টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রশাসক নাহিদ আফরোজ
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাহিদ আফরোজকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, নিয়োগকৃত প্রশাসক ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্য একটি সুস্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
টেলিটকের ‘জেন-জি’ প্যাকেজ, থাকছে নানান সুবিধা
রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক বাংলাদেশ ‘জেন-জি’ নামে নতুন সিম প্যাকেজ এনেছে। যাদের জন্ম ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১২ এর মধ্যে এবং যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে কেবলমাত্র তারাই এই প্যাকেজের সিম গ্রহণ করতে পারবেন। একই সঙ্গে সিম কেনার পর বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন হয়ে সিম অ্যাক্টিভ (চালু) হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহক পাবেন প্রি-লোডেট ব্যালেন্স, এসএমএস এবং ইন্টারনেট ডাটা।
টেলিটকের পক্ষ থেকে এই ‘জেন-জি’ প্যাকেজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘জেনারেশন জেড’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ‘জেন-জি’। এর মাধ্যমে সেই প্রজন্মকে বুঝায়, যারা বর্তমান যুগের ডিজিটাল ও প্রযুক্তি নির্ভর। এরা প্রযুক্তি ব্যবহার, উদ্ভাবনী চিন্তা ও নতুন ধারণা গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখেন। বাংলাদেশে জেনারেশন জেড প্রজন্মের তরুণরা ডিজিটাল যুগের সাথে খাপ খাইয়ে নতুনত্ব এবং সামাজিক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশের জেনারেশন জেডকে একটি উদ্ভাবনী, প্রযুক্তিপ্রেমী এবং সামাজিকভাবে সচেতন প্রজন্ম হিসেবে তৈরি করতে টেলিটক জেন-জি প্যাকেজ বাজারে এনেছে।
তবে এই সিম সবাই কিনতে পারবেন না। টেলিটক বলছে, যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এবং যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে শুধু তারাই এই প্যাকেজের সিম কিনতে পারবেন। এই সিমের দাম ১৫০ টাকা। তবে গ্রাহকদের জন্য রয়েছে উপহার। সিম কেনার পর বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন হয়ে সিম অ্যাক্টিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহক পাবেন ১৫ দিন মেয়াদে প্রি-লোডেড ব্যালেন্স ৫ টাকা, ৭ দিন মেয়াদে ফ্রি ১ জিবি ডাটা এবং ৭ দিন মেয়াদে ফ্রি ১০০ এসএমএস।
একই সঙ্গে অলজবস প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ ১২ মাসের জন্য ফ্রি পাবেন ‘জেন-জি’ সিমের গ্রাহকরা। তবে এই সেবাটি শুধু নতুন গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য হবে বলেও জানানো হয়েছে।
মূলত, জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন ঘিরে আলোচিত শব্দবন্ধ ‘জেনারেশন জি’ বা ‘জেন-জি’ অনুসারে তরুণদের জন্য ‘জেন-জি’ প্যাকেজ চালু করলো টেলিটক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের ফের উন্নতি
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির বৈশ্বিক সূচকে ১০১তম অবস্থান থেকে ৯৮তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের জুলাইয়ের পর আগস্টে বাংলাদেশের এ উন্নতি। তবে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিও কিছুটা বাড়লেও র্যাঙ্কিংয়ের ৮৯তম অবস্থানেই আছে বাংলাদেশ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি নিয়ে ওকলার মাসিক ‘স্পিড টেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স’ আগস্ট মাসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আগস্ট মাসে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৮ দশমিক ১৪ এমবিপিএস। আর আপলোড গতি ছিল ৪৭ দশমিক ৩১ এমবিপিএস। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ৫ মিলিসেকেন্ড।
ওকলা জানিয়েছে, গত জুলাইয়ে টেলিটক, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির গড় ডাউনলোড স্পিড ছিল ২৭ দশমিক শূন্য ৮ এমবিপিএস। আর আগস্টে হয়েছে ২৭ দশমিক ৭৬ এমবিপিএস। একই সময়ে আপলোড স্পিড ছিল ১১ দশমিক ২২ এমবিপিএস। আর মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ২৫ মিলিসেকেন্ড।
ওকলার তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চে মোবাইল ইন্টারনেট গতির সূচকে বাংলাদেশ ছিল ১১২তম অবস্থানে। এপ্রিলে ১১০তম, মে মাসে ১০৯তম ও জুনে ৯০তম অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাংলাদেশে এআই হাব করতে আগ্রহী কোরিয়াা
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে নিজস্ব অর্থায়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) হাব করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কোরিয়া দূতাবাসের বাণিজ্য প্রতিনিধি স্যামসু কিম এবং অ্যাকোট গ্রুপের প্রধান নির্বাহী এডওয়ার্ড কিম এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
স্যামসু কিম বলেন, অনলাইন ন্যাশনাল ট্যাক্স সিস্টেম, ই-কাস্টমস ক্লিয়ারিং সিস্টেম, ন্যাশনাল ল্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, ই-ট্যাক্স সিস্টেমে বাংলাদেশের সঙ্গে কোরিয়া যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
এ সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী। তাই তাদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি বিকাশে অনেক কর্মক্ষেত্র তৈরি করা প্রয়োজন।
অ্যাকোট গ্রুপের প্রধান নির্বাহী এডওয়ার্ড কিম এটুআইয়ে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করলে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে এটুআই ইউএনডিপির অর্থায়নে চলছে। এ বছর ডিসেম্বরে এটুআইর সঙ্গে ইউএনডিপির চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে এটুআইর সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ লোকবল থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীর অভাব রয়েছে উল্লেখ করে স্যামসু কিম আরও বলেন, এক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশি তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলী বানাতে আগ্রহী। এর বাইরে তিনি ন্যাশনাল ইনফরমেশন প্রজেক্টের বিষয়েও উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
নতুন আইসিটি সচিবের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আইসিটি উদ্যোক্তা কাউন্সিলের সাক্ষাৎ
সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে বৈষম্যবিরোধী আইসিটি উদ্যোক্তা কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কাউন্সিলের সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার তালহা ইবনে আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সাক্ষাতে অংশ নেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন মনিরুল মাওলা, এ এন এম আবরার, আব্দুল্লাহ নাবিল, ইঞ্জিনিয়ার সাজিদ , মো. জুয়েল প্রমুখ।
সাক্ষাৎকালে বৈষম্যবিরোধী আইসিটি উদ্যোক্তা কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ নতুন সচিবকে শুভেচ্ছা জানান এবং আইসিটি খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে যে সকল দুর্নীতি করা হয়েছে সেগুলো কঠোর হাতে দমন করতে আহ্বান জানান। উদ্যোক্তারা আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সিন্ডিকেট ভেঙে প্রাইভেট সেক্টরের সকল কোম্পানি ও উদ্যোক্তাদের জন্য সুষম কর্মপরিবেশ সৃষ্টিরও দাবি জানান।
এ সময় সরকারের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী তাদেরকে আশ্বস্ত করে তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরকে দুর্নীতিমুক্ত ও সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণকে পৌঁছে দিতে সময় ও তরুণ উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এর আগে, গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে অডিট ক্যাডারের কর্মকর্তা বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) শীষ হায়দার চৌধুরীকে সচিব পদে নিয়োগ দেয় সরকার। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কথা বলে প্রকিউরমেন্ট ও অডিট খাতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এই সচিবের দক্ষতা ও সুনাম সম্পর্কে জানা গিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা দিলো তথ্য মন্ত্রণালয়
আগামী ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দফতর, সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ পরিকল্পনা ঘোষণা দেন।
১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনায় যা যা থাকছে
- বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারকে দক্ষ ও জনবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ছাত্র জনতা এবং তাদের পরিবারবর্গকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণপূর্বক বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে;
- স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- সম্প্রচার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ সংক্রান্ত নির্দেশিকার প্রয়োজনীয় সংশোধনঅন্তে প্রণয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামোর আইনি সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আইন, বিধি ও নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে;
- সাংবাদিকদের বেতন কাঠামোর যৌক্তিক সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক এর ডিজিটালাইজেশনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- অনলাইন নিউজ পোর্টালের লাইসেন্স প্রদান নীতিমালা যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের ৪টি শূন্য পদ পূরণ করা হবে;
- চলমান প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে সম্পাদনে কিংবা প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এর আয়বর্ধক কর্মসূচির জন্য বিজনেস সল্যুশন প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন, ১৯৫৭-কে যুগোপযোগী করা হবে।
- বাংলাদেশ বেতার থেকে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের পথে শীর্ষক, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ ছাত্র-জনতাকে নিয়ে এপিসোড প্রচার করা হবে।
- বাংলাদেশ বেতারের অনিয়মিত শিল্পীদের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ/আহত ছাত্র-জনতার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার, আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, সংগঠিত হওয়া এবং সমন্বয়কদের মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার বিবরণের উপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে।
- ঢাকাসহ সারাদেশে দেওয়াল লিখন, স্লোগান এবং গ্রাফিতি তুলে ধরে তথ্য বিবরণীমূলক অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে।
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্রদের পরিবারকে নিয়ে ২০০টি ফিচার প্রকাশসহ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যুগোপযোগী করা হবে। তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরিসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
- পতিত সরকারের ২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল দুর্নীতি, অনাচার, দমন-পীড়ন, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করবে।
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সকল শহীদের উপর পরিচিতি ভিত্তিক ডকুমেন্টারি নির্মাণ এবং দেওয়ালে অংকিত গ্রাফিতির উপর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক অ্যালবাম তৈরি করা হবে।
- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং রাষ্ট্র সংস্কার ভিত্তিক ফিচার প্রকাশ করা হবে।
- বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমসহ অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা ভিত্তিক সেমিনার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজন করা হবে।
- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর্ড অবস্থায় থাকা চলচ্চিত্রসমূহ নীতিমালা ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
- চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।
- প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আইন ২০১৮ এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
- তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
- তথ্য কমিশনের বিদ্যমান চাকরির বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে।
এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা থেকে নিয়মিত দাপ্তরিক কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে এবং অব্যাহত থাকবে।