অর্থনীতি
বছরে কোটি টাকা আয় করেন এমন ৬৭ শতাংশ মানুষ কর দেন না
![বছরে কোটি টাকা আয় করেন এমন ৬৭ শতাংশ মানুষ কর দেন না ক্যাটাগরি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/aa-21.jpg)
বছরে কোটি টাকা আয় করেন এমন ৬৭ শতাংশ মানুষ করজালের বাইরে। দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের আয় কোটি টাকার বেশি হলেও তারা করজালে নেই। এমন ফাঁপা করজাল বা ক্ষুদ্র করজাল দিয়ে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানো যাবে না।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য থেকে গত ছয় মাসে ৮৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি আছে। আইএমএফ চাপ দিচ্ছে রাজস্ব বাড়াতে। তাই করজাল না বাড়িয়ে সরকার পরোক্ষ কর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
বুধবার রাজধানীর গুলশানের এমসিসিআই কনফারেন্স হলে ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম একথা বলেন। আয়োজনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন তিনি।
২০১৮ সালের সিপিডির একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে কোটি টাকা আয় করা মানুষের করজালের বাইরে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
সম্প্রতি শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়িয়ে সরকার দুর্নাম নিলো বলে মন্তব্য করে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, রাজস্ব বাড়ানোর জন্য সরকারের অন্য কোনো বিকল্প ছিল কি না তা দেখতে হবে। কারণ, শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়ানোয় ১১ হাজার বা সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব পাওয়া যাবে বলা হয়েছে। এতে রাজস্বের ঘাটতি তেমন একটা পূরণ হবে না।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে কর প্রশাসন অটোমেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। সংস্কারে যেন কর প্রশাসনের কোনো আগ্রহ নেই। এখানে ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। নিজেদের এমন অসংগতি দূর করতে না পারলে কিংবা নিয়মের প্রতিপালন করতে না পারলে কর আদায় বাড়বে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
চলতি মাসেই বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা পাওনা পাবেন: শ্রম উপদেষ্টা
![চলতি মাসেই বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা পাওনা পাবেন: শ্রম উপদেষ্টা ক্যাটাগরি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/aa-22.jpg)
রোজার আগে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে এ সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, বেক্সিমকো অ্যাপারেল প্রথমে লে-অফ, পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম যেটা বন্ধ করা হয়েছে, দেনা যতটুকু আছে সেগুলো এই মাসের মধ্যে শোধ করা হবে। এর অগ্রগতি জানার জন্য আজকের মিটিং হয়েছে। বেশ ভালো অগ্রগতি আছে আমি বলবো। যা যা দরকার যতটুকু টাকা দরকার ততটুকু টাকার ব্যবস্থা হচ্ছে। একজ্যাক্ট (প্রকৃত) কত টাকা সেটা নতুন প্রশাসক এসেছেন, তিনি পুরো হিসাব করে বের করবেন, আমরা আবার আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি বসবো। আশা করি দ্যাটস ফাইনাল।
তিনি বলেন, সব ব্যাংকের এমডি আসবেন, তারা কোথা থেকে কোথা থেকে রিসোর্স নেবেন, যে টাকাটা হিসাবে আসবে সেই টাকাটা যার যার পাওনা তার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে এই মাসের মধ্যেই, ইনশাআল্লাহ। তার মানে রোজার আগেই। রোজার আগে আমরা পাওনাগুলো দিয়ে দিতে চাই।
‘সেখানে ২৭ হাজারের বেশি শ্রমিক রয়েছেন। প্রত্যেকটি শ্রমিকের যার যা পাওনা তাকে দিয়ে দেওয়া হবে। তবে কত টাকা সেটি এখনো হিসাব করা হয়নি।’ যোগ করেন এই উপদেষ্টা।
শ্রম উপদেষ্টা আরও বলেন, নতুন প্রশাসক গত ৫ তারিখে (ফেব্রুয়ারি) এসেছেন, তিনি এখনো পুরোটা নিজের আয়ত্তের মধ্যে আনতে পারেননি। সেজন্য তাকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
দায়দেনা পরিশোধের অর্থ অর্থ বিভাগ থেকে আসবে নাকি শেয়ার বিক্রি করে নেওয়া হবে- এ বিষয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এটা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আপনারা জানতে পারবেন। অনেকগুলো সম্ভাবনা আছে, অর্থ বিভাগ থেকে হতে পারে। শেয়ার বিক্রি নিয়ে কিছু ঝামেলা আছে সেগুলো দূর করা যায় কি না, সুতরাং ওটা বিক্রি হবে হবে নাকি সম্পদ বিক্রি হবে- তা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত হবে। ১৮ তারিখের মধ্যে হিসাব করে আমাকে জানাবে যে, এই পরিমাণ টাকা লাগবে এবং এই পরিমাণ টাকা আছে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ শ্রমিকরা দক্ষ, তারা বেকার হবেন না। এছাড়া গার্মেন্টস সেক্টরে জনবলের পাঁচ থেকে সাত শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। আমরা এত সংখ্যক লোককে বেকার থাকতে দিতে পারি না, কিছু না কিছু একটা ব্যবস্থা হবে। এটা নিয়েও লোকজন কাজ করছে। ইপিজেড আছে, বিডার (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) মাধ্যমে কাজ হচ্ছে।
এ সময় বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অবৈধ সিগারেটের বিরুদ্ধে ৪১ দিনে ১৫৯ অভিযান
![অবৈধ সিগারেটের বিরুদ্ধে ৪১ দিনে ১৫৯ অভিযান ক্যাটাগরি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/nbr-2.jpg)
অবৈধ সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
দেশব্যাপী দুই শতাধিক সার্কেল রাজস্ব কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে টিম জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৫৯টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৫২টি ও ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০৭টি অভিযান চালানো হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ এসব তথ্য জানিয়েছে। তিনি বলেন, এসব অভিযানের ফলে বাজারে অবৈধ সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্যের পরিমান হ্রাস পেয়েছে। ফলে ভ্যাট পরিশোধিত বৈধ পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে। এ তৎপরতা অব্যাহত থাকলে এখাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। অভিযানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে সচেতন নাগরিক, সুশীল সমাজ, গোপন তথ্যদাতা, সামাজিক এবং ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যমে সংযুক্ত সব অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এনবিআর জানায়, জানুয়ারি মাসে এনবিআর ৫২টি তামাক বিরোধী অভিযান করে। এর মধ্যে ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (পশ্চিম)২৪টি, রাজশাহী ১৭টি, ঢাকা (পূর্ব) ৪টি, কুমিল্লা ২টি, রংপুর ১টি অভিযান পরিচালনা করে। অন্যদিকে ১ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিনে অভিযান হয়েছে ১০৭টি। অভিযানের সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযান ৩০টি, ১০ ফেব্রুয়ারি ২৩টি এবং ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে সবগুলো কমিশনারেট মোট ৫৪টি অভিযান পরিচালিত হয়।
সূত্র জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সার্কেলগুলোকে অভিযান পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এনবিআরের সংগৃহীত ভ্যাটের প্রায় ২৫ শতাংশ আসে সিগারেট, বিড়ি ও তামাক জাতীয় পণ্য থেকে। দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দেশি ও বিদেশি অবৈধ সিগারেট, গুল, জর্দা ও সমজাতীয় তামাকপণ্য ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে। এতে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির পাশাপাশি এনবিআরের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। তাই অবৈধ তামাকজাতীয় পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে এনবিআর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১০ দিনের মধ্যে তেল সরবরাহের ঘাটতি দূর হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
![১০ দিনের মধ্যে তেল সরবরাহের ঘাটতি দূর হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা ক্যাটাগরি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/বানিজ্য.jpg)
আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের ঘাটতি দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে এ সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাজারে তেলের সংকট চলছে, এই সুযোগে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এই মুহূর্তে আপনারা যদি বাজারে দেখেন রমজানের যত পণ্য- খেজুর, ছোলা, ডাল, চিনি; শুধু তেলে একটা সমস্যা বিরাজ করছে। আশা করি আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে তেলের বাজার স্থিতিশীল থেকে নিম্নমুখী হয়ে যাবে এবং সরবরাহের যে ঘাটতি ঘটেছে সেটা দূর হবে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রেমিট্যান্স পাঠানো দেশের তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
![রেমিট্যান্স পাঠানো দেশের তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র ক্যাটাগরি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/dollar.jpg)
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে এসেছে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরও রয়েছে যুক্তরাজ্য (ইউকে), সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর।
প্রবাসী আয়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ কোট ৩৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাজ্য (ইউকে) থেকে।
এ ছাড়া আলোচিত সময়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ইতালি, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর থেকে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি এক লাখ ৬০ হাজার ডলার, ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার, ১৩ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার, ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার, ১২ কোটি ৬৯ লাখ ২০ হাজার ডলার, ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও ছয় কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
উন্নয়ন বাজেট থেকে বাদ যাচ্ছে ৪৯ হাজার কোটি টাকা
![উন্নয়ন বাজেট থেকে বাদ যাচ্ছে ৪৯ হাজার কোটি টাকা ক্যাটাগরি](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/08/dollar-20220808173923.jpg)
চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে পরিবহন অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোতে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে এক লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
কিন্তু বৈদেশিক ঋণের ১৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে না। নতুন করে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৮১ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি ব্যয় কমছে সরকারি তহবিলেরও। এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে সরকারি তহবিল দাঁড়াচ্ছে এক লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ফলে সরকারি তহবিল থেকেও বাদ যাচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। দুই খাত মিলিয়ে বাদ যাচ্ছে ৪৯ হাজার কোটি টাকা।
বৈদেশিক তহবিলের বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। ৫০ বছরের মধ্যে এত বরাদ্দ কমাতে হয়নি কখনো। এমনকী করোনা মহামারির সময়েও কমাতে হয়েছে এর চেয়ে অনেক কম। এ অবস্থার নেপথ্যে রয়েছে প্রধানত পাঁচটি কারণ। এগুলো হলো- আওয়ামী লীগ সরকারের পতন, উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড় না করা, অন্তর্বর্তী সরকারের কড়াকড়ি, অদক্ষতায় সময়মতো কাজ করতে না পারা এবং পুরোনো সমস্যার আবর্তে ঘুরপাক। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাদ দিয়ে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন সেক্টর, মন্ত্রণালয় এবং প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দ ভাগবাটোয়ারার কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রকল্পও বাদ দেওয়া হচ্ছে।
রেকর্ড পরিমাণে বৈদেশিক ঋণ কাটছাঁট প্রসঙ্গে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (ফাবা ও আইসিটি) নূর আহমদ বলেন, আমরা পরিবর্তিত অবস্থানের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। কিছু প্রকল্প বদল হয়েছে। কিছু রি-ভিজিট করতে হচ্ছে। রাজনৈতিক সরকারের আমলে অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছিল। এগুলো বাদ দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দেওয়া হচ্ছে। যৌক্তিক যতটুকু ব্যয় করা যায় ততটুকু করতে হচ্ছে। কারণ আমরা চাই না বৈদেশিক ঋণের একটি টাকাও অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যবহার হোক।’
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে মোট বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে এর পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। এতে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ দেওয়া হবে ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৮১ হাজার কোটি টাকা। এ বরাদ্দ দিয়ে শিগগির সেক্টর, মন্ত্রণালয় ও প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দ নির্ধারণে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করবে পরিকল্পনা কমিশন।
এদিকে, চলতি অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়নেও বিরাজ করছে করুণ দশা। ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও গত ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বরাদ্দের এক শতাংশ অর্থও খরচ করতে পারেনি। এগুলো হলো- স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া ১৯টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন হার এখনো ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে। সার্বিকভাবে এডিপির বাস্তবায়ন হার দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ২২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়ন হয়েছিল ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
গুরুত্ব পাচ্ছে বিদ্যুৎ-সড়ক
সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১৫ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ২০ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা পাচ্ছে শিক্ষা বিভাগ। স্বাস্থ্য খাতে ৮ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। ৩২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগে। পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৪৮ হাজার ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়নে ১৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
রেকর্ড পরিমাণে ব্যয় কমানো প্রসঙ্গে পরিকল্পনা সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, প্রকল্পে টাকার চাহিদা কম। অনেক প্রকল্পে টাকা খরচ হয়নি। আমরা সব কিছু রিভিশন করছি। আমাদের কাছ থেকে বরাদ্দ কম বা বেশি দেওয়ার বিষয় না। যাদের প্রকল্প তাদের থেকে উদ্যোগ নেওয়া। যাদের প্রকল্প তারাই খরচ করতে পারেনি। এ কারণেই মূলত বরাদ্দ কমছে।