জাতীয়
পাচার অর্থ ফেরাতে আইএমএফের সহায়তা চায় বাংলাদেশ

ব্যাংকসহ আর্থিক খাত সংস্কার এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্কার কাছে সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কী পরিমাণ ঋণ লাগবে এখন পর্যন্ত আইএমএফকে জানানো হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা রকম সংস্কার ও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রিসোর্স দরকার। আমরা যতটুকু পারি দেশীয় সম্পদ আহরণ করবো, কিন্তু কিছু কিছু জিনিস আছে বিদেশি সহায়তা লাগবে। এর মধ্যে অন্যতম আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ব্যালেন্স সাপোর্ট দেয়, ব্যাংকিং সেক্টর ও অন্যান্য সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা মিশন আসছে, আমাদের সম্ভাব্য কী কী দরকার। আমরা বলেছি সংস্কারের বিষয়ে আমরা মোটামুটি পদক্ষেপ নিয়েছি, ব্যাংকিং সেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টরে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সময় কিছু লাগবে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ কী পরিমাণ লাগবে, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ওরা ডিটেলইস আরও আলাপ করবে। আমার সঙ্গে নীতি ও মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ও ব্যাংক রিফর্ম নিয়ে কী করবে, সেটা জানবে। এনবিআরের সঙ্গেও বসবে।
‘আমাদের ম্যাক্রো পলিসি টিম আছে। ডিটেলস আলাপ করে তাদের নিজস্ব ভিউ তারপর অক্টোবর মাসে ওয়াল্ডব্যাংক মিটিংয়ে যাবে, পলিসি মেকারদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তারপর প্রেজেন্ট প্রোগ্রাম নিয়ে আলাপ হবে। আমরা ফিউচার কিছু… রিকোয়েস্ট করেছি। আমরা এখনো সঠিক বলিনি। বলেছি, দেখে নিয়ে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ ফরমালি জানাব। সেটা নিয়ে আলাপ হবে।’
তাদের কাছে কী চেয়েছেন, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রিসোর্স, কারিগরি সহায়তা যেটা ব্যাংক সেক্টর রিফর্মের জন্য, মানি লন্ডারিংয়ের জন্য, তারপর ট্যাক্স রিফর্মের জন্য, ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট রিফর্মের জন্য। শুধু আইএমএফ না, অন্যদের কাছেও কিছু চেয়েছি। কারা কী সাহায্য দেবে, সেটা কো-অর্ডিনেট করে আইএমএফকে আমরা স্পেসিফিক বলবো ওদের কাছ থেকে আমাদের কী কী সাহায্য দরকার। ডুপ্লিকেশন না করে সবাই যেন একযোগে ইফোর্ড দিতে পারে অর্থাৎ দু-তিনটি সংস্কার একই কাজ করবে কিন্তু রিসোর্স লাগবে বেশি। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
কাফি

জাতীয়
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার

সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন এবং কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমনটি জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গুরুত্ব বিবেচনা করে সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের জন্য ফাইল পাঠায়। প্রধান উপদেষ্টা সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর তা স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
সাভার সিটি করপোরেশন গঠনের জন্য এখন স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্ভব্যতা যাচাইসহ তাদের পর্যায়ের বিভিন্ন কাজ করবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি এখনো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। সিটি করপোরেশন তাদের পর্যায়ের কাজ শেষ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবে। এরপর তা নিকার (প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি) সভায় অনুমোদনের জন্য উঠবে।
জাতীয়
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে বেতন কমিশন

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি ন্যায়সংগত ও কার্যকরী নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত বেতন কমিশনের কাজ এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে অনলাইনে চারটি প্রশ্নমালায় প্রাপ্ত সর্বসাধারণের মতামত ও সুপারিশ যাচাই-বাছাই এবং পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, বর্তমানে অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত বা সুপারিশ দিয়েছে। প্রাপ্ত সুপারিশ ও মতামত কমিশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। কমিশন আশা করছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ১-১৫ অক্টোবর সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি এই চার ক্যাটাগরিতে প্রশ্নমালার মাধ্যমে কমিশন অনলাইনে সর্বসাধারণের মতামত সংগ্রহ করেছ।
জাতীয়
বিসিএস ক্যাডারের পদমর্যাদা পেলেন ৮০ পুলিশ পরিদর্শক

বাংলাদেশ পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র, শহর ও যানবাহন এবং সশস্ত্র) পদমর্যাদার ৮০ কর্মকর্তাকে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এসব পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপ-সচিব মো. মাহবুবুর রহমান।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে পুলিশ পরিদর্শকের (নিরস্ত্র) ৩৩, পুলিশ পরিদর্শকের (শহর ও যানবাহন) ১৮ এবং পুলিশ পরিদর্শকের (সশস্ত্র) ২৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে তাদের চাকরি পুলিশ অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হয়েছে।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর যোগদানপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জাতীয়
জাতীয় সংগীত বিধি সংশোধন করে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাদ

জাতীয় সংগীত বিধি সংশোধন করা হয়েছে। বিধি সংশোধন করে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং ওই দিন জাতীয় সংগীত বাজানোর নিয়ম বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যানথেম রুলস, ১৯৭৪’ সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যদিও এর আগেই ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে।
বিধিতে কোন দিন কী উপলক্ষে কতটুকু জাতীয় সংগীত বাজাতে হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
বিধির শিডিউল-১ এর ৩ নম্বর ক্রমে ছিল- জাতীয় শোক দিবসে (প্রতি বছরের ১৫ আগস্ট) অনুষ্ঠানের শুরুতে এবং শেষে পূর্ণ জাতীয় সংগীত বাজানো হবে। শোভাযাত্রার ক্ষেত্রে জাতীয় সংগীতের প্রথম দুই পঙক্তি শুরুতে বাজানো হবে।
বিধি সংশোধন করে শিডিউল-১ এর ৩ নম্বর ক্রম (১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস) এবং এর বিপরীতে এন্ট্রি (কতটুকু জাতীয় সংগীত বাজানো হবে) বিলুপ্ত করা হয়েছে।
জাতীয়
নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার রোধে কেন্দ্রীয় সেল গঠন হবে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। নির্বাচনে আমরা এআইয়ের অপব্যবহার রোধ করতে চাই। এ কারণে মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেল গঠন করব। তার আগে আপনাদের (বিশেষজ্ঞ) মতামত প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের সময় অনেক কিছু রাতে ঘটে যেতে পারে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এআই অপব্যবহার বেশি হতে পারে। এজন্য আমাদের দিন-রাত রাউন্ড দ্য ক্লক কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কী ধরনের জনবল আমরা এ কাজে লাগাতে পারি, ডিসইনফরমেশন যেকোনো জায়গা থেকে আসতে পারে। আমরা কীভাবে সেই তথ্য পৌঁছাব, সে বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ দরকার।
সিইসি বলেন, এখানে যারা উপস্থিত আছেন, তারা আমাদের নির্দিষ্ট সাজেশন দিতে পারবেন। আমি এখানে কোনো গাইডলাইন চাই না। এ কর্মশালা আমাদের জন্য কার্যকর হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এআই আমাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।