Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

আইন-আদালত

বৈষম্যবিরোধী সিটি ও পৌর কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবি

Published

on

ব্লক

তৃণমূল পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার বাস্তবায়ন ও জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষায় বৈষম্যবিরোধী সিটি ও পৌর কাউন্সিলরদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) ভবনে সিটি ও পৌর কাউন্সিলর সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশন ও পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। উভয় সংগঠন যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কাউন্সিলরদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, সরকার বুদ্ধিমান হলে আপনাদের অপসারণ না করে ডেকে নিতেন। সরকার আপনাদের সহযোগিতা পেত। আপনার সরকারকে সহযোগিতা করতেন। জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ না করে সরাসরি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সমাবেশ কাউন্সিলদের দাবির প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমলাদের পরামর্শে জনপ্রতিনিদিদের অপসারণ করা হচ্ছে। যে আমলারা ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের দালালি করেছে তাদের আবার নতুন করে দালালির ঠিকাদারি কেন দেওয়া হলো?

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, বিগত ১৬ বছরে যেসব আমলা আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের দালালি করেছে তাদের কেন অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হলো? তারা নিজের দায়িত্বই ভালোভাবে পালন করে না, আবার জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব নিয়েছে। এটা তো ভালো সমাধান হলো না।

সমাবেশ সিটি ও পৌর কাউন্সিলররা বলেন, আমরা কোনো দলের মনোনীত প্রার্থী নই। কোনো দলের প্রতীকে ভোট করিনি। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে কাউন্সিলর হয়েছি। জাতীয় নির্বাচনের মত রাতের ভোটে নির্বাচিত হইনি। আমরা আওয়ামী লীগের সিলেক্টেড লোকদের হারিয়ে জিতে এসেছি।

কাউন্সিলররা আরও বলেন, আমরা ১৭ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। বিভিন্নভাবে আমরা ছাত্রদের সঙ্গে ছিলাম। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের ছেলে-মেয়ে, আমাদের ভাই-বোন অংশগ্রহণ করেছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল। আমরা এই সরকারের সঙ্গে আছি। আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই।

তারা আরও বলেন, রাষ্ট্র যখন সুষম বন্টনের কথা বলছে, তখন আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। যখন সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী কাউন্সিলরদের সংস্কারের বাহিরে রাখা হচ্ছে। আমরা সংস্কারের অংশীজন হতে চাই। রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের সহযোগি হতে চাই। সরকারের হাত শক্তিশালী করতে চাই। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে তৃণমূলে যেতে হবে। তৃণমূল জনসাধারণের প্রতিনিধি কাউন্সিলররা। জনপ্রতিনিধির কাজ একজন অফিসার করতে পারবে না।

আওয়ামী আমলাদের কুবুদ্ধিতে কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়েছে দাবি করে তারা আরও বলেন, আমলারা সরকারকে অস্বস্তিতে রাখতে এ ধরণের কুবুদ্ধি দিয়েছে। কাউন্সিলর না থাকায় জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কাউন্সিলররা এলাকায় অভিভাবক। কাউন্সিলরা অপসারণ হওয়ায় পতিত স্বৈরাচার সরকারের লোকেরা এলাকায় এলকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা নতুন করে অভিভাবক সাজার চেষ্টা করছে। আমরা পুনর্বহাল চাই। অবিলম্বে আমাদের পদ ফিরিয়ে দেওয়া হোক। যারা নৌকা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সরকারের সঙ্গে কাজ করছে, তাদের বহাল রেখেছেন। তাহলে আমরা কেন পারবো না।

বাংলাদেশ সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন মাদারীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাওসার মাহমুদ।

কাফি

শেয়ার করুন:-

আইন-আদালত

শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ জানা যাবে ১৩ নভেম্বর

Published

on

ব্লক

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করবেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

পরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য ধার্য করা হয়েছে। সেদিন আদালত জানাবেন সংক্ষিপ্ত কত দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এদিন মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডনের পর সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, এ মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এবং উপস্থিত রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। প্রসিকিউশনের পক্ষে জবাব দেওয়া হবে, যদিও কিছু অংশ ইতোমধ্যেই উপস্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চিফ প্রসিকিউটর এবং অ্যাটর্নি জেনারেল সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হবে।

ওই দিন বিকেল সোয়া ৩টার পর আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী মো. আমির হোসেন। টানা তিনদিনের যুক্তি উপস্থাপন শেষে নিজের মক্কেলদের নির্দোষ দাবি করে খালাসের আবেদন করেন তিনি। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তার যুক্তিতর্ক চলে।

এদিকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করবেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন।

এদিন মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডনের পর সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর টানা পঞ্চম দিনে প্রসিকিউশন শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। পরে সেদিনই আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরবর্তীতে ২০ অক্টোবর শেখ হাসিনার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমীর হোসেন তাকে নিরপরাধ দাবি করে খালাসের আবেদন করেন।

এই মামলায় প্রসিকিউশন ৫৪ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেছে। এর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়াও সাক্ষ্য দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তবে মামলার মূল দুই আসামি পলাতক থাকায় তারা কোনো সাফাই সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ পাননি।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। এ ছাড়া সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠালেন ট্রাইব্যুনাল

Published

on

ব্লক

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এছাড়া গুমের অভিযোগে করা দুটি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আর গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে করা মামলায় শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

যাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম। এছাড়া রয়েছেন- ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।

এদিকে, শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে আনলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এখন আসামিদেরকে কোন কারাগারে রাখা হবে তা কারা কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।

এদিন সকাল সোয়া ৭টায় কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সাড়ে ৭টায় প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য রয়েছে। তবে না এলে তাদের হাজির হতে দুটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আর যদি হাজির হন এবং ট্রাইব্যুনাল জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন, তাহলে কোন কারাগারে থাকবেন তা সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারা কর্তৃপক্ষ।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে বিরোধী ঘরানার লোকদের গুম করে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) গোপন সেলে বন্দি রেখে নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। গত ৮ অক্টোবর এ অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। পরে শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পাশাপাশি আজকের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল।

একই দিন জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে গুমের অভিযোগে আরেকটি মামলায় হাসিনা-তারিকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবির কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেন প্রসিকিউশন। সবমিলিয়ে এ তিন মামলায় ২৫ সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। ৯ অক্টোবর ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে সেনা সদর থেকে জানানো হয়।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর আমলে নেওয়ার জন্য শুনানি শুরু হয় ট্রাইব্যুনালে। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিসহ আজকের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সেনা কর্মকর্তাদের

Published

on

ব্লক

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আজ (বুধবার) সকাল সোয়া ৭টায় কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সাড়ে ৭টায় প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ট্রাইব্যুনালে আনা সেনা কর্মকর্তারা হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল মখচুরুল হক (অব.), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কেএম আজাদ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য ছিল আজ। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে শুরু হবে শুনানি।

এদিকে, সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা নিয়ে রাজধানীর কাকরাইল, মৎস্য ভবন, পল্টনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালসহ হাইকোর্টের মাজারগেট এলাকা। এখানে পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি বিজিবি-সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে। সবমিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা।

গতকাল মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য রয়েছে। তবে না এলে তাদের হাজির হতে দুটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আর যদি হাজির হন এবং ট্রাইব্যুনাল জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন, তাহলে কোন কারাগারে থাকবেন তা সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারা কর্তৃপক্ষ।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে বিরোধী ঘরানার লোকদের গুম করে র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) গোপন সেলে বন্দি রেখে নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। গত ৮ অক্টোবর এ অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। পরে শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পাশাপাশি আজকের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল।

একই দিন জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে গুমের অভিযোগে আরেকটি মামলায় হাসিনা-তারিকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবির কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেন প্রসিকিউশন। সবমিলিয়ে এ তিন মামলায় ২৫ সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। ৯ অক্টোবর ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে সেনা সদর থেকে জানানো হয়।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর আমলে নেওয়ার জন্য শুনানি শুরু হয় ট্রাইব্যুনালে। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিসহ আজকের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

Published

on

ব্লক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ছাড়া) বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। এছাড়া হত্যাসহ অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগের মামলার প্রসিকিউশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করতে কাজ করবে বিশেষ কমিটি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোমবার (২০ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে হত্যার অভিযোগে মোট ৮৩৭টি মামলা রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি মামলার বিচারকার্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন ফৌজদারি আদালতে পুলিশ এরই মধ্যে ১৯টি হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে। এসব হত্যা মামলা ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০০’ এর ১০ ধারার বিধান অনুযায়ী বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

পাশাপাশি হত্যাসহ অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রসিকিউশনের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করতে আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

এ কমিটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাসহ অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংগ্রহ করবে (মামলার বর্তমান পর্যায় উল্লেখসহ)।

এমন মামলার মধ্যে যেসব মামলায় চার্জশিট দাখিল হয়েছে, সেসব মামলায় (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ছাড়া) প্রসিকিউশনের কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করবে (যদি থাকে) এবং ওই সমস্যা নিরসনে কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাবে। কমিটি তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে ভূক্তভোগী পরিবার ও দেশবাসীকে সময়ে সময়ে জানাবে বলেও আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চাইলেন চিফ প্রসিকিউটর

Published

on

ব্লক

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘অপরাধের প্রাণভোমরা’ উল্লেখ করে চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তার সর্বোচ্চ শাস্তি (চরম দণ্ড) চাইলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

প্রসিকিউশন পক্ষে যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের শেষ পর্যায়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে এই আবেদন জানান। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ সময় চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালকে বলেন, সব অপরাধের প্রাণভোমরা শেখ হাসিনা। সে অনুশোচনাহীন এক হৃদয়হীন অপরাধী। তার সর্বোচ্চ শাস্তি (চরম দণ্ড) হওয়া উচিত। চরম দণ্ড থেকে তার কোনো অনুকম্পা পাওয়ার সুযোগ নেই। ১৪০০ মানুষ হত্যার জন্য তার ১৪শ বারই ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা উচিত, যেন ভবিষ্যতে কেউ তার নিজ দেশের নাগরিকদের এভাবে হত্যা করতে না পারে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সেই সঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এই মামলার অন্য আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান দমনে অপরাধের ‘গ্যাং অব ফোর’ এর একজন উল্লেখ করে কোনো অনুকম্পা না দেখিয়ে তারও সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করেন।

আর এই মামলায় রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন যেহেতু আইন অনুযায়ী তথ্য দিয়ে আদালতকে সহযোগিতা করেছেন, সত্য উদঘাটনে সহায়তা করেছেন, তাই তার ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালই যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর। এছাড়াও জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্তদের অপরাধীদের সম্পদ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর।

শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানিতে পঞ্চম দিনে এসে প্রসিকিউশন পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী সোমবার (২০ অক্টোবর) দিন ঠিক করা হয়েছে। আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর রাষ্ট্র তথা প্রসিকিউশন পক্ষ আবার তাদের (রিপ্লাই) জবাব দেবেন। যদিও পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিতে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। পরে ট্রাইব্যুনাল আগামী সোমবার (২০ অক্টোবর) থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।

এই মামলায় মোট তিনজন আসামি। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বাইরেও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রয়েছেন। মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এরপরে সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ থেকে অপরাধ সংঘটনের পর পালিয়ে গেলেও ভারত থেকে ক্রমাগত আন্দোলনকারীদের হত্যার হুমকি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। যারা বিচার চেয়ে মামলা করেছেন তাদেরও নির্মূলের কথা বলেছেন। তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, এত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরও তার মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। তিনি একজন হার্ডনট ক্রিমিনালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সুতরাং এই ট্রাইব্যুনালের মামলায় তিনি যেহেতু সব অপরাধীদের প্রাণভোমরা ছিলেন, তাই তাকে আইনানুযায়ী চরম দণ্ড দেওয়া শ্রেয়। তাকে যদি চরম দণ্ড না দেওয়া হয় এটা অবিচার করা হবে।

আসাদুজ্জামান খান কামালকে নিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, গ্যাং অব ফোরের সদস্য ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তার বাসায় বসে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ড্রোন ওড়ানোসহ হেলিকপ্টার থেকে মারণাস্ত্র ছোড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি নিজে গ্রাউন্ডে গিয়ে গিয়ে দেখেছেন সঠিকভাবে হত্যা করা হচ্ছে কি না। তাকে ভিডিও দেখানো হয়েছে। তিনি কমান্ড স্ট্রাকচারে দ্বিতীয় পজিশনে ছিলেন। এ কারণে তার ব্যাপারেও চরম দণ্ড চেয়েছি ট্রাইব্যুনালে। তবে রাজসাক্ষী হয়ে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন যেহেতু আইন অনুযায়ী আদালতকে তথ্য দিয়ে বা সত্য উদঘাটনের সাহায্য করেছেন তার ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়া যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তারা হয়তো পরিবারের আলোর প্রদীপ ছিলেন। ভবিষ্যতে পরিবারের দায়িত্ব নিতেন তারা। সুতরাং এসব পরিবারের ক্ষতিপূরণের জন্য আসামিদের সম্পদ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত বলে আদালতের কাছে আমরা আদেশ চেয়েছি।

এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের পিতাসহ স্বজনহারা পরিবারের অনেকে। এছাড়া ঐতিহাসিক উইটনেস হিসেবে সাক্ষী দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। সর্বমোট সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন সাক্ষী।

এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম শুনানি করছেন। সেই সঙ্গে অন্য প্রসিকিউটররাও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। আর এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার34 minutes ago

ব্লকে ২৩ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন ব্লক মার্কেটে...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার40 minutes ago

মাইডাস ফাইন্যান্সিংয়ের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মাইডাস ফাইন্যান্সিং পিএলসি কোম্পানি লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৮ অক্টোবর বিকাল ৩ টায় কোম্পানিটির...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার55 minutes ago

ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড ফাইন্যান্স পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৯ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩ টায় কোম্পানিটির পর্ষদ...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার2 hours ago

ফারইস্ট ফাইন্যান্সের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্ট...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার2 hours ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে হাক্কানি পাল্প

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার3 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। ডিএসই...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার3 hours ago

আড়াইশো শেয়ারের দরবৃদ্ধি, বেড়েছে সূচক-লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষে হয়েছে। সেই সঙ্গে টাকার অংকে...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১