পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধানে কমিটি গঠন

পুঁজিবাজারে বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য একটি ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। রবিবার (২০ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের গত ১৫ বছর মেয়াদে অর্থনীতির অন্যান্য খাতের মত পুঁজিবাজারেও অবাধ লুটতরাজ সংঘটিত হয়েছে। এ সময়ে অসংখ্য দুর্বল ও প্রায় অস্তিত্বহীন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এ কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারের জন্য আজ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রমেই এসব কোম্পানির আসল চেহারা প্রকাশিত হচ্ছে। অন্যদিকে এই বাজারে লাগামহীন কারসাজির মাধ্যমে দুর্বল মৌলভিত্তির, জাঙ্ক কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ফ্লোরপ্রাইস আরোপ, সার্কিট ব্রেকারের ঊর্ধ্বসীমা ও নিম্নসীমায় নানা নানা কৃত্রিম ব্যবস্থায় বাজারের এ অবস্থা ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এখন ওই কৃত্রিম চেষ্টা না থাকায় ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকা অনিয়ম, দুর্নীতি, কারসাজির অনিবার্য পরিণতি এখন আগের চেয়েও বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠছে। পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য একটি ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পুঁজিবাজার উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার সংস্কারের সুপারিশের জন্য পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। বিএসইসি গঠিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭টি। রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক এর সংস্কার, রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতকরণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, পুঁজিবাজারে পণ্য ও বাজার উন্নয়নে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার ও ব্যাপ্তি বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারে কর্মরত পেশাজীবীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার, বাজারের বৈচিত্র্য আনতে নতুন পণ্য আনা, সর্বোপরি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং পুঁজিবাজারের গঠনমূলক ও টেকসই সংস্কার ইত্যাদি সংস্কারমূলক কার্যক্রমে বিএসইসি কাজ করছে।
টাস্কফোর্স কার্যক্রমের বাইরেও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন ও সংস্কারে পথনকশা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে বাজারের বিভিন্ন সমস্যা ও করণীয় বিষয়ে নানা সুপারিশ উঠে এসেছে। বাজারের স্বার্থে যেসব সুপারিশ গ্রহণযোগ্য, যাচাই-বাছাইয়ের পর সেগুলো বাস্তবায়ন করা হলে তাতে দীর্ঘ মেয়াদে বাজারে তার সুফল মিলবে মর্মে আশাবাদী সরকার। পুঁজিবাজার তদারকি ও কারসাজি নিয়ন্ত্রণে সার্ভিলেন্স সিস্টেমের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে বিএসইসি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর অংশ হিসেবে বড় বড় শিল্পগোষ্ঠির সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে বিএসইসি। পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন, তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানির ভ্যালুয়েশন, আইপিও অনুমোদন ও তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও দ্রুত সম্পাদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছে কমিশন। বিভিন্ন খাতের গুরুত্বপূর্ণ শক্তিশালী মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি একদিকে যেমন দেশের পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে, অন্যদিকে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থায়নের ফলে এসব বিভিন্ন খাতের অধিকতর বিকাশের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন ও উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার সুযোগ তৈরি হবে। এতদ্লক্ষ্যে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে পাবলিক ইস্যু রুলস ২০১৫-এর সংস্কারের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো যাতে যৌক্তিক মূল্য পায় সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে যা বহুজাতিক কোম্পানি-সহ ভালো মৌলভিত্তিক কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে সহায়ক হবে।
এতে আরও বলা হয়, দেশের পুঁজিবাজারের আকার বৃদ্ধি ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরির জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্পোরেট অনুশীলন করতে হবে। নিয়মিতভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের তথ্য প্রকাশ করতে হবে, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। সরকার আশাবাদী যে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে গভীরতা বৃদ্ধি পাবে ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী হবে।
এসব পদক্ষেপের ফলে বড়, মাঝারী ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দ্রুত সুফল পাবে। অতীতের দূরবস্থা ও শেয়ার কেলেঙ্কারীর মাধ্যমে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সরকার তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে সুবিধা প্রদান করবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এসএম

পুঁজিবাজার
কারখানা আধুনিকায়ন ও জমি কিনবে স্কয়ার ফার্মা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি তার কারখানা সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন (বিএমআরই) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও কোম্পানিটি মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করবে। ভবিষ্যতে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি রাখতে কিনবে কারখানার জমি।
বুধবার (২২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বিদ্যমান কারখানা সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন (বিএমআরই), মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি ও জমি কেনার জন্য ৬৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আজকের পর্ষদ সভায়। এছাড়াও সভায় গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন ও শেয়ারহোল্ডারদের ১২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২৭ টাকা ৪ পয়সা আয় হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২৩ টাকা ৬১ পয়সা।
পুঁজিবাজার
লোকসান থেকে মুনাফায় ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছিলো তবে আলোচ্য প্রান্তিকে আয় হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ফান্ডটির ট্রাস্টি কমিটির বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই’২৫-সেপ্টেম্বর’২৫) ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ৮৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইউনিট প্রতি ১ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে ক্রয়মূল্যে ফান্ডটির প্রতি ইউনিটের সম্পদ মূল্য ছিল ১০ টাকা ৬৬ পয়সা। ওই সময় বাজারমূল্যে সম্পদ মূল্য ছিল ১০ টাকা ১৮ পয়সা।
পুঁজিবাজার
বিকন ফার্মার লভ্যাংশে চমক, উদ্যোক্তা-পরিচালকরা বঞ্চিত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ২১ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। কোম্পানির উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকরা কোনো লভ্যাংশ নেবে না।
বুধবার (২২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ১০ পয়সা আয় হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ২৬ পয়সা।
গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৬ টাকা ৯৩ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৭৮ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৮ টাকা ৮৬ পয়সা।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর, বেলা ১১টায় হাইব্রিড পদ্ধতির মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ নভেম্বর।
কাফি
পুঁজিবাজার
বিএসইসির স্বায়ত্তশাসন দরকার: আনিসুজ্জামান চৌধুরী

বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যায় বিএসইসি’র স্বায়ত্তশাসন দরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক স্বায়ত্তশাসন পেলে বিএসইসিও পাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্ঠার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
পুঁজিবাজার অংশীজনদের সাথে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৪র্থ মাসিক সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বুধবার (২২ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে বিএসইসি’র মাল্টিপারপাস হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অংশীজনদের সাথে পুঁজিবাজার সংস্কারে গৃহীত উদ্যোগের অগ্রগতি এবং নতুন বিধিমালাসমূহের বাস্তবায়ন, সার্ভেইল্যান্সের আধুনিকায়ন, পুঁজিবাজারের বিদ্যমান বাজার কাঠামোর আধুনিকায়ন ও সেটেলমেন্টের সময় হ্রাস এবং রেকর্ড ডেটে ট্রানজেকশন, পুঁজিবাজারে স্ক্রিপ্ট নেটিং চালুকরণ, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ও ফিউচারস মার্কেট চালুকরণ, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে উন্নয়ন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে এপিআই কানেকটিভিটি বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারের সাইবার নিরাপত্তাসহ পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হয়।
সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসি’র কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, মোঃ আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ এবং মোঃ সাইফুদ্দিনসহ পুঁজিবাজার অংশীজন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের শীর্ষ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, আমাদের মানসিকতা পাল্টাতে হবে। গণতান্ত্রিক ও সততা চর্চা করতে হবে ও সামষ্টিক স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে। পুঁজিবাজার নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না। সকলের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে এবং পুঁজিবাজারে গতিশীলতা আনতে হবে। কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে বাস্তব অবস্থা বুঝে কাজ করতে হবে এবং গুজব ছড়াতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যায় বিএসইসি’র সায়ত্ত্বশাসন দরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সায়ত্ত্বশাসন পেলে বিএসইসিও পাবে। সেইসাথে তিনি সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল) এর রেজিস্ট্রেশন ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে এবং একে দ্রুত কার্যকরী করার নির্দেশনা দেন।
সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান পুঁজিবাজারের সংস্কার ও উন্নয়নে কমিশনের উদ্যোগ-কার্যক্রমের বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মার্জিন বিধিমালা, ২০২৫; মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা, ২০২৫ ও পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ রুলস, ২০২৫ এর কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দ্রুতই এগুলোর কাজ সম্পন্ন হবে যার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের আইনি সংস্কারের বড় অংশ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
মার্জিন বিধিমালা সম্পর্কে তিনি বলেন, অতি সত্ত্বর গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে এটি কার্যকর করা হবে, তবে শঙ্কার কারণ নেই। আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শের আলোকে নতুন মার্জিন বিধিমালা পরিমার্জন করেছি। এছাড়া বিধিমালা কার্যকরের পরও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সমন্বয় এর জন্য ন্যূনতম ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় থাকবে।
বিএসইসি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কার নিশ্চিতে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানান তিনি। এছাড়া বিএসইসির চেয়ারম্যান পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত, পরামর্শ ও প্রস্তাবনা তুলে ধরার জন্য বাজার অংশীজনদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেন।
সভায় অংশীজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (ডিএসই) এর চেয়ারম্যান মোঃ মোমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল) এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোঃ ওয়াহিদ-উজ-জামান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল এর নির্বাহী পরিচালক নাবিল জসিম আহমদ, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুল মোতালেব, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আ স ম খায়রুজ্জামান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এর সভাপতি মাজেদা খাতুন, ডিএসই’র পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও ও মিনহাজ মান্নান ইমন, বিএপিএলসি’র পরিচালক ও নির্বাহী সদস্য মো. কায়সার হামিদ, ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, ভিআইপবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও শহীদুল ইসলাম, সিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন, আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পিএলসির সিইও মাহমুদা আক্তার, প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
পুঁজিবাজার
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি তাদের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়।
কোম্পানি সূত্র অনুযায়ী প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) সামান্য কমে ১ টাকা ২ পয়সা হয়েছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬ পয়সা।
তবে, হিসাববছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২৫) ব্যাংকটির মোট ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে এটি ছিল ৩ টাকা ৬৫ পয়সা, অর্থাৎ ৯ মাসের হিসাবেও সামান্য পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এছাড়া, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখ শেষে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৩ টাকা ৩৯ পয়সা।