অর্থনীতি
ডিম-মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ২৮০ কোটি টাকা লোপাট

বাজারে ডিম এবং মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে গত ২০ দিনে ২৮০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
শনিবার (৫ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন অভিযোগ তুলেছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার।
অভিযোগ করে বলা হয়, বাজারে প্রতিটি ডিমে ২ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন ৪ কোটি ডিমে ৮ কোটি টাকা বেশি লাভ করা হচ্ছে। এভাবে গত ২০ দিনে ১৬০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবার প্রতিটি মুরগির বাচ্চা গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কিন্ত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে একই বাচ্চা বিক্রয় হচ্ছে ৪০-৫৬ টাকায়। আর ডিমের মুরগির বাচ্চা বিক্রয় হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতিদিন সব ধরনের ৩০ লাখ মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয়। প্রতিটি বাচ্চায় যদি ২০ টাকা বেশি ধরা হয়, প্রতিদিন ৬ কোটি টাকা বেশি আয় হয়। ফলে গত ২০ দিনে প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোম্পানিগুলো ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে। সব মিলিয়ে ২৮০ কোটি টাকা লুট করা হয়েছে গত ২০ দিনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রান্তিক খামারি ডিম এবং মুরগি উৎপাদন করে, কিন্তু দাম নির্ধারণ করতে পারে না। দাম নির্ধারণ করে করপোরেট গ্রুপ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের সুবিধামতো যে দাম নির্ধারণ করে সে দামে প্রান্তিক খামারিদের ডিম, মুরগি বিক্রয় করতে হয়। যখন দাম বাড়িয়ে দেয় তখন খামারি ন্যায্য মূল্য পায়। যখন কমিয়ে দেয় তখন উৎপাদন খরচ থেকে কম দামে বিক্রয় করে লস হওয়ার কারণে উৎপাদন থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। ডিম-মুরগির বাজারে অস্থিরতার কারণ করপোরেট গ্রুপ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বিস্তার করে। এরা বারবার বাজারে সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিলেও তাদের শাস্তি না হওয়ায় বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলছে।
এতে আরও বলা হয়, করপোরেট গ্রুপ ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সিন্ডিকেট শক্তিশালী হওয়ার কারণে বারবার একই পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। ফিড বাচ্চার দাম নির্ধারণ না করে, বিগত দিনের সিন্ডিকেটকারীদের সঙ্গে নিয়ে ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় করপোরেট গ্রুপদের সিন্ডিকেট করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে পুরোনো সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এতে বাজারে অস্থিরতা হবে এটাই স্বাভাবিক বিষয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণ করা হয়। যেখানে বলা হয়, উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০.৫৮ টাকায় বিক্রয় করতে পারবে, যা ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রয় হওয়ার কথা। কিন্তু যাদের সঙ্গে নিয়ে দাম নির্ধারণ করা হলো তারা কেউ সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রয় করেননি। প্রতিটি ডিম উৎপাদক পর্যায়ে তারা প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিটি ডিম বিক্রয় করেছেন ১১.৮০ থেকে ১২.৫০ টাকা পর্যন্ত, যা খুচরা বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ১৪-১৫ টাকায়।

অর্থনীতি
জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটি আজ দুটি প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদনের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০২৬ সালের জন্য জিটুটি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) চুক্তির মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ই-পাসপোর্টের সরঞ্জাম ক্রয়।
এই বছরের ৩৪তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির সভাটি আজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রস্তাব দুটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসেছিল।
প্রথম প্রস্তাবটির অধীনে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির অধীনে জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে পরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রয় ও আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন চেয়েছিল।
প্রস্তাবটি পর্যালোচনার পর, দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে তেলের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার গুরুত্ব বিবেচনা করে কমিটি নীতিগতভাবে এটি অনুমোদনের সুপারিশ করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক উত্থাপিত দ্বিতীয় আলোচ্যসূচির বিষয়টি ছিল ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন এবং স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক চলমান প্রকল্প সংক্রান্ত।
সরাসরি চুক্তি ক্রয় পদ্ধতির অধীনে ৫৭ লক্ষ ই-পাসপোর্ট পুস্তিকা এবং সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ প্যাকেজের পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতিতে ৫০ লক্ষ পর্যন্ত কাঁচামালসহ এক কোটি ই-পাসপোর্ট কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য নীতিগতভাবে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে।
বিস্তারিত আলোচনার পর, কমিটি ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রকল্পের কৌশলগত গুরুত্ব উল্লেখ করে নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি সুপারিশ করেছে।
অর্থনীতি
শিশুখাদ্য আমদানিতে এলসি শর্ত শিথিল করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

শিশুখাদ্য আমদানিতে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন রাখার বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শিশুখাদ্য আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার সময় মার্জিনের হার নির্ধারণ করা যাবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়। এতে সই করেন বিভাগের পরিচালক মো. আলা উদ্দিন।
সার্কুলারে বলা হয়, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনা সুসংহত রাখতে পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের সময় ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। ওই সময় ‘নন সিরিয়াল ফুড’ অর্থাৎ অ-শস্য খাদ্যপণ্য এবং ‘প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়’ যেমন— টিনজাত খাদ্য, চকলেট, বিস্কুট, জুস, কফি, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে সম্প্রতি কিছু ব্যাংক অত্যাবশ্যকীয় শিশুখাদ্যকে ওই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে শতভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের শর্ত আরোপ করছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসে।
এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় শিশুখাদ্য এসব পণ্যের তালিকায় পড়বে না। ফলে শিশুখাদ্য আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে আর বাধ্যতামূলক ১০০ শতাংশ মার্জিন রাখতে হবে না। ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ হার নির্ধারণ করা যাবে।
অর্থনীতি
২০ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৮ কোটি ডলার

প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে দেশে ১৭৮ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৮ কোটি ডলার। আর গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ১৬৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
এ ছাড়া গত ২০ অক্টোবর একদিনে প্রবাসীরা দেশে ৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৯৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে যথাক্রমে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
অর্থনীতি
একনেকে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় এক হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভয় প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন। অসুস্থ থাকায় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেননি পরিকল্পনা উপদেষ্টা।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, একনেক সভায় মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
এর মধ্যে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ৫৩ কোটি ২ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে পাওয়া যাবে ৫০ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হবে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি, সংশোধিত প্রকল্প ৭টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।
অনুমোদিত ১৩টি প্রকল্প হলো–
কৃষি মন্ত্রণালয়: ‘পিআরও-অ্যাক্ট বাংলাদেশ: রেজিলিয়েন্স স্ট্রেন্থেনিং থ্রু এগ্রি-ফুড সিস্টেমস ট্রান্সফর্মেশন ইন কক্সেস বাজার’ প্রকল্প।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়: “গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ৩য় সংশোধন)”।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (৩টি):
“খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধন)”।
“জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিত)”।
“গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ০১ থেকে ০৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)”।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়: “উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: “অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ” প্রকল্প।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়: “কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথমানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প।
শিল্প মন্ত্রণালয়: “বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন” প্রকল্প।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়: “ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (২য় সংশোধিত)”।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়: “মানসিক হাসপাতাল, পাবনা-কে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর” প্রকল্প।
রেলপথ মন্ত্রণালয় (২টি):
“বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৪র্থ সংশোধিত)” প্রকল্প।
“বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধিত)” প্রকল্প।
একনেক সভায় অংশগ্রহণ করেন– পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন; পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতি
স্বর্ণের দাম বেড়ে ভরি ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। এতে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে এক হাজার ৫০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সোনার দাম বাড়ানো হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয় ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে সেই রেকর্ড ভেঙে গেলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ৫০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৫২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭৭ হাজার ৮৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭২৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৭৪ টাকা।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৪৯৬ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ১৪৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭৭ হাজার এক টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮৩১ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকা। আজ রোববার এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ৩ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।