আন্তর্জাতিক
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেলেন ৩ ইসরায়েলি
![জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেলেন ৩ ইসরায়েলি মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/mukti.jpg)
দীর্ঘ ১৬ মাস জিম্মি হিসেবে গাজায় থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন ৩ ইসরায়েলি জিম্মি- সাশা ত্রৌফানভ, সাগুই দেকেল-শেন এবং আয়ার হর্ন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে যাদেরকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে এসেছিল গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস, তাদের মধ্যে এই ৩ জনও ছিলেন।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে সাশা ত্রৌফানভ, সাগুই দেকেল-শেন এবং আয়ার হর্নকে সাদা রঙের গাড়িতে নিয়ে আসে হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেডের একটি দল। সেখানে একটি অস্থায়ী মঞ্চ আগে থেকেই প্রস্তুত করা ছিল, আর সেই মঞ্চকে ঘিরে ছিল শতাধিক ফিলিস্তিনি জনতা।
মঞ্চে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা রেডক্রসের প্রতিনিধিদের কাছে জিম্মিদের হস্তান্তর সম্পর্কিত নথিতে স্বাক্ষর করেন হামাসের এক জ্যেষ্ঠ সদস্য। তারপর জিম্মিদের সেই মঞ্চে তোলা হয় এবং উপস্থিত ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার অনুরোধ জানানো হয়। জিম্মিদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ হওয়ার পর রেডক্রসের গাড়িতে তাদেরকে রাফা ক্রসিং এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষা করছিলেন আইডিএফ এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের কর্মকর্তারা। রেড ক্রসের প্রতিনিধিরা কর্মকর্তাদের হাতে জিম্মিদের সোপর্দ করেন। তারপর আইডিএফের গাড়িতে চেপে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন তিন জিম্মি।
তিন জিম্মির পরিবারের সদস্যরা উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছিলেন তাদের জন্য। স্বজনদের সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের পর আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আজ শনিবার এই তিন জিম্মির বিনিময়ে ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে ইসরায়েলের। ইসরায়েরের কারা কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সময় দুপুরের মধ্যে এই বন্দিদের রেডক্রস প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করবে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভূখণ্ডে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করে হামাসের যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়ে ২৫১ জনকে। হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। টানা ১৫ মাস ধরে চলা সেই অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি এবং পুরোপুরি ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের ব্যাপক চাপে অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস এবং ইসরায়েল। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে গত ৫ দফায় মোট ১৬ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস, বিনিময়ে ৭৬৬ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার সরকারি কর্মী
![যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার সরকারি কর্মী মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/usa.jpg)
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপে দেশটিতে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৯ হাজার ৫ শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মী। গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিন থেকেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মীদের ছাঁটাই করা শুরু হয়।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৬ দিনে বিশাল সংখ্যক এসব সরকারি কর্মীরা চাকরি হারিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
গত ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ‘সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি’ নামে নতুন একটি দপ্তর খোলার নির্দেশ জারি করেন। সেই দপ্তরের প্রধান করা হয় বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে।
ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিন থেকেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মীদের ছাঁটাই করা শুরু হয়, যা বর্তমানে প্রায় ১০ হাজারে ঠেকেছে। স্বরাষ্ট্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালনি, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের পুনর্বাসন, কৃষি, স্বাস্থ্য, মানবিক পরিষেবাসহ প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মীরা রয়েছেন চাকরিচ্যুতদের তালিকায়। আর এই চাকরিচ্যুতি বা ছাঁটাইয়ের পুরো বিষয়টি ঘটছে ইলন মাস্কের ‘সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি’র তত্ত্বাবধানে।
শিগগিরই তালিকায় আরও হাজারের অধিক কর্মী যুক্ত হতে যাচ্ছেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কর আদায়কারী সরকারি সংস্থা ইন্টারনাল রেভিন্যু সার্ভিস (আইআরএস) গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, সামনের সপ্তাহেই ১ হাজারের বেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের নোটিশ দেওয়া হবে। আইআরএস যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সরকারি দপ্তর।
ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি ‘বাইআউট কর্মসূচি’ বা ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’-এর মুখে পড়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা ও কর্মী। সরকারি তথ্য অনুসারে, গত ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ‘বাইআউট কর্মসূচি’-এর আওতায় স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার কমর্কর্তা ও কর্মী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি পাওয়ার
![বাংলাদেশকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে আদানি পাওয়ার মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/12/Adani.webp)
আদানি পাওয়ার আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের জন্য পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। গত তিন মাস ধরে এই সরবরাহ আংশিকভাবে বন্ধ ছিল। তবে বাংলাদেশ বিদ্যুতের দামে যে ছাড় ও কর–সুবিধা চেয়েছিল, তা দিতে রাজি হয়নি বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন দুটি সূত্র।
বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধে বিলম্বের কারণে গত বছরের ৩১ আগস্ট গৌতম আদানির কোম্পানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে অর্ধেক করে দেয়। ১ নভেম্বর ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয় আদানি। শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাবে, সে কারণে বাংলাদেশও বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেয়; সেই সঙ্গে মূল্য পরিশোধের বিষয়টি তো ছিলই।
বার্তা সংস্থাটি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গ্রীষ্ম মৌসুমের আগে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুরোধে আগামী সপ্তাহ থেকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহে রাজি হয়েছে আদানি পাওয়ার। ঝাড়খন্ডে অবস্থিত আদানি পাওয়ারের এই কেন্দ্র থেকে কেবল বাংলাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
সূত্র দুটি আরও বলেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে রাজি হলেও আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের অন্যান্য অনুরোধ মানতে রাজি হয়নি, অর্থাৎ মূল্য ও করছাড় দিতে রাজি হয়নি। গত মঙ্গলবার আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করে বিপিডিবি।
আদানি পাওয়ার সম্পর্কে একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, ‘আদানি পাওয়ার ছাড় দিতে রাজি নয়, এমনকি ১০ লাখ ডলারও নয়। বাংলাদেশ কেনো ছাড় পায়নি; আমরা পারস্পরিক বোঝাপড়া চাই; কিন্তু এ বিষয়ে তারা চুক্তির শর্ত টেনে আনছে।’
এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলেও বিপিডিবির চেয়ারপারসন মো. রেজাউল করিম রয়টার্সের আহ্বানে সাড়া দেননি। এর আগে রয়টার্সকে তিনি বলেছিলেন, ‘আদানির সঙ্গে এখন আমাদের বড় কোনো সমস্যা নেই এবং তারা পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, আদানি পাওয়ারের পাওনা পরিশোধের পরিমাণ মাসে সাড়ে আট কোটি ডলার থেকে বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে আদানি পাওয়ারের মুখপাত্রও রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এর আগে রয়টার্সের আরেক সংবাদ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতিতে তারা জানায়, ক্রেতার চাহিদার সাপেক্ষে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়; ক্রেতাদের চাহিদা সময় সময় পাল্টায়।
গত ডিসেম্বর মাসে আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র বলেছিলেন, বিপিডিবির কাছে তাঁদের পাওনা প্রায় ৯০ কোটি ডলার; যদিও মো. রেজাউল করিম তখন বলেছিলেন, এই অঙ্ক ৬৫ কোটি ডলার। মতভিন্নতা মূল কারণ হলো বিদ্যুতের শুল্ক হিসাবের পদ্ধতি।
এর আগে বিপিডিবি আদানি পাওয়ারের কাছে কয়েক লাখ ডলারের কর–সুবিধা এবং গত বছরের মে মাস পর্যন্ত যে ছাড় ছিল, তা পুনর্বহাল চেয়ে চিঠি দিয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে ফের বাড়লো সোনার দাম
![বিশ্ববাজারে ফের বাড়লো সোনার দাম মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/11/gold.jpg)
বিশ্ববাজারে টানা সাত সপ্তাহের মতো সোনার দাম বেড়েছে। মূলত সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সোনার দাম বৃদ্ধির দিকে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে আসছেন। যা এরই মধ্যে বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে। অন্যদিকে পাল্টা পদক্ষেপও আসছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আউন্সপ্রতি সোনার দাম শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৯৩৬ দশমিক ৭৯ ডলার হয়েছে। সপ্তাহেরভিত্তিতে বেড়েছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। একই সময়ে মার্কিন সোনার দাম আউন্সপ্রতি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৯৬১ দশমিক ৪০ ডলার হয়েছে।
এবিসি রিফাইনারির প্রাতিষ্ঠানিক বাজারের বৈশ্বিক প্রধান নিকোলাস ফ্র্যাপেল বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য, শুল্ক ও বৃহত্তর বৈদেশিক নীতিতে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা সোনার দাম বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প তার অর্থনৈতিক দলকে নির্দেশ দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিতে কর আরোপকারী প্রতিটি দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে। এই সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতি মূলক পদক্ষেপে সোনার চাহিদা আরও বেড়ে যেতে পারে।
এদিকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভারত আমাদের ওপর যে শুল্ক বসাবে, আমরাও তাদের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপ করবো।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা সব ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার এই নতুন বাণিজ্যনীতিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে কানাডার ওপর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে নতুন বিল পাস
![যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে নতুন বিল পাস মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/house-of-representive.jpg)
গত ২০ জানুয়ারি নথিবিহীন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর থেকে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে শুরু হয়েছে অভিযান, যা এখনও জারি আাছে।
এবার সেই অভিযানকে আরও দৃঢ় করতে নতুন একটি বিল পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস)। ‘দ্য এজেন্স রাউল গঞ্জালেস অফিসার সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ নামের সেই বিলটিতে বলা হয়েছে, যদি কোনো নথিবিহীন অভিবাসী ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো অপরাধ করেন কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা বা সীমান্তরক্ষীদের ওপর হামলা চালান, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়া সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বরত রক্ষী ও কর্মকর্তাদের ফাঁকি দেয়ে প্রবেশের মতলবে কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশী যদি সীমান্ত এলাকার ১০০ মাইল বা ১৬১ কিলোমিটারের মধ্যে গাড়ি, মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো মোটরযান নিয়ে প্রবেশ করেন, তাহলেও ওই অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই বিলে।
বৃহস্পতিবার বিলটি উত্থাপনের পর সেটির পক্ষে ভোট দেন প্রতিনিধি পরিষদের ২৬৪ জন সদস্য এবং বিপক্ষে ভোট দেন ১৫৫ জন।
বিধি অনুযায়ী, এখন বিলটি পাঠানো হবে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে। সেখানে সেটি পাস হলে তা যাবে প্রেসিডেন্টের দপ্তরে এবং তিনি তাতে স্বাক্ষরের পরেই আইনে পরিণত হবে বিলটি।
বিলটি পাসের পর এক ব্রিফিংয়ে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার মাইক জনসন বলেন, “এই বিল একটি দৃঢ় বার্তা দিচ্ছে আমাদের, তা হলো— যারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে এবং আমাদের কর্মকর্তা-কর্মীদের নিরাপত্তাকে সংকটে ফেলছে, তাদেরকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে হবে এবং সেই ক্ষতিপূরণ হবে গুরুতর।”
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য টেক্সাসের সীমান্তে দায়িত্বপালনের সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ইচ্ছুক অবৈধ অভিবাসীদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য রাউল গঞ্জালেস। তার নামেই নামকরন করা হয়েছে বিলটির।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনে আমেরিকার হাত নেই: ট্রাম্প
![বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনে আমেরিকার হাত নেই: ট্রাম্প মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/01/trump-2.jpg)
বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে আমেরিকা বা আমেরিকান ডিপ স্টেটের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একজন ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার পাশে বসেছিলেন।
এর আগে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাগ্রহণের পর দুই নেতার মধ্যে এটিই প্রথম সশরীরে বৈঠক।
এদিন হোয়াইট হাউসের বৈঠক তাদের মধ্যে বাণিজ্য, শুল্ক, অভিবাসনসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
দুদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রের গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। সফরকালে ট্রাম্পের পাশাপাশি ইলন মাস্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
মোদীর বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে।
তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো হলেও বাণিজ্য নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বেশ মতপার্থক্য রয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে কোটি কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করবে এবং ভবিষ্যতে দিল্লিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হবে।
বৈঠকে অভিবাসন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প আশা করেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত কয়েক হাজার অনথিভুক্ত অভিবাসীকে ফিরিয়ে নেবে।
এর আগে মোদী বলেন, তিনি স্পেস, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মোদী আরও বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ট্রাম্পের সঙ্গে আমরা তার প্রথম মেয়াদের তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে কাজ করবো।
এদিকে, ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর নতুন শুল্ক নির্ধারণ করতে। এসব শুল্ক আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। শুল্ক আরোপ হতে যাওয়া সম্ভাব্য দেশের তালিকায় ভারতেরও নাম রয়েছে।