ধর্ম ও জীবন
পথহারা ব্যক্তিকে পথের সন্ধান দেওয়ার সওয়াব
পথ হরিয়ে ফেলা ব্যক্তিকে পথের সন্ধান দেওয়া মানুষের জন্য উপকারী ও মহৎ কাজ। নবিজি (সা.) এ কাজটিকে সদকা বলেছেন। এ ছাড়াও মানুষের উপকারে আসে এ রকম অনেক কাজকেই সদকা গণ্য করেছেন। আবু জর গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমার ভাইয়ের সাথে হাসি মুখে দেখা করা সদক, নেক কাজের নির্দেশ ও খারাপ কাজ থেকে নিষেধ করা সদকা, পথহারা প্রান্তরে কোনো মানুষকে পথ বলে দেওয়া, কোনো অন্ধ বা দুর্বল দৃষ্টিশক্তির মানুষকে সাহায্য করা সদকা, পথের কাঁটা বা হাড় সরিয়ে দেয়া, নিজের বালতি থেকে অন্য কোন ভাইয়ের বালতিতে পানি দিয়ে ভরে দেয়াও সদকা। (সুনানে তিরমিজি)
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, শরীরের প্রতিটি জোড়ার ওপর প্রতিদিন একটি করে সাদকা রয়েছে। কোনো ব্যক্তিকে তার সওয়ারির ওপর উঠতে সাহায্য করা, অথবা তার মাল-সরঞ্জাম তুলে দেওয়া সাদকা। উত্তম কথা বলা ও নামাজের উদ্দেশ্যে প্রতিটি পদক্ষেপ সদকা। পথিককে রাস্তা বলে দেওয়াও সদকা। (সহিহ বুখারি)
এ কাজগুলো করতে অনেক বেশি পরিশ্রম হয় না। অর্থকড়িও ব্যয় হয় না। শুধু সদিচ্ছা থাকলেই এভাবে মানুষের উপকার করে সদকার সওয়াব অর্জন করা যায়। যারা ভাবেন অর্থনৈতিক সামর্থ্যের অভাবে বেশি সদকা করতে পারছেন না, সম্পদশালীদের চেয়ে সওয়াবে পিছিয়ে থাকছেন, তারা এভাবে সদকার সওয়াব অর্জন করতে পারেন। আবু জর (রা.) বলেন, আমি একদিন আল্লাহর রাসুলকে (সা.) বললাম, সম্পদশালীরা তো সওয়াবের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা নামাজ পড়ে, রোজা রাখে এবং হজ পালন করে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, তোমরাও তো নামাজ পড়ো, রোজা রাখো এবং হজ পালন করো। আমি বললাম, তারা দান-সদকা করে, কিন্তু আমরা দান করতে পারি না।
নবিজি (সা.) বললেন, তোমার জন্যও সদকার ব্যবস্থা আছে। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো সদকা, পথহারা ব্যক্তিকে পথ দেখানো সদকা, দুর্বল ব্যক্তিকে তোমার শক্তি দিয়ে সাহায্য করা সদকা এবং বোবা বা বাকশক্তিহীন ব্যক্তির কথা অন্যদের কাছে স্পষ্ট করে বোঝানোও সদকা। (মুসনাদে আহমদ)
পথহারাকে পথ দেখানোসহ যে কোনো ভাবে যে ব্যক্তি অন্যকে সাহায্য করে, আল্লাহ তাআলা তাকে সাহায্য করেন। অন্যের বিপদে সাহায্য করলে আল্লাহ তাআলা বিপদ দূর করে দেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো ঈমানদারের দুনিয়া থেকে কোন বিপদ দূর করে দেবে, আল্লাহ তা’আলা বিচার দিবসে তার কোনো বিপদ দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোন দুঃস্থ লোকের অভাব দূর করবে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুরবস্থা দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাই এর সহযোগিতায় আত্মনিয়োগ করে আল্লাহ ততক্ষণ তার সহযোগিতা করতে থাকেন। (সহিহ মুসলিম)
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে নবিজি (সা.) বিপদে-আপদে কারো পাশে দাঁড়ানো, কোনো অভাবগ্রস্তের প্রয়োজন পূরণ করাকে মসজিদে নববিতে এক মাস ইতিকাফের করার চেয়েও উত্তম বলেছেন। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় সেই ব্যক্তি যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়তম আমল হলো, একজন মুসলমানের হৃদয় আনন্দে পরিপূর্ণ করা অথবা তার কোনো কষ্ট দূর করে দেওয়া। তার পক্ষ থেকে তার ঋণ আদায় করে দেওয়া অথবা তার ক্ষুধা দূর করে দেওয়া। এই মসজিদে এক মাস ইতিকাফ করার চাইতে কোনো মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করা আমার কাছে বেশি পছন্দের। (তাবরানি)
ধর্ম ও জীবন
পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও মুক্তি লাভে যে দোয়া পড়বেন
ব্যক্তিগত, পারিবারিক কিংবা অফিস-ব্যবসার কাজে অনেকেই ঋণ নিয়ে থাকেন। তবে সময়মতো ঋণ পরিশোধ না করতে পারলে চরম দুশ্চিন্তায় ভোগেন ঋণগ্রহীতা। আবার ঋণের সঙ্গে একবার জড়িয়ে পড়লে সহজেই এর থেকে মুক্তি পাওয়াও দায়।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে উত্তমরূপে ঋণ পরিশোধ করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৩৯০) এ ক্ষেত্রে কেউ যেন গড়িমসি না করে সে বিষয়েও তাগিদ দিয়েছেন নবীজি (সা.)। তবে কেউ যদি একান্তই কোনোভাবে ঋণ পরিশোধ করতে না পারেন, তবে সে ক্ষেত্রে ঋণমুক্তির জন্য দোয়াও শিখিয়ে দিয়েছেন বিশ্বনবী (সা.)।
এমনকি খোদ নবীজিও (সা.) ঋণের বোঝা থেকে আশ্রয় চেয়ে দোয়া করতেন। আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন- হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুশ্চিন্তা, পেরেশানি, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণের বোঝা ও লোকজনের আধিপত্য থেকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯২৯)
এ ক্ষেত্রে কারও যদি পাহাড় সমপরিমাণও ঋণ থাকে তবে বিশেষ একটি দোয়া রয়েছে, যার মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিন ওই ব্যক্তির ঋণমুক্তির পথ সহজ করে দেন। আলী (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, একবার জনৈক মুকাতিব (বিনিময়মূল্যের ভিত্তিতে মালিকের সঙ্গে মুক্তির চুক্তি করা) গোলাম আলী রা. এর কাছে এসে বলল- আমি আমার চুক্তি অনুসারে বিনিময়মূল্য দিতে অপারগ হয়ে পড়েছি। আপনি আমাকে কিছু সাহায্য করুন। জবাবে আলী রা. বললেন- আমি কি তোমাকে এমন কিছু কালিমা শিখিয়ে দেব যেগুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে শিখিয়েছিলেন? তোমার জিম্মায় যদি ছবীর পাহাড় (তায় কাবীলায় অবস্থিত আরবের একটি বড় পাহাড়) ঋণও থাকে, তবে এতে আল্লাহ তা’য়ালা তাও আদায় করে দেবেন। এরপর আলী রা. কালিমাটি শিখিয়ে দিয়ে বললেন- তুমি বলবে-
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
বাংলা: আল্লাহুম্মাক-ফিনি বি-হালালিকা, আন-হারামিকা, ওয়াগনিনি বিফাদলিকা আম্মান-সিওয়াকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! হারাম থেকে মুক্ত রেখে তোমার প্রদত্ত হালাল বস্তুই আমার জন্য যথেষ্ট করে দাও। তোমার অনুগ্রহে তুমি ছাড়া অন্য সবকিছু থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দাও। (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৬৩)
কাফি
ধর্ম ও জীবন
রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানা গেলো
আর মাত্র চার মাস বাদেই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। আগামী বছর ২০২৬ সালে কবে রমজান শুরু হবে সেটির সম্ভাব্য তারিখও ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা।
আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটির সভাপতি ইব্রাহিম আল-জারওয়ান জানিয়ে দিয়েছেন ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখও।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়াকে এ জ্যোতির্বিদ জানিয়েছেন, ২০২৬-এর ১৯ ফেব্রুয়ারি রমজান শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ১৪৪৭ হিজরি সনের রমজানের চাঁদ আকাশে উঠবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ওইদিন সূর্যাস্তের মাত্র ১ মিনিট পরই চাঁদটি অস্ত যাবে। ফলে এটি খালি চোখে আর দেখা যাবে না। তাই ১৮ ফেব্রুয়ারি রমজান শুরু না হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি হবে।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, আরবে ঈদুল ফিতর হবে ২০ মার্চ শুক্রবার।
ইব্রাহিম আল-জারওয়ান বলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রমজানের প্রথমদিন হবে। ২০ মার্চ (শুক্রবার) হবে শাওয়াল মাসের প্রথমদিন এবং ঈদুল ফিতর।
আগামী বছর মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশ— সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং কুয়েতে রমজানের শুরুর কয়েকদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে। রমজান যত শেষের দিকে যাবে এই সময় তত বাড়বে। পর্যায়ক্রমে এটি বাড়তে বাড়তে ১৩ ঘণ্টা হবে।
আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসবে সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি। যদিও সৌদির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা তাদের নিজস্ব উম আল-কুরা কেলেন্ডার অনুযায়ী রমজান ও ঈদের ঘোষণা দিয়ে থাকে।
যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পর বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ শুরু হয়, তাই বাংলাদেশে ২০ ফেব্রুয়ারি রমজানের প্রথমদিন এবং ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধর্ম ও জীবন
বাংলাদেশ ব্যাংকে সীরাত মাহফিল, প্রধান আলোচক আহমাদুল্লাহ
আগামী মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংকে সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেবেন আস্ সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী।
রোববার (১২ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আনিচুর রহমান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন।
আয়োজকের পক্ষ থেকে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আগ্রহীদের অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ধর্ম ও জীবন
মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট দিয়ে করা যাবে হজযাত্রী নিবন্ধন
এবার হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধনের সুবিধার্থে পাসপোর্টের মেয়াদ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এখন থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট দিয়েও হজযাত্রী নিবন্ধন করা যাবে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি জরুরি পত্র জারি করা হয়েছে।
পত্রে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সনের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ সাময়িকভাবে শিথিল করা হয়েছে। তবে এই সুযোগ গ্রহণকারী হজযাত্রী বা হজ এজেন্সিগুলোকে অবশ্যই একটি শর্ত পূরণ করতে হবে।
ভিসা ইস্যুর জন্য পিআইডি (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন) নির্ধারণ করার সময় মেয়াদ সম্বলিত বা হালনাগাদ পাসপোর্ট সিস্টেমে আপডেট করতে হবে। যদি মেয়াদ সম্বলিত পাসপোর্ট সিস্টেমে হালনাগাদ করা না হয়, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু হবে না।
সৌদি সরকার ঘোষিত হজের রোডম্যাপ অনুসারে, আসন্ন ২০২৬ সালের হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ১২ অক্টোবর।
হজযাত্রীদের সুবিধার্থে মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত নিবন্ধনে গতি আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ধর্ম ও জীবন
রোজা শুরু হতে বাকি আর কত দিন, জানা গেল সম্ভাব্য তারিখ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী বছর রমজান মাস শুরু হতে পারে ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী এখন রমজান শুরু হতে বাকি রয়েছে ১৩৯ দিন।
আমিরাত জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানান, রমজান শুরুর নতুন চাঁদ জন্ম নেবে ইউএই সময় মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, বিকেল ৪টা ১ মিনিটে। তবে ওই দিন সূর্যাস্তের মাত্র এক মিনিট পরই চাঁদ অস্ত যাবে, ফলে সেদিন তা দেখা সম্ভব নয়। সে কারণে রোজা শুরু হওয়ার সম্ভাব্য দিন বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি—যা চাঁদ দেখা কমিটির চূড়ান্ত ঘোষণার ওপর নির্ভর করবে।
আল জারওয়ান বলেন, আবুধাবিতে রমজানের শুরুতে দৈনিক রোজার সময় হবে প্রায় ১২ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট, যা মাস শেষে বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে। এ সময়ে দিনের আলোর দৈর্ঘ্যও ১১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট থেকে বেড়ে ১২ ঘণ্টা ১২ মিনিটে পৌঁছাবে।
তিনি আরও জানান, রমজানের শুরুতে আবুধাবিতে তাপমাত্রা থাকবে ১৬-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মাস শেষে বেড়ে ১৯ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে। শুরুতে উত্তর দিকের শীতল বাতাসের প্রভাব থাকলেও মাসের শেষ দিকে বসন্তকালীন আবহাওয়া ও পশ্চিমা বাতাস প্রবল হবে।
আল জারওয়ান সতর্ক করে বলেন, রমজানজুড়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমি গড় হিসাব অনুযায়ী এ সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫ মিলিমিটারেরও বেশি হতে পারে। সূত্র : গালফ নিউজ




