অর্থনীতি
প্রভাবশালীদের জব্দ করা ব্যাংক হিসাবে ১৫ হাজার কোটি টাকা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার পতনের পর বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ৬ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। এসব অ্যাকাউন্টে জমা আছে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
এ তালিকায় রয়েছেন আলোচিত এস আলম গ্রুপের মালিক, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, এমপি, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় তাদের অনেকের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়েছে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থাটি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬টি ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দেশে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। এর বাইরে ১১২ ঘটনায় ৩৬৬ ব্যক্তি ও ২০০ প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বিএফআইইউ অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (তলব) করেছে। অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্যসহ প্রায় ২৫০টি তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে সিআইডি এবং দুদকে। পর্যায়ক্রমে এসব সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে জানায় বিএফআইইউ সূত্র।
আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত ২০ ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচার, ঋণ জালিয়াতি, সরকারি তহবিল তছরুপসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামভিত্তিক আলোচিত এস আলম গ্রুপ এবং সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পরিবারের তদন্ত রিপোর্ট সিআইডি এবং দুদকে পাঠানো হয়েছে। বেক্সিমকো গ্রুপের তদন্ত রিপোর্ট পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করেছে বিএফআইইউ। এছাড়া সামিট, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, সিকদার, নাসা, নাবিলসহ আরও ১৭টি ব্যবসায়ী গ্রুপের বিষয়ে চলছে তদন্ত। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিগগির এসব রিপোর্ট সিআইডি ও দুদকে পাঠানো হবে।
যাদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদ, তার ৬ ভাইসহ পরিবারের ১৩ জন এবং তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আকিজ উদ্দীন, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও পুত্রবধূ শাজরেহ রহমান।
এছাড়া আছেন- সামিট গ্রুপের মোহাম্মদ আজিজ খান, সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানসহ তাদের পরিবারের ১১ সদস্য, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের ৮ সদস্য, ওরিয়ন গ্রুপের ওবায়দুল করিম পরিবারের ৬ জন, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ও তার স্ত্রী, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা সাহিদ এবং ছেলে রাহীব সাফওয়ান সরাফাত চৌধুরী, নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলামের পরিবারের ৬ জন, নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার স্ত্রী, প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের পরিবারে ১৪ জন।
হিবাস জব্দ করা হয়েছে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই), সিআরআই-ইয়ং বাংলা প্রজেক্ট এবং সাবেক মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর পরিবারের ৭ জন, চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের পরিবারের ৯ জন, শেখ ফজলুল করিম সেলিমের পরিবারের ৫ জন এবং শেখ হেলাল উদ্দিন, তার স্ত্রী রূপা চৌধুরী ও ছেলে শেখ তন্ময়ের। এছাড়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের পরিবারের ৪ জন এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (বরখাস্তকৃত) জিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রী।
ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ইউসিবির সাবেক চেয়ারম্যান রুখমিলা জামানের। এছাড়াও রয়েছেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ডা. এইচ বি এম ইকবাল, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আদনান ইমাম ও সিএফও মো. জাফর ইকবাল হাওলাদার, এসবিএসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন, ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজনিন আকতার, বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম পরিবারের ৮ জন এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলাম ও তার সংশ্লিষ্ট ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের।
রাজনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পরিবারের ৫ জন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের ২ জন, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পরিবারের ৪ জন, নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের পরিবারের ৪ জন, তার ভাই এ কে এম সেলিম ওসমানের পরিবারের ৫ জন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়া, মাহবুবউল-আলম হানিফ ও তার স্ত্রী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত আলী সিকদারের পরিবারের তিনজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
টাকা ছাপিয়ে দুই ব্যাংককে আরও ২৫শ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লুট করেছিল। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), আর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর জামাই বেলাল আহমেদ। সরকার পতনের পর ব্যাংক দুটির আমানতকারীরা টাকা তুলতে সমস্যায় পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে এ দুই ব্যাংককে আবারও টাকা ধার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার দেওয়া হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা। নতুন টাকা ছাপিয়েই তা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই অনুমোদন দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, ‘দুই ব্যাংক তারল্য সমস্যায় ছিল। বেশ কিছুদিন আগে আবেদন করেছিল। বৃহস্পতিবার তাদের আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে ব্যাংক দুটি আড়াই হাজার কোটি টাকা ধার পাবে।’ কত দিন এভাবে টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দেওয়া হবে, এর কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব অবশ্য মুখপাত্র দিতে পারেননি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে দেড় হাজার কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকার তারল্য–সহায়তা দেওয়া হবে। নতুন এই আড়াই হাজার কোটি টাকাসহ বর্তমান গভর্নরের আমলে এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে এভাবে দেওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৯ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এসআইবিএলকে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া টাকা ছাপিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংককে ৫ হাজার কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামী ব্যাংককে ১০ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংককে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এবি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের শেষ দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ঋণসংক্রান্ত জালিয়াতির খবর প্রকাশিত হলে গ্রাহকেরা সতর্ক হয়ে পড়েন। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে এসব ব্যাংককে ধার দেওয়া শুরু করে, তবে ঋণ দেওয়া বন্ধ করেনি। সরকার পতনের পর ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় ও ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়। এরপর টাকা ধার দেওয়া শুরু হয়। এখন ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি কীভাবে উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ঈদের কারণে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকা তোলার চাপ বেড়ে গেছে। এ জন্য অনেকটা বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হচ্ছে। নাহলে এক ব্যাংকের কারণে অন্য ব্যাংকগুলোতে টাকা তোলার চাপ শুরু হবে। এমন পরিস্থিতিতে অন্য কোনো করণীয় নেই। তবে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে, এই টাকা কোনোভাবেই আমানতকারীদের দেওয়া ছাড়া অন্যত্র ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নতুন চারটি বিভাগ খুললো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগসহ প্রধান কার্যালয়ে নতুন চারটি বিভাগ খুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নতুন বিভাগ গঠনের উদ্দেশ্য ব্যাংক পরিদর্শন ও পরিপালন সংক্রান্ত কার্যক্রম অধিকতর গতিশীলকরণ; ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগসমূহের আওতাধীন ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় ও তাদের শাখাসমূহের পরিদর্শন পরবর্তী পরিপালন সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পাদন করা। এছাড়া মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে সম্পাদন এবং ইসলামী ব্যাংকিং সংক্রান্ত প্রবিধি ও নীতি প্রণয়নসহ এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডসমূহ বাস্তবায়ন।
নতুন খোলা অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৯, পরিদর্শন পরিপালন বিভাগ, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগ এবং ইসলামী ব্যাংকিং রেগুলেশন্স অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়গুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠিত আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেখভাল করতো। তবে আগস্ট পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিএফআইইউয়ের কাজের পরিমাণ এখন বেড়ে গেছে। আর এ কারণে নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৫ হাজার

তিন মাসে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বেড়েছে চার হাজার ৯৫৪টি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। পরে ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ডিসেম্বর-ভিত্তিক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে গ্রাহকের মোট হিসাব বা অ্যাকাউন্ট ছিল ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি। এসব হিসাবে মোট আমানতের স্থিতি ছিল ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা।
এর আগে সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৫টি। এসব হিসাবে জমা ছিল ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। তিন মাসে ব্যাংক খাতের হিসাব বেড়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৭টি। আর আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, ডিসেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি হলেও তা সমসংখ্যক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
তিনি বলেন, আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাব থাকতে পারে। পাশাপাশি অনেক সরকারি সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংক থেকে টাকা তোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাসহ দলীয় ব্যবসায়ীদের অনেকে দেশ ছাড়েন। অতি কড়াকড়ির কারণে বিদেশে টাকা পাচার কমে যায়।
এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে এ সময় ধাপে ধাপে ব্যাংকের সুদ হার বাড়ানো হয়। এ সময়ে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ব্যাংক হিসাবে টাকার পরিমাণও বাড়তে থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফল আমদানিতে উৎসে কর কমলো

আপেল, আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে বুধবার (১২ মার্চ) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এনবিআর। অবিলম্বে তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেসব তাজা ফল আমদানিতে অগ্রিম কর কমানো হলো, সেগুলো হলো— তাজা বা শুকনা কমলালেবু, তাজা বা শুকনা লেবু জাতীয় ফল, তাজা বা শুকনা আঙুর ফল, তাজা বা শুকনা লেবু, তাজা বা শুকনা আঙ্গুর, তাজা আপেল ও নাশপাতি।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। ফলে বাজারে আমদানি করা বিদেশি ফলের দাম বেড়ে যায়।
বর্তমানে ফল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ আগাম কর আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোটামুটি যত ধরনের শুল্ককর আছে, সবই বসে ফলের ওপর। সব মিলিয়ে এত দিন শুল্ক-করভার ১৩৬ শতাংশ। ১০০ টাকা ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা কর দিতে হতো। অগ্রিম কর কমানোয় এখন করভার কিছুটা কমবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেক্সিমকোর ২৯ হাজার শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ

এখন পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেডের ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লি: কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এই প্র