রাজনীতি
লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে এবং নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যেতে পারেন তিনি। ওইদিন দিনের বেলায় কোনো এক ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করতে পারেন তিনি। বেগম জিয়ার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ও মেডিক্যাল বোর্ডের কয়েকজন শীর্ষ চিকিৎসক যাবেন।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যেতে পারেন। চূড়ান্ত না হলেও এ ধরনের একটি চিন্তাভাবনা আমাদের রয়েছে।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার লিভার প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। এছাড়া ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন গত ২৯ অক্টোবর সাংবাদিকদের জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে অন্য একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হবে। সে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত আগস্টের শুরুতে নবায়নকৃত মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) খালেদা জিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর নভেম্বরে তিনি যুক্তরাজ্যের ভিসার কাজ শুরু করেন। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ছাড়াও সৌদি আরবের ভিসা পেয়েছেন বেগম জিয়া। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার সময় সৌদি থেকে ওমরাহ করতে পারেন তিনি।
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে ইতোমধ্যে অন্তত ১৫ জনের একটি তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে যাবেন এবং ওই দেশের ভিসা পাওয়ার জন্য সহায়তা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সফরকারীদের মধ্যে বেগম জিয়ার পরিবার ও তার সহকারী রয়েছেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডন যাত্রা করে একাধিক মামলার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। ওই সময় তিনি যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে বেগম জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। প্রতি ছয় মাস পরপর তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে পরদিন (৬ আগস্ট) বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৫ নেতা বহিষ্কার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ ১৫ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। এদের মধ্যে ছয়জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা উপকমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ৫৩৫তম সভায় এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে শুধু বহিষ্কৃতদের সংখ্যা প্রকাশ করে প্রশাসন। আজ রবিবার তাদের নাম-পরিচয়সহ শাস্তির মেয়াদ প্রকাশ করা হয়েছে।
সিট বাণিজ্য, র্যাগিং ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলাসহ নানা সময়ে করা বিভিন্ন অপরাধের দায়ে মোট ১৮ জনকে শাস্তি প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ১৫ জনই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে আছেন বা কর্মী হিসেবে পরিচিত।
জনসংযোগ আফিস থেকে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী, ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখার বর্তমান সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-আল-গালিব। এ ছাড়া সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থায়ী বহিষ্কারের তালিকায় আরো নাম আছে মাদারবখশ হলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার রায় ও একই হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো. মিশকাত হাসানের।
এ ক্ষেত্রে কারো ছাত্রত্ব না থাকলে তাদের সনদ বাতিল করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে।
দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে। তারা হলেন নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম রেজা, বঙ্গবন্ধু হল শাখার সাবেক দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী মুজাহিদ আল হাসান ও মো. আব্দুল্লাহ আত তাসরীফ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী। এই তালিকায় আরো আছেন আরবী বিভাগের ২০১৯-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে দল বিবেচনায় তাদের বহিষ্কার করা হয়নি। অপরাধের ধরণ দেখে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলফি শাহরিন আরিয়ানা, ছাত্রলীগকর্মী জারিফা আহনাফ ইলমা, মাদারবখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর পাল ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আহসানুল হককে (মিলন)।
এ ছাড়া ছাত্রলীগকর্মী আনিকা আলম উষা, মরিয়ম আক্তার শান্তা পেয়েছেন ছয় মাস বহিষ্কারের সাজা। মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর বিশ্বাসকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই অভিযোগে মো. নাজমুল হোসেন নাবিলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন হল থেকে আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে ১৪ জনের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের। তবে তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো শাস্তি প্রদান করা হয়নি বরং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এ জায়গাটাতে একটি সুস্পষ্ট বার্তা থাকবে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের সাথে কেউ যুক্ত থাকলে তাকে দল-মত-নির্বিশেষে শাস্তি পেতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ড. ইউনুসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষুদ্রঋণ চালু করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশে বর্তমান আর্থ সামাজিক অবস্থার যে প্রেক্ষাপট তাতে ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা অপরিসীম।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে যে গরিব-অসহায় মানুষগুলো ব্যাংক থেকে সহায়তা পান না, তারা এনজিওর মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মাইক্রোক্রেডিটের যে মুভমেন্ট তা দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এই পুঁজির কারণেই বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি জায়গায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক মাঠ কর্মী। তৃণমূল থেকে আমার উঠে আসা। আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি তা উপলব্ধি করি দেশের প্রত্যেকটি এনজিও তাদের জায়গা থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। আমি বিশ্বাস করি এই কাজগুলোকে যদি সমন্বয় করা যায়, মূল অর্থনীতির ধারায় যদি এটিকে প্রসারিত করা যায় তাহলে অবশ্যই অর্থনীতির পরিবর্তন ঘটবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইদুর রহমান, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান, এনজিও বিষয় ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা, ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালিক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান, বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধি ও ইএসডিওর কর্মীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিচার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না নাগরিক কমিটি
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিচার ছাড়া এবং যারা আমাদের ওপর ডিরেক্টলি (সরাসরি) গুলি চালিয়েছিল তাদের বিচার ছাড়া আমরা আর কোনো নির্বাচনে যাব না।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কাউন্সিলর কর্তৃক ‘ছাত্র-গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সিটি ও পৌর কাউন্সিলরদের জনস্বার্থে পুনর্বহালের দাবি ও বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে’ আয়োজিত কাউন্সিলর সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সদ্য অপসারণ করা কাউন্সিলরদের উদ্দেশে নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। যারা আপনাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, আপনাদের (কাউন্সিলর) এই সমাবেশে আসতে বাধ্য করেছে, সেই শেখ হাসিনার বিচার ব্যতিত আওয়ামী লীগের বিচার ব্যাতিত এবং যারা আমাদের ওপর ডিরেক্টলি গুলি চালিয়েছিল তাদের বিচার ব্যতিত আমরা আর কোনো ইলেকশনে যাব না। আপনাদের কমিটমেন্টে আসতে হবে, আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ যারা নষ্ট করেছে, আপনার সন্তানের স্বাস্থ্য-শিক্ষা ব্যবস্থা যারা নষ্ট করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। গত ১৫ বছরে যে মানুষগুলো জেলে অকাতরে জীবন দিয়েছিল, গুম হয়েছিল, খুন হয়েছিল, পঙ্গুত্ববরণ করেছিল তাদের ন্যায্য হিসসা ব্যতিত আগামীতে কোনো দল বা পক্ষ যদি নির্বাচনে যায় তাহলে আমরা মনে করব তারা জাতীয় শত্রু। তারা জনগণের কাছে বেঈমান হিসেবে হিসেবে পরিচিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা একাত্তরের বিচার এখনো বুঝে পাইনি। আমরা এখনো জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকার স্পষ্টতা জাতির সামনে বুঝে পাইনি। আমরা নব্বইয়ের স্বৈরাচারের আন্দোলনের পরে যে দুটি রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে নতুন একটা ব্যবস্থা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সেখানেও আমরা তাদের নতুন একটি কমিটমেন্টের জায়গা থেকে নতুন একটা ব্যবস্থা পাইনি। যার ফলে ১৫ বছর আমরা ফ্যাসিস্টদের পদানত হয়েছিলাম। তাই আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, আগামীতে আপনারা আপনাদের প্রশাসকের চেয়ারে থাকবেন। বাংলাদেশে আমরা বিচারবিহীন কোনো নির্বাচনে যাব না। গত ১৫ বছর যারা গুম ও খুন হয়েছিল তাদের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে আমরা ইলেকশনে যাব।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক বলেন, আগামীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ও বৈষম্যবিরোধীর নেতৃত্বে যে একটি রাজনৈতিক দল আসছে সেই রাজনৈতিক দলে আপনাদের আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা আশা করি সেই রাজনৈতিক দলে আপনাদের ত্যাগ তিতিক্ষা আমরা মূল্যায়ন করব। জনতা এবং মানুষের মধ্যে যে ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক সেখানে আমরা আপনাদের পাশে পাব। এই কমিটমেন্টের মধ্যে যদি আমরা যেতে পারি তাহলে বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী দল আমরা উপহার দিতে পারব। যে দলের মধ্যদিয়ে সেন্ট্রাল পাওয়ার বলি আর লোকাল পাওয়ার বলি সেখানে আমরা একটি শক্তিশালী ভোট রচনা করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে সকল ফ্যাসিবাদ এবং বিদেশি ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করে জনগণের যে সমস্যা সমাধানের রাজনীতি সেখানে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারব।
বাংলাদেশ সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মধু, বাংলাদেশ সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
চাঁদপুরে গণঅভ্যুত্থানে আহত লাভলুর ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা
চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশে চাঁদাবাজি এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করেন গণঅভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধা আ. হাই লাভলু। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করায় সমাবেশ পরবর্তী সময়ে চাঁদপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সোহান ও তার সঙ্গীরা লাভলু এবং তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমার পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন। কিন্তু, অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র গঠনের সময় গণঅভ্যুত্থানেরই আহত যোদ্ধার ওপর যুবদল নেতা এবং তার সঙ্গীদের হামলার ঘটনা দুঃখজনক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলোকে ত্রাসের রাজনীতি থেকে সরে এসে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও মূল অপরাধীদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। অতিদ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ধনীদের অর্থ-সম্পদের মাঝে অসহায় মানুষের হক আছে : রেজাউল করিম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ধনীদের অর্থ-সম্পদের মাঝে অসহায় মানুষের হক আছে। জামায়াতে ইসলামী ভোট পাওয়ার জন্য নয় বরং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা উত্তর জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেরেবাংলা নগর থানা উত্তরের আমির মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল আজমের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মো. মনজুরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিতরণীতে উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমির শাহ আজিজুর রহমান তরুণ, বায়তুলমাল সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, মো. হুমায়ুন কবির, হাফেজ শাহজাহান, হাফেজ সাইফুল ইসলাম, মো. সাইফুল আলম, অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।
ড. মু. রেজাউল করিম বলেন, মানবতার কল্যাণের জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে আমরা মানবিক বাংলাদেশে পরিণত করতে চাই। এ ক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।