আইন-আদালত
১২ পুলিশ সুপারকে বদলি
দেশের বিভিন্ন জেলার ১২ পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে। আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে সই করেছেন পুলিশ-১ শাখার উপসচিব আবু সাঈদ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুলিশ অধিদপ্তর, ঢাকা (টিআর) এর পুলিশ সুপার আবু সাইমকে রংপুরের পুলিশ সুপার হিসেবে, গাইবান্ধার কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার আবু সায়েম প্রধানকে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, পিবিআই এর পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার জাকির হোসেনকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দীনকে বরিশালের পুলিশ সুপার, এসবির পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামকে রাজশাহীর পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশ অধিপ্তরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেককে গাজীপুরের পুলিশ সুপার, এন্টি টেররিজম ইউনিট, ঢাকার পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুনকে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার, এপিবিএন সদর দপ্তর, ঢাকার পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলাকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার আসলাম শাহাজাদাকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এহতেশামুল হককে ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়ার পুলিশ সুপার এবং এসবির বিশেষ মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ারকে নাওগার পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ে র্যাবের ১৬ সদস্য আটক: ডিজি
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাবের ১৬ সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। পরে র্যাবের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। এ কাজ করতে গিয়ে র্যাবের ১৬ জন সদস্য বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাবের ৫৮ জন কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ২৪৬ সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিদ্রোহ, গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিতিশীলতা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব।
তিনি আরও বলেন, আমি যতদিন দায়িত্ব পালন করবো ততদিন র্যাব গুম, খুনে জড়িত হবে না বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঘন কুয়াশায় ৩ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট ও শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে তিন ঘাটে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৩টা থেকে ওই তিন রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই তিনটি নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। রাত ৩টার দিকে কুয়াশার মাত্রা তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করতে থাকে। এতে ফেরি চলাচলের চ্যানেলের বিকনবাতি ও মার্কিং পয়েন্ট কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে তিনটি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এতে মাঝ নদীতে ছোট-বড় ৪টি ফেরি আটকে পড়ে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তীব্র কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ফরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার মাত্রা কমে গেলে এ নৌরুটে ফের ফেরি চলাচল ফের স্বাভাবিক হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ভূমি সেবার গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে: মন্ত্রণালয়
জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নাগরিকবান্ধব সফটওয়্যারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। সফটওয়্যারগুলোতে পুরাতন সংস্করণ থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য স্থানান্তর করতে হয়েছে। ফলে এ মুহূর্তে সিস্টেমগুলো একটু ধীর গতিতে চলছে। বর্তমানে সফটওয়্যারগুলো ধীর গতিসম্পন্ন হওয়ায় নাগরিকরা ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ান সেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। সেবা পাওয়ার এ গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, জনবান্ধব ভূমিসেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। হয়রানিমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত ভূমিসেবা সহজীকরণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ১টি নতুন সফটওয়্যার ও ৪টি সফটওয়্যারের ২য় ভার্সন গত ১ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করেন। জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নাগরিকবান্ধব এ সফটওয়্যারগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন সংস্করণ ই-নামজারি, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর ও ই-পর্চা ও মৌজা ম্যাপ (খতিয়ান) প্রাপ্তির জন্য নাগরিককে প্রথমেই এলএসজির মাধ্যমে প্রোফাইল তৈরি করে নিবন্ধন করতে হয়। এ প্রক্রিয়ায় নাগরিককে অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্বোধন করা সফটওয়্যারগুলোতে পুরাতন সংস্করণ থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য স্থানান্তর করতে হয়েছে। ফলে এ মুহূর্তে সিস্টেমগুলো একটু ধীর গতিতে চলছে। এ ছাড়া সেবা প্রদান এবং সেবা গ্রহণে কিছু কারিগরি জটিলতা ও ক্রটি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত প্রাপ্ত ফিডব্যাক অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ সব ত্রুটি সমাধানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় ও প্রকল্পের একটি শক্তিশালী কারিগরি টিম গঠন করা হয়েছে এবং এ টিম দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে সফটওয়্যারগুলো ধীর গতিসম্পন্ন হওয়ায় নাগরিকরা ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর এবং খতিয়ান সেবা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। সেবা প্রাপ্তিতে এ গতি শিগগিরই বৃদ্ধি পাবে।
এতে বলা হয়, ভূমিসেবা দেওয়া মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে নাগরিকদের ধৈর্যসহকারে আন্তরিকতার সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেন সে বিষয়ে ৮টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন ভূমিসেবা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ম্যানুয়াল তৈরি করে সরবরাহ করা হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ গত ১০ ডিসেম্বর, সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করে সমস্যা সমাধানের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। জনবান্ধব, হয়রানিমুক্ত সেবা দেওয়ার জন্য সফটওয়্যার সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানে ভূমি মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণ কাঙ্ক্ষিত ভূমিসেবা পেতে কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের সব ভূমি মালিকদের কাছ থেকে আমরা আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
অপুষ্টিতে ভুগছে দেশের ১১.৯ শতাংশ মানুষ
ক্ষুধা মোকাবিলায় বাংলাদেশে অগ্রগতি হলেও এখনও মাঝারি মাত্রার ক্ষুধা বিরাজ করছে এখানে। বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) ২০২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টির শিকার।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এর প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ১১ শতাংশ মৃত্যুঝুঁকিতে এবং ২৩ দশমিক ছয় শতাংশের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বয়সের তুলনায় যথেষ্ট কম।
মূলত চারটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ক্ষুধা সূচকের স্কোর নির্ধারিণ করা হয়েছে: এর মধ্যে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার। বাংলাদেশে জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৯ শতাংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ খর্বকায়। পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের ১১ শতাংশ শারীরিকভাবে দুর্বল। পাঁচ বছর বয়সের আগে প্রায় ৩ শতাংশ শিশু মারা যায়।
রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশ এবং কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের যৌথ আয়োজনে ‘ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশের পথে: বাধা এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে। ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশ ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড মিলেই এই প্রতিবেদন তৈরি করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের অন্যতম অনুঘটক হিসেবে জেন্ডার ন্যায্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি অর্জন করতে হলে ব্যক্তিপর্যায় থেকে শুরু করে সামগ্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে আইনি অধিকার, আনুষ্ঠানিক শর্তাবলি এবং অনানুষ্ঠানিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতি, যা প্রায়ই পরিবার ও সমাজে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে।
বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪-এর তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ক্ষুধা নিরসনে বাংলাদেশের অগ্রগতি হলেও এখনও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২-এর প্রকৃত ক্ষুধামুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে আছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও লিঙ্গবৈষম্যের কারণে এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষ খাবারের তীব্র সংকটে থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, অনিরাপদ কৃষি চর্চার ফলে আমরা নিরাপদ খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করতে পারছি না। এতে পুষ্টিনিরাপত্তাও নিশ্চিত হচ্ছে না।
মাছসহ বাংলাদেশে যে ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য বৈচিত্র্য আছে, তা রক্ষার ওপর জোর দেন তিনি। এ ছাড়া খাদ্যনিরাপত্তায় নারীর লোকজ জ্ঞানকেও গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দেন তিনি। এ সময় অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও খাদ্যব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে উল্লেখ করেন ফরিদা আখতার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
চাকরিতে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ করে বিধি সংশোধন
বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর এবং মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ও পরীক্ষার ফি কমিয়ে নীতিমালা সংশোধন করেছে সরকার। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪ সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি গত ২৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানের সই করা এ প্রজ্ঞাপনই বুধবারই গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণে পরীক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছরের স্থলে ৩২ বছর করা হয়েছিল। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর এবং একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪ বার বিসিএসে অংশ নিতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে সর্বোচ্চ ৪ বারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিদ্যমানের মতো যতখুশি ততবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিধান রাখার পক্ষে মত দেয়। পিএসসির ওই সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ ৪ বার বিসিএস-এ অংশগ্রহণের বিষয়টি বিধিতে যুক্ত হয়নি। এর অর্থ একজন প্রার্থী ২১ থেকে ৩২ বছর বয়সের সময়কালে যতবার ইচ্ছে বিসিএসে অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মানসুর হোসেন বলেন, বিধিমালায় যেসব সংশোধনী আনা হয়েছে সেটাই কার্যকর। চার বারের বেশি অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি যেহেতু বিধিমালায় নেই কাজেই ধরে নিতে হবে ওটা কার্যকর হচ্ছে না।
এদিকে বিধিমালায় আগে মুক্তিযোদ্ধার কোটা, প্রতিবন্ধী, স্বাস্থ্য ক্যাডার এবং অনগ্রসর নাগরিকদের ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষায় বয়স সীমা ৩২ বছর থাকলেও বিধি সংশোধন করে এ সংক্রান্ত দুটি উপধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ নতুন বিধি অনুযায়ী সবার ক্ষেত্রে ৩২ বছর করা হয়েছে।
বিধিমালায় বিসিএসে অংশগ্রহণে পরীক্ষার ফি ৭০০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা এবং অনগ্রসর নাগরিকদের ১০০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা করা হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় বিদ্যমান ২০০ নম্বর থেকে কমিয়ে ১০০ নম্বর করা হয়েছে। এর ফলে মোট নম্বর ১১০০ এর স্থলে ১০০০ করা হয়েছে।