কর্পোরেট সংবাদ
রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংকের লক্ষ্মীপুর শাখা উদ্বোধন
রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ৩৯৮তম শাখা হিসেবে লক্ষ্মীপুর শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর)ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্ব নতুন এ শাখার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান।
অনুষ্ঠানে কল্যাণমুখী ব্যাংকিংয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শরী’আহ সেক্রেটারিয়েট’র প্রধান মো. শামসুদ্দোহা এবং স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী জোনপ্রধান মো. শফিউল আজম। আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ.কে.এম. মাহবুব মোরশেদ।
গ্রাহক ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক ড. কেরামত আলী, বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান রিলিজ, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. ফাতেমা সিদ্দীকা, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সুপার ডা. মো. হাসানুজ্জামান ও আল আকসা ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সালেহ উর রহমান। দু’আ ও মুনাজাত পরিচালনা করেন আল- যাযিরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. মুহাম্মদ আবদুল লতিফ।
এসময় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ী, শুভানুধ্যায়ী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ইসলামী ব্যাংক দেশের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সর্বজনীন ও কল্যাণমুখী সেবাসমূহ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। নতুন বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে অভাবনীয় সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকের জন্য আগামীর প্রতিটি দিন হবে সম্ভাবনার এবং এগিয়ে যাওয়ার। তিনি ইসলামী ব্যাংকের আধুনিক, সমৃদ্ধ ও প্রযুক্তিনির্ভর সেবাগ্রহণের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক শরী‘আহ নীতিমালার আলোকে সকল ধরনের সেবা প্রদানে শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি দেশের অন্যান্য শাখার মতো লক্ষ্মীপুর শাখাতেও সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চার মাসে সেনাবাহিনীর ১২৩ সদস্য হতাহত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত ৪ মাসে সেনাবাহিনীর মোট ১২৩ জন সদস্য হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন অফিসার শাহাদত বরণ করেছেন এবং ৯ জন অফিসারসহ মোট ১২২ জন সেনাসদস্য বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বনানীর সেনা অফিসার্স মেসে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।
তিনি বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদবির অফিসারদের সরকার কর্তৃক যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা হয়, তা গত ১৫ নভেম্বর পুনরায় ৬০ দিনের জন্য বর্ধিত করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুষ্ঠু এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সব পর্যায়ের সদস্যরা সচেষ্ট রয়েছে। গত ২০ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর মোট ১২৩ জন সদস্য হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন অফিসার শাহাদত বরণ করেছেন এবং ৯ জন অফিসারসহ মোট ১২২ জন সেনাসদস্য বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয়েছেন।
দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সার্বিকভাবে যেসব দায়িত্ব পালন করছে সেগুলো হলো- অনাকাঙ্ক্ষিত অরাজকতা প্রতিরোধ করা; দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা; বিদেশি কূটনীতিক ব্যক্তি ও দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কলকারখানাগুলোকে সচল রাখা; রাষ্ট্রের কেপিআই এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনাগুলোকে রক্ষা করা; মূল সড়কগুলোকে বাধামুক্ত রাখা; অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা; অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক কারবারি ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা; বিভিন্ন চিহ্নিত অপরাধী ও নাশকতামূলক কাজের ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তার করা; পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা; কক্সবাজার জেলায় এফডিএমএন ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা বিধান করা; এবং সার্বিকভাবে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার যাতে তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে, সেজন্য স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা।
১৩ নভেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান তুলে ধরে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোট ২৪টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৩৬৫ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ৪০টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং ১৮টি সড়ক অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে এবং কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়াও শিল্পাঞ্চল ছাড়াও ৬৩টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৬টি, সরকারি সংস্থা/অফিস সংক্রান্ত ১টি, রাজনৈতিক কোন্দল ৬টি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ৪০টি।
যৌথ অভিযানের কথা উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যৌথ অভিযানে ২২৮ জন মাদক কারবারি অথবা মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট ১ হাজার ৩২৮ জন ব্যক্তিকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান আরও বলেন, সারা দেশে সদ্যসমাপ্ত বৌদ্ধদের দেশব্যাপী কঠিন চীবরদান উৎসব যেন নিরাপদে পালিত হতে পারে, সেজন্য সেনাবাহিনী অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট বৌদ্ধ সংগঠন ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী মোট ৪৪৪টি বৌদ্ধ বিহারে কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই কঠিন চীবরদান উৎসব পালিত হয়েছে।
নভেম্বরের ১৫-১৬ এবং ২০ তারিখে সনাতন ধর্মাবলম্বী মাতুয়া গোষ্ঠীর রাসমেলা ও নবান্ন উৎসব উদযাপনের জন্য গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী জেলায় নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, এবং উভয় অনুষ্ঠান অত্যন্ত আনন্দ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়েছে। এছাড়াও ১০-১২ নভেম্বর প্রায় ৫০ হাজার দর্শনার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বরিশালের জগদ্ধাত্রী পূজাতেও নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কর্নেল ইন্তেখাব বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী এখন ৩ হাজার ৪৩০ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে; যার মধ্যে ৩৫ জন এখনো সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিএমএইচে এ পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৫৩টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ মাত্রার। এছাড়া ৪ জন গুরুতর আহত রোগীকে উন্নত সুচিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
হজ নিবন্ধনের সময় বাড়লো
আগামী বছর হজে যেতে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হজের নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
আগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ৩০ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ওসিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে কোনো ছাড় নয়: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ডিএমপির আওতাধীন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ডিএমপির ৫০টি থানার ওসিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনাদের (ওসি) কারও বিরুদ্ধে আমার কাছে যেন অভিযোগ না আসে। কারও বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিতে চাই না। কিন্তু অভিযোগ এলে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, থানা হচ্ছে পুলিশি সেবার মূল কেন্দ্র। থানায় আসা সেবাপ্রার্থীরা যেন তাদের প্রত্যাশিত সেবা পায়, সেজন্য ওসিদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
সাজ্জাত আলী বলেন, সব পুলিশি কর্মকাণ্ডই থানাকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। আপনাদের দায়িত্ব অনেক। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, অতীতের কিছু উচ্চাভিলাষী পুলিশ কর্মকর্তার কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এখন জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। মানুষের সঙ্গে যত বেশি সম্পর্ক তৈরি করবেন তত বেশি তথ্য পাবেন। তথ্য বেশি পেলে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এ সময় যথাযথ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আমাকে রংপুরের একজন উপদেষ্টা বিবেচনা করুন: ড. ইউনূস
নিজেকে রংপুরের সন্তান মনে করেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদের সাহস ও আত্মত্যাগ আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা শহীদ আবু সাঈদ ফাউন্ডেশনের সনদপত্র শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন সনদপত্র গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে আবু সাঈদের ভাতিজা মো. লিটন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা আবু সাঈদের বাবা-মায়ের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সরকার থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৭ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের প্রাণ গেছে। এ সময় ৮৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭ জনের মধ্যে ২ জন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ১ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ২ জন ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া ১ জন বরিশাল বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও ১ জন খুলনা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২২১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৭১, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৫, খুলনা বিভাগে ১০৯ জন রয়েছেন। এছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ৩২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯০ হাজার ৪৪০ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এছাড়াও এখন পর্যন্ত মৃত ৪৮২ জনের মধ্যে ৫১.৫ শতাংশ নারী এবং ৪৮.৫ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে, ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
কাফি