রাজনীতি
কিছু মানুষ জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি আমার অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। এই বিষয়গুলো কিন্তু অত্যন্ত জরুরি বিষয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে কিছু মানুষ জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। পুরোপুরি নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে বন্ধ করা দরকার। না হলে যে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে, মানুষজন প্রাণ দিয়েছে; এর সবটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘আক্রমণের মুখ স্বাধীন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান : রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাজনৈতিক নেতারা। অনুষ্ঠানে আয়োজন করেন সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নোয়াব।
নির্বাচিত সরকার যে কারও থেকে ভালো উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচিত সরকার যেকোনো সরকারের চেয়ে ভালো, সে যেই আসুক। কিন্তু আমি সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করবো বা ঠিক করে দেব এভাবে ভাবতে আমি রাজি নই। চর্চা হোক যেটা হয়নি গত ৫৩ বছর, সেই গণতন্ত্রের চর্চা হোক। চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা বা একটা হটকারীতার দিকে যাওয়া এই মুহূর্তে জাতির জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ অন্যান্য গণমাধ্যমকে একটি গোষ্ঠী হুমকি দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। একইসঙ্গে গণমাধ্যমে কাছে বৈষম্যহীন আচরণের প্রত্যাশা করেছেন রাজনৈতিক নেতারা।
অনুষ্ঠানে নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে যখন সংবাদপত্রগুলো চাপমুক্ত পরিবেশে কাজ করার কথা তখন কোনো কোনো সংবাদপত্র ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা ও হুমকি অব্যাহত রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি মহল ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর বিরুদ্ধে যে ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে এবং প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে তা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর চরম হুমকি ছাড়া আর কিছু না। একইসঙ্গে আমরা দেখেছি বিমানবন্দরে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদককে পুরানো স্বৈরাচারী আমলের মতো দুই দফায় হয়রানি করা হয়েছে। ঢালাওভাবে বাতিল হয়েছে সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড।
এ কে আজাদ বলেন, এ ধরনের অগণতান্ত্রিক ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হুমকি সৃষ্টিকারী তৎপরতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। যে কোনো মূল্যে সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আশা করি সরকার তার প্রতিশ্রুতি দৃঢ় অবস্থান ধরে রাখবে- উল্লেখ করেন একে আজাদ।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সাহায্য ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করে এ কে আজাদ বলেন, দেশের এই সংকটময় সময়ে আমরা আশা করছি, রাজনৈতিক দলগুলোর যার যার অবস্থান থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
কাফি

রাজনীতি
সারজিস আলমের গাড়িবহরে ককটেল হামলা

বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের গাড়িবহরে ককটেল হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় সভা চলাকালে মিলনায়তনের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দলের উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের উপস্থিতি ছিলেন। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা পরিষদের পেছন সংলগ্ন ভবন থেকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়, যার মধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইমসিন দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ অবিস্ফোরিত অন্য ককটেলটি উদ্ধার করে সেটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বালতির পানিতে ডুবিয়ে রাখে।
তবে ককটেল বিস্ফোরণে এনসিপির সভায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। সভা শেষে সারজিস আলম নিরাপদে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। এর পরপরই স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় এনসিপি নেতারা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তাদের দাবি, সভার জন্য বারবার নিরাপত্তা চাওয়া হলেও পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়নি, যার ফলেই সভাস্থল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
তবে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, জেলা পরিষদ চারদিকে নিরাপত্তা দেওয়ালে ঘেরা। এর ভেতরে সভা চলছিল। পর্যাপ্ত পুলিশ জেলা পরিষদের প্রধান গেটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিল। জেলা পরিষদের পেছন সংলগ্ন ভবন থেকে কে বা কারা দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। তবে এতে কেউ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জেলা সমন্বয় সভার আগে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সারজিস আলম শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জুলাই অভ্যুত্থান প্রসঙ্গ টেনে সারজিস আলম বলেন, মানুষ এখনো জুলাই অভ্যুত্থানের কথা শুনলে শিউরে ওঠে। এই দেশের মানুষের সামনে নতুন করে কেউ স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, যদি জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি, বিচারিক প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয় এবং নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করে, তাহলে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি প্রসঙ্গে এনসিপির এই নেতা মন্তব্য করেন, বিগত সময়ে বিএনপি যখনই সরকার গঠন করেছে, তা জোট সরকারের মাধ্যমেই করেছে। জামায়াতও কখনো শক্তিশালীভাবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি। আমরা মনে করি, আগামীতে আওয়ামী লীগ ও আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি বা জামায়াত কেউ এককভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এই জায়গায় এনসিপির রাজপথে ও সংসদে শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।
তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিতে আসার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামী প্রজন্ম যদি সংসদে প্রতিনিধিত্ব না করে, তাহলে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন সম্ভব নয়। যারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও খুনিদের বিচারের জন্য কাজ করবে, তাদের সঙ্গে এনসিপি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাকিব মাহাদীর সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।
রাজনীতি
পিআরের দাবি জামায়াতের রাজনৈতিক প্রতারণা: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর তথাকথিত ‘আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) আন্দোলন’ একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে নাহিদ এ কথা বলেন। পোস্টটি তিনি ইংরেজিতে লিখেছেন।
পোস্টে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আন্দোলনটি ইচ্ছাকৃতভাবে গঠিত হয়েছিল ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়া ভ্রান্ত পথে চালিত এবং জনগণের অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠন-সংক্রান্ত জাতীয় সংলাপ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য।
নাহিদ লেখেন, ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে একটি উচ্চকক্ষ গঠনের মূল সংস্কার দাবি ছিল সংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা। আমরা এমন ভিত্তিগত সংস্কারের চারপাশে একটি গণআন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলাম এবং জুলাই সনদের আইনি কাঠামো বিস্তৃত জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম।
তিনি আরও লেখেন, কিন্তু জামায়াত ও তার মিত্ররা এ এজেন্ডা ছিনতাই করে একে সুকৌশলে পিআর ইস্যুতে নামিয়ে আনে এবং বিষয়টি নিজেদের সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে দরকষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল না সংস্কার, বরং ছিল কৌশলী প্রতারণা।
নাহিদের অভিযোগ, জামায়াত কখনোই সংস্কারমূলক আলোচনায় অংশ নেয়নি- না জুলাই অভ্যুত্থানের আগে, না পরে। তারা কখনোই কোনো গঠনমূলক প্রস্তাব দেয়নি, কোনো সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেনি কিংবা একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
নাহিদ জানান, ঐকমত্য কমিশনে জামায়াতের হঠাৎ করে ‘সংস্কারের’ পক্ষে অবস্থান নেওয়া আদর্শগত বিশ্বাসের প্রকাশ ছিল না, বরং এটা ছিল একটি রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ, সংস্কারের ছদ্মবেশে নাশকতা।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আজ বাংলাদেশের জনগণ এ প্রতারণা পরিষ্কারভাবে বুঝে গেছে। তারা এখন জেগে উঠেছে এবং আর কখনো কোনো ভুয়া সংস্কারবাদী বা ষড়যন্ত্রকারী শক্তির দ্বারা প্রতারিত হবে না। না সর্বশক্তিমান, না এ দেশের সার্বভৌম জনগণ- কেউই আর কখনো অসৎ, সুবিধাবাদী ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া শক্তিগুলো শাসন করার সুযোগ দেবে না।
রাজনীতি
এনসিপির প্রতীক বাছাইয়ে আজই শেষ দিন

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তালিকা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জন্য প্রতীক বাছাইয়ে আজ রোববারই (১৯ অক্টোবর) শেষ দিন। এই সুযোগ কাজে না লাগালে ইসি তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এনসিপিকে প্রতীক দেবে।
সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তবে রোববার ১১টায় এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
ইসি সচিব বলেছেন, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপিকে বিকল্প প্রতীক সম্পর্কে জানাতে হবে। নয়তো স্বীয় বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। বিধিমালায় প্রতীক হিসেবে শাপলা অন্তর্ভুক্ত করার দরকার নেই বলে মনে করে কমিশন।
এর আগে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার ৫০টি প্রতীক থেকে নিজেদের প্রতীক বাছাই করতে এনসিপিকে চিঠি দেয় ইসি। তবে দলটি বলছে শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে নিবন্ধন নেবে না।
রাজনীতি
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান তারেক রহমানের

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত সবার জন্য আমার দোয়া রইল এবং আমি আশা করি সবাই নিরাপদে আছেন।’
জনসেবার প্রতি সত্যিকারের নিষ্ঠা প্রদর্শন করে দ্রুত এবং সাহসের সঙ্গে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ফায়ার সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যদের প্রশংসা করেন তিনি।
তারেক রহমান মিরপুর এবং চট্টগ্রাম ইপিজেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, ‘সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘটনার কারণ নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের জন্য জননিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত করা অপরিহার্য।’
উল্লেখ্য, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে শনিবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
৫ ঘণ্টা পার হলেও এখনো পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
রাজনীতি
রমনায় জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এবং ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদেরকে ভোটের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রমনা থানা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ থেকে মুক্তির জন্য জাতি যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, একইভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়তে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের ভোটের মাধ্যমে বয়কট করা আবশ্যক। তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর যারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, গুম, ধর্ষণ ও লুটপাট করছে, তারা ক্ষমতায় গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, যা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা উচিত। কিন্তু অতীতের সরকারগুলোর দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে।
ড. হেলাল উদ্দিন ঢাকা-৮ এলাকার জনসাধারণের কাছে সহযোগিতা চেয়ে বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে এই এলাকাকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তুলবেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী প্রচার সম্পাদক ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুস সাত্তার সুমন বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ও ইভটিজিং মুক্ত সমাজ গঠনে জামায়াত বদ্ধপরিকর। তিনি ১৯ নং ওয়ার্ড বাসিন্দাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনগণের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জামায়াতের সংগ্রাম চলবে।
রমনা থানার উদ্যোগে আয়োজিত এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ১০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সাত শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং ঔষধ প্রদান করেন।