঋণ ধারণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন। সেখানে বন্দর ও জাহাজ চলাচল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সভায় চলমান কার্যক্রম, বে টার্মিনাল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর ওপর মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা করা হবে। পরে তিনি সার্কিট হাউসে গিয়ে কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। এছাড়া চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়ক প্রকল্পের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন।
এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত ২৩ একর জমির দলিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন। দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবেন। বিকেলে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এতে ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২২ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র এবং ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
চবি কর্তৃপক্ষ বলছে, দারিদ্র্য বিমোচন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য ড. ইউনূসকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের নেতৃত্বে আমরা সমাবর্তনের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছি। এটি দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রায় এক লাখ মানুষের উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম বলেন, সকাল সোয়া ৯টায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের মাঝে এসে পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টার নিজ জেলায় এ ঐতিহাসিক সফর সফল করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যেসব এলাকায় ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না আজ

গ্রিড উপকেন্দ্রের সম্প্রসারণ কাজের জন্য পিরোজপুর ও ঝালকাঠীতে আজ ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ (পিএলসি)।
এতে বলা হয়, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন গ্রিড ভিত্তিক বিদ্যুৎ সরবরাহে দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ভান্ডারিয়া ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের বে-সম্প্রসারণ কাজের জন্য উপকেন্দ্রের বরিশাল-ভান্ডারিয়া ও ভান্ডারিয়া-বাগেরহাট ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর ফলে বুধবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পিরোজপুর ও ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) ও কাউখালী উপজেলা, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হবে।
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আজ চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার চট্টগ্রামে যাচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার (১৪ মে) তিনি নিজ জন্মভূমিতে যাবেন। প্রধান উপদেষ্টা সেখানে দিনব্যাপী বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, ড. ইউনূস বুধবার চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে সেখানে নির্ধারিত বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন তিনি। পাশাপাশি তার পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামও পরিদর্শন করবেন।
এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পৌঁছার পর বন্দর পরিদর্শন করবেন এবং বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেবেন। এরপর তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেখান থেকে যাবেন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে। সেখানে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন, যা চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একটি অংশসহ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরের বিশাল জনগোষ্ঠীর বহুল প্রতীক্ষিত সেতু।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর চালু হলো এনআইডি সেবা কার্যক্রম

সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র এনআইডি সেবা বিঘ্ন হওয়ার প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর সচল হলো এ কার্যক্রম। এ ক্ষেত্রে আগামীকাল বুধবার সকাল থেকেই নির্বিঘ্নে সেবা পাবেন নাগরিকরা। মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এনআইডি সেবা হঠাৎ করেই বন্ধ হওয়ায় অনেকে সেবা প্রার্থীকে দুর্ভোগে পড়তে হয়।
তিনি বলেন, আমরা যে প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) নিয়ে থাকি তারা তাদের সিস্টেমের সমস্যাটা সমাধান করেছে। সকাল থেকে যে ওটিপিগুলো আমরা পাঠিয়েছি সেগুলো এখন ক্লিয়ার করা হচ্ছে। ওগুলো ক্লিয়ার হওয়ার পরই আবার নতুনগুলো চলে আসবে এবং আগামীকাল সকাল থেকে নাগরিকরা নির্বিঘ্নে এনআইডি সেবা পাবে।
ইসি কর্মকর্তা বলেন, আমাদের সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়। তা সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল, এখন যা সচল হয়েছে। যার ফলে প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা নাগরিকরা সেবা পাইনি। এখনতো অফিসের সময় শেষ আগামীকাল থেকে নির্বিঘ্নে এনআইডি সেবা পাবে নাগরিকরা।
এর আগে আজ সকালে এনআইডি ডিজি এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, আমাদের সার্ভারে লগইন করার জন্য ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডের (ওটিপি) প্রয়োজন হয়। সে ওটিপি না আসার কারণে আমার কর্মকর্তারা সার্ভার ঢুকতে পারছে না। এজন্য আপাতত অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে ছবি তোলা বায়োমেট্রিক গ্রহণের কার্যক্রম চলামান আছে ওটিপি সমস্যার সমাধান হলেই সব কার্যক্রম আবার শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সার্ভার বন্ধ নয়। আমরা এনআইডি কার্যক্রম পরিচালনা করার একটি ওটিপি সার্ভিস কিনেছে সেটি যাদের কাছে থেকে নিয়েছি তাদের সিস্টেমে একটা সমস্যা হয়েছে ওরা ওটা মেরামত করছে। মেরামত হয়ে গেলে চালু হয়ে যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এনবিআর বিলুপ্তির কারণ জানালো সরকার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক বিভাগে ভাগ করে রাজস্ব নীতি বিভাগ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ সৃষ্টি করার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দক্ষতা উন্নয়ন, স্বার্থের দ্বন্দ্ব হ্রাস, দেশের কর ভিত্তি সম্প্রসারণ করা এবং কর প্রশাসন থেকে কর নীতি নির্ধারণকে পৃথক করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের পাঠানো এক বার্তায় এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত এনবিআর ধারাবাহিকভাবে তার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত প্রায় ৭.৪%, যা এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। বিশ্বব্যাপী গড় ১৬.৬%, যেখানে মালয়েশিয়ার ১১.৬%। জনগণের উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা অর্জনের জন্য, বাংলাদেশকে অবশ্যই তার কর-জিডিপি অনুপাত কমপক্ষে ১০% এ উন্নীত করতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য এনবিআর পুনর্গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর নীতি প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করার জন্য একটি একক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়— এই ধরনের ব্যবস্থা স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি করে এবং অদক্ষতা বৃদ্ধি করে। বছরের পর বছর ধরে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছেন যে নীতিমালাগুলো প্রায়শই ন্যায্যতা, প্রবৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার চেয়ে রাজস্ব সংগ্রহকে অগ্রাধিকার দেয়।
এই পুনর্গঠন কেবল একটি আমলাতান্ত্রিক রদবদল নয়। এটি একটি ন্যায্য, আরও সক্ষম কর ব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। বাংলাদেশের সব নাগরিকের চাহিদা পূরণ এবং তাদের আশা বাস্তবায়নের জন্য নীতি নির্ধারণ এবং পরিচ্ছন্ন কর প্রশাসন শক্তিশালী করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘদিন ধরে চলমান বেশ কিছু সমস্যা এনবিআরকে জর্জরিত করেছে, সেগুলো হলো-
স্বার্থের দ্বন্দ্ব
নীতি নির্ধারণ এবং প্রয়োগ উভয়কেই এক ছাদের নিচে রাখার ফলে কর নীতির সঙ্গে আপস এবং ব্যাপক অনিয়মের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান ব্যবস্থায়, কর আদায়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কোনো জবাবদিহিতা কাঠামোর আওতায় নেই এবং প্রায়শই জনস্বার্থের সঙ্গে আপস করে কর খেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ প্রদানের জন্য আলোচনা করতে সক্ষম হন। অনেক ক্ষেত্রে, কর আদায়কারীরা কর ফাঁকি দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে তাদের তা করতে সহায়তা করতে অনিচ্ছুক। কর আদায়কারীদের কর্মক্ষমতা বস্তুনিষ্ঠভাবে পরিমাপ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা এবং প্রক্রিয়া নেই। তাদের কর্মজীবনের অগ্রগতি পরিমাপযোগ্য কর্মক্ষমতা সূচকের সঙ্গে যুক্ত করা হয়নি।
অদক্ষ রাজস্ব সংগ্রহ
দ্বৈত আদেশ নীতি প্রণয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি উভয়ের উপরই মনোযোগ কমিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরূপ, করের জাল সংকীর্ণ রয়ে গেছে। রাজস্ব আদায় সম্ভাবনার তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
দুর্বল শাসনব্যবস্থা
এনবিআর অসংগত প্রয়োগ, দুর্বল বিনিয়োগ সুবিধা এবং পদ্ধতিগত শাসন সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছে। যার সবকটিই বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস করেছে। আইনের শাসনকে দুর্বল করে দিয়েছে।
আমলাতান্ত্রিক ওভারল্যাপ
বিদ্যমান কাঠামো—যেখানে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের প্রধানও এনবিআরের নেতৃত্ব দেন- বিভ্রান্তি এবং অদক্ষতা তৈরি করেছে, কার্যকর কর নীতি নকশা এবং প্রদানকে ব্যাহত করেছে।
নৈতিকতা হ্রাস এবং অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা
সংস্কার প্রক্রিয়া অভিজ্ঞ কর ও শুল্ক কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। যাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন যে, তাদের পাশে রাখা হতে পারে বা উপেক্ষা করা হতে পারে।
পুনর্গঠন কীভাবে সাহায্য করবে?
নতুন কাঠামোটি একটি পরিষ্কার, আরও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে এই দীর্ঘস্থায়ী এ সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যেমন—
দায়িত্বের স্পষ্ট পৃথকীকরণ
রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রণয়ন, হার নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক কর চুক্তি পরিচালনার জন্য দায়ী থাকবে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রয়োগ, নিরীক্ষা এবং সম্মতি তত্ত্বাবধান করবে। এই পৃথকীকরণ নিশ্চিত করে যে, কর নীতি প্রণয়নকারী কর্মকর্তারা কর আদায়কারীদের মতো নন, যা যেকোনো ধরনের যোগসাজশের সুযোগ দূর করে।
উন্নত দক্ষতা এবং শাসনব্যবস্থা
প্রতিটি বিভাগকে তার মূল আদেশের ওপর মনোনিবেশ করার অনুমতি দিয়ে সংস্কারটি বিশেষীকরণ বৃদ্ধি করবে, স্বার্থের দ্বন্দ্ব হ্রাস করবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক অখণ্ডতা উন্নত করবে।
সম্প্রসারিত কর ভিত্তি এবং শক্তিশালী প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা
এ সংস্কার করের জাল সম্প্রসারণ করবে। পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে এবং দক্ষ পেশাদারদের উপযুক্ত ভূমিকায় নিয়োগ করে প্রত্যক্ষ কর আদায়কে শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উন্নত, আরও উন্নয়নমুখী নীতি
একটি নিবেদিতপ্রাণ নীতি ইউনিট কেবলমাত্র স্বল্পমেয়াদি রাজস্ব লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত প্রতিক্রিয়াশীল নীতির পরিবর্তে প্রমাণ-ভিত্তিক, ভবিষ্যতমুখী কর কৌশল তৈরি করতে পারে।
বৃহত্তর বিনিয়োগকারীদের আস্থা
স্বচ্ছ, পূর্বাভাসযোগ্য নীতি এবং একটি পেশাদার কর প্রশাসন বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে এবং বেসরকারি খাত থেকে অভিযোগ কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।