রাজনীতি
আজ দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবে বিএনপি

তৃতীয় দফায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে এ দফায় আলোচনা শুরু হবে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা আড়াইটায় যমুনায় বিএনপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এই বৈঠক শুরু হবে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা এতে অংশ নেবেন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, ২০২৩ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছিল। সেখানে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনসহ কী ধরনের সংস্কার প্রয়োজন তারও বিস্তারিত ছিল। আর নির্বাচন পরবর্তী রাষ্ট্রের কী ধরনের সংস্কার করা হবে তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা ছিল। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সেই ৩১ দফা থেকে নির্বাচন পূর্ববর্তী কী ধরনের সংস্কার প্রয়োজন সেগুলো তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব কী তা বোঝার চেষ্টা করবে বিএনপি।
জানতে চাইলে দলের নির্বাচন কমিশন বিষয়ক সংস্কার কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত কমিশন গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ তুলে ধরবে বিএনপি।
এই প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে কী ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে, জনগণের ভোটের মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে আলোচনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সংবিধান পুর্নগঠন ও প্রশাসন সংস্কার কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, কোনো ব্যক্তির পরপর দুবার প্রধানমন্ত্রী না হওয়াসহ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার সুপারিশ করবে বিএনপি। স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত প্রশাসন আর স্বাধীন বিচার বিভাগ নিশ্চিত করতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশনকে শক্তিশালী করার প্রস্তাবও দেওয়া হবে।
এছাড়া ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করায় জোর দেয়ার কথা জানালেন শিল্প ও বাণিজ্য সংস্কার বিষয়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
দলের স্থায়ী কমিটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনও পতিত স্বৈরাচারের সহযোগীরা রয়ে গেছে, যেটা আমাদের নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বলে আসছেন। তাদের সরানোর বিষয়টি তো উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা তুলে ধরা হবে।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ইতোমধ্যে দুই দফায় উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সভা হয়েছে। সবশেষ গত ৩১ আগষ্ট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেন ড. ইউনূস। তারই চলমান প্রক্রিয়ায় আজ (শনিবার) থেকে আবারও নতুন দফায় আলোচনা শুরু হবে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই আলোচনা হবে। এ আলোচনার মুখ্য বিষয় হবে ছয় সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে দলগুলোকে অবহিত করা।
কাফি

রাজনীতি
‘আওয়ামী লীগ যা করে গিয়েছে, বর্তমান সরকার তাই করছে’

বিগত আওয়ামী লীগ যা করে গিয়েছে, বর্তমান সরকার তাই করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইশরাকের এক সমার্থক। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল থেকে নগর ভবনের ভেতরের ফটকের সিঁড়িতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন সংস্থাটির কর্মচারী ও ইশরাকের অনুসারীরা। তারা মূল ফটক আটকানোর পাশাপাশি ডিএসসিসির সব বিভাগের অফিস গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ফলে আজও বন্ধ রয়েছে সব সেবা কার্যক্রম।
রাজনীতি
‘ইশরাককে শপথ পড়ালে উপদেষ্টারা চুরি করতে পারবে না’

ইশরাককে শপথ পড়ালে উপদেষ্টারা চুরি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইশরাকের এক সমার্থক। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল থেকে নগর ভবনের ভেতরের ফটকের সিঁড়িতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন সংস্থাটির কর্মচারী ও ইশরাকের অনুসারীরা। তারা মূল ফটক আটকানোর পাশাপাশি ডিএসসিসির সব বিভাগের অফিস গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ফলে আজও বন্ধ রয়েছে সব সেবা কার্যক্রম।
রাজনীতি
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা উচিত হয়নি: নাহিদ

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা উচিত ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে বাজেটোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বেকার সমস্যা ও কর্মসংস্থানের আন্দোলন থেকেই শুরু হয়েছিল। ফলে তরুণদের ব্যাপক প্রত্যাশা ছিল, বেকার সমস্যার সমাধান এবং কর্মসংস্থানের উদ্যোগ বাজেটে থাকবে। কিন্তু সেটা আমরা বাজেটে দেখতে পাইনি। গত এক বছরে ২৬ লাখ বেকার বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো বিষয় লিপিবদ্ধ হয়নি।
ব্যাংকের প্রতি নির্ভরশীলতা অব্যাহত রয়েছে। এই বাজেট বা অর্থনৈতিক নীতিমালা থেকে যে বেকার সমস্যার সমাধান বা কর্মসংস্থান কার্যকরভাবে বৃদ্ধি পাবে, সেটা আমরা মনে করছেন না বলেও জানান নাহিদ ইসলাম।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে তেমন কোনো নতুনত্ব নেই। এই সময়ে শিক্ষাখাতে ন্যূনতম দুই শতাংশ বরাদ্দ থাকা উচিত ছিল বলে আমরা মনে করি। একইভাবে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য খাতেও বরাদ্দ বাড়েনি।
তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট কমানো উচিত হয়নি। আমরা এর নিন্দা জানাই। আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা নিজেদের উদ্যোগে বিদেশে যান। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে তাদের যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সেটিও যখন কমানো হয়, তখন সরকারের প্রবাসী ভাই-বোনদের প্রতি উদ্যোগ স্পষ্ট হয় না। প্রবাসীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দক্ষ করে গড়ে তোলার প্রস্তাব আমরা দিয়েছিলাম, কিন্তু দেখা গেল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট কমানো হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য ইনসেনটিভ থাকবে, এটাই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু এই বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন, এমন কোনো উদ্যোগ আমরা দেখতে পাইনি। ই-কমার্স এবং ডিজিটাল মাধ্যমে ভ্যাট ৫ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে ডিজিটাল অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এই বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আমরা মনে করি, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা উচিত হয়নি। এটি বন্ধ করা উচিত।
তিনি বলেন, জুলাই শহীদ ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আমরা এটিকে সাধুবাদ জানাই। এই টাকা যেন যথাযথভাবে খরচ করা হয়।
শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম।
এর আগে সোমবার উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, বিপর্যস্ত আর্থিক খাত সংস্কার ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের মতো চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ব্যয়ের পরিমাণ বা আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপি’র ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় টাকার অংকে বাজেটের আকার কমছে ৭ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
কাফি
রাজনীতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই না: সালাহউদ্দিন

আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনোভাবেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হোক চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্থায়িত্বের সময় ৪ মাস প্রস্তাব করেছিলেন। আমাদের দলীয় মত হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্থায়িত্ব তিন মাসের বেশি হওয়া উচিত না এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন তাদের এখতিয়ারে থাকা উচিত না।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের বিরতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত হবে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা এমন বিধান রাখার প্রস্তাব দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কমিশনের সুপারিশ ছিল—আস্থা ভোট, অর্থবিল ও সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত বিল বাদে বাকি সব বিষয়ে জাতীয় সংসদের সদস্যরা স্বাধীন থাকবেন। কিন্তু আমাদের দলীয় অবস্থান থেকে আমরা এই তিনটি বিষয় ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়কে এখানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছি।
রাষ্ট্রে যদি কোনো কারণে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়, তবে জাতীয় সংসদে অবশ্যই এ বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, শুধু সরকারি দল নয়, সব দলকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেই জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
তিনি বলেন, সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি ছাড়া অন্য দুই বিষয়ে প্রায় সবাই-ই একমত হয়েছেন। কেউ কেউ বিস্তারিত আলাপের জন্য সময় চেয়েছেন। এই তিনটা বিষয়ে যদি একমত হওয়া যায়, তবে আমরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টা আলাদাভাবে উপস্থাপন করব এবং আমাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে এটা থাকবে।
এ সময় সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলো নিয়েও কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে চেয়ারম্যান বিরোধী দলের পক্ষ থেকে হতে পারে। তবে সবাই যদি বিরোধী দল থেকে হয়, তবে সরকার তার কার্য পরিচালনা করতে সবসময় বাধাগ্রস্ত হবে।
কাফি
রাজনীতি
বাজেটে দেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় প্রতিফলিত হয়নি: জামায়াত

নতুন অর্থবছর (২০২৫-২৬) বাজেটে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (২ জুন) রাতে এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এ প্রতিক্রিয়া জানান।
এবারের বাজেটকে আগের বাজেটগুলোর মতো গতানুগতিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অর্থ উপদেষ্টা ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার একটি বাজেট পেশ করেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রথম বাজেটে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপভাবে প্রতিফলিত হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেটের মোটা দাগে খুব একটা তফাৎ পরিলক্ষিত হয়নি। এবার বাজেটে ব্যয় না বাড়লেও তেমন কোনো ব্যয় কমেওনি, এতে কোনো নতুনত্বের ছোঁয়াও পরিলক্ষিত হয়নি।’
এবারের বাজেটের রাজস্ব আদায়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এটিএম মা’ছুম বলেন, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেট বাড়িয়ে ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার একটি বড় অংশ আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। বাজেটে বিদেশ নির্ভরতা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
প্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধির উদ্যোগ না থাকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পরোক্ষ কর বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরোক্ষ কর বৃদ্ধির কারণে দেশের সাধারণ মানুষকে এর ভার বহন করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন এটিএম মা’ছুম।
তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্পের কর অবকাশ ও ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা সংকুচিত করা হয়েছে। এতে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। পাশাপাশি এসি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন এবং এলইডির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তার খরচ বাড়বে। অপরদিকে সুতার আমদানি শুল্ক বাড়ানোয় আরএমজি সেক্টরে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। ফলে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বাজেটে শিক্ষা সামগ্রীর দাম কমালেও শিক্ষা খাতে মোট বাজেট কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে উপকরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, কৃষি কাজে ব্যবহৃত সার-কীটনাশকসহ অন্য পণ্যের দাম কমানোকে আশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এছাড়াও কোল্ড স্টোরেজ খরচ কমানোর কারণে কৃষকদের জন্য কিছুটা স্বস্তির কারণ হবে।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া, সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা প্রশংসনীয়। তবে তা আরও বরাদ্দের দাবি রাখে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করার কথা বলা হলেও বাজেটে এই লক্ষ্য অর্জনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় কিছুটা অস্পষ্টতা তৈরি করেছে।
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও অন্যান্য অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা না থাকায় এই বাজেট জাতিকে হতাশ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বৃদ্ধিকে সমর্থনযোগ্য নয় উল্লেখ করে এই অপচেষ্টা বন্ধের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন এটিএম মা’ছুম।
বাজেটকে গণমুখী করতে আয়কর আরও কমিয়ে জনকল্যাণখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত।
কাফি