ধর্ম ও জীবন
ইজতেমায় ৭২ দেশের বিদেশি মেহমান এসেছেন ২১৫০
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এখন পর্যন্ত ৭২টি দেশের ২ হাজার ১৫০ জন বিদেশি মেহমান এসেছেন ইজতেমা ময়দানে। তারা নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করে দেশ-বিদেশের আলেমদের বয়ান শুনছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুরায়ি নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি বলেন, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ৭২টি দেশের ২ হাজার ১৫০ জন মুসুল্লি ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করেছেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়া উল হক সাহেব। সকাল পৌনে ১০টায় খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হবে। তালিমের আগে মোজাকেরা (আলোচনা) করবেন ভারতের মাওলানা জামাল সাহেব। শিক্ষকদের বয়ানের মিম্বারে বয়ান করবেন মাওলানা ফারাহিম, ছাত্রদের সঙ্গে নামাজের মিম্বারে বয়ান করবেন আলিগড়ের প্রফেসর আব্দুল মান্নান সাহেব, খাওয়াছদের (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ) মাঝে টিনশেড মসজিদে বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আকবর শরিফ সাহেব।
উল্লেখ্য, তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। বাংলাদেশ তাবলিগ জামাত শুরায়ে নেজামের অধীনে আগামী ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব-ইজতেমার প্রথম ধাপ। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে। ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের নিকট ময়দান বুঝিয়ে দেবেন সাদ অনুসারীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
ইসলামের দৃষ্টিতে শুভ-অশুভ সময়
সময় বা যুগকে গালি দেওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী বিশেষ সময়, মাস বা দিনকে অশুভ বা অলক্ষুণে মনে করার কোনো সুযোগ নেই। এটা অনেক সময় শিরকও গণ্য হতে পারে যদি সময়কে ক্ষমতাবান বা ভালো-মন্দের মালিক মনে করে গালি দেওয়া হয়। সময় ভালো-মন্দ বা শুভ-অশুভের মালিক নয়। আল্লাহ তাআলার আদেশ ছাড়া কারও কোনো লাভ বা ক্ষতির ক্ষমতা সময়ের নেই।
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন,
قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِيْنِيْ ابْنُ آدَمَ، يَسُبُّ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ بِيَدِيْ الْأَمْرُ أُقَلِّبُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ
আল্লাহ তাআলা বলেন, মানুষ আমাকে কষ্ট দেয়। তারা যুগকে গালি দেয়। অথচ আমিই যুগ নিয়ন্ত্রক। সব বিষয়ের নিয়ন্ত্রণ আমার হাতেই। আমার আদেশেই রাত-দিন সংঘটিত হয়। (সহিহ বুখারি: ৪৮২৬)
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
لاَ يَسُبُّ أَحَدُكُمُ الدَّهْرَ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ الدَّهْرُ
তোমাদের সময়কে গালি দিও না। কারণ, আল্লাহ তাআলাই সময়ের নিয়ন্ত্রক। (সহিহ মুসলিম: ৫৮২৭)
ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগে কাফেররা সময়কে ক্ষমতাবান মনে করতো। কল্যাণ ও ধ্বংসের স্রষ্টা মনে করতো। তাদের এ ধারণা বা বিশ্বাস অজ্ঞতাপ্রসূত ও ভ্রান্ত হিসেবে বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَالُوْا مَا هِيَ إِلاَّ حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوْتُ وَنَحْيَى وَمَا يُهْلِكُنَا إِلاَّ الدَّهْرُ وَمَا لَهُمْ بِذَلِكَ مِنْ عِلْمٍ إِنْ هُمْ إِلاَّ يَظُنُّوْنَ
তারা (মুশরিকরা) বলে, একমাত্র পার্থিব জীবনই আমাদের জীবন। এখানে আমরা মরি ও বাঁচি এবং একমাত্র সময়ই আমাদের ধ্বংস সাধন করে। মূলত এ ব্যাপারে তাদের নিশ্চিত কোন জ্ঞানই নেই। তারা তো শুধু মনগড়া কথা বলে। (সুরা জাসিয়াহ: ২৪)
কোনো নির্দিষ্ট দিন বা সময়কে অলক্ষুণে বা অশুভ মনে করাকে হাদিসে শিরক বলা হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
الطِّيَرَةُ شِرْكٌ الطِّيَرَةُ شِرْكٌ ثَلاَثًا وَمَا مِنَّا إِلاَّ وَلَكِنَّ اللهَ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّلِ
কোনো কিছুকে অলুক্ষুণে মনে করা শিরক। কোনো কিছুকে অশুভ মনে করা শিরক, কোনো কিছুকে কুলক্ষণ মনে করা শিরক। আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার মনে কুধারণা জন্মে না, তবে আল্লাহ ওপর ভরসার মাধ্যমে আল্লাহ তা দূর করে দেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৯১২)
ইমরান ইবনে হোসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَطَيَّرَ وَلا تُطُيِّرَ لَهُ وَلا تَكَهَّنَ وَلا تُكُهِّنَ لَهُ أََوْ سَحَرَ أَوْ سُحِرَ لَهُ
সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে ব্যক্তি (কোন বস্তু, ব্যক্তি, কাজ বা কালকে) অশুভ বলে মানে অথবা যার জন্য অশুভ লক্ষণ পরীক্ষা করে দেখা হয়, যে ব্যক্তি ভাগ্য গণনা করে অথবা যার জন্য ভাগ্য গণনা করা হয়। যে ব্যক্তি জাদু করে অথবা যার নির্দেশে জাদু করা হয়। (তাবরানি: ১৪৭৭০)
তাই সময়কে শুভ-অশুভ মনে করা যাবে না। সময়কে ক্ষমতাবান মনে করা যাবে না এবং গালি দেওয়া বা মন্দ বলা যাবে না। সময় আল্লাহ তাআলার নেয়ামত হিসেবে আমাদের জীবনে আসে। আমরা এ নেয়ামতের সদ্ব্যবহার করে, কল্যাণকর কাজ করে সময়কে কল্যাণকর করে তুলতে পারি। তা না করে আমরা যদি সময়ের অপচয় করি, অকল্যাণকর কাজে লাগাই ওই সময়টুকু আমাদের কাজের কারণেই অশুভ ও অকল্যাণকর হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু, জনসমুদ্র তুরাগ তীরে
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে জড়ো হয়েছেন লাখো মুসল্লি। শুক্রবার এসব মুসল্লি এক সঙ্গে জুমার নামাজ পড়বেন। বৃহত্তম এই নামাজ পড়াবেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিব উল্ল্যাহ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে এবারের টঙ্গীর ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বয়ানের তরজমা করেছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করছেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। সকাল ১০টায় বিভিন্ন খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হবে। আর দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। এ নামাজ পড়াবেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।
এদিকে, ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিতে তাবলিগের শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা বুধবার থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবারও তারা বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান করে ময়দানে আসেন। এমনকি আজ সকালেও টঙ্গী ও আশপাশের এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ আসছেন। এ উপলক্ষে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব দুই ভাগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপ এবং ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৪১টি জেলা এবং ঢাকার একাংশ অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া, দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ২২টি জেলা এবং ঢাকার বাকি অংশ অংশগ্রহণ করবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
দেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পবিত্র শবেবরাত পালিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আকাশে কোথাও ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৩১ জানুয়ারি (শুক্রবার) পবিত্র রজব মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা করা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আ. ছালাম খান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক রুহুল আমিন, বায়তুল মোকাররম জাতীম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুহাম্মদ মিজানুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা
টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমা। শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আয়োজন। এতে অংশ গ্রহণ করবেন ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শুরায়ী নেজামের তাবলীগের সাথীরা।
প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন খিত্তা ও পয়েন্টের জিম্মাদার মুসল্লিরা এরই মধ্যে ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। যারা ইজতেমা ময়দানে এসেছেন তারা তাদের নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান করছেন।
এবারের ইজতেমা ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে শুরায়ী নেজামের অধীনে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করবে গাজীপুর, টঙ্গী, ধামরাই, গাইবান্ধা, মিরপুর, কাকরাইল, নাটোর, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, দোহার, ডেমরা, কাকরাইল, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নবাবগঞ্জ, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা, শেরপুর, ফরিদপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পিরোজপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, রাজবাড়ী জেলা। এই ধাপে ঢাকার একাংশসহ মোট ৪১টি জেলা অংশগ্রহণ করছে।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, তাবলিগের মেহনত একটি দ্বীনের অন্যতম মেহনত এবং দ্বীনের ধারক-বাহক হচ্ছেন ওলামায়ে কেরাম। ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ভাইয়েরা উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে থেকেই তাবলিগের মেহনত করতে চান। এই সংখ্যাটা এত ব্যাপক যে, টঙ্গী মাঠের ১৬০ একর জায়গায় তাদের অবস্থান করাটা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
মদের বোতলে রাখা পানি পানের ইসলামিক বিধান কী?
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে মদ সম্পূর্ণ হারাম বা নিষিদ্ধ। কোরআনে যেসব বিষয়কে স্পষ্টভাবে হারাম বলা হয়েছে তার মধ্যে মদ অন্যতম। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ বলেছেন, হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজা ও লটারির তীর তো কেবল ঘৃণার বস্তু, শয়তানের কাজ। কাজেই তোমরা সেগুলো বর্জন কর-যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা মায়েদা-৯০)
কোরআনের পাশাপাশি রাসুল (স.) এর অনেক হাদিসেও মদ পান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, প্রত্যেক নেশাদ্রব্যই মদ, আর যাবতীয় মদই হারাম। (মুসলিম ও মেশকাত, হাদিস : ৩৬৩৮); আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, মদ পানকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৩৭৬)
এখন প্রশ্ন হলো, মদ যেহেতু হারাম, তাহলে যে বোতলে মদ রাখা হয়—সেসব বোতলে পানি পান করা কি বৈধ? বিভিন্ন সময় দেখা যায়, বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা অতিথিশালায় মদের বোতলে রাখা পানি পান করতে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় করণীয় কী আমাদের?
এ প্রশ্নের সহজ জবাব হলো, যদি ভালোভাবে মদের বোতল পরিষ্কার করা হয়, এর মধ্যে মদের কোনো চিহ্ন না থাকে, তাহলে এমন পাত্র বা বোতলে রাখা পানি পান করা বৈধ।
ইসলামের প্রথম যুগে মদের ব্যাপারে কোনও বিধান ছিল না। সাহাবীদের অনেকেই মদ পান করতেন। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে মদ হারাম করে ইসলাম। সে সময় মদের পাত্রে রাখা পানি পান করতে নিষেধ করা হয়েছিল। মূলত তিনটি কারণে মদের পাত্রে রাখা পানি পান করতে নিষেধ করা হয়েছিল।
১। সেসব পাত্রে মদের চিহ্ন অবশিষ্ট ছিল।
২। সে সময় সবেমাত্র মদ হারাম করা হয়েছিল। তাই মদের পাত্রে পানি পান করলে মদের কথা স্মরণ হয়ে যেতে পারত। তাই সতর্কতামূলক এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
৩। মদের প্রতি যেন পরিপূর্ণ ঘৃণা সৃষ্টি হয়, সেজন্য তখন মদের পাত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে যখন মদ হারাম হওয়ার বিষয়টি সবার জানা হয়ে যায়, এবং সাহাবিদের মধ্যে মদের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা জন্মে যায়, তখন ওই সব পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে তাতে রাখা পানি পান ইত্যাদি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। (তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম : ৩/৩৫১)
এ প্রসঙ্গে রাসুল (স.) এর একটি হাদিস পাওয়া যায়। হজরত বুরাইদা (রা.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমি তোমাদের কিছু পাত্রের ব্যাপারে (মদ রাখার পাত্র) নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলাম। আসলে পাত্র কোনো কিছুকে হালাল বা হারাম করতে পারে না। তবে প্রতিটি মাদকদ্রব্য হারাম। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর : ৫৩২৬, তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ১৮৬৯)
এই হাদিস থেকে জানা যায়, মদের বোতল বা পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে তাতে পানি রাখলে সে পানি পান করা বৈধ।