রাজনীতি
আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য সহজ নয়: তারেক রহমান
আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য এতো সহজ নয়, জনগণ ম্যাটারস’ এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপির আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।
রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, আমি গত কয়েক মাস ধরে বলছি, সামনের নির্বাচন এতো সহজ নয়, আপনারা যত সহজ ভাবছেন। জনগণ হচ্ছে আমাদের শক্তি, জনগণ হচ্ছে আমাদের সমর্থন, কাজেই আমরা যদি ভুল করি জনগণ আবার কোনো একটা কিছু বুঝিয়ে দেবে তখন কিন্তু পস্তাতে হবে, তখন কিন্তু হা-হুতাশ করতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, এখনো সময় আছে আসুন, আসুন, আসুন, আমরা জনগণের পাশে থাকি, জনগণের সঙ্গে থাকি। যারা এমন কিছু করবে যা আপনাকে-আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা আমার দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, আমরা কে ছোট নেতা, কে গ্রামের নেতা, কে ইউনিয়নের নেতা, কে বড় নেতা, কে বিভাগীয় নেতা, কে কেন্দ্রীয় নেতা বিষয়, এটি নয়। বিষয়টি হচ্ছে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে। আমাদের এমনভাবে দাঁড়াতে হবে, যাতে জনগণ বোঝে আমরা তাদের সঙ্গে আছি, জনগণ যেন বোঝে আমরা তাদের পাশে আছি। জনগণ যেন বোঝে, তারা যেভাবে চায় আমরা সেইভাবেই আছি। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা সেইভাবেই তাদের পাশে আছি।
আজকে রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে এই হোক আমাদের শপথ, এই হোক আজকে আমাদের প্রতিজ্ঞা।
‘সর্ব পর্যায়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত চাই বলে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রের সরকারের প্রতিটি পর্যায়ে যেখানে নির্ধারিত হবে, সেটি জাতীয় সংসদ হোক, সেটি পৌরসভা হোক, সেটি ইউনিয়ন পরিষদ হোক যেটিই হোক না কেন? আমরা যদি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারি তাহলে ধীরে ধীরে আমরা এগোতে সক্ষম হবো। সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকে, প্রতিটি কাজের জন্য। তাহলেই একমাত্র জনগণের ক্ষোভ, দুর্দশা লাঘব করা সম্ভব হবে। জনগণের কথা, জনগণের ইচ্ছা, জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে সরকারের কাজের মাধ্যমে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন কেন চাইছি আমরা। একটি নির্বাচিত সরকার ছাড়া ম্যান্ডেড পাওয়া যায় না। সংস্কার করতে হলেও পার্লামেন্ট লাগবে। নির্বাচন যত দ্রুত হবে দেশের সংকট তত দ্রুত কাটবে। রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। সংস্কারতো শুরু করেছিলাম আমরা আরও দুই বছর আগে। আমরা গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে ৩১ দফা দিয়েছে। এখানে সব কিছু রয়েছে।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম এখন এমনভাবে বাড়ছে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। অন্তর্রর্তী সরকারকে বলবো দয়া করে ওদিকে নজর দিন। দয়া করে সুশাসনের দিকে নজর দিন। এখন সরকারি যে আমলা কর্মকর্তা রয়েছে তাদের মধ্যে দুর্নীতি শুরু হয়ে গেছে দয়া করে ওদিকে নজর দিন। যাতে সুশাসন দিতে পারে সেদিকে নজর দিন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। নির্মম ইতিহাস তাদের নেতার (শেখ মুজিব) ছবি মূর্তি যেখানে ছিল বাংলাদেশের মানুষ তা মুছে ফেলেছে। আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম সবার সামনে ভেসে আসছে। কেন, কারণ হচ্ছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে চলে গিয়েছে। আমরা সব সময় বলি তাকে যতই মুছে দিতে চাও পারবে না, কারণ তার নাম মানুষের অন্তরে রয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কবি আবদুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
শুধুমাত্র স্লোগান দিয়ে সামনের যুদ্ধ জয় করা যাবে না: ফখরুল
শুধুমাত্র স্লোগান দিয়ে সামনের যুদ্ধ জয় করা যাবে না। সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এখন কিন্তু মেধা এবং বুদ্ধির প্রতিযোগিতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কেমন লিখতে পারেন, কে কেমন কথা বলতে পারেন, তার প্রতিযোগিতা চলছে। এ বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) গুলশান কার্যালয়ে দলের ‘প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ফখরুল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সত্যিকার অর্থে একটা রাজনৈতিক দল তৈরি করতে হবে। আমাদের কিন্তু এখন সত্যিকার অর্থেই আদর্শ রাজনৈতিক দলে পরিণত হতে হবে। ভবিষ্যতে নতুন সদস্য নেয়ার ক্ষেত্রে ভালো মানুষ এবং মেধার মানুষ দেখে দলে নিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
দলীয় নেতাকর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, আমাদের আসলে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে খুব বেশি। আমাদের নেতাকর্মীরা আমরা কেন জানি না রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। গতকালই প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিবস পালন হলো। এখানে দলের যে নেতাকর্মীরা আসে স্লোগান নিয়ে, একটা পতাকা নিয়ে আসে। সাধারণত ভাইদের পেছনে আসে, এসে সে ভাইদের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। তারপরে স্লোগান দেয় পূর্ব-পশ্চিম। এটা রাজনীতি না। কোন রাজনৈতিক কর্মীর মুখ থেকে এ ধরনের স্লোগান আসা উচিত নয়। এ জায়গাটাতে আমাদের চরম দৈন্য আছে। এখান থেকে আমাদের বের হয়ে আসা উচিত। এখন কমপালসরি করতে হবে প্রত্যেকটি জেলাতে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ জরুরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সামনে যখন আমরা দলে রিক্রুট করব তখন যেন ভালো ও মেধাবী মানুষদের সদস্য করি। দল যেন সামনে আরও শক্তিশালী হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন, পদ পেলেন যারা
সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ২০২৫ সেশনের জন্য ৪৬ সদস্যের কার্যকরী পরিষদ গঠন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে ১৪ জনকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে তিনি কার্যকরী পরিষদের পরামর্শক্রমে ২৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট গঠন করেন।
এতে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি সিবগাতুল্লাহ। আর আর কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঢাবি শিবিরের আলোচিত সদ্য সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম।
কেন্দ্রীয় সম্পাদকীয় অন্য পদগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক পদে আজিজুর রহমান আজাদ, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জি. নাজমুস সোয়াদ রফি, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু. মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, সাহিত্য সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ নাঈম, অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল হক মিছবাহ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, দাওয়াহ সম্পাদক হাফেজ মো. মিছবাহুল করিম, বিজ্ঞান সম্পাদক ডা. উসামাহ রাইয়ান, ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূইয়া, ছাত্রকল্যাণ ও সমাজসেবা সম্পাদক হাফেজ ডা. রেজওয়ানুল হক, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবু মুসা, স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মো. নোমান হোসেন নয়ন, শিক্ষা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমেন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, কলেজ কার্যক্রম ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম, এইচআরডি সম্পাদক শরীফ মাহমুদ, বিতর্ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি, মাদরাসা কার্যক্রম সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, গবেষণা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া, পাঠাগার সম্পাদক মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, তথ্য সম্পাদক আবু সায়েদ সুমন, মানবাধিকার সম্পাদক মো. সিফাত উল আলম, আইন সম্পাদক আরমান হোসেন এবং কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক পদে ইঞ্জি. এস এম তানভীর উদ্দীন নির্বাচিত হয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে লুৎফুজ্জামান বাবর
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানান তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. হায়দার।
তিনি জানান, রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবর। পরে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।
১৬ জানুয়ারি লুৎফুজ্জামান বাবর কারামুক্ত হন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ওই দিন তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পান।
২০০৭ সালের ২৮ মে গ্রেফতার হয়েছিলেন বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় এবং একটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর।
এর মধ্যে ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি। ২১ আগস্টের মামলায়ও বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারক আদালত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
৪ জেলা সফরে যাচ্ছেন জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ৪ জেলা সফরে যাচ্ছেন। বরিশাল, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলনে তিনি যোগদান করবেন।
আমিরে জামায়াতের সফরসূচি: ২১ জানুয়ারি বরিশাল মহানগরী ও জেলার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন, ২৪ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন, ২৫ জানুয়ারি দিনাজপুর জেলার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন এবং ৩০ জানুয়ারি জয়পুরহাট জেলার উদ্যোগে সম্মেলন।
এর আগে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী জেলা ও মহানগর আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ডা. শফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জামায়াতের আমির বলেন, আমাদের সন্তানরা এখনো স্লোগান দিচ্ছে, আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। তাই চাঁদাবাজ, ঘুষ বাণিজ্যকারী, মামলা বাণিজ্যকারী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।
আমাদের এ লড়াই চলবে ইনশাআল্লাহ। যতদিন না ইনসাফ এ জমিনে কায়েম না হয় ততদিন। আর ইনসাফ কায়েমের নিশ্চয়তা একমাত্র আল কোরআন দিতে পারে, আর কিছুই দিতে পারে না। এ কোরআনের শাসন সব ধর্মের, সব দলের, সব বর্ণের মানুষের জন্য একমাত্র ইজ্জতের নিশ্চয়তা।
কোরআনের শাসন কায়েমের মধ্য দিয়ে একটি মানবিক বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই, দুর্নীতি এবং দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। অন্য ধর্মের ভাইদের আমরা ভাই হিসেবে দেখি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচন যত দ্রুত হবে দেশের সংকট তত দ্রুত কাটবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কেন চাইছি আমরা? একটি নির্বাচিত সরকার ছাড়া ম্যান্ডেট পাওয়া যায় না। সংস্কার করতে হলেও পার্লামেন্ট লাগবে। নির্বাচন যত দ্রুত হবে দেশের সংকট তত দ্রুত কাটবে। রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার শুরু করেছিলাম আমরা, আরও দুই বছর আগে। আমরা গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে ৩১ দফা দিয়েছি। এখানে সব কিছু রয়েছে।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম এখন এমনভাবে বাড়ছে, মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো দয়া করে ওদিকে নজর দিন। দয়া করে সুশাসনের দিকে নজর দিন। এখন সরকারি যে আমলা-কর্মকর্তা রয়েছে, তাদের মধ্যে দুর্নীতি শুরু হয়ে গেছে। দয়া করে ওদিকে নজর দিন। যাতে সুশাসন দিতে পারে সেদিকে নজর দিন।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। নির্মম ইতিহাস তাদের নেতার (শেখ মুজিব) ছবি মূর্তি যেখানে ছিল, বাংলাদেশের মানুষ তা মুছে ফেলেছে। আর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম সবার সামনে ভেসে আসছে। কারণ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে চলে গিয়েছেন। আমরা সব সময় বলি তাকে যতই মুছে দিতে চাও পারবে না। কারণ তার নাম মানুষের অন্তরে রয়েছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষের কাছে যেতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় যেন সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে। আমরা যেন আমাদের রাজনীতি দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারি।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আব্দুল হাই সিকদার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কাফি